নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/nazmulhasanmajumder

নাজমুল হাসান মজুমদার

আবার আসবে তুমি নিশুতি প্রেমে , বুকের পাঁজরে বাজি ফোটাবে তুলকালাম মেঘের । জানালা বন্ধ করলে তুমি আরও ঘিরে ধরবে বেশি করে, এক কোটি বছরের গল্প করবে https://www.facebook.com/nazmulhasanmajumder

নাজমুল হাসান মজুমদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউ : স্প্রিং-সামার-ফল-উইন্টার এবং স্প্রিং

০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:২২





স্প্রিং-সামার-ফল-উইন্টার চারটি ঋতুকে চলচ্চিত্রের নির্মাতা-লেখক কিম কি দুক মানুষের জীবনের চারটি সময়ের সাথে কাব্যিক বিশ্লেষণ করেছেন তার “স্প্রিং-সামার-ফল-উইন্টার এবং স্প্রিং” চলচ্চিত্রে । চলচ্চিত্র মানুষের জীবনকে তুলে ধরে , চারটি ঋতুকে ছবির নির্মাতা মানুষের জীবনের চারটি সময় শৈশব-তারুন্য-যৌবন- বার্ধক্যের সাথে তুলনা করেছে । সময়ের স্রোতে কিভাবে আমরা এই সময়গুলো অতিবাহিত করি তারই চলচ্চিত্র প্রকাশ ছবির গল্প ।



মানুষ কিভাবে বদলে যায় সময়ের সাথে কিংবা মানুষের জীবনের যে পরিবর্তন তা আমাদের বিভিন্ন জনের চোখে বিভিন্নভাবে ধরা পড়ে । যাকে ভাবছি আনন্দ তা হয়ত দুঃখ অন্যকোন জীবনের জন্যে কষ্ট । বেঁচে থাকার পরিবর্তনশীলতায় কতটা আমরা সময়ের সাথে খাপ খাওয়াতে পারি ? আমরা কি আসলে বুঝি আমার চাওয়া কিংবা অন্য মানুষটার প্রয়োজনটা । জীবনের আনন্দদের মাঝে বিষাদের ছোঁয়া থাকে । জীবনের বৃত্তকার বলয়ে ঘুরে ফিরে জীবনটা থমকে যেতে কি পারেনা ? আমি মানুষ সে মানুষ গল্পটা কি শুধু এইটুকুতেই শেষ হয় ? জীবন সবসময় আনন্দ দিতে পারেনা , কিছু দায়িত্ব- কিছু কর্তব্য থাকে যা সময়ের প্রয়োজনে সময়ের জন্যে করতে হয় । আর এজন্যেইতো জীবনকে মানুষ এত বৈচিত্র্যময় বলে ।







শহর থেকে অনেক দূরে একটি হ্রদ । সেখানে একটি ভাসমান বৌদ্ধ মন্দির , যাতে একজন বৃদ্ধ সন্ন্যাসী থাকেন ।তার সাথে থাকে ছোট একটা বালক যে তার কাছ থেকে দীক্ষা নেয় কিভাবে সন্ন্যাসী হবে । কিন্তু জীবনটায় একটা নির্দিষ্ট পরিমাপের মধ্যে আনা এবং ধরে রাখা কি খুব সহজ ? এখানে কি দীক্ষা নিতে আসা একটা বালককে কি কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হতে হয়না ? জীবনের বহমানতা , নিজের জীবনে নিজের সময়ের চাওয়া –পাওয়াগুলো নিজের মত ভাবতে গেলে কিংবা সবকিছু নিজের মত করতে গেলে অন্য আরেকজনের যে সমস্যায় পরতে হয় তা কি সবসময় নিজের মত হয় ? গল্পের জীবনতো মানুষেরই জীবন । সেখানে একজন সন্ন্যাসী হতে যাওয়া তরুণ কি আসলেই পারে নিজের মতন সব করতে কিংবা জীবনের অর্থবহতাকে খুঁজে পেতে । বসন্ত যায় বসন্ত আসে , এর মাঝে চলে যায় গ্রীষ্ম-শরৎ-শীত । প্রকৃতি পাল্টাতে থাকে আর সাথে সাথে কাব্যিক পরিবর্তন ঘটতে থাকে চলচ্চিত্রের ফ্রেমে সময়কে বন্দী করে। শহরের জীবনের আগ্রাসন কি একবার ছুঁতে চায়না এই জীবনের মানুষকে।প্রতিটা ঋতুর সময় যেন জানান দিচ্ছে মানুষের জীবনের ধাপ আর বেঁচে থাকার মুহূর্তগুলোতে কষ্ট-সুখ মন্দলাগা-ভালোলাগা ।







মানুষের জীবনের রৈখিকতা অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন গল্পের সমষ্টি । জীবন যেখানে যেমন এই ধারায় চলে কালের স্রোতে মানুষের গল্প । মানুষের জীবনের প্রতিটি স্তর মানুষের মুহূর্তগুলোকে কিভাবে সাজায় মানুষ ,তাই আসলে ফুটিয়ে তোলার নিরন্তন চেষ্টা চালান চলচ্চিত্রের কবি পরিচালক কিম কি দুক । বেঁচে থাকার গল্প , আনন্দময়তা কিংবা শৈশব কিংবা কৈশোর , তারুণ্য-যৌবন, বার্ধক্য সময় সবই মানুষের একদিন স্বাদ নিতে হয় বেঁচে থাকলে । সেই সংস্পর্শ থেকে কেউ ভিন্ন হতে পারেনা । বার্ধক্যের একাকীত্ব , যৌবন কিংবা তারুণ্যের রোমান্স বা দায়িত্ববোধ সব জীবনের অংশ ।



চলচ্চিত্রের ভাষাশৈলীতে নান্দকিতার প্রকাশ ঘটানোই কাজ চলচ্চিত্রে পরিচালক- কিম কি দুক । তার চলচ্চিত্রে যেন উঠে আসে কবির কবিতার গল্প-জীবন । মানুষের জীবনের বেঁচে থাকার অর্থময়তা , জীবনের ব্যাকরণ সবকিছুর সংস্পর্শের এক অদ্ভুত মেলবন্ধন পাওয়া যায়। পাওয়া যায় মানুষের ভেতর থেকে নিংড়ে আসা জীবনের কিন্তুগুলো ,জীবনের গন্ধ । বেঁচে থাকা আসলে কি ? জীবন আসলে কি ? আমাদের পরিবেশ , সময় আসলে আমাদের কোথায় দাঁড় করিয়ে দেয় তা তার চলচ্চিত্রের পরতে পরতে উঠে আসে । জীবনের কথা , জীবনের প্রাসঙ্গিকতা , সময়ের স্রোত আমাদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে জীবনের কোন সমাপ্তে ডেকে আনে তার মূর্তমান প্রকাশ ঘটে কাব্যশৈলীময় তার চলচ্চিত্রের সেলুলয়েডের ফ্রেমে ।







গল্প,উপস্থিতি, কাল কিংবা সময়ের প্রাসঙ্গিকতার উপস্থাপন সবকিছুর মিলে একটা চলচ্চিত্র চমৎকার হয়ে উঠতে পারে । চলচ্চিত্রের গল্পটিও পরিচালকের নিজের লেখা আর তাই হয়ত নিজের সাথে চমৎকার বোঝাপড়া হয়েছে গল্পটিকে চলচ্চিত্রের ফ্রেমে বন্ধী করতে । অভিনয়ে ছিলেন কিম কি দুক নিজে এবং তার সাথে ছিলেন আরও ইয়ং সু ওহ , ইয়ং মীন কিম, ইউ জিন হা , জং হ কিম , জাং ইয়ং কিম প্রমুখ । শিল্পীদের উপস্থিতি , আবহ সংগীত , দৃশ্যায়ন আর্ট ডিরেকশন সবকিছুতেই ছিল চমৎকার সৃষ্টিশীলতার ছাপ । শীতের দৃশ্য কিংবা বসন্তের স্পর্শ সব মুহূর্তগুলো আন্দোলিত করবে চলচ্চিত্রে পর্দায়। কোরিয়ান ভাষায় নির্মিত দক্ষিণ কোরিয়ার এ চলচ্চিত্র মুক্তি পায় ২০০৩ সালে ।







মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৩২

ইঁদুর চিকার মারামারি, নষ্ট করে বসত বাড়ি বলেছেন: ছবিটা অনেক আগেই দেখেছি! ছবিটা শেষ হবার পর মনে হয়েছিলো কেনো শেষ হলো !!! অসাধারন একটা ছবি!!

০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৬

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: আসলেই অসাধারণ

২| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৪২

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:

গল্প,উপস্থিতি, কাল কিংবা সময়ের প্রাসঙ্গিকতার উপস্থাপন সবকিছুর মিলে একটা চলচ্চিত্র চমৎকার হয়ে উঠতে পারে- সহমত ৷

কি দ্যুক কিমের অন্যতম শ্রেষ্ট মাস্টারপিস ৷ আবহ সংঙ্গীত আর লোকেশন, সেট শৈল্পিক ও নান্দনিক ৷ কম ডায়লগ দিয়ে অসাধারণ ছায়াশিল্প ৷



রিভিউ ভাল লাগল ৷

০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৪

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: একমত ভাই আপনার সাথে । ধন্যবাদ ।

৩| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৫

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: চমৎকার রিভিউ। দেখার ইচ্ছা রইল।

০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৭

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ধন্যবাদ । চমৎকার ছবি

৪| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার লাগল আপনার রিভিউ। নিয়মিত আরো রিভিউ পাবার আশা রাখি।

এটা আমার অন্যতম একটি প্রিয় মুভি! যারা দেখেন নি, তারা অনেক ভালো জিনিস মিস করছেন।

০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১:০৫

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: আমারও প্রিয় একটি মুভি । ধন্যবাদ ।

৫| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১:১৭

সুইট এঞ্জেল বলেছেন: আচ্ছা বারবি নিয়ে কি আমি এরকম লিখতে পারবো?

০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১:২০

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: বুঝলাম না । আপনার লিখতে ভালো লাগলে অবশ্যই লিখবেন । আপনি আপনার সিদ্ধান্তের মালিক । ধন্যবাদ ।

৬| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১:২১

সুইট এঞ্জেল বলেছেন: বারবি তো কারটুন। ওটা নিয়ে কি লেখা যাবে?

০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১:২৫

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: এই দেখেন আমি এনিমেশন নিয়ে লিখছি। অবশ্যই লেখা যায়। Click This Link

৭| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ২:৩৮

কালের সময় বলেছেন: চলে যায় দিন কথা থাকে
দিন তবু নাহী ফিরে আছে ।
এ তো পুরান কথা নতুন কি ছু আ ছে কি আপ নার কাছে ।

০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: আছে :)

৮| ০৮ ই মে, ২০১৪ ভোর ৪:৪৭

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:


সুন্দর রিভিউ!!!

০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৪

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

অদৃশ্য বলেছেন:






দেখবার ইচ্ছা রাখলাম... লিখাটি ভালো লেগেছে


শুভকামনা...

০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:১৯

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ধন্যবাদ

১০| ০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৭

আশার বাপ বলেছেন: কোন ডায়ালগ ছাড়াই যে একটা মুভি এতটা সুন্দর হয়। স্প্রিং না দেখলে কেউ বলতে পারবে না।

০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: একমত

১১| ০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

রিভিউ ভাল লাগল +++

০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ধন্যবাদ

১২| ০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: রিভিউ ভাল লাগল । ভাল থাকুন ভাই ।

০৮ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । আপনিও ভালো থাকুন

১৩| ০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার রিভিউ। মুভিটা দেখেছি। অসাধারণ।

০৮ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই

১৪| ০৮ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দারুণ একটা ছবি।

০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:০৫

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: হুম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.