![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালো শ্রোতার শক্তি
আপনি মুখ খোলা রেখে কখনো ভালো শ্রোতা হতে পারবেন না। মুখে আপনি যা-ই বলুন না কেন, তা আপনি ভালো করেই জানেন, তাই বলতে পারছেন। কিন্তু যা জানেন না তা জানতে হলে আপনাকে চুপ করতেই হবে।
* একজন ভলো শ্রোতা সমস্যা সমাধানে অতুলনীয় ক্ষমতার অধিকারী হন।
* চমৎকার ব্যক্তিত্বের অধিকারী হন।
* ভালো শ্রোতা সহজেই অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি করতে পারেন।
* ভালো শ্রোতাকে সবাই পছন্দ করে।
* অজানা অনেক কিছু জানা যায়।
* অনেক ধৈর্যশীল হন।
ভালো শ্রোতা হওয়ার ১০ কৌশল
এক
মনোযোগের প্রধান বাহক হচ্ছে চোখ। চোখ দেখে একজন মানুষের প্রায় সব কিছুই আন্দাজ করা যায়। আপনি শ্রোতার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছেন কি না তাও আপনার চোখ দেখেই বোঝা যাবে। সুতরাং বক্তার চোখে চোখ রেখে কথা শুনুন।
দুই
যে বিষয়ে কথা হচ্ছে, সে বিষয়ে আপনার কোনো মতামত থাকলে আলোচনা করুন। এতে বিষয়বস্তু সম্পর্কে আপনার আগ্রহের প্রমাণ পাওয়া যায়। বক্তাও খুশি হন।
তিন
বক্তা যখন কথা বলছেন, তাঁর মাঝখানে হঠাৎ থামিয়ে দিয়ে কিছু বলবেন না। কিছু বলার আগে তাঁর বক্তব্য শেষ হতে দিন।
চার
বিষয়বস্তু সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করতে গিয়ে অতিরিক্ত কথা বলা ঠিক নয়। বক্তার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ নিশ্চিত করাই ভালো শ্রোতার প্রধান কর্তব্য।
পাঁচ
বক্তার কথা শোনার সময় এমনভাবে বসা উচিত, যাতে আপনি বক্তার চেহারা ঠিকমতো দেখতে পান (বিশেষ করে চোখ দেখতে পাওয়া দরকার। এতে বক্তার বক্তব্যের আবেগময় বহিঃপ্রকাশও আপনার দৃষ্টি এড়াবে না) আর বক্তাও যেন আপনার চেহারা দেখতে পান।
ছয়
আলাপ চলাকালে মাঝেমধ্যে ছোট ছোট প্রাসঙ্গিক শব্দ উচ্চারণ করে আপনার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করুন। যেমন_'তাই নাকি?', 'বলেন কী!', 'সর্বনাশ, কী সাংঘাতিক!', 'নিশ্চয়ই', 'বাহ!', 'এটা খুব ভালো বলেছেন!', 'কী করে হলো?' ইত্যাদি। এতে বক্তা আপনার মনোযোগ বুঝতে পারবেন।
সাত
একজন আদর্শ শ্রোতা কখনো কখনো বক্তাকেও নিয়ন্ত্রণ করেন। আলোচনা যাতে প্রাসঙ্গিক থাকে সে জন্য বারবার শ্রোতাকে সতর্ক থেকে বক্তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
আট
একজন ভালো শ্রোতা ভালো স্মরণশক্তির অধিকারীও হন। বক্তা মাঝেমধ্যেই কথা বলতে গিয়ে কী প্রসঙ্গে আলোচনা করতে চাচ্ছিলেন সেটা ভুলে যান। তখন শ্রোতাকে মনে করিয়ে দিতে হয়। তা ছাড়া আলোচনা শেষ হওয়ার পরও নানা কারণে কী বিষয়ে কী কী আলোচনা হলো তা পুনরাবৃত্তি করার প্রয়োজন পড়ে।
নয়
গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় একজন ভালো শ্রোতা কাগজ-কলম নিয়ে বসবেন। প্রয়োজনীয় অংশ নোট নেবেন। প্রয়োজন হলে রেকর্ডারও ব্যবহার করতে পারেন।
দশ
যদি এমন হয় যে বক্তার কথা শুনতে ভালো লাগছে না কিন্তু না শুনে উপায় নেই, আবার এটাও প্রমাণ করতে হবে যে আপনি মনোযোগ দিয়ে শুনছেন, তাহলে প্রথমত এমনভাবে বসুন, যাতে আপানর মুখে সরাসরি আলো না পড়ে। আর আপনার একমাত্র কাজ হবে তাঁর চোখে চোখ রেখে মাঝেমধ্যে সম্মতিসূচক মাথা নেড়ে যাওয়া।
আমরা বেশি কথা বলি কেন
*বক্তা যদি নিজেকে জ্ঞানী মনে করেন কিংবা শ্রোতাকে তুলনামূলকভাবে অজ্ঞ মনে করেন, তাহলে বক্তা বেশি কথা বলেন। বক্তা মনে করেন, শ্রোতা যে বিষয়গুলো জানেন না (অথচ আমি জানি), সেগুলো তাঁকে জানানো দরকার।
*বেশি কথা বলার আরেক কারণ হীনম্মন্যতা। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ কথাই হয় নিজের গুণকীর্তনবিষয়ক, যাতে প্রমাণ হয়, শ্রোতার চেয়ে বা শ্রোতার মতো বক্তাও মর্যাদা, ক্ষমতা বা জ্ঞানসম্পন্ন।
*একাকিত্ব। বক্তা দিনের বেশির ভাগ সময় একা কাটালে তাঁর মধ্যে বেশি কথা বলার প্রবণতা তৈরি হয়।
*কারো মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য বক্তা বেশি কথা বলতে পারেন।
*পারিবারিক বা পেশাগত কারণে বেশি কথা বলা অভ্যাস হয়ে গেলে; যেমন_ রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, বিক্রয়কর্মী ইত্যাদি।
*ভালো বা আদর্শ শ্রোতা পেলে বা শ্রোতার কাছ থেকে প্রশংসা পেলে অনেক সাধারণ মানুষও ভালো বক্তা হয়ে ওঠেন।
*গল্পপ্রিয়, হাসিখুশি, আড্ডাবাজ মানুষ কোনো বিশেষ কারণ ছাড়াই বেশি কথা বলেন।
* এই পোস্টটি যাদের ভালো লাগবে বা উপকারে আসবে তারা একবার এখানে ঢু মারতে পারেন। কথা দিচ্ছি নিরাশ হবেন না। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় অসংখ্য বিষয়ের বিশাল এক তথ্য ভান্ডার থেকে আর কতদিন বঞ্চিত থাকবেন? বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২
অনিকেত চট্টোপাধ্যায় বলেছেন: ভাল শ্রোতা হবার ইচ্ছে নিয়ে পড়া শুরু করেছিলাম...নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বক্তা হতে হল।
বিষয়টা হল..অনেক কথা বললেন..কিন্তু খেই পাচ্ছি না...আপনার লেখার..অনেকটা আসত্তির অভাব....
এটা সঠিক...বেশ কিছু ভাল কথা এসেছে লেখায়।
তবে "আমরা বেশি কথা বলি কেন" টা না দিলে কোন ক্ষতি ছিল না.....