![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি শর্টফিল্ম/ডকুমেনট্রি’র প্রিমিয়ার শো চলছে।
ফিল্মটি বিদেশী গল্প “Put the social key” অবলম্বনে করা হয়েছে। যার বাংলা নাম “সামাজিক পুটকি”।
ওএস শটে দেখা যায় একটি নারী মাটির চুলায় রান্না করছে।
তারপর ক্যামেরা চলে যায় গ্রামের হাট বাজার, ধান ক্ষেতে।
ওয়াইড শটে দেখা যায় দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ। সেখানে অনেক গরু-গাভী ঘাস খাচ্ছে। কিছু গরু গোয়ালে ফিরছে। ফোকাস হচ্ছে একটি বিশেষ গরুর উপর, যেটি এই ফিল্মের মূল চরিত্র।
এবার স্ক্রিনে শুধু মূল গরুটিকে প্রোফাইল থেকে দেখা যায়। ক্যামেরা গরুটির মুখ থেকে ধীরে ধীরে পশ্চাতদেশের দিকে এগিয়ে যায় [ট্রলি শট]।
পশ্চাতদেশ ক্রস করে খানিক দূরে চলে যায় ক্যামেরা। দেখে মনে হয় গরুটি কিছুটা টেনশনে আছে।
ক্যামেরা প্যান করে গরুর লেজের গোড়ার দিকে চলে আসে। দেখা যায় লেজটি জায়গা ছেড়ে একটু আলগা হওয়ার চেষ্টা করছে।
ক্লোজ শটে গরুর বাইনদুয়ার দৃষ্টিগোচর হয় ক্রমে। সেখানে অতি শ্লথ গতিতে সংকোচন প্রসারণ লক্ষ্য করা যায়।
অতপর দ্বার উন্মুক্ত হয়ে সেখান থেকে বর্জ্য নির্গত হয় থপ-থপ শব্দে।
এক্সট্রিম ক্লোজে সেই সংকোচন প্রসারণ আবার দেখা যায়। তবে এবার আগের চাইতে দ্রুত।
ঠিক এই সময় বেরসিকের মত বিদ্যুৎটা চলে গেল। আয়োজকরা ভাবলো, সময় নষ্ট না করে একটি কাজ করা যাক। উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদগ্ধ আলোচক আছেন। শর্টফিল্মটি যতটুকু দেখানো হয়েছে, ততটুকু পর্যন্ত আলোচনা করা যাক এই ফাঁকে।
সেই ধারাবাহিকতায় এক আলোচক আলোচনা শুরু করলেন।
“ফিল্মে শেষ বিকেল দেখানো হয়েছে কেন? কারণ, আমাদের সমাজে নৈতিকতার অবক্ষয় আমাদেরকে এক্কেবারে সবকিছুর পেছন দিকে ঠেলে দিয়েছে। ডিরেক্টর এখানে দারুণ একটি ‘মন্তাজ’ উপস্থাপন করেছেন। সূর্য যেমন ডুবছে, তেমনি আমাদের সমাজও ডুবছে। হাঃ হাঃ হাঃ”।
এই পর্যায়ে তিনি তাঁর বাঁ হাতের সমস্ত আঙ্গুলের ডগাকে একত্র করে, দর্শকদেরকে তা দেখিয়ে, সেখানে কৃত্রিম সংকোচন প্রসারণ ঘটিয়ে, আবার বলা শুরু করলেন।
“এই যে গরুর পুটকির সংকোচন প্রসারণ, এর মানে কি?
এটা আসলে মেটাফোর হিসেবে দেখানো হয়েছে। আমাদের সমাজেও কি নৈতিকতার সংকোচন প্রসারণ চলছে না প্রতিনিয়ত”।
কারেণ্ট চলে এসেছে এই সময়ে।
ফিল্ম আবার শুরু হয়েছে। এবং শেষও হয়ে গেছে এক সময়।
অবশেষে বোঝা গেল, এটি একটি এনজিও’র তৈরী করা গরুর বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উত্পন্ন সংক্রান্ত ডকুমেনট্রি।
উল্লেখ্য অনুষ্ঠান শেষে সেই বিশিষ্ট আলোচককে সেখানে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি।
[ এই স্ক্রিপ্ট নিয়ে কেউ কাজ করতে চাইলে করতে পারেন, অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নাই ]
০৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫১
নাসিরউদ্দিনখান বলেছেন: ধন্যাবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: হা হা হা হা মজা পেলাম