নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলতে চাই; ক্ষমতা আছে কিন্তু অধিকার নেই

বলতে চাই; ক্ষমতা আছে কিন্তু অধিকার নেই

অমিত হাসান

অমিত হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা ভাষার ধর্ষনকারী রেডিও জকিরা ও এফএম রেডিও চ্যানেলগুলো

১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:০১

বাংলাদেশে এফএম রেডিওর প্রচলন বেশ কয়েক বছর আগেই হয়েছে। মোবাইলের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং অধিকাংশ মোবাইল সেটে এফএম রেডিওর সু্বিধা থাকার কারনে এফএম রেডিও চ্যানেলগুলোর শ্রোতা সংখ্যা খুব অল্প দিনেই বৃদ্ধি পায়। এসব এফএম রেডিও চ্যানেলগুলোর উপস্থাপকদের আর.জে. অথবা রেডিও জকি বলা হয়।



রেডিও জকিরা তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাংলা ইংরেজি মেশানো এক হিজড়া ভাষা ব্যবহার করে। বাংলা যে কটা শব্দ ব্যবহার করা হয় এবং সেগুলোও ইংরেজি প্রভাবিত ভুল উচ্চারণে মহাবিকৃত। আবার ইংরেজি শব্দগুলোর বিকৃত উচ্চারণের সাথে মিশে বাংলা ভাষা কোন ভিন্ন গ্রহের একটা ভাষা হয়ে যায়। এই হিজড়া ভাষা নাকি তরুনদের স্মার্টনেসের পরিচয়। কি বলবো যে রেডিও জকিরা বাংলা ভাষা সংরক্ষন করছে না ধর্ষন করছে? আবার কিছু অতি উৎসাহী রেডিও জকিরা বাংলা ভাষাকে কিভাবে আরো ভালোভাবে ধর্ষন করা যায় তার কোচিং সেন্টার খুলে হাতে কলমে শিক্ষা দিচ্ছে। এ ভাষায় যারা কথা বলে না তাদের ক্ষেত উপাধিও দেওয় হয়। তরুণ প্রজন্ম এটাকেই প্রকৃত বাংলা ভাষা এবং তথাকথিত স্মার্টনেসের পরিচায়ক ধরে নিয়ে ভ্রান্তির দিকে ছুটতে শুরু করেছে। এ যাত্রা কোথায় গিয়ে থামবে তা আমার জানা নেই। এফএম রেডিও চ্যানেলগুলোর বিবেকও বাংলাদেশের মানুষের মত ঘুমিয়ে আছে যে এগুলো বন্ধের কোন নাম গন্ধও নেই।



একটু ইতিহাসে ফিরে যাই। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি রফিক, শফিক, বরকত, সালামসহ বহু নাম না জানা শহীদরা এই বাংলা ভাষার জন্য প্রান দিয়েছে। অন্য কোন ভাষার জন্য এমন ভালবাসা কোথাও দেখা যায়নি। আর সেই বাংলা ভাষারই আজ এই করুন অবস্থা। হয়ত বাংলা ভাষা কিছুদিনের মধ্যেই ইতিহাসের পাতায় স্থান নিবে।



দেশ আজকে পাকিস্তানী রাজাকারদের থেকে মুক্ত, উর্দূ ভাষাকে তার জায়গা চিনিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন বাংলা ভাষায় কথা বলতে আর কোন বাঁধা নেই তাই বলে কি বাংলা ভাষার ধর্ষন করতে হবে? বিকৃত করতে হবে? এখন আমরা তো নিজেরাই নিজেদের শত্রু হয়ে গেছি।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৯/-৬

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:০৫

রাহা বলেছেন: এত সহজে এমন একটা শব্দের ব্যবহার....বিষয়টা নিন্দনীয়!

১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:০৯

অমিত হাসান বলেছেন: “ধর্ষন” শব্দটির ব্যবহার করতে আমি ইতস্ততবোধ করেছি। কিন্তু না করে পারিনি।এ শব্দটাই আমার কাছে যথাযথ মনে হয়েছে। আজ এফএম রেডিওর কল্যানে বাংলা ভাষার এ দশা তা দেখে রফিক, শফিক, বরকত, সালাম আজ বেঁচে থাকলে আত্নহত্যা করতেন তা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই।

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:০৮

নাঈম বলেছেন: দুঃখজনক..........বরকত,সালাম,রফিক,জব্বার এর আত্মা কি এসব দেখে কাঁদছেনা?

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:০৯

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: এভাবে বলাটা উচিত হয়নি আপনার..

১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:১১

অমিত হাসান বলেছেন: রেডিও জকিরা যে প্রতিনিয়ত যা করছে তা কি ভালো হচ্ছে?

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:১৪

ওসমানজি২ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:১৬

নাঈম বলেছেন: আপনার শব্দচয়ন ঠিকই আছে........

৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:২৯

বিদেশী বাঙালী বলেছেন: সহমত। এরা যে ডিজুস জাতির ধরক-বাহক!!! আমি এজাতিকে নিয়ে একটা কৌতুক লিখেছিলাম সামুতে-

জাতির এই সময়ের ক্রেইজ ডিজুস জেনারেশনের দুই তরুণ চাপাবাজ হাটতে বের হয়েছে। চুলগুলো তাদের জেল দিয়ে এমন ভাবে খাড়া করা দেখলে মনে হয় স্টিল ভেঙ্গে যাবে (ঠিক স্যাটেলাইটে চ্যানেলের Set-Wet-এর Ad-এর মত)। পরনে বিখ্যাত 'যায় খুলে যায়' প্যান্ট'। এই প্যান্টের বিশেষত হচ্ছে- এটির কোমর তিনজনের সমান হবে, আর সেই সাথে কোমর থেকে প্যান্ট এমন ভাবে খুলে খুলে পড়ে যেতে হবে আন্ডারপ্যান্টের পিছনদিক সবাই দেখতে পারে।

ছেলে দু'টো বাংলিন্দ (বাংলা + ইংলিশ + হিন্দি) ভাষায় তাড়স্বরে একজন-আরেকজনের সঙ্গে চাপাবাজি করে চলেছে। চাপাবাজির সাবজেক্ট- ''দু-জনের কে কত জাতির জন্য ত্যাগ স্বিকার করেছে। তুমুল তর্কের এক পর্যায়ে তাদের একজন বলে বসল,
''তুমি জানো, Yesterday কেয়া হুয়া? হামারা nation-এর জন্য মে Yesterday যাহা করা, টুমি কখনো খরতে পারবে না, কাভি নেহি।'' দ্বিতীয় ছেলেটি এবারে একটু অবাক হয়ে শুধালো কি এমন কাজ সে করেছে যা ষে কখনো করতে পারবে না।

Yesterday 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি;-তে অমিতাভ বচ্চন আমাকে কোটি টাকা কো সাওয়াল পুছা। He asked me, ''এই পৃথিবীর সাবসে বড়া অভাগা country কৌন হায়?''

ছেলেটি চোখ গোল গোল করে একটু থেমে ঠোট বাঁকা করে বলে,
''you know, হামি খি খরেছি? হামি কোটি টাকা কো ছোড় দিয়া, but, নিজের country-র নামকো মিডিয়ার সামনে বলে, আখ্খা জাতির প্রেস্টিজকো ফালুদা নেহি বানায়া!!!''
-----------------------------------------------------------------
বাঙ্গালদের নিয়ে বঙ্গনামা- ''১৫ কোটি মানূষকে, এ মুগ্ধ জন্মভূমি, রয়েছে তারা বাঙ্গালী হয়ে, মানুষ কেন এখনো করনি?''


১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:৪২

অমিত হাসান বলেছেন: অনেক হাসলাম আপনার কৌতুক পড়ে। কিন্তু বাস্তবতা এটাই।

৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:৪৭

উল্টো মানুষ বলেছেন: ভাষার প্রধান কাজ হচ্ছে ভাব প্রকাশে সহযোগিতা করা। ভাব কিন্তু ইশারাতেও প্রকাশ করা যায় যেটাকে বলা হয় ইশারা ভাষা। শব্দ অথবা বাক্য যে ভাবেই উচ্চারিত হোক তা ভাব প্রকাশ করতে পারছে কিনা এটাই আসল কথা। অধিকাংশ মানুষই ক্যজুয়ালি কথা বলতে ভালবাসে। যেমন আইছি, গেছি, খাইছি ইত্যাদি। এমনকি ব্লগে অনেকেই ক্যজুয়ালি লেখেন। এতে আসলে ভাষার খুব বেশি ক্ষতি হয়না বরং ভাব প্রকাশ আরো সহজ আর আন্তরিক হয়।

এফ এমের জকিরা আসলে ভুল উচ্চারনে কথা বলেনা। ওদের থ্রোয়িং কিছুটা ডিফরেন্ট যা আসলে শুনতে ভালোই লাগে। আর বাংলার সাথে ইংরেজি মেশালে তেমন দোষের কিছু নাই কারন বাংলাতে, ইংরেজি ছাড়াও আরো ভাষার সংমিশ্রন আছে। আপনি কি জানেন টেবিলের বাংলা কি?

এত হতাশার কিছু নাই। পজিটিভ হতে হবে। একটা বিন্দু তৈরি করে তার চারপাশে বৃত্তের মতো মাতোম করাএগিয়ে যাওয়া নয়। দুচোখ এবং মন প্রসারিত করে সোজাসাপটা সামনে চলাটাই আসলে এগিয় চলা। এই পথে নতুন অনেক কিছুর সাথেই দেখা হয় যা অস্বিকার করা আসলে বোকামি।

ভাষা নিয়ে আপনার এই অকারন হতাশা ভালোলাগেনি।

১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:০২

অমিত হাসান বলেছেন: ভাষা শহীদদের রক্ত তো মনে হয় আপনার কাছে পানি মনে হয় তাই আমার কথা বুঝতে পারেননি। এটাও জানা আছে যে বাংলা ভাষায় অনেক বিদেশী শব্দ ঢুকেছে এবং সবসময় ব্যবহারের কারণে বাংলা ভাষার স্থায়ী স্থান করে নিয়েছে কিন্তু ভাষাকে বিকৃত করেনি বরং সমৃদ্ধ করেছে। কিন্তু রেডিও জকিরা বাংলা ভাষাকে শুধু বিকৃত করছে না বরং বাংলা ভাষার অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।

৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:৪৮

বলাক০৪ বলেছেন: ঐ বাংলাটা সহ্য করা শক্ত হয়ে পড়ে। শতকরা কত বাঙালি বা বাংলাদেশী এই ভাষাটা ব্যবহার করেন যে এটাকে আমাদের মানতে হবে।

৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:৫১

ভুরিদত্ত বলেছেন: উল্টো মানুষকে ঝাঝা

১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪০

অরণ্যচারী বলেছেন: ভাষার পরিবর্তন যা হবার তা হবেই। সেটা রেডিও জকিরা রাতারাতি করতে পারবে না, আমি আপনি চাইলে সেটা ঠেকাতেও পারব না। এটা তো ঠিক যে আরজেরা যদি এখন বাংলাদেশ বেতারের স্টাইলে কথা বলা শুরু করে তাহলে মানুষ রেডিও শোনাই বন্ধ করে দেবে। রেডিওগুলো জানে ব্যবসা, ভাষার শুদ্ধতা অশুদ্ধতা নিয়ে চিন্তা তারা করে না।

১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:১১

অমিত হাসান বলেছেন: বাংলাদেশ বেতার এর স্টাইলে যে উপস্থাপনা করা যাবে না তা আমি বুঝি। কিন্তু রেডিও জকিরা ভাষা বিকৃত না করেও অনেক কিছু করতে পারত। সদিচ্ছা থাকলেই সবকিছু সম্ভব।

১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:৫০

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: নাহ , ঠিকই বলেছেন আপনি ।

ইংরেজি মেশানো এক কথা , আর বাংলা শব্দগুলোকেও বিকৃত করে উচ্চারণ করাটা অন্য কথা । আজ যারা এটা সমর্থন করছে , তাদের জন্য করুণা বোধ করছি । বাংলার সাথে উর্দু মিশিয়ে বললে , এটা কেমন সমর্থন করবেন তারা দেখতে চাই

১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:১১

অদ্ভুত বলেছেন: যারা মারা গেছেন তাদের জন্য আমরা দরদ দেখায়। কিন্তু যারা মরতে মরতে বেচে এসেছেন তারা ঠিকমত খেতে পাচ্ছে কিনা সেটা দেখার কেউ নাই। যারা বেচে আছেন তাদের আমরা কতটা সম্মান দিতে পারছি সেটাই দেখার বিষয়। মরা মানুষকে যতই সম্মান করা হোক সেটা তার কোন কাজে আসবেনা। তাই আমাদের উচিত জীবিত ও শহীদদের পরিবারকে যতটা সম্ভব সাহায্য করা।

আবেগ নই, বাস্তবিক ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।
যদি পেটে ভাত না থাকে তখন সম্মান কোন কাজে আসে না।

১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:১৭

অমিত হাসান বলেছেন: শহীদের পরিবারের প্রতি আমরা এখনও সেই সম্মান ও সাহায্য করতে পারিনি। কিন্তু এখানে আলোচনার বিষ্য় ভিন্ন।

১৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৫

অবয়ব বলেছেন: হয়ত চাহিদা আছে বলেই এগুলো চলতেছে। যদি নতুন প্রজন্ম এমন ভাষাতেই অভ্যস্ত হয়ে যায় তাইলে কি আর করা...চলুক। মানুষ সুখে থাকলেই হইল।
১০০ বছর আগে বাংলা ভাষা আজকের মত ছিল না। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তন হয়ে গেছে। তেমনি বর্তমান ভাষাও আস্তে আস্তে পরিবর্তন হবেই। শ্রদ্ধেও ভাষা শহীদরা এই পরিবর্তনশীল ভাষাটিকেই রক্ষা করে গেছেন। কাজেই মানুষের সুবিধা অনুযায়ী পরিবর্তন যাই হোক ভাষার নাম বাংলা থাকলেই হল।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা পুরোদমে চলছে। তাতে শুদ্ধ ভাষার কোন ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে হয় না। তেমনি নতুনদের এই ভাষাও তেমনি বিশেষ কোন গোষ্ঠীর ভাষা বলে ধরে নিলেই হয়।

১৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:০২

আকাশ_পাগলা বলেছেন: @উলটা মানুষকে জাঝা।

ভাষার পরিবর্তন রেডিও জকিরা করে না। করি আমরা। এসেছি খেয়েছি করেছি বলতে পারব না। আইছি, খাইছি আর গেছি বললে অনেক শান্তি লাগে। মনে হয় এটাই আমি, এটাই আমার ভাষা। কেউ ক্ষ্যাত বললে কিছু করার নাই। আপনি কী শুদ্ধ বাংলায় কথা বলেন সবসময়??

এখন, আপনিও যদি আইছি গেছি খাইছি বলেন, তাইলে রেডিও জকিদের ইয়োউ ডুড, কীঈ কড়তেছো ? -- এই টাইপ কথাও আপনাকে মানতে হবে।

কিছু করার নাই। আমরা যে যেভাবে মনের কথা বলি, সেভাবে তাকে তাকে বলতে দিতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.