![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু দিন আগের কথা, আমি ট্রেনে খুলনা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলাম। তো আমার সিট পড়ছিলো দরজার একেবারে কাছাকাছি। আর দুই বগির মাঝের ফাকা জায়গায় দাড়ায় ধুচায় সিগারেট খাইতেছিলো এক আঙ্কেল; একটার পর একটা। রুয়েটে ঠিক পরের দিন সম্ভবত কোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নিয়োগ পরীক্ষা থাকায় সাম্প্রতিক ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা অনেক ভাইও ঐ দিন ট্রেনে ছিলো। তারা অনেকেই সিগারেটের বাজে গন্ধ সহ্য করতে না পেরে ইনডাইরেক্টলি নানা কটাক্ষ করতেছিলো। কিন্তু কাজ কিছুই হচ্ছিল না। আমিও যথারীতি ব্যাপারটা নিয়ে সমস্যায় ছিলাম। তো সিট থেকে উঠে যেয়ে আমি আঙ্কেল কে বললাম সমস্যা হচ্ছে, এটা বন্ধ করেন। তবু কাজ হলো না। সে দেদারচ্ছে তার কাজ চালাতে থাকলো। এবার আমি ট্রেনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ডেকে আমার সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বললাম। তিনি লোকটাকে যেয়ে তার মতো করে কিছু কথা বলে সিগারেট খাওয়া বন্ধ করতে বললেন। অবশেষ কাজ হলো।
.
এবার আসল কথায় আসি। আমাদের সমাজে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটা প্রকট নারীবাদী ট্রেন্ড চালু হয়ছে। একটা নারী যা খুশি করবে, কিন্তু কিছু বলা যাবেনা। মেয়েদের সব ধরনের কর্মই হালাল! একদল লোক যে কোন উপায়ে যে কোন যুক্তিতেই ঐ কাজকে সাপোর্ট দিতে চাইবে। নারী পরকীয়া করবে; স্বামী বাধা দিলে বলবে স্বামী হলেই বাধা দেওয়ার অধিকার নেই। মেয়ে উশৃঙ্খলতা করলে বাবা মা রোখার চেষ্টা করবে; কিছু লোক বলবে নারীদের দমিয়ে রাখার প্রয়াস। বাহ! কি সুন্দর ট্রেন্ড। এ ট্রেন্ডের হাত ধরেই ঐশিরা জন্ম নেয়। এ ট্রেন্ডের হাত ধরেই মায়ের হাতে তার গর্ভজাত সন্তান নির্মম ভাবে খুন হয়। এই নারীবাদের ধোয়াতেই মেয়েকে অপকর্মে বাধা দেওয়ায় বাবা মিথ্যা যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়! এমন হাজারটা উদহারণ দেওয়া যাবে। বদরুল খাদিজার ঘটনাটা যখন ঘটেছিলো তখন আমি একটা বিশ্লেষনধর্মী লিখা লেখেছিলাম। সেখানে আমি বদরুলের কর্মকে যেমন নিন্দা করে বিচার চেয়েছিলাম, তেমনি বলেছিলাম সমাজের উচিত এমন ঘটনা ঘটাতে যে সব উপাদান নিয়ামক হিসাবে কাজ করে তাকে নূন্যতম নিন্দা করা। শুধু নারী বলে নিষ্পাপ তুলসি পাতার সার্টিফিকেট না দেওয়া। কারন ঘটনার পিছনের ঘটনাকে অস্বীকার করলে কখোনই দৃশ্যমান পতিক্রিয়াকে ঠেকানো যাবেনা। কারন আমি এমন বহু ঘটনা ধারাবাহিক ভাবে মিডায়াতে দেখেছি এবং সমাজিক মাধ্যমের কল্যানে পরবর্তীতে ঘটনার পেছনের সত্যটাও জানতে পেরেছিলাম। ব্যাস এতোটুকুই; নারীবাদীরা আমাকে চেপে ধরলো। এরপর একচোখা কমন ডায়লগ, 'আপনার মা বোনের সাথে ঘটলে বুঝবেন।' আচ্ছা, গতোকাল যে ইডেনের ছাত্রী লাইলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়ায় আলআমিন নামক একটা ছেলেকে কোপালো; এখন সেই আপনারাই কেন বলছেন, মেয়েটা একেবারে ঠিক করছে? প্রেমে প্রতারণা করলে এমনই করা উচিত। মেয়েটা সাহসী, প্রতিবাদী নারী, উপযুক্ত হয়ছে ইত্যাদি ইত্যাদি। বদরুল যেই কারনে আলোড়ন তোলা জঘন্য কাজটি ঘটিয়েছিলো, ঠিক একই কারনে তো লায়লীও একই ধরনের জঘন্য একটা কাজ ঘটিয়েছে। এখন আপনার পতিক্রিয়া দুটি ঘটনায় ভিন্ন কেন? দুটি অপরাধই তো সমান নিন্দার যোগ্য। বলতেই হচ্ছে, আপনি একজন সুবিধাবাদী এবং একচোখা মানুষ। সুশীল নামধারী বদমাইশ; নারীবাদী নামধারী ভন্ড। নারীকে প্রকৃত মর্যদা এনে দেওয়াই আমার কাছে নারীবাদ। একটা নারীকে বেশ্য হতে উৎসাহিত করা কখনো নারীবাদ হতে পারে না। আর নিউটনের সূত্রটা তো জানেন, 'প্রতিটি ঘটনার সমান এবং বিপরীত পতিক্রিয়া আছে।'
.
এবার আসি শর্টফ্লিম বৈষম্য এর কথায়। সমাজিক সচেতনতামূলক এই ভিডিওতে তো আমি একটা জায়গায় সামন্য একটু ভুল ছাড়া খারাপ কিছু দেখি না। শেষের কথাগুলো "কোন মেয়ে পাবলিক প্লেসে সিগারেট খেলে ভিডিও করে ফেসবুকে দিন" না হয়ে বরং হওয়া উচিৎ ছিলো "ছেলে কিংবা মেয়ে, পাবলিক প্লেসে সিগারেট খেলে বাধা দিন। না শুনে উল্টা মাস্তানি করলে ভিডিও করে ভাইরাল করুন।" ব্যাস এই ভিডিওর তো লেকিংস আমি এতোটুকুই দেখি। এখন অনেক ডিজিটাল প্রতিবন্ধী বলতেছে মেয়েরা পাবলিক প্লেসে সিগারেট খাইলে অন্যদের কি? যারা মেয়েদেরকে ঘরে বন্দী রাখতে চায় তারাই মেয়েরা সিগারেট খাক এটা চায় না। এটাও অনেকে বলতেছে যে, যার যার খুশি মতো সে চলতেই পারে। আমি বলতে যাবো কেন? তাদের কথা কেউ নেংটা হয়ে হাটলে আপনি চোখ বন্ধ করে থাকুন! আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, আপনারা আসলে মানুষ্য আকৃতির আস্তো বলদ। কেউ মদ খেয়ে হাইওয়েতে মাতলামী করতে গেলে যেমন গাড়ি নিমিষেই তাকে ডলে দিবে। তেমনি আপনার ঘরের বউ হলেও কিন্তু রাস্তায় ধরে কোন মেয়েকে আপনি পিটাতে পারবেন না। সমাজ চলে একটা চেন অফ কমান্ডে, যা হাজার হাজার বছর ধরে প্রবাহমান। ভিন্ন ভিন্ন জনপদের ভিন্ন ভিন্ন ভৌগলিক সীমারেখায় তা ইউনিক। তবে বাস্তব হলো, উশৃঙ্খল জীবন যাপন আর উলঙ্গপনায় কখনো নারী স্বাধীনতা আসেনা। বরং নারী অধিকার আনতে হয় কর্ম আর একটা সিস্টেমেটিক উপায়ে। বেশি দূর এবং উচ্চ লেভেলে যেতে হবে না, নারায়নগঞ্জের মেয়র আইভীকে দেখুন না; নারী অগ্রযত্রার জীবন্ত আইডল তিঁনি। কিন্তু আমদের বাঙালী নারীবাদী লুচুদের কাছে নারী অগ্রযাত্রা মানে নারীর উশৃঙ্খল ও প্রতারণাপূর্ণ জীবনযাপন এবং উলঙ্গপনার বাধাহীন লাইসেন্স!
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮
Abdullah Al Noman বলেছেন: নারী অধিকারের নামে বাংলাদেশের কথিত নারীবাদীরা নারীদের সর্বনাশ করছেন।নারীবাদীদের একগুঁয়ে দৃষ্টিভঙ্গি এর মূলকারণ। লেখককে ধন্যবাদ। অনেক সুন্দর লিখেছেন।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩
মোঃ নাজমুল হাসান [নাজমুল] বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: আইভী ভালো।
ওসমান খারাপ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩০
fahimonmood বলেছেন:
www.nirbik.com