নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.nafaji.com

বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল। [১৭:৮১-পবিত্র কুরআন]

নাফাজি

পেশা: সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার

নাফাজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র কুরআনের ছোট সূরাগুলোর অবতীর্ণ হবার ইতিহাস - সূরা আল আসর

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সূরা আসর (سورة العصر‎) পবিত্র কুরআনের ১০৩ নম্বর সূরা। এটি পবিত্র কুরআনের ২য় ক্ষুদ্রতম সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ৩ টি, প্রথম আয়াতের “আল আসর” শব্দটিকে এর নাম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। মুফাসসিরগণের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ একে মক্কী সূরা হিসেবে গণ্য করেছেন। আর এই সূরার বিষয়বস্তু সাক্ষ্য দেয়, এটি মক্কী যুগেরও প্রাথমিক পর্যায়ে নাযিল হয়ে থাকবে। অন্যদিকে মুজাহিদ, কাতাদাহ ও মুকাতিল একে মাদানী বলেছেন।



এ সূরাটি ব্যাপক অর্থবোধক সংক্ষিপ্ত বাক্য সমন্বিত বাণীর একটি অতুলনীয় নমুনা। মানুষ যদি এ সূরাটির অন্তর্নিহিত ভাব উপলব্ধি করে সে অনুযায়ী জীবণ পরিচালনা করে তবে তা তার ইহকাল ও পরকাল সংশোধনের জন্যে যথেষ্ট হয়ে যায়। এ সূরায় আল্লাহ্‌ যুগের কসম করে বলেছেন যে, মানবজাতি অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত এবং এই ক্ষতির কবল থেকে কেবল তারাই মুক্ত, যারা চারটি বিষয় নিষ্ঠার সাথে পালন করে - ঈমান, সৎকর্ম, অপরকে সত্যের উপদেশ এবং সবরের উপদেশদান।



মক্কী যুগের প্রাথমিক পর্যায়ে ইসলামের শিক্ষাকে সংক্ষিপ্ত ও অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী বাক্যের সাহায্যে বর্ণনা করা হতো যাতে করে শ্রোতা একবার শুনার পর তা খুব সহজেই মনে রাখতে পারতো এবং আপনা আপনি লোকদের মুখে তা উচ্চারিত হতে থাকতো।এ সূরায় অত্যন্ত দ্ব্যর্থহীন ভাষায় মানুষের সাফল্য ও কল্যাণের এবং তার ধ্বংস ও সর্বনাশের পথ বর্ণনা করা হয়েছে। ইমাম শাফেঈ যথার্থই বলেছেন, লোকেরা যদি এই সূরাটি সম্পর্কে চিন্তা - ভাবনা করে তাহলে এই একটি সূরাই তাদের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট। সাহাবায়ে কেরামের দৃষ্টিতে এটি ছিল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সূরা। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হিসন দারেমী আবু মাদ্বীনার বর্ণনা অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ (সা) এর সাহাবীগণের মধ্য থেকে দুই ব্যক্তি যখন পরস্পর মিলিত হতেন তখন তারা একজন অপরজনকে সূরা আসর না শুনানো পর্যন্ত পরস্পর থেকে বিদায় নিতেন না। (তাবারানী)



সূরাটি নিম্নে উল্লেখ করা হলো,

بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।



وَٱلْعَصْرِ ﴿١

(১) কসম যুগের (সময়ের),

إِنَّ ٱلْإِنسَٰنَ لَفِى خُسْرٍ ﴿٢

(২) নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত;

إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَتَوَاصَوْا۟ بِٱلْحَقِّ وَتَوَاصَوْا۟ بِٱلصَّبْرِ ﴿٣

(৩) কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের।





বিখ্যাত ক্বারী মিশারী রশিদের তেলাওয়াত - সূরা আল আসর



তথ্যসূত্রঃ

www.quran.com

en.wikipedia.org

www.banglatafheem.com

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.