![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Context
কলকাতা সিভিল কোর্টের উকিল মিঃ চন্ডিদাস। তার এক মেয়ে ছিল যার নাম গৌরিবালা দাস। চন্ডিদাসের সহকারী উকিল মিঃ অরন্য কুমার চক্রবর্তী চন্ডিদাসের কলকাতাস্থ বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতো। এই সুযোগে চন্ডিদাসের মেয়ে গৌরিবালার সাথে অরন্য কুমার চক্রবর্তীর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এভাবে চলতে থাকে দিনের পর দিন। তার ফলশ্রুতিতে এরই মধ্যে গৌরিবালা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। গৌরিবালা যখন বুঝতে পারলেন তিনি গর্ভবতী হয়েছেন তখন গৌরিবালা অরন্য কুমার চক্রবর্তীকে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেন। অরন্য কুমার চক্রবর্তী ইহাতে রাজি না হয়ে অবৈধ সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করেন। এদিকে চন্ডিদাস বিষয়টি জানার পর চিন্তিত হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে গৌরিবালা ১২/১২/১৯২০ ইং তারিখে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। তার নাম রাখা হয় দেবদাস চক্রবর্তী। চন্ডিদাস অরন্য কুমার চক্রবর্তীকে গৌরিবালাকে উঠিয়ে নেয়ার জন্যচাপ দিতে থাকেন। কিন্তু অরন্য কুমার রাজি হন না। এরই মধ্যে গৌরিবালার ছেলে দেবদাস বয়স ২ বছরে উন্নিত হয়। চন্ডিদাস হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়েন এবংভীষণ অসুস্থতা বোধ করেন। চন্ডিদাসের বিশ্বস্ত মহুরী শেখ লুতফুর রহমান ছিলেন একজন নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। চন্ডিদাস মেয়েকে নিয়ে সমাজে মুখ দেখাতে পারছেন না এমন অবস্থায় গৌরীবালার ছেলে দেবদাসের বয়স যখন ৩ বছর, তখন চন্ডিদাসের মহুরী শেখ লুৎফর রহমান চন্ডিদাসের সমূহ সম্পত্তিসহ গৌরিবালাকে বিয়ে করেন। তখন এফিডেভিট করে গৌরিবালার নাম রাখা হয় ছাহেরা বেগম এবং ছেলের নাম রাখা হয় দেবদাস চক্রবর্তীর পরিবর্তে শেখ মজিবুর রহমান।
এফিডেভিট নং- ১১৮
তারিখ- ১০/১১/১৯২৩ ইং সাল
কোলকাতা সিভিল কোর্ট, পচিমবঙ্গ, ভারত।
সাক্ষীঃ-
(১) জনাব আব্দুর রহমান সাফায়াত, কোর্ট দারোগা, কলিকাতা, থানা+পোঃ- ভান্ডারিয়া, সাবেক জেলা- বরিশাল।
(২) শ্রী অনিল কুমার, কোর্ট দারোগা, সাবেক জেলা- বরিশাল।
এই কন্টেক্স ভুল প্রমাণ করি চলেন সবগুলা পইড়েন)
★চাচাতো ভাইবোন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মা সায়েরা খাতুনের জন্ম ১৮৮৬ সালে, সে-সময়ের ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। সায়েরা খাতুনের বাবার নাম শেখ আজিমুদ্দিন। তিনি ছিলেন শেখ মুজিবের দাদা অর্থাৎ শেখ লুতফুর রহমাদের বাবা আবদুল হামিদের বড় ভাই।শেখ লুতফুর রহমান এবং সাহেরা খাতুন চাচাতো ভাই বোন।
তত্থসুত্র: অসমাপ্ত আত্মজীবনী, লেখক শেখ মুজিবুর রাহমান, পৃষ্ঠা ৭
জাতির জনক- ফাঁদার অফ নাশন, পেইজ ২২৯
বঙ্গবন্ধুর জীবন অ সোনার বাংলার সপ্ন, লেখক আব্দুর রাহমান। পেইজ ২১
★শেখ মুজিবের আগেও দুই সন্তান
বঙ্গবন্ধুর মা সায়েরা খাতুন। চার কন্যা এবং দুই পুত্রের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোনের নাম ফাতেমা বেগম, মেজ বোন আছিয়া বেগম।(গুগল মারেন-বই পড়েন পাইবেন তথ্য)
★কলকাতা সিভিল কোর্ট চালু :
একজন বঙ্গবন্ধুর জন্ম পরিচয় নিয়ে আপনারা যেই কোর্টের এভিডেভিডের তারিখ ১৯২৩ দিচ্ছেন, সেই কোর্ট'ই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৫৭ সালে
★The Calcutta city civil court was established in 1957.
source : ১,২নং ছবি দেখুন
★শেখ মুজিবের পিতা মাতার স্ট্যাটমেন্ট ঃ
https://youtu.be/bkTTlEk3_vo?si=HczESSzf6_057a8X
★যারা কাগজটি লিখেছেন তারাই শিউর না :
আজ সারাদিন একটা ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে যেখানে মুজিবের জন্মপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলা হয়েছে (ছবি- ১)সেটা একটা লিফলেট
সেকেন্ড লাস্ট প্যরার,সেকেন্ড লাইন-
'"যদি সত্যি হয়""
তারমানে যিনি লিফটেট বানিয়েছেন সে নিজেও কনফার্ম ছিলোনা বিষয়টা সত্য কি-না!
লিফলেটের নিচে লেখা সংগ্রহে - সচেতন নাগরিক, ঢাকা, তারমানে একদল নিজ উদ্যোগে ছাপিয়ে প্রচারণা করেছে, কোনো জিনিস টাইপিং করে বাহিরে ছড়িয়ে দিলেই সেটা ধ্রুব সত্য হয় না।
সোর্স: ৩,৪ছবি দেখুন
★বায়োলজিকালি শেখ আবু নাসেরের চেহারা বিবেচনা:
সর্বকনিষ্ঠ সন্তান শেখ আবু নাসের লুৎফুর রহমানের ঘরে জন্ম নিয়েও দেবদাসের (মুজিবের)কার্বন কপি দেখতে হলো?
ছবি ৫,৬ দেখুন
★কোর্টের দলিলাদি সংরক্ষণ অগ্রিম প্রেডিকশন :
কোর্টে মামলা সাপেক্ষে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নথিগুলো সংরক্ষণ করা হয় ২০-৩০বছর। অন্যান্য নথি সংরক্ষণের সময়কাল আরও কম।
ধর্মান্তরিত হওয়াসংক্রান্ত ও অন্যান্য এভিডেভিড সিভিল কোর্টে সংরক্ষিত হয় সর্বোচ্চ ৫-৭বছর।
⚠️যেহেতু অপবাদের মূল সূত্র পাকিস্তানি ডিফেন্স ওয়েবসাইট, শর্তানুযায়ী কলকাতার সিভিল কোর্টের এভিডেভিড নং-১১৮ কি তারা ১৯২৩-১৯৩০ সালের ভেতরেই উদ্ধার করে রেখেছিল???
পাকিস্তানিরা কি তখনই জেনে গেছিল যে, এই দেবদাসই বড় হয়ে হবে শেখ মুজিব, তার এভিডেভিড ৯০বছর পর প্রচার করতে হবে...
যিনি ৪০বছর পর জনমতের ভিত্তিতে তাদের দেশের প্রেসিডেন্ট হবে??বাহ্! বিশাল জ্যোতিষীপনা!
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
শেষ মুজিবুর রহমানের দাদি অমুপমা চন্দ্রিমা ধর্মান্তরিত মুসলিম ছিলেন।
©somewhere in net ltd.