![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চোরেরা খায় খুরমা-পোলাও সাধুদের ধারে ধারে,তাজ্জব হয়ে গেলাম বাবা দিন দুনিয়ার ব্যবহার-মনিরুজ্জামান নিলয়
হাসিব পড়াশুনা করতো সিলেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে সিভিল টেকনোলজি তে।
হাসিব খুব ভাল একটা ছেলে কিন্তু স্কুল জীবন থেকে খুব দুষ্ট।২০১১ সাল সাধুপুর স্কুল থেকে এস এস সি পাস করে।
প্রেম বিষয় সে কিছুই বুজতো না।
স্কুল জীবন প্রেম কি জিনিস সে বুজতোই না।
হাসিব যখন সিলেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ২য় বর্ষের ছাত্র তখন তার মনে প্রেমের দোলা দেয়।কিন্তু কেমনে প্রেম করতে হয় সে জানে না।
সিলেটে সবচেয়ে ব্যয় বহুল মেছে থাকতো,বন্ধুরা সবাই প্রেম করতো কিন্তু নিলয় এর প্রেম নেই,একদিন হঠাৎ মনির তার গ্রামের বাড়ি আসলো।
সে ভাবলো গ্রামে একটা প্রেম করবে।
কিন্তু গ্রামে ভাল মেয়ে থাকলেও সবাই প্রেম করে।
একদিন হাসিব স্কুল মাঠে আড্ডা দিতে দিতে রাত ১০ টা বেজে যায়,এমন টাইম তার এক ছোট ভাই রাকিব আসে।
রাকিব এসে বলে হাসিব ভাই কেমন আছো।।?
কবে আসছো ?
তোয়ামার জন্য একটা সুন্দর মেয়ে দেখছি ।
হাসিব তো অভাক,
কে রাকিব..?
মেয়ে কি করে?
কিসে পড়ে?
হাসিব প্রশ্ন করতে থাকে।
রাকিব সব বলল এবং মেয়ে টার মোবাইল নাম্বার হাসিবকে দিল।
হাসিব মোবাইল নাম্বার টা নেওয়ার পর মেয়ে টি কে কল দেয় (২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১০.৩০ am)
মেয়ে টি তখন এস এস সি পরিক্ষার্থী মাত্র টেষ্ট পরিক্ষা দিল।
বেশ ভালয় মেয়েটির সাথে কথা হল।
মেয়েটা হাসিব এর কাছে পরিচয় চায় কিন্তু নিলয় ভুল পরিচয় দেই মেয়েটিকে।
কারন,হাসিব এর ছোট ভাই রাকিব সে বলে দিছে হাসিব ভাই তোমার সত্য পরিচয় দিলে কিন্তু প্রেম করবে না।
হাসিব সত্য পরিচয় না দিয়ে ফেক পরিচয় দেয় মেয়ে টিকে
বেশ কথা হয় ফোনে,,কিন্তু ২ মিনিটের বেশী কথা হয় না।মেয়ে টা বেশী কথা বলতো না।
মেয়ে টা এস এস সি পরিক্ষা দিল, রেজাল্ট বের হল।
হাসিব এর সাথে মাঝে মাঝে কথা হয়।
কিন্তু হাসিব থাকে ফেক পরিচয় থেকে মেয়ে টি কে রিয়েল ভালবেসে ফেলে।
তার সাথে কথা বলা ছাড়া থাকতেই পার।কিন্তু মেয়ে কথা বলে না
হঠাৎ মেয়ে টি তার বড় ভাইয়ের বাসা ঢাকাতে বেরাতে যাই।
কিন্তু যাওয়ার পথে মেয়ে টি ফোন হারিয়ে যায়,হাসিব খুব চেষ্টা করে যোগাযোগ করার জন্য কিন্তু যোগাযোগ করতে পারে না।
প্রায় এক মাস চলে যায় কথা হয় না।
হাসিব ভাবে মেয়ে টি মনে আমার সাথে মজা করছ,সে অনেক কষ্ট পায়।
মেয়েটি আবার নতুন ফোন,সিম কিনে,কিন্তু হাসিব কে আর কল দেয় না।
মেয়ে তো তার নাম্বার এ কল দিবে কেমনে ,তার নাম্বার তো নাই।
হাসিব আবার নাম্বার সংগ্রহ করে আবার কল দেয়।
হাসিব ফোন দিয়ে কথা বলার সাথে সাথে মেয়ে চিনে ফেলে হাসিব কে,এবং বলে আপনি আমার নাম্বার আবার কোথাই পেলেন।
হাসিব আবার মিথ্যে বলে,তুমি যে কোনো সিম ব্যবহার কর আমি নাম্বার পাব।
মেয়ে টি আর কিছু বলল না,আবার কথা বলা শুরু হল তাদের।
মেয়েটি তখন জামালপুর জায়েদা শফির মহিলা কলেজে পড়ে।
বেশ কথা চলতে থাকে,৩ থেকে ৪ মাস।
মেয়ে টি হাসিব কে আস্তে আস্তে ভালবেসে ফেলে,,হাসিব তো আগে থেকেই ভালবাসে।
কিন্তু মেয়ে টি তার সত্যি পরিচয় জানে না।
হাসিব ঈদের ছুটিতে বাড়ীতে আসে,সে তখন গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেনিং করে।
হাসিব ভাবে মেয়ে টি কে আমার পরিচয় দেওয়া দরকার,আর কত দিন পরিচয় লুকিয়ে রাখা যাই।
হাসিব একদিন মেয়েটি কে পরিচয় দিল আমি তোমাদের গ্রামেই থাকি,আমার নাম হাসিব।
কিন্তু মেয়ে চিনে না ও মেয়েটি অস্থির হয়ে যায়।
হাসিব কে প্রশ্ন করতে থাকে
তুমি কি সত্যি আমাদের গ্রামে থাক?
তোমার নাম কি?
তোমার বাবার নাম কি?
কোন পাড়া থাক তুমি?
হাসিব সব গুলো প্রশ্নের উওর দেয়।মেয়ে টি তার কথা শুনে অজ্ঞান হয়ে যায়।
হাসিব এর সাথে ৩ দিন যোগাযোগ বন্ধ থাকে।
হাসিব মিথ্যে বলল কেনো।
কিন্তু ৩ দিন পর হাসিব এর ফোনে এসএমএস আসে জানু।
হাসিব তো সেই খুশি,,খুশিতে সে দিশাহারা হয়ে যায়,মেয়েটি তখন হাসিব এর সাথে দেখা করার জন্য পাগল হয়ে যায়।
হাসিবকে জামালপুর যেতে বলে
হাসিব সকালে দিকে জামালপুর গেইট পাড় দেখা করে (মে ১২ ২০১৫)
সারাদিন রিক্সা দিয়ে ঘোরাঘুরি করে।
দেখা করাতে তাদের প্রেম আরও মজমুত হতে লাগলো।
এভাবে তাদের প্রেম আগাতে থাকে।
মেয়ে টি কলেজ হস্টেল থাকে।
২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টা তাদের কথা হয় এসএমএস এ।
সব সময় তাদের এসএমএস চলতো।
প্রতি সেকেন্ড এর নিউজ দুজনে আদান-প্রদান করতো।
বার্থ রুমে গেলেও তাদের যোগাযোগ হইতো।
এতো প্রেম এতো ভালবাসা।
মেয়েটি ছেলে টিকে অনেক ভালবাস তো,সমান ভাসবাসতো ছেলেটিও।
প্রায় ২ বছর চলে যায় কিন্তু তাদের প্রেমের খবর কেও জানে না।
গ্রামের নিলয় এর কিছু বব্ধু মাহবুব,শিশির,রমজান,শফিক,ফরিদ,কতিপয় কয়েকজন জানতো।
আস্তে আস্তে অনেক লোক জানতে থাকে।
হাসিব এবং মেয়েটি খুব চালাক ছিল,তাদের ভালবাসার মাঝে যদি ঝগড়া হত থার্ট কেউ জানতো না।
তারা নিজেরাই মিল হয়ে যেত।
তাদের প্রতিনিয়ত ঝগড়া হত,সারা দিন খারাপ রাতেই ভাল।এভাবেই তাদের প্রেম আগাতে থাকে।
এই দুই বছরে তাদের মাঝে অনেক কিছু ঘটে যা বলার মত না।
মেয়েটিকে হাসিব যা বলতো তাই শুনতো, কোথাই গেলে সব সময় নিলয় এর অনুমতি নিয়ে যেত,নিলয় না করলে যেত না।
মেয়ে টি ছিল হাসিব এর পাস ওয়াট।
হাসিব এর সব জায়গাতে মেয়েটি নাম।
অনেক অনেক ভালবাস তো হাসিব।
মেয়েটি সিগারেট পছন্দ করতো না,হাসিব সিগারট খাওয়া বাদ দেয়।
হাসিব আড্ডা দিত,মেয়েটির কারনে আড্ডা দেওয়া বাদ,হাসিব বন্ধুদের সময় না দিয়ে সব সময় তার জানুর সাথে এসএমএস এ মগ্ন থাকতো,বনধুদের সাথে বকা শুনতো, তবুও এসএমএস করা বাদ দিত না।
প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ শ এসএমএস করতো তারা।
আস্তে আস্তে মেয়েটির এইস এইস সি এক্সাম চলে আসে,,,হাসিব মেয়েটিকে পড়াশুনা করার জন্য খুব সাজেশন দিত, নেট থেকে ডাইনলোড় করে অনেক কিছু এসএমএস সেন্ট করতো, মেয়েটি পড়াশুনা করতে চাইতো না, নিলয় এর ভয়ে সব সময় পড়াশুনা করতো, যে বিষয় না পারতো হাসিব তা নেট এ ঘাটাঘাটি করে বা স্যার দের কাছ থেকে হেল্প নিয়ে মেয়েটিকে সমাধান করে দিত।
মেয়েটির পরিক্ষা শেষ মেয়ে টি হস্টেল থেকে বাড়িতে চলে আসে।
মেয়েটা অনেক সুন্দর ছিল যার কারনে প্রতিদিন বিয়ের ঘর আসতো।
মেয়ের বাবা মা ছিল ভিতু টাইপের অন্যের কথায় কান দিত বেশি।
এইস এস সি পরিক্ষা দিয়ে বাড়িতে আসার পর এত বিয়ের ঘর আসে যা কল্পনার বাইরে।
কিন্তু যে ছেলে মেয়েটিকে দেখে সবাই পাগল হয়ে যায় বিয়ে করার জন্য।
কিন্তু বিয়ে হয় না, বাবা মা বিয়ে দেয় না,মেয়ে রাজি থাকে না,,ইত্যাদি।
হাসিব এর টেনশন কখন জানি বিয়ে যাই।
কিন্তু মেয়েটি হাসিব কে আশা দেয়,পৃথিবী উলটে গেলেও অন্য কাওকে বিয়ে করবে না।
হাসিব বেশ চলতে থাকে।
বিয়ের ঘর আসে বিয়ে ভেংগে যায়।
এক সময় হাসিব বিয়ে করতে চাই কিন্তু মেয়েটি বলে আমার বিয়ে দেরি আসে।
বাবা বলছে ঘর বিয়ে এখনি দিব না।
হাসিব ফুরফুরে মেজাজে চলতে থাকে।
২৩ জুলাই মেয়েটির এইস এস সি রেজাল্ট দেয়।
জিপিএ ৩.৮১ পায় মেয়েটি মানবিক বিভাগ থেকে।
অদের গ্রামে মেয়েটি ছাড়া কেও পাশ করে না।
তাই সবাই মেয়েটিকে আদর করে,এবং গ্রামের সবাই আদর করে।
রেজাল্ট পর আবার বিয়ের চাপ শুরু হয়।
হাসিব বিয়ের কথা বলে কিন্তু মেয়েটি বলে বিয়ে তো দিবে না বাবা।
তুমি ভাল জব কর তার পর আমরা বিয়ে করব।
হাসিব এর মনে আর চিন্তা নেই।
সে ভাল জব খুজতে থাকে।
কিন্তু গত ৪ আগাস্ট ২০১৭ মেয়েটিকে একটা ছেলে দেখতে আসে সন্ধ্যার দিকে।
মেয়েটি জানে না,মিথ্যে বলে অদের গ্রামের মির্ধাপাড়া নিয়ে যায় মেয়েটিকে।
মেয়েটি কে ছেলের মা ভাই দেখে পছন্দ করে ও সেই দিন বিয়ে করে নিয়ে যাবে বলে, মেয়ে টি টেনশনে পড়ে যাই।
রাত ৮ টায় বাড়িতে আসে এসেই হাসিবকে ফোন করে সব বলে দেয়।
হাসিব খুব টেনশনে পড়ে যাই।
মেয়েটির সাথে প্রায় এক ঘন্টা কথা হয়।
মেয়েটি বলে আমি আগে শুনি বাবার কাছে ঘটনা সত্য কিনা।
মেয়েটি তার বাবা কে জিজ্ঞাস করে বাবা আমাকে বিয়ে দিবে কি।
বাবা না করে, ছেলে দেখছে তোমাকে, আমরা দেখবো,তারপর বিয়ে।
কিছু খন পর হাসিবকে এসএমএস এ বলে জানু টেনশন কর না,দেখলেই কি বিয়ে হয়।
তুমি ঘুমাও মা আসে এসএমএস করতে সমস্যা।
হাসিব প্রতিরাত ঘুমা আসে ২ টার পর।
কিন্তু সে দিন মেয়েটি বলার সাথে সাথে হাসিব ঘুম আসে
…….
……………………………………
সকাল ৯ টায় ঘুম থেকে ঊঠে উঠার পর খাওয়া দাওয়া করে,এই টাইম বিপুল, হাসিব এর ছোট ভাই ফোন দেয়
হাসিব ভাই আপনি কোথাই।
২ মিনিটের মধ্যে স্কুল মোড়ে আসেন।
হাসিব তখন স্কুল মোড়ে যায়।
যাওয়ার বিপুল বলে ভাই আপনার জানুর তো রাতে বিয়ে হয়ে গেছে।
হাসিব এর মাথা হট হয়ে গেল।
কি বল বিপুল ঘটনা কি সত্যি?
বিপুল বলে ভাই ১০০% সত্য।
আমি কি আপ্নারে মিথ্যে বলব।
হাসিব তখনি মেয়েটি কে ফোন দেয় কিন্তু ফোন বন্ধ।
হাসিব টেনশনে পড়ে যায়।
সবার কাছে ফোন দিতে শুরু করে।
কিন্তু কেউ জানে না বিয়ের কথা।
আস্তে আস্তে হাসিব সত্য ঘটনা শুনতে পেল সত্যি সত্যি বিয়ে হয়ে গেছে মেয়েটির।
৫ আগস্ট ২০১৭ রাত ১২.৩০ মিনিট মেয়ের ফ্যামিলি কনফার্ম হয়ে ছেলের দের নিউজ দেয়।
বর পক্ষ রাতের ২.৩০ মিনিট আসে।
ফজরের আযানের আগে বিয়ে হয়ে যায় মেয়েটি…..
আজ ২য় দিন চলে……..
ছেলেটি দিশাহারা হয়ে বাসায়!
মেয়েটি খুব খুব সুখে…….
পরবর্তী কোনো ঘটনা যদি ঘটে তাহলে এখানে সংযুক্ত করা হবে
লেখকঃ মনিরুজ্জামান নিলয়
©somewhere in net ltd.