নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাফিস আল হাসান

নাফিস আল হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেজর ডালিমের স্ত্রীকে অপহরণ বা ধর্ষণে কি শেখ কামাল ছিলো?উত্তর না।কামাল পুরা ঘটনাতেই নাই।গুজব থেকে দূরে থাকুন।বিস্তারিত পড়ুন

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০১

মেজর ডালিমের স্ত্রী নিম্মিকে অপহরণ এ শেখ কামালকে নিয়ে যেই ভুল তথ্যটা অপপ্রচার হচ্ছে।চলেন সত্যিটা জানি।আমার নিচের লেখাটা মেজর ডালিম এবং এন্থনি মাসকারানহাসের বই থেকে পড়া শর্টে এ লিখলাম।

মেজর ডালিমের খালাতো বোনের বিয়ে লেডিস ক্লাবে।সেই বিয়ের দেখাশোনার দায়িত্বভার এসে পরে মেজর ডালিম এবং তার স্ত্রী নিম্মির কাধে।বিয়েতে নানা গুণী মানুষের পাশাপাশি উপস্থিত হন রেডক্রস চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা।তার সাথে ছিলো উনার ছেলেরা। ডালিমের শ্যালক বাপ্পি কানাডা থেকে দেশে ফিরেছে কিছুদিন হলো।সে অনুষ্ঠানে একটি বেঞ্চে বসে ছিলো তার ঠিক পেছনেই গাজীর ছেলেরা বসে ছিলো। সে বাপ্পির চুলে টান দিয়ে মজা করছিলো।চুলে টান দেওয়া নিয়ে বাক বিতর্কের এক পর্যায়ে বাপ্পি গাজীর ছেলেদের মধ্যে একজনকে ক্লাব থেকে বের করে দেয়। এ ব্যাপারে ডালিম অবগত ছিলেন না যেহেতু সে ব্যস্ত ছিলো কাজে।ডালিমের বন্ধু এসপি মাহবুল এর দাওয়াতে আসার কথা থাকলেও তার আসতে দেরি হবে বলে মাহবুব জানায়।এর মধ্যে অনুষ্ঠান কিছুটা শেষ যদিও কন্যাদান সম্পন্ন হয়নি।
ডালিম তখন খেতে বসে গেছে।হঠাৎ করেই গাড়িতে কিছু সং্খ্যাক লোক নিয়ে গাজী গোলাম মোস্তফা এসে হাজির হয় এবং চিৎকার করে বলতে থাকে কই ডালিম কই।এতো বাড় বেড়েছে।তারপর এক পর্যায়ে গাজী ডালিমকে গাড়িতে উঠিয়ে নেয় তারপর তার স্ত্রী বলে উঠে আমাকেও নিতে হবে ওকে নিলে।তারপর তারা নিম্মিকেও উঠিয়ে নেয়।গাজীর উদ্দেশ্যে ছিলো ডালিমকে রক্ষিবাহিনীর সদর দফতরে নিয়ে কিছু একটা করবে।কিন্তু পরবর্তীতে সে ডালিমের কথা শুনে তাকে সেখানে না নিয়া বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ধানমণ্ডি ৩২ এ নিয়ে যায়।এর মধ্যে দিয়ে এই ভাবে তুলে আনার খবর শুনে লিটু ডালিমের বন্ধু এসপি মাহবুব কে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাসায় আসে। অবশ্য তার আগেই বঙ্গবন্ধু বিষয়টা এসপি মাহবুব কে অবগত করেছিলোএবং সে যখন শুনতে পারে ডালিমকে তুলে আনা হইছে তখন সে অবাক হয়।সেইম টাইমে মোমেনের নেতৃত্বে একদল জুনিয়র সেনাবাহিনীর দল বের হয়ে গাজীর বাসা থেকে সবাইকে ধরে নিয়ে গেছে।।বলে রাখা ভালো গাজী বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলো যে ডালিম গাজীর বউকে উত্যক্ত করেছে দাওয়াতে ডেকে তাই সে উঠিয়ে এনেছে তবে বঙ্গবন্ধু ডালিমকেই যে আনা হয়েছে তুলে এইটা জানতেন না।এর মধ্যে মাহবুব এসে পড়লো বঙ্গবন্ধু দ্রুত তখন গাড়ি থেকে নিম্মি ডালিমকে ঘরের মধ্যে নিয়ে আসে রেহেনা কামালকে পাঠিয়ে। ঘরে ঢোকা মাত্রই বঙ্গবন্ধু ডালিম এবং নিম্মিকে জড়িয়ে ধরে।বঙ্গবন্ধু গাজী মোস্তফাকে গর্জন দিয়ে বলে উঠলেন হারামজাদা এইডা কি করছস তুই।মাফ চা এখনি।তখন বঙ্গবন্ধুর ভয়ে গাজী মাফ চাইতে গেলে নিম্মি বঙ্গবন্ধুর কাছে এই হেনস্তার বিচার চায়।বঙ্গবন্ধু তখন নিম্মিকে বলেন হাসিনা রেহানার মতো তুই ও আমার মেয়ে।আমি এর বিচার করবো।পরবর্তীতে কাহিনী বহুদূর গড়ায়।
মূর্দা কথা এখানে কামালের কোনো অংশগ্রহণ ছিলো না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.