নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাহিদ ৭৮৯

কেউ কোনোদিন শুনে নি যে ভালোবাসা মার খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে

নাহিদ ৭৮৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শরীরের এনার্জি বাড়ানোর ৬ কৌশল

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

শীতের কুহেলিকায় চাদর মুড়ি দিয়ে আলস্য ভর করে দিন পার করবেন, নাকি ফুরফুরে সকালে উদ্দীপ্ত মন আর কর্মচাঞ্চল্যে ভরপুর হয়ে ছুটে বেড়াবেন সর্বত্র। শরীর ঠিক রাখতে অ্যাথলেটদের রুটিনওয়ারি জীবন ধারণে, তার চেয়েও বড় কথা ব্যস্ত সময় সংসারে মেজাজ-মর্জি ধরে রেখে সুস্থ জীবনাচরণের জন্য আপনার অবশ্যই চাই বাড়তি এনার্জি। শাকসবজি, পানীয়, ফলমূল আপনার মেদ কাটিয়ে শরীরকে সুঠামভাবে গড়ে তুলবে বৈকি। কিন্তু শরীরের এনার্জি তথা জীবনের রিদম বজায় রাখতে আপনার বাড়তি শক্তি তথা কর্মচাঞ্চল্যের জন্য নতুনতর কৌশল টিভির অ্যাড দেখে তথাকথিত লোভনীয় এনার্জি ড্রিঙ্কস, পানীয়, সুরাসিক্ত সিরিয়াল বা ডায়েটের দিকে ভুলেও হাত বাড়াবেন না। বরং নিম্নে বর্ণিত চিকিৎসকদের পরামর্শকৃত এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যসামগ্রী ব্যবহারে শরীর ও মনকে চাঙ্গা রাখর চেষ্টা করুন।



এসপার্টিক এসিড : এসপার্টিক এসিড এক ধরনের এমাইনো এসিড (প্রোটিনের উৎস), যা কি-না লিভারে বিপাকীয় ক্রিয়ায় এমোনিয়াকে ইউরিয়ায় পরিণত করে। শরীরের বিভিন্ন বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় অপজাত হিসেবে এমোনিয়া মাত্রাধিকভাবে উৎপন্ন হয়। আর এই এমোনিয়ার কারণে শরীরে দেখা দেয় অবসন্নতা আর ক্লান্তি। এসপার্টিক এসিড ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক থাকলেও নিষেধাজ্ঞা নেই চিকিৎসক মহলে। এসপার্টিক এসিড এমপার্টেট নামে বাজারজাত করা হয়।



বাইকার্বনেট বাফার :শরীরে তাপ উৎপন্ন হলে বা কায়িক পরিশ্রম বেশি হলে ল্যাকটেট উৎপন্ন হয় কোষ থেকে। এই ল্যাকটেট জমা হলেও শরীরে ভর করে ক্লান্তি, স্থিরতা। বিশেষ করে স্বল্প সময়ের এনারবিক ব্যায়াম যেমন দ্রুত সিঁড়ি ভেঙে ওঠা, স্প্রিন্ট, স্ট্রেচ এক্সারসাইজ এসবের ক্ষেত্রে রক্তের ক্ষারতা বজায় রাখা জরুরি। এর ফলে দ্রুত ল্যাকটিক এসিড শরীরে জমা হতে পারে না। এসব ব্যায়াম করার দু-তিন ঘণ্টা আগে ৩০০ মিলিগ্রাম প্রতি কেজি এ হিসাবে বাইকার্বনেট সেবনে কোষীয় স্তরে ক্ষারতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে চাঙ্গাভাব বজায় থাকে। তবে সাবধান সোডি বাইকার্ব বা সোডা ওয়াটার অতিরিক্ত সেবনে পেটের মধ্যে অস্বস্তি, পেট ফাঁপা ভাব, বমি, ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। এ জন্য ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের শলাপরামর্শ প্রয়োজন।



ক্যাফেইন : নার্ভের টনিক হিসেবে ক্যাফেইনের ব্যবহার সর্বজনবিদিত। ক্যাফেইন চা-কফি, কোকো, বোতলজাত পানীয় এবং বিভিন্ন খাবারে (কেক-পেস্ট্রি) মিশ্রিত অবস্থায় পাওয়া যায়। ক্যাফেইন ব্যবহারে স্নায়ুতন্ত্র চাঙ্গা হয়ে ওঠে, মন সতেজ থাকে, ক্লান্তি দূর হয়। ক্যাফোইন সেবনের পর শরীরে ক্যাটাকোলামাইন নামক রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়ে এবং চর্বি জাতীয় খাবার ভেঙে শরীরে উত্তাপ ছড়ায়। তবে অতিরিক্ত ক্যাফোইন সেবনে বুক ধড়ফড় ভাব, অশান্তি, ইনসোমনিয়া, হাত-পা কাঁপা, প্রস্রাব বেড়ে যাওয়া_ এসব অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। যারা পাওয়ার এক্সারসাইজ করেন_ তাদের ওজন কমাতে, যারা বিরতি দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী ব্যায়াম করেন তাদের গ্গ্নাইকোজেন কমাতে ক্যাফেইন সাহায্য করলেও মূত্রবর্ধক এই বৈশিষ্ট্যের কারণে ক্যাফাইন সেবন শীতের সময় অতিরিক্ত ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত নয়।



এলকারনিটিন : এলকারনিটিন রক্ত তথা শরীরে অতিরিক্ত উন্মুক্ত ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এই ফ্রি ফ্যাটি এসিড পরবর্তী সময়ে শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে তথা কোষীয় স্তরে এনার্জির উৎসগুলো সক্রিয় করে তোলে। এলকারনিটিন কোনো খাবার থেকে আহরণ করা সম্ভব নয়। লিভোকার, এলকার, ওকারনিক্স নামে এ ওষুধগুলো পাওয়া যায়_ যা কি-না চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে সেবন করতে হবে। তবে এলকারনিটিন কী পরিমাণ কোষীয় স্তরে শক্তি জোগাতে সক্ষম, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলে।



ক্রিয়েটিনি : ক্রিয়েটিনি মূলত শরীরের স্কেলিটাল বা গাঠনিক পেশির ভেতর কাজ করে তার কার্যক্ষমতা বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়। মাংসপেশির ভেতর ক্রিয়েটিনি থাকে ফসফোক্রিয়েটিনি হিসেবে। যারা কঠোর শ্রমের মধ্যে থাকেন, তীব্র মাত্রার ব্যায়াম করেন তারা তাদের শরীরের পাওয়ার হাউস এটিপিকে সক্রিয় রাখতে তথা শরীরের শক্তি জোগাতে দৈনিক ১৫-২০ গ্রাম ক্রিয়েটিনি ক্রমাগত পাঁচ-ছয় দিন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে গ্রহণ করতে পারেন। তবে এরপর ডোজ কমিয়ে আনতে হবে। বিশেষজ্ঞের মতে, ক্রিয়েটিনিন গ্গ্নুকোজ বা ডেক্সট্রোজ সহকারে সেবন করলে তার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মাংস বা মাছের মাধ্যমে শরীরে যে ক্রিয়েটিনি সংরক্ষিত হয় তা মাংসপেশির কার্যকারিতার অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে পারে না। বিদেশে ক্রিয়েটিনিন সাটল খেলোয়াড়রা ব্যবহার করে থাকেন, যা আমাদের দেশে বলা যায় অনেকটা দুষ্প্রাপ্য। তবে যারা কিডনি ও ডায়াবেটিস রোগী তাদের ক্রিয়েটিনি সেবন করা উচিত নয়।



ফসফেট : ফসফেট ক্রিয়েটিনি ফসফেটের সহযোগী হিসেবে শরীরের শক্তি জোগাতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। মাটির নিচের খাবার, বিশেষ করে সবজিতে ফসফেট থাকলেও প্রচুর পরিমাণ ফসফেট প্রয়োজন হয় পরিশ্রমী ব্যক্তি, তথা খেলার সময় কঠোর কার্যক্রমে। ফসফেট গ্রহণে শরীরে ক্রিয়েটিনি ফসফেট বহুক্ষণ সঞ্চিত থাকে। এই ফসফেট হিমগ্গ্নোবিন থেকে অক্সিজেনকে আলাদা করে শরীরের শক্তি জোগানের ক্ষেত্রে বাড়তি ভূমিকা রাখে। তবে ফসফেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের ভিন্ন মতামত রয়েছে। এ জন্য ফসফেট গ্রহণের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ বিশেষ প্রয়োজন।



দৃষ্টি আকর্ষণ: অনলাইন ঢাকা গাইডের তথ্যের ভুবনে আপনাদেরকে স্বাগমত। (http://www.online-dhaka.com/)।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.