নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাজকে স্যালুট কর,তোমার বস কে নয়-নিলয়

মনিরুজজামান নিলয়

চোরেরা খায় খুরমা-পোলাও সাধুদের ধারে ধারে,তাজ্জব হয়ে গেলাম বাবা দিন দুনিয়ার ব্যবহার-মনিরুজ্জামান নিলয়

মনিরুজজামান নিলয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখনও মনে পড়ে (ভৌতিক)

২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

আমার জীবনের সব চেয়ে ভয়ঙ্গর রাত......
বন্ধুরা যা আজ তোমাদের মাঝে তুলে ধরবো...বেশী ভয় এর কাহিনী না হলেও আমি অনেক ভয় পেয়েছিলাম।যা এখন ও আমার মনে আছে।
আমি ২০১১ সালের পর থেকে গ্রামের বাহিরে থাকি ,এর আগে গ্রামের এক স্কুলে এস এস সি পর্যন্ত পড়ি।
এস এস সি পাশ করার পর সিলেট পলিটেকনিক চান্স হয় আর সেখানে জীবন কে সুন্দর করে সাজানোর স্বপ্নে চলে গেলাম সিলেট।
সিলেট থেকে দীর্ঘ ৩ মাস থাকার পর আমি ছুটিতে বাড়িতে আছি,বাড়িতে আসলাম আসার পর শুনি ব্রহ্মপুত্র নদ এ নাকি অনেক মাছ পাওয়া যায় রাতে। আমি তেমন মাছ ধরতে পারি না, তবে খালি হাতে কিছু ধরতে পারি।
কিন্তু রাতে তো হাত দিয়ে মাছ ধরা সম্ভব না,বিকাল বেলা আমাদের গ্রামের বাজার গেলাম।
বন্ধুদের সাথে দেখা হল সবাই মিলে দক্ষিনে ব্রিজে আড্ডা দিতে গেলাম (মাহবুব,রমজান,শিশির,ফরিদ,সাইদুল, শফিক) ।
বন্ধুরা সবাই জামালপুরে পড়াশুনা করতো,শুধু আমি একা সিলেটে পড়তাম।
সন্ধ্যার ঘনিয়ে এল ,সবাই যার যার বাসায় চলে গেল,কিন্তু আমরা ৪ জন আর গেলাম না
আমি রমজান মামা কে বললাম মামা আপনি তো জাল দিয়ে মাছ ধরতে পারেন ,চলেন আজ মাছ ধরতে যায়,
বলার সাথে সাথে মামা রাজি হয়ে গেল।
পরে আমি আর বাড়িতে না গিয়ে সোজা রমজান মামা দের বড়িতে চলে গেলাম্‌ , রমজান মামা দের বাড়ির সাথে ফরিদ মামা দের ও বাসা।
মাছ ধরার কথা শুনো ফরিদ মামা বললো আমিও যাব।/
.......আমাদের টার্গেট হল ফজরের আজান এর পর পর আমরা মাছ মারতে চলে যাব।
ঐ সময় ভাল মাছ পাওয়া যায় ব্রহ্মপুত্র নদে ।
কথা এটায় থাকলো আমরা নামাজের পর পর মাছ ধরতে যাব।
ফরিদ মামা চলে গেল অদের বাসায়, আমি আর রমজান মামা এক সাথে থকলাম.
পরে আমি আর মামা রাতের খাবার খেয়ে জাল,খালই (মাছ রাখার বক্স) , এগুলা সব রেডি করে শুয়ে পড়লাম।
দুজনে গল্প করতে করতে ঘুম আসলাম।
রাতে এক সময় ফরিদ এসে আমাদের দু জন কে ডাকছে,তখন কয়টা বাজে আমি নিজেও জানি না,,আমি রমজান কে বললাম মামা ফরিদ ডাকছে।
রমজান আমার ডাক শুনে ঊঠে পড়লো আর ঊঠেই জাল নিয়ে দু জনে বের হলাম।
রাতের তারা আকাশ ঝলমল করছে।আমি খালি হাতে হেটে হেটে যাচ্ছি ব্রহ্মপুত্র নদ এর দিকে।
কিন্তু রমজান মাথা নিচু হয়ে হাঁটছে, আমি ফরিদ কে ডাকতেছি মামা দাড়াও এস সাথে যায়।
কিন্তু ফরিদ আমাদের কথা শুনে না।আমাদের বলে তরা তারাতারি আসই-সকাল হয়ে যাচ্ছে।
আমরা দু জন এত স্পিডে হাটতেছি কিন্তু ফরিদ কে ধরতে পারছি না।ফরিদ আমাদের ২০ গজ আগে।
কিন্তু আমাদের সাথে আসে না।
রমজান বকা দিল ঐ সালা আস্তে যা,এক সাথে যায়।
কিন্তু ফরিদ আমাদের কোনো কথাই শুনে না।
সে তার গতিতে যাচ্ছে...৫ মিনিট হাটার পর আমার একটা কথা মনে হল।
ছোট বেলায় দাদির কাছে শুনতাম রাতে কারো সাথে বের হলে আগে পা যেন দেখি।
শয়তান দের নাকি পা দেখা যায় না ।
আমার সে ছোট্ বেলার কথা মনে গেল...আর আমার শরির টা শির শির করতে লাগলো।
আমি একটু ধারাইলাম, দাঁড়িয়ে ফরিদের পা দিকে লক্ষ করলাম .........!!
পা দিকে লক্ষ করার সাথে সাথে আমি দেখি ফরিদ এর পা দেখা যাচ্ছে না।
আমি আর হাটতে পারছি না...আমি নিশ্চুপ হয়ে গেলাম।]
রমজান মামা কে বললাম মামা আর সামনে যেও না।
মামা বলো কেনো.........?
আমি মামাকে বললাম মামা এটা ত ফরিদ না, রমজান বলে কি বলছ তুই ।
তোর মাথা ঠিক আছে।
আমি তখন মামা কে বললাম মামা তুই ফরিদের পা দিকে খেয়াল কর।
কিন্তু রমজান তখনো বুজে নাই,আমি কেনো বলছি কথা গুলো।
পরে আবার বললাম মামা দেখ ফরিদ এর পা নেই, ভেসে ভেসে যাচ্ছে।
রমজান তখ ন ভাল করে লক্ষ করল ,আসলে তো পা নেই।
আমাদের দাঁড়ানো দেখে ফরিদ আমাদের ডাকছে এই মনি , রম জান তারাতারি আসই, মানুষে মাছ ধরে শেষ করল।
ফরিদের কথা রমজান শুনে আর কথা বলে না, আমিতো ভয়ে আগেই শেষ।আমার হাত পা ,কাঁপছে এক বিন্দু আগাতে পারছি না।
রমজান তার হাত থেকে জাল টা ফেলে দিল।আর বললো মামা দৌড় দে।
আমি আর রমজান ভয়ে পিছন দৌ ড় দিলাম।
আর ফরিদ বলছে আজ তদের মা লাউয়ের পাতা বিলাইছিল বেঁচে গেলি এর মানে হল তোর মামা আজ দোয়া করছে তাই বেঁচে গেলি।
ফরিদ এর কথা শুনে রমজান মামা গালি দিল ......(...)
আমি আর রমজান দৌড়ে গিয়ে তাদের উঠানে পড়ে গেলাম।
আর রমজান এর মা শব্দ শুনে ঘুম থেকে ঊঠে পড়লো ।আর দরজা খুলো দিল।
রমজান এর মা বের হয়ে দেখে আমি রমজান ভয়ে পড়ে গেছি।
পরে বলল কি হইছে,আমরা দু জন কথা বলতে পারি না।
আর একটু পর সুস্থ হয়ে বললাম।
রমজান এর মামা আমাদের কাহিনি শুনো ফরিদ দের বাসাই গেল,গিয়ে দেখে ফরিদ ঘুমিয়ে আছে।
পরে ফরিদের মা, বাবা, ফরিদ রমজান দের বাড়িতে আসলো।
পরে আমাদের ঘটনা শুনে সবাই আতঙ্ক হয়ে গেল।পরে আমাদের লোহা গরম করে পানি খাওয়াইলো।
আসলে আগে রাতে এমন ঘটনা অনেক ঘটতো।
যা আমাদের দাদা রা গল্প করত।
আমার সাথে এই ঘটনা ঘটে যাবার পর থেকে রাতে বের হলে আমি আগে পা দেখি ।
আমার বাবার সাথেও যদি যায় ......সেম কাজ টাই করি।
তবে বন্দুওরা এই ভৌতিক গল্প টা পড়ে কেউ ভয় না পেলেও এটা তোমাদের রাতে বের হলে আমার এই কাহিনী টা মনে পড়বে,
আর বিপদ থেকে রক্ষা পাবে।
ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য....................................মনিরুজ্জামান

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.