নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাদের এ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি। দূরে! বহু দূরে! ঈগল চোখের আড়াল খুঁজে নিচ্ছি- যেখানে সমস্ত পাপী স্বীকারোক্তি দেয় তাদের আকন্ঠ পাপের। অন্তত তারা সত্যের আড়ালে পাপ করে না; পাপ নিয়ে করে না কোন মিথ্যাচার!

নয়ন বিন বাহার

আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।

নয়ন বিন বাহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কেমন মানুষ? পর্ব- ০৬

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৯

এগার.

প্রায় শতাব্দীকাল আগে মানবাধিকার বলতে সাংগঠনিক কোন কিছু ছিল না। আজ মানবাধিকার আছে। এই নিয়ে মানবাধিকার নিজেই অনেক গর্বিত।

এক সময় গ্রাম্য বিচার ব্যবস্থা ছিল খুবই সচল। সামাজিক অপরাধ হত খুবই কম। দুয়েকটা ঘটনা ঘটলেই গ্রাম্য সালিশি ব্যবস্থা সুদৃঢ় ব্যবস্থা নিত।

ধরুন, একজন চোর চুরি করেছে। তাকে ধরে জুতার মালা গলায় দিয়ে সারা গ্রাম ঘুরিয়ে আনা হত। কাউকে গাধার পিঠে ছড়ানো হত। মাথায় ঘোল ঢেলে দেয়া হত। নাকে খত দেয়া হত। এসকল বিচারের আগে সারা গ্রামের মানুষকে ঢোল পিটিয়ে জানান দেয়া হত।
দু’একজনকে এসব শাস্তি দিলে বাকীরা খুবই সচেতন হয়ে যেত। লজ্জা, ভয়ে তারা সামাজিক অপরাধগুলো থেকে বিরত থাকত। দেখা যেত একটা বিচার হওয়ার পরে কয়েক বছর বা দশকের মধ্যে ঐ গ্রামে বা আশেপাশের গ্রামে এ ধরণের অনাচারের দেখা মিলত না।

এখন মানবাধিকার এসে বলল, এসব করা যাবে না। এতে মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। একজন চোরেরও মান সম্মান আছে। গ্রামের মুরুব্বীরা বিচারের নামে একজনের মান সম্মান নিয়ে চিনিমিনি খেলতে পারে না। এটা মানবাধিকার সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্গন।

এখন দেখা গেল গ্রাম্য সালিশদাররা সামাজিক অপরাধের বিচার করে নিজেই সেই বিচারে দায়ে ফেঁসে যাচ্ছে। উল্টো তার নামে মানবাধিকার লঙ্গনের অপরাধ আনা হচ্ছে।

ফলশ্রুতিতে গ্রাম্য বিচার ব্যবস্থা বন্ধ। কেউ বিচার করতে সাহস করে না। কি উল্টাপাল্টা বিচারের রায় দিয়ে কি বিপদে পড়ে।
পরিণতিতে এই বিচারহীনতা অপরাধের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়াতেই থাকে। সবাই ভাবছে দূর কি আর হবে? ফাঁক ফোঁকর দিয়ে ঠিকই বেরিয়ে যাব। হাহ্!

আফ্রিকানরা নিগৃহীত হচ্ছে। কাশ্মীরে মুসলমান পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ। রোহিঙ্গারা বাস্তহারা। সিরিয়ার উদ্বাস্তুরা দ্বিকবিদ্বিক হারা। কোথাও হিন্দু নির্যাতিত আবার কোথাও মুসলমান নির্যাতিত। সব জায়গায়ই মাইনরিটি মার খাচ্ছে। ফিলিস্তিনীরা নিজ গৃহে পরবাস। নিগ্রোরা চরম ঘৃণার মুখে দিনাতিপাত করছে।

তাতে মানবাধিকারের সমস্যা কি?
কোথাও তো মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে না। ওরা তো কেউ মুসলমান, কেউ হিন্দু, কেউ রোহিঙ্গা, কেউ নিগ্রো ইত্যাদি।
মানুষ কই? মানব কই?


বার.

প্রসঙ্গ নেতা

আমাদের সমাজে শুধু সরকারী নেতার অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া আর কোন নেতার অস্তিত্ব নেই।

বেসরকারি নেতারা হয় সরকারী হয়ে গেছে না হয় ঢাল তলোয়ার ছাড়া নিধিরাম সর্দার হয়ে গেছে।

যারা দ্বিতীয় অবস্থানে আছে তারা তাদের অনুসারীদেরকে (এদের ত্যাগের বিনিময়ে তিনি নেতা হয়েছিলেন, এরা এই নেতার জন্য প্রাণ দিতেও প্রস্তুত ছিল, কেউ কেউ দিয়েও ছিল) বলেন, এখন আমাদের ক্ষমতা নেই। চুপচাপ থাক। আমি নিজেই নড়তে পারছি না তোদেরকে সামলাব কেমনে?

এই অনুসারীরদল হয় দল পরিবর্তন করে নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করে, না হয় নখ, দন্ত ফেলে দিয়ে ব্যাঘ্র ছানা থেকে বিড়াল ছানা হয়ে যায়।

এ পর্যায়ে এসে বুজতে পারে ভুল মানুষের পিছনে ভুল জিনিসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময় অপচয় করেছে।

এই উপলব্ধি হতে হতে কারও কারও জীবনের এক তৃতীয়াংশ বা তারও বেশি সময় চলে যায়।

তখন আর কিছু করার থাকে না। না রাজনীতি, না সমাজসেবা, না সম্মানজনক জীবিকা।

সব হারিয়ে বাবা হারাধন হারুপার্টির চেয়ারম্যান হয়ে লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাসকে পুঁজি করে সোনালী অতীত রোমন্থন করতে করতে উপদেশের ঝাঁপি নিয়ে দিনাতিপাত করে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: তো আপনার লেখার মূল বক্তব্য কি??

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: উদ্ভুত সমস্যাগুলো চিহ্ণিত করা। বোধের বাউন্ডারি সম্প্রসারিত করার প্রয়াস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.