নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ নাজমুল হাসান [নাজমুল]

স্বপ্ন থেকে বাস্তবকে বড্ড ভালোবাসি আমি.......

মোঃ নাজমুল হাসান [নাজমুল] › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতিগত বিদ্বেষ; রহস্য ক্রিকেট, নাকি শিকড় বহু গভীরে

১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

জাতীয়তা বোধ প্রতিটি জাতির প্রত্যেকটি মানুষের মাঝেই থাকে। এটা জম্মগত। যার মধ্যে এটার উপস্থিতি অনুপস্থিত; তারাই সাধারণত মিরজাফর চরিত্রের অধিকারী হয়। যদিও কখনো কখনো জাতীয়তা বোধ থাকার পরও কেউ কেউ মীরজাফর চরিত্রের অধিকারী হতে পারে। সে জন্য লোভ, ক্ষোভসহ অন্য অনেক কারনই দায়ী থাকে। সেটা ভিন্ন আলোচনার বিষয় হতে পারে। যেহেতু জাতীয়তা বোধ মানুষের জম্মগত, সেহেতু এটা অবেচতন ভাবেই মানুষের মনে প্রোথিত থাকে এবং জাতি সত্তার যে কোন প্রতিকূলতায় তা আরো দৃঢ় হয়। যার কারনে মানুষ কখনো কখনো চরম সিন্ধান্ত নিয়ে নিজের জীবন বিসর্জনেও পিছপা হয়না। জাতীয়তা বোধ যে কেবল ভৌগলিক এবং রাষ্ট্রীয় সীমানা দিয়ে নির্ধারিত হতে পারে, এটা ভুল ধারনা। এটা হতে পারে ধর্ম কিংবা আর্দশ ধারাও। যাই হোক, জাতীয়তা বোধে আঘাত লাগলে নিশ্চুপ কেউ বসে থাকবে না।
.
এবার আসল কথায় আসা যাক। সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট ম্যাচ আর ক্রিকেটিয় সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটা এখন সাইবার স্পেচে সমর্থকদের জাতিগত বিদ্ধেষমূলক যুদ্ধের পর্যায়ে চলে গেছে। কিন্তু ভারত বাংলাদেশের ক্রিকেটিয় সম্পর্ক কিন্তু কয়েক বছর আগেও চমৎকার ছিলো। নোংরা এই যুদ্ধের প্রথম সূচনা হয় বাংলাদেশকে অপমান করে ভারতের "মওকা মওকা" ভিডিও তৈরির মাধ্যমে। এর জবাবে বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে পাল্টা "ব্যাম্বো ইজ অন" সহ কিছু ভিডিও। রস আলোতে প্রকাশিত হয়েছিলো "কাটার" ট্রল। এরপর এই নোংরা যুদ্ধ দিনে দিনে শুধু বেড়েছে। আর এখনতো বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট মানে শুধুই উত্তাপ অথবা নোংরামো। কিন্তু ভারতের সাথে বাংলাদেশের মানুষদের জাতিসত্তার লড়াই এর এই রুপ কি শুধুই ক্রিকেট নিয়ে? উত্তর না। শুধু ক্রিকেট থেকেই এই লড়াই এর উম্থান নয়। ক্রিকেট চাপা আগুনটাকে উসকে দিয়েছে মাত্র।
.
১৯৭১ এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত সহযোগীতা করলেও তা ছিলো তাদের একান্ত নিজেদের স্বার্থে। এরপর শুধুই শোষন এবং ভারতের দাদাগীরি সুলোভ মনোভাব এবং সম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্রে অস্থির ক্ষতবিখ্যত এক বাংলাদেশকে প্রায়শ দেখেছে এ দেশের মানুষ। বন্ধুত্বের কথা বলে পানি না দিয়ে বাংলাদেশকে মরুভূমি করা, সীমান্ত হত্যা সহ বহু বৈরিতা একের পর এক সৃষ্টি করেছে ভারত। তদুপরি ভারতের সাধারন নাগরিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতৃত্ব পর্যন্ত মনে করে বাংলদেশ বেঁচে আছে তাদের দয়া এবং অনুগ্রহে; বাংলাদেশের মানুষকে কেবল বাচিয়ে রেখেছে ভারতের দয়া। কিন্তু বাস্তবতা হলো ভারত একটি পরাশক্তি হলেও বাংলাদেশের মানুষ এবং রাজনৈতিক উদারতায় টিকে আছে ঐ বিশাল ভারত সম্রাজ্য। বাংলাদেশের রাজনৈতিকরা যদি ভারতের থেকে বন্ধুত্বের হাত সরিয়ে নেয়, ভারতের স্বাধীনতাকামীদের আশ্রয় দেয়; তবে ভারত সম্রাজ্যের বুকে ডজন খানেক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হতে সময় লাগবে না। আর যদি ভৌগলিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে তৃতীয় কোন রাষ্ট্রকে সামরিক সুযোগ দেয় বাংলাদেশ; তাহলে কি হবে ভারতের অবস্থাটা বুঝুন। তবু এই ভারত আমাদেরক বন্ধুত্বের কথা বলে পিঠে ছুরি মারে! ফুলের বদলে উপহার দেয় রক্ত! ভালোবাসার বদলে দেয় ঘৃণা! আর মনে করে এ দেশ এবং দেশের মনুষ বেঁচে আছে তাদের দয়ায়!!!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

বেনামি মানুষ বলেছেন: বেশতো!

২| ১৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৬

হাতেম গাজী বলেছেন: সুন্দর ভাবনা। উগ্রো জাতীয়তা আবার যেন বিশ্বযুদ্ধের জন্ম না দেয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.