![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যতই ঝামেলা থাকুক, কর্মজীবীকে মানিয়ে চলতেই হবে কাজের জায়গায়। ঠিক রাখতে হবে শরীর-স্বাস্থ্য আর স্মার্টনেস। কর্মজীবী পুরুষদের জন্য রইল বেশ কিছু টিপস
* সকালে একটু আগেভাগেই ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। মনও যেমন ফুরফুরে থাকবে আর সময়মতো কর্মক্ষেত্রে পৌঁছে কাজে মন দেওয়াটাও সহজ হবে।
* যাঁরা সারা দিন অফিস বা কর্মক্ষেত্রে থাকেন, তাঁদের সকালে গোসল করে বের হওয়া ভালো। এতে আপনাকে সতেজ ও প্রাণবন্ত লাগবে, কাজের প্রতিও আগ্রহ বাড়বে।
* অফিস থেকে ফিরে আবার গোসল করে নিতে পারেন। সারা দিনে শরীরে জমা ময়লা আর ক্লান্তি দুই-ই দূর হয়ে ঘুমটা অনেক ভালো হবে।
* প্রতিদিন সাবান দিয়ে গোসল করার অভ্যাস করুন। সুগন্ধি সাবান বাদ দিয়ে ডেটল-জাতীয় সাবান ব্যবহার করা ভালো। এগুলো রোগজীবাণু প্রতিরোধে বেশি কার্যকর।
* পরের দিন কী কী কাজ করবেন বা কার সঙ্গে কখন দেখা করবেন, তা আগের দিন রাতে ঘুমানোর আগেই পরিকল্পনা করে রাখুন। মনে না থাকার আশঙ্কা থাকলে ডায়েরি, মোবাইল ফোন বা নির্দিষ্ট কোথাও নোট করে রাখতে পারেন। এতে পরের দিন পরিকল্পনামাফিক কাজ করা সহজ হবে।
* বেশি রাত জাগার অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করার চেষ্টা করুন। এতে সকালের ঘুম ভাঙতে দেরি ও কষ্ট হয়, কাজেরও ক্ষতি হয়। বেশি দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে আপনার সারা দিনের পরিকল্পনাই এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া রাত জাগা স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।
* কর্মক্ষেত্রের একাধিক পোশাক রাখুন। এক পোশাক বারবার না পরে এক দিন পরার পরই ধুয়ে ফেলুন। সব সময় ধোয়া ও আয়রন করা কাপড় পরার চেষ্টা করবেন।
* ঘামের দুর্গন্ধে যেন আপনার পাশের লোকটির কষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে ডিওডরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।
* সুগন্ধি অর্থাৎ পারফিউম বা বডি স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই তা যেন খুব বেশি কড়া না হয়।
* এক থেকে তিন দিন পর পর চুলে শ্যাম্পু করুন। শ্যাম্পু করার পর চুল শুকিয়ে তাতে হেয়ার ক্রিম, জেল বা হারবাল অয়েল দিতে পারেন। এতে চুলের সৌন্দর্য বাড়বে।
* রোদের হাত থেকে রক্ষার জন্য সানস্ক্রিনসমৃদ্ধ জেন্টস ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
* অনেকের সারা বছরই ঠোঁট ফাটে। তাঁরা লিপজেল সঙ্গে রাখুন।
* ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে জেন্টস উপটান ব্যবহার করুন। জেন্টস পারলার থেকে মাসে একবার ফেসিয়ালও করাতে পারেন।
* বাইরের ধুলাবালির কারণে অনেকের শ্বাসকষ্ট হয়। সে ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার করলে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়। রুমালও ব্যবহার করা যেতে পারে।
* সব সময় সঙ্গে রুমাল ও টিস্যু পেপার রাখুন।
* বাসে বা পথঘাটে চলার ক্ষেত্রে মাথায় ক্যাপ পরলে বাইরের ধুলাবালি থেকে চুল বাঁচানো যায়।
* বাইরে রোদ ও ধুলাবালি এড়াতে ব্যক্তিত্ব ও পোশাকের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ রোদচশমা ব্যবহার করুন।
* জুতা মোছার জন্য আলাদা একটি ছোট্ট রুমাল রাখতে পারেন।
* যেসব অফিসে পোশাক নির্দিষ্ট করে দেওয়া নেই, সেসব ক্ষেত্রে জাঁকালো বা চোখধাঁধানো পোশাক পরিহার করে মার্জিত ও ভদ্র পোশাক পরুন।
* চুল ঝুঁটি, গলায় চেইন, হাতে আংটি_এগুলো সাধারণত পেশাদারি ক্ষুণ্ন করে।
* অনেক সময় মোজা না ধোয়ার ফলে দুর্গন্ধ হয়। মোজা নিয়মিত ধুয়ে ব্যবহার করুন।
* নিয়মিত চুল ও নখ কেটে ছোট রাখুন।
* গ্যাস্ট্রিক, অ্যালার্জি, হাঁপানি ইত্যাদি রোগ থাকলে প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গেই রাখুন। কারণ প্রয়োজনের সময় হাতের কাছে এসব নাও থাকতে পারে।
©somewhere in net ltd.