নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু জানার চেষ্টা করছি..

নাহিদুল হক

নাহিদুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদে মীলাদুন্নবী (সাঃ) ; নবী প্রেমের নামে ইসলামে পরিবর্তন সাধন

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৪

১২ই রবিউল আউয়াল ৷ বর্তমানে এই দিনকে ঈদে মীলাদুন্নবী (সাঃ) হিসেবে পালন করা হয় ৷ এবং সবাই এই দিনকে মুসলমানদের একটি বিশেষ দিবস হিসেবে জানে ৷

রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর জীবন সংক্রান্ত আলোচনা উত্তম ইবাদত ৷ এবং তা ইমানের রুহ ৷
রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর জীবনের প্রতিটি ঘটনা চোখের মনির দৃষ্টি স্বরুপ ৷ তাঁর জন্ম, শৈশব, যৌবন, নবুওয়াত, আহবান, জিহাদ, ত্যাগ, জিকির-ফিকির, ইবাদত ও নামাজ, উত্তম চরিত্র, দুনিয়া বিমুখতা ও খোদা ভীরুতা অর্থাৎ, তাঁর প্রত্যেকটি কাজ উম্মতের জন্য উত্তম আদর্শ ও হেদায়াতের ফুল স্বরুপ।
তাঁর জীবনী শিখা ও শিখানো এবং এর আলোচনা করা উম্মতের কর্তব্য।

রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর জীবনের দুই অংশ।

১) জন্ম থেকে নবুয়তের আগ পর্যন্ত

২) নবুয়তের পর থেকে ইন্তেকাল পর্যন্ত


তাঁর জীবনের এই দুই অংশকে কুরআন কারীমে "উত্তম আদর্শ" বলা হয়েছে।

তাঁর উত্তম জীবনী বর্ণনা করার দুটি পদ্ধতি।

১) তাঁর উত্তম জীবনের প্রতিটি নকশা নিজের জীবনের ভিতরে ও বাহিরে এভাবে বাস্তবায়ন করা যে, তাকে দেখে প্রত্যেকে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর দাস মনে করে।

২) যেখানে সুযোগ পাওয়া যায়, সেখানেই তাঁর উত্তম কাজের আলোচনা করা। এবং তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নে নিজেকে বিলীন করে দেওয়ার চেষ্টা করা।

পূর্ববর্তী নেক বান্দাগণ কখনোই সীরাতুন্নবী (সাঃ) অথবা মিলাদুন্নবী (সাঃ) এর মাহফিল করেননি।

প্রচলিত মিলাদ মাহফিলের প্রচলন ইসলামের প্রথম ছয় শতাব্দীতে ছিল না। এই ছয় শতাব্দীতে উম্মতে মুহাম্মদী কখনোই এই মাহফিল করেনি।

সুলতান আবু সাঈদ মুজাফ্ফর এবং আবুল খাত্তাব ইবনে ওয়াহইয়া ৬০৪ হিজরীতে সর্বপ্রথম মিলাদ মাহফিলের প্রচলন ঘটায়। যেখানে বিশেষভাবে তিনটি বিষয় ছিল।

এক. ১২ রবিউল আউয়াল মিলাদ মাহফিলের তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।

দুই. আলেম-উলামা এবং নেক বান্দাদের সমাবেশ ঘটানো হয়।

তিন. মাহফিল শেষে খবার বিতরণের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর রুহে ছওয়াব পৌঁছানো হয়।

উক্ত দুই ব্যক্তির ব্যাপারে ইতিহাসবিদদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে যে, তারা কোন শ্রেণীর লোক ৷
কোন ইতিহাসবিদ তাদেরকে ফাসেক (পাপাচারী) ও কাজ্জাব (মিথ্যাবাদী) বলেছেন। আবার কেউ তাদেরকে ন্যায়পরায়ণ ও বিশ্বস্ত বলেছেন।

যেই কাজ ছাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) ও তাবেয়ীদের জামানায় হয়নি, যেই কাজ ইসলামের প্রথম ছয় শতাব্দীতে হয়নি, বর্তমানে সেই কাজ কীভাবে ইসলামের উৎসব বলা হয় ! এবং এই বানোয়াট উৎসব পালনকারীদের কীভাবে 'আশেকে রাসূল' বলা হয়!
আর যারা এই নবসৃষ্ট উৎসব পালন করেনা তাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর শত্রু মনে করা হয়!
(নাউযুবিল্লাহ)

কথিত 'আশেকে রাসূল' এর দল কখনো এই চিন্তা করেছে যে, ইসলামের পূর্ণতার ঘোষণা তো দেয়া হয়েছে আরাফাহর ময়দানে বিদায় হজ্বের ভাষণে ৷ এরপর কোন নবী এসে এমন একটি বিষয়কে ইসলামের উৎসব ঘোষণা দিয়েছে, যার ব্যাপারে মুসলমানগণ ছয় শতাব্দী যাবত অনবগত ছিল?

ইসলাম কি কারো বাপ-দাদার সম্পত্তি যে, যখন ইচ্ছা, তখন কোন বিষয় সংযোজন করা হবে এবং যখন ইচ্ছা, তখন কোন বিষয় বিয়োজন করা হবে!

ইসলামের পূর্ববতী সম্প্রদায়গুলোর মাঝে তাদের সৎ ব্যক্তি এবং ধর্ম প্রণেতাদের মৃত্য বার্ষিকী পালন করার প্রথা ছিল ৷ যেমন, খৃস্টানরা হযরত ঈসা (আঃ) এর জন্ম দিবসে "ঈদে মীলাদ" (জন্মদিনের আনন্দ) পালন করতো ৷
পক্ষান্তরে, ইসলাম এর থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত ৷ ইসলাম এসব প্রথা বিলুপ্ত করেছে ৷
এক্ষেত্রে দুটি হিকমত রয়েছে ৷

১) সারা বছর যা করা হয়, এসবের সাথে ইসলাম ধর্মের আহবান এবং মৌলিক বিষয়ের কোন সম্পর্ক নেই। এবং ইসলামে এসব বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করতেও বলা হয়নি।

২) অন্যান্য ধর্মের মত ইসলাম ধর্মে বিশেষ কোন দিবস পালনের প্রথা রাখেনি। বরং ইসলাম হল উত্তম একটি বৃক্ষ, যার ফল ও ছায়া সর্বক্ষণের জন্য। এব্যাপারে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, اكلها دائم و ظلها (অর্থঃ তার ফল ও ছায়া স্থায়ী) ৷
ইসলামের আহবান নির্ধারিত কোন দিনের সাথে বিশেষিত নয় ৷ বরং তা সবসময়ের জন্য ৷

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্ম দিবস পালনের প্রথা যদিও সপ্তম শতাব্দী থেকে পালিত হয়ে আসছে এবং পরবর্তীতে তাতে অনেক বিষয় যোগ করা হয়েছে, তবুও কেউ এই দিবসকে "ঈদ" নাম দেয়নি ৷ কেননা, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "আমার কবরকে তোমরা ঈদ বানিও না" ৷
কিন্তু কয়েক বছর যাবত এই দিনকে "ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ)" নামে নামকরণ করা হয়েছে ৷

পৃথিবীর কোন্ মুসলমান জানে না যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মুসলমানদের জন্য দুই দিনকে (ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা) ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছেন?

যদি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্মদিবসকে "ঈদ" বলা সঠিক হতো এবং ইসলামী আদর্শের সাথে কোন সম্পর্ক থাকতো, তাহলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজেই ঐ দিনকে "ঈদ" বলতেন ৷
আর যদি তা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট পছন্দনীয় হতো, তাহলে শুধু তিঁনিই না, বরং খোলাফায়ে রাশেদীন (রাঃ) তাঁর জন্মদিবসকে ঈদ মনে করে ঈদে মীলাদুন্নবী (সাঃ) মাহফিলের আয়োজন করতেন ৷ কিন্তু ছাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) আমাদের চেয়ে অধিক রাসূল প্রেমী হওয়া সত্ত্বেও এমনটি করেননি ৷

জেনে রাখা উচিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্ম তারিখের ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে ৷ কেউ বলেছেন ৯ ই রবিউল আউয়াল, কেউ বলেছেন ৮ই রবিউল আউয়াল ৷ তবে প্রসিদ্ধ হল ১২ই রবিউল আউয়াল ৷
কিন্তু, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মৃত্যু ১২ই রবিউল আউয়াল, এ ব্যাপারে কোন মতবিরোধ নেই ৷

আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্মদিন পালন করছি এমন দিনে, যেদিন তাঁর মৃত্যুবরণ করার ব্যাপারে কোন মতবিরোধ নেই ৷
কেউ যদি প্রশ্ন করে যে, আমরা ১২ই রবিউল আউয়াল ঈদে মীলাদুন্নবী (সাঃ) পালন করি তাঁর জন্মের কারণে, না তাঁর মৃত্যুতে খুশি হয়ে?
তখন আমরা কী উত্তর দিবো?

এই দিনকে 'ঈদ' বলাটা সাধারণ কোন ব্যাপার নয় ৷ এটা ইসলাম ধর্মে পরিবর্তন সাধন ৷ কেননা, ঈদ শব্দটি ইসলামী পরিভাষা ৷ আর ব্যক্তিগত মতামতের কারণে নবসৃষ্ট কোন বিষয়ে ইসলামী পরিভাষা প্রয়োগ করাটা ইসলামে পরিবর্তন সাধন ৷ তাই, এর থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক ৷

সর্বশেষ, ঈদে মীলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে আয়োজিত মাহফিল ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয়, তা সম্পূর্ণ অপচয় ৷ এবং ঈদে মীলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে যেসব বানোয়াট প্রথা বর্তমানে প্রচলিত, তা ইসলামী আদর্শের পরিপন্থী ৷ ইসলাম কখনোই এসব সমর্থন করে না ৷
তাই, ঈদে মীলাদুন্নবী (সাঃ) পালন করা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত ৷

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

রজুলুন রসীদ বলেছেন: ++++++++

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: যাযাকাল্লাহ খায়রান।

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১২

নাহিদুল হক বলেছেন: ওয়া ইয়্যাকা

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৬

গ্রিন জোন বলেছেন: যুক্তিপূর্ণ পোস্ট। তবে রাসুল স. এর জন্ম এবং মৃতু্ দিবসকে স্মরণ করলে নিশ্চয় গোনাহ হবে না। রাসুলের কাজ ও তার শান এবং মানকে প্রজ্জ্বলিত করার জন্য স্মরণুষ্ঠান তো মুমিনদেরই করতে হবে। তাছাড়া কে করবে। ছয় শতাব্দি ধরে এটা হয়নি, বা কেউ করেনি এটা মোটেও ঠিক নয়, কারণ রাসুলের জন্ম মৃতু্য দিবস উম্মতের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে এটাই স্বাভাাবিক। সাহাবারা হয়তো ইবাদাতের মাধ্যমে ,, মনে মনে করেছেন........কিন্তু এখন যেটা হচ্ছে যা পালন করতেই হবে এমন বিশ্বাস না রাখলে সমস্যা নেই। কিন্তু যদি কেউ বলে মিলাদুন্নবী করতেই হবে তাহলে সেটা হয়তো বিদআদ হবে.........অনুষ্ঠান যদি রাসুলের জাহেলদের স্মরণে হতে পারে, তাহলে বিশ্ব নবীর স্মরণে হলে কি পাপ? তবে এক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করা অবশ্যই পাপ।

৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৬

নাহিদুল হক বলেছেন: হুমম! আপনার কথাগুলো শুরুতেই লিখেছি ৷ ধন্যবাদ!

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রচলিত মিলাদ মাহফিলের প্রচলন ইসলামের প্রথম ছয় শতাব্দীতে ছিল না। এই ছয় শতাব্দীতে উম্মতে মুহাম্মদী কখনোই এই মাহফিল করেনি।

<< ইসলামের ৬০০ বছরতো বিমান ছিলনা, আপনি বিমানে চড়েন! টিভী ছিলনা- আপনি টিভী দেখেন! সিনেমা ছিলনা আপনি সিনেমা দেখেন! ব্লগ ছিল না আপনি ব্লগ চালান! সবইতো বিদআত (নব আবিস্কার)!!!! কেম্নে কি?

কেননা, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "আমার কবরকে তোমরা ঈদ বানিও না" ৷

<<<এই হাদীসের যথাযথ রেফারেন্স দিন! ইচ্ছামত বা লেখার প্রয়োজনে শব্দে অথ বদলে দেয়াও কিন্তু বড় গুনাহ!

যদি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্মদিবসকে "ঈদ" বলা সঠিক হতো এবং ইসলামী আদর্শের সাথে কোন সম্পর্ক থাকতো, তাহলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজেই ঐ দিনকে "ঈদ" বলতেন ৷

<< নিজেই নিজের স্মরণ করে কেমনে????? আমরাতো ১৪০০ বছররে পরে উনার বাণীকে উনাকে ভালবেসে ইসলামকে ভালবাসী! আমরাতো আর আমরা উনাকে স্মরণ করবো। কেউ কি নিজে নিজেরে স্মরণ করে? না তার ভক্ত আশেক প্রেমিক তা করে?

আর যদি তা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট পছন্দনীয় হতো, তাহলে শুধু তিঁনিই না, বরং খোলাফায়ে রাশেদীন (রাঃ) তাঁর জন্মদিবসকে ঈদ মনে করে ঈদে মীলাদুন্নবী (সাঃ) মাহফিলের আয়োজন করতেন ৷ কিন্তু ছাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) আমাদের চেয়ে অধিক রাসূল প্রেমী হওয়া সত্ত্বেও এমনটি করেননি ৷

<< উনারাও প্রত্যক্ষদর্শী। উনাদের জীবনে রাসূল সা: কে সরাসরি পাওয়া এবং শিক্ষা নেযার মতো ভাগ্যবান তারা ছিলেন। তাঁদের স্মরণ ভিন্নমাত্রার। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে তা তুল্য হতে পারেনা। হবে না।

এই দিনকে 'ঈদ' বলাটা সাধারণ কোন ব্যাপার নয় ৷ এটা ইসলাম ধর্মে পরিবর্তন সাধন ৷ কেননা, ঈদ শব্দটি ইসলামী পরিভাষা ৷ আর ব্যক্তিগত মতামতের কারণে নবসৃষ্ট কোন বিষয়ে ইসলামী পরিভাষা প্রয়োগ করাটা ইসলামে পরিবর্তন সাধন ৷ তাই, এর থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক ৷

<< আপনারা দূব্যাগ্য জনক ভাবে সেই অল্পজ্ঞানী গোষ্ঠী- যাদের আরবীতে বাপ-মা তুইলা গালি দিলৈও জান্নাতের জন্য দুয়া করতেছে মনে কইরা খূশী হন! অথচ আরবীটি শিখে তার অর্থ বুঝলে বক্তরে খূন কইরা ফেলতেন। দয়া করে জ্ঞানের পথে হাটুন।

ঐ সময়ের জীবন ব্যবস্থা কি খোদ আরব ভূমিতে আছে?
রাসুল সা: কি রাজতন্ত্রী ছিলেন?
তবে আপনার রাজতন্ত্রের ভিক্ষা খেয়ে ওহাবী মতবাদকে ইসলামের নামে চালাতে চেষ্টা করছেন কেন?

সমের সাথে সভ্যতার উন্নতি আল্লাহরই দান। বিজ্ঞান প্রযুক্তি হেকমাহ অর্জন না করে উটের রশি ধরে হেটে যদি মনে করেন নবীর প্রতি প্রেম দেখালেন- তবে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। তখন রাষ্ট্র ব্যস্থা কি এরকম ছিল। তখন কি জাতি সংঘ ছিল। তখন কি জীবন যাপনের চাপ এমন ছিল। দিবসের প্রচলন কেন হয়েছে তার সাধারন বোধ টুকু কি আছৈ?
সময়ের সাথৈ সবচে আপগ্রেডেশনের ধর্ম হল ইসলাম।
যে জন্য রাসূল সা: কোরআন হাদীসের পর ইজমা ও কিয়াসের দুয়ার খৌলা রেখে গেছৈন!

আর আপনার লেখা পড়ে যে কোন সুস্থ স্বাভাবিক জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ ইসলামকে হুবহু যা বলেছেন সেভাবে ভাবলে কূপমন্ডুকই বলবে ভাবনাকে। আইএস মার্কা বদ্ধ ভাবনার জগতের দুয়ার খূলূন। সত্য প্রেম আর জ্ঞানের মাধ্যমে সত্যকে জানুন।
ইক্বরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক!



৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৩

নাহিদুল হক বলেছেন: আপনার সবগুলো কথার উত্তর আমি দিতে পারবো ৷ কিন্তু আমি ভালভাবেই জানি, হাজার কথা দিয়েও আপনাকে বুঝানো যাবে না ৷ তাই, অযথা কথা বাড়িয়ে লাভ নেই ৷

আমাকে আরবী ভাষা শিখতে বললেন! অথচ আপনি কতটুকু আরবী জানেন?
আরবী ভাষায় সাত বছর যাবত পড়াশোনা করছি ৷ তাই এসম্পর্কে আমাকে জ্ঞান না দিলেই খুশি হবো ৷

আর ইসলাম কিন্তু সব ক্ষেত্রেই নতুন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলে না ৷

*উল্লেখিত হাদীছটির রেফারেন্সঃ মুছান্নাফ ইবনে আবী শাইবাহ: ২/৩৭৫

৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০০

কবি এবং হিমু বলেছেন: অনেক সুন্দর একটি পোস্ট।আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে চলার,আর মিলাদুন্নবীর দিন এরকম(বর্তমানে যা হয়) না করে নফল ইবাদত দ্বারা দয়াল নবীর কথা স্মরন করার তৌফিক দান করবেন,আমিন।

৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৫

নতুন বলেছেন: ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের ক্ষেত্রে নবী প্রমের চেয়ে বড় প্রেম হলো টাকার প্রেম...

বত`মানে যারা মাজার/পীর ব্যবসা করছে তারাই কিন্তু এই সব নতুন দিবশের প্রচলন করছে।

রাজারবাগীরা ৫৬ দিন ব্যাপী ঈদেমিলাদুন্নবী পালন করে.... তার জন্য দান করা ফরজ বলে প্রচার করে...

এই উপলক্ষে কয়েক মাস আগে থেকে খেদমত তোলা শুরু করে... সবই ব্যবসা... আর কিছুই না।

একটু চিন্তা করে দেখুন...যত মানুষ ঐখানে যায় তাদের জন্য খরচের টাকা যে দেয়??? সবই আছে মুরিদের পকেট থেকে...

এখান থেকে টাকার বিষয়টা সরিয়ে নিয়ে যান... সব দিবশের আয়োজন ও কমে যাবে... :)

১০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৩০

নাহিদুল হক বলেছেন: নতুন বিষয়টি জানানোর জন্য ধন্যবাদ :) @নতুন

১১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৭

জেকলেট বলেছেন: @বিদ্রোহী ভৃগু : ভাই আপনি ইমান, আকিদা, ধর্মীয় কাজের সাথে মানুষের স্বাভাবিক কাজকে গুলিয়ে ফেলেছেন। বিমান চড়ার সাথে সওয়াব বা গুনাহর কোন সম্পর্ক নাই। এইটুকু বুজলেই বাকিটুকু বুঝবেন আশা করি।

১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ জেকলেট বলেছেন: @বিদ্রোহী ভৃগু : ভাই আপনি ইমান, আকিদা, ধর্মীয় কাজের সাথে মানুষের স্বাভাবিক কাজকে গুলিয়ে ফেলেছেন। বিমান চড়ার সাথে সওয়াব বা গুনাহর কোন সম্পর্ক নাই।

@ জেকলেট ভাই,
আপনার বোঝায় সঠিক নয়।
আমি গুলীয়ে ফেলিনি। বলং তারাই গুলীয়েছে যারা সব কিছুকে আক্ষরি=ক এবং শাব্দিক ভাবে অনুভব করতে গিয়ে মুসলমানদের হাষ্যস্পদদ বানাচ্ছে!
যে কোন ভিন্সতেই তারা বিদআত ট্যাগিং দিয়ে বিভক্তি বাড়াচ্ছে।
যে সব থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় জ্ঞানার্জন। এবং ব্যাপক মাত্রায় জ্ঞানার্জন। কিূছ আরবী কিতাব মূখস্ত করা নয়, প্র্রকৃত শীক্ষা এবং জ।হানের দরকার সে অন্ধকার থেকে আলৌতে আসতে।
আপনি কল্পনা করুন সেই অন্ধদের এখনো ফতোযা জারি আছৈ টিভী দেখা হারাম!
এই কূপমন্ডুক বিশ্বাস যার আরবী ঈমান .. নিয়ে আপনি কিভাবে এই চলমান সভ্যতায় ইসলামকে শ্রেষ্ঠ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবেন?

লেখক কিন্তু বেসিক পয়েন্টের উত্তর না দিয়ে পিছলাইয়া গেছে। মূল কথা গুলো ইগনোর করে গেছেন। সে যাকগে!
ঈমান আকিদা আর ধর্মীয় কাজ কি ভাই? এগুলো কি আলাদা কিছু?
এগুলো জীবন যাপনের বাইরে অপার্থবি কোন বোধ, চেতনা!
ঈমান অর্থ কি ? বিশ্বাস! আপনি যা বিশ্বাস করেন তাই আপনার ঈমান! ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসেও আপনি ৫টি কলেমা পড়ে পাচঠার মৌলীক বিষয়গুলো বিশ্বাস করেন বলৈই আপনি বিশ্বাসী বা ঈমানদার!

আপনি যেভাবে বল্লেন তা যেন সেই মধ্যযুগের চার্চের ফাদার/পোপদের মতো হয়ে গেল জীবনযাপন আর ধর্ম পালন পৃথক পৃথক বিষয়!
ইসলাম কিন্তু তা বলে নাই।
জীবন যাপনের সর্বক্ষেত্রের সর্ব বিষয়ের ব্যাপারেই ইসলাম সুন্দর দিকনির্দেশনাও দিয়েছে। এবং ব্যক্তি জীবনে তা উনারা পালন করে দেখীয়ে দিয়ে গেছেন! প্রথমে ঈমান আনয়ন বা বিশ্বাস করা, যা দৃঢ় করা তা রক্ষার জন্য লড়াই করা (ক্ষমতার জন্য নয়) , যুদ্ধ, রাস্ট্র পরিচালনা, বৈদেশীক নীতি, থেকে শূরু করে সকল বিষয়!!! সেখানে মাইক্রোস্কুপ দিয়ে খুজেও ধর্ম আর জীবনের আলাদা রুপ পাবেন না।
আমাদের অতি আতেপণায় দুটোকে পৃথক করেছে। যার ইন্ধ দিয়ে অল্প জানা বা সুবিধাবাদী আলেম নামধারী সমাজ! তারা যেমন ছিল ইয়াজিদের দরবারে তেমন ছিল মোগল দরবারে তেমনি এখৌন আছৈ ক্ষমতার বলয়ের নেশায় অন্ধ! যে জণ্য জীবন আর ধর্ম পৃথম হয়ে যাওয়া- একদিকে অবাধে ঘুষ খাচ্ছে! আবার মসজিদে এসে বড় অংকের দান দিয়ে পাপ মোচনের অপচেষ্টাও করছে!
একদিকে পূজির দাসত্ব করছে- অন্যদিকে ধর্মের লেবাস নিয়ে লৌক দেখানো দান করতে গিয়ে মাুনষ মারার কারণ হচ্ছে!
এই হিপোক্রেসির ইসলামে কোন স্থান নেই !!!!!!
তো এইবার আসেন - চলমান সভ্যতায় আপনি কিভাবে এর সমন্বয় করবেন?
আপনি কি ইজমা কিয়াসের মাঝে গ্রহণযোগ্য সমাধান মানবেন? নাকি সুবিধাবাদী মতো নিজের স্বর্াথে অর্ধেক মানবেন অর্ধেক মানবেনা এই পথে চলবেন?

১৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২১

নাহিদুল হক বলেছেন: আমি পিছলে গিয়েছি, না আপনি?
আরবীর ব্যাপারে তো কিছু বললেন না ৷

আমি এই লেখাটি যেই বই সামনে রেখে লিখেছি সেই বইয়ের নাম "ইখতেলাফে উম্মত আওর সীরাতে মুসতাকীম" ৷ এটা পাকিস্তানের মুফতী তকী উসমানী সাহেব লিখেছেন ৷
আধুনিক ইসলামী ব্যাংকিংয়ে মুফতী তকী উসমানী সাহেবের অবদান সবচেয়ে বেশি ৷

সুতরাং, তাঁর মত একজন ব্যক্তিত্ব ইজমা-কিয়াস আপনার/আমার চেয়ে অনেক ভাল বুঝেন ৷

১৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

নাহিদুল হক বলেছেন: "ইসলাম সর্ব যুগের জন্য" এর অর্থ এই নয় যে, রাসূলুল্লাহ সাঃ এবং তাঁর পরে ছাহাবী, তাবেয়ী ও তাবে তাবেয়ীদের যামানায় যা ছিল না, তা কয়েকশ বছর পর মনগড়া সিদ্ধান্তে চালু করলে ইসলাম এর তা মেনে নিতে হবে ৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.