নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।
টেন পারসেন্ট নীতি বাংলাদেশের মত যে কোনো রাষ্ট্রকে আমূল বদলে দিতে পারে।
বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টর সমস্যাপূর্ণ বা পিছিয়ে কেন? টাকার অভাবে না জ্ঞানের অভাবে? আদতে কোনোটাই না। বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে কারণ এই দেশের পুরো রিসোর্স বা বাজেট ব্যবহৃত হয় না। কেনো হয় না তার বিস্তারিত আলোচনা আজকের বিষয় নয়। যতটুকু ব্যবহৃত হচ্ছে তা ধরে আলোচনা এগিয়ে নেওয়া যাক।
আমাদের দেশে যে পরিমান রিসোর্স বিদ্যমান তা যে কোনো উন্নত দেশের তুলনায় কোনো অংশেই কম নয়। আমাদের সম্পদের অভাব নয় সম্পদ ইউটিলাইজেশনের অভাব। আমরা যতটুকু সম্পদ ব্যবহার করতে সক্ষম তার থেকেও কয়েকগুন কম সম্পদ ব্যবহার করতে পারি। অপচয়, দুর্নীতি ইত্যাদি নানা কারণ এর জন্য দায়ী।
আপনাদের কী ধারণা, রিসোর্স বা বাজেটের কত পারসেন্ট টু দ্যা পয়েন্টে কাজে লাগছে? ত্রিশ, পঞ্চাশ, ষাট? আরও বেশি? যতই হোক পুরো তো আর নয়। আমি পুরো রিসোর্স ব্যবহৃত হবে তা বলছি না, আমি বলছি বর্তমানে যা ব্যবহৃত হচ্ছে তার থেকে শুধু দশ পারসেন্ট বাড়াতে হবে।
ধরুন, একটা রাস্তার কাজ। যা হচ্ছে তার থেকে যদি আর মাত্র দশ শতাংশ কাজ বাড়তি যোগ হত তবে রাস্তাটা আরও কয়েকগুন বেশি টেকসই হত।
এটা কিভাবে সম্ভব? একটা কন্সট্রাকশন কাজ ফাইনালি পাশ হয়ে কন্ট্রাক্টরের হাতে এসে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সেটা আর শতভাগ থাকে না। বিভিন্ন দাপ্তরিক কমিশন কাটা যায়। এই কমিশনগুলো কখনো নাই করে দেওয়া যাবে না। তবে যেটা করা যাবে তা হলো শুধু মাত্র দশ পারসেন্ট কমিশন কম কাটা হবে। যেমন কোন দপ্তরে কমিশন এলো দশ টাকা, সে দপ্তর দশ টাকা না কেটে কাটবে নয় টাকা। দশ পারসেন্ট কম। এভাবে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদার পরিমাণও কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্ধারিত থাকে। সেখানেও দশ পারসেন্ট চাঁদা কম নেওয়া হবে।
আবার দেখেন, আমাদের রাস্তাগুলোর কত শতাংশ ব্যবহৃত হয়? খেয়াল করলে দেখবেন, রাস্তার প্রায় অর্ধেক বা তার কাছাকাছি সর্বদা দখল থাকে। হকার দখল করে, গাড়ী পার্কিং দখল করে, পথচারীও দখল করে।
এই দখলমুক্ত করা একদিনে সম্ভব নয়। বহুবার উদ্ধার করা হয়েছে, আবার দখল হয়ে গেছে। এখানেও দশ পারসেন্ট নীতি প্রয়োগ করা যায়। যেখানে যে যতটুকু দখল করেছে সে তার থেকে দশ পারসেন্ট জায়গা ছাড়বে।
এভাবে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ইত্যাদি প্রচুর অপচয় হচ্ছে। এই অপচয় শুণ্যে আনা খুবই কঠিন হবে। কিন্তু দশ পারসেন্ট কমানো তত কঠিন হবে না।
এমনি করে, যে কোনো অফিসে বা ডীলে কমিশন গ্রহীতা দশ পারসেন্ট কম নিবে, দাতা দশ পারসেন্ট কম দিবে।
এভাবে প্রত্যেকে তার নিজ কোয়ালিটির দশ পারসেন্ট বাড়াবে। অর্থাৎ প্রত্যেকেই তার ভালো কাজের দশ পারসেন্ট বৃদ্ধি করবে আর খারাপ কাজের দশ পারসেন্ট কমাবে।
এই দশ পারসেন্ট নীতি সমাজ, দেশ এবং জাতী সর্বোপরি নিজের জন্য বিরাট সুফল বয়ে আনতে সক্ষম!
১৮ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:০৬
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ঘুষ কোনোদিনোও বন্ধ করা যাবে না। চলছে চলবে...
২| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: বিএনপি'র কাজ হলো বেগম জিয়া অধিকার নিয়ে, জামাতের রাজনীতি হলো ধর্ম নিয়ে, এরশাদের দলের রাজনীতি হলো সরকারে থাকা নিয়ে। শেখ হাসিনার রাজনীতি হলো আওয়ামী লীগের অধিকার নিয়ে। শেখ হাসিনা রাজনীতি বুঝে না বলেই শেখ সাহেব উনাকে রাজনীতিতে রাখেননি, জিয়া শেখ সাহবেকে হত্যা করায় শেখ হাসিনা আজকের সুযোগ পেয়েছে, কিন্তু উনি কি করছেন, উহা নিজে বুঝেন না, উনার বেকুবীর সুযোগে প্রশাসন ও বাটপারেরা দেশের সম্পদ ও সুযোগ দখল করে নিয়েছে।
১৯ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:১২
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: মাস পিপলদের নৈতিক শিক্ষার বড্ড অভাব।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রকৃতপক্ষে আমাদের দেশের উন্নয়ন কাজের প্রাক্কলন ব্যয়ের ২৫% দিতে হয় ঘুষ। বিদেশী ফান্ডের কাজ হলে আরও ২৫% কনসালট্যান্ট ফি। ঠিকাদারের লাভ ২০%, বাকী ৩০% উন্নয়ন।