নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেসবুকঃ ওসমান আহমেদ সাকিব

"" It is a difficult thing to tell the story of a life;and yet more difficult when that life is one's own. ""

নীল_সুপ্ত

সাহিত্যে ব্যাপক আগ্রহ, আমি কবিতা পড়তে (কদাচিৎ লিখতেও) পছন্দ করি। ইতিহাস আমাকে আলোড়িত করে... আর রাজনীতি আমাকে দর্শন শেখায়।

নীল_সুপ্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাস না জানা তরুণদের প্রতি (অনুপর্ব-০১)

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

১৮৫৭ সালে উপমহাদেশের স্বাধীনতা বিপ্লব ব্যর্থ হবার পর মুসলমানদের উপর ঘোর দুর্দিন নেমে আসে, হাজার হাজার আলেমকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলানো হয়।কিন্তু এভাবে মুসলমানদেরকে ধর্মান্তরিত করতে ব্যর্থ হয়ে ইংরেজরা এক নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারা মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ আর নেতৃত্বদানকারী আলেমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর জন্য আলেম নামধারী দুজনকে বেছে নেয়।

১) মির্জা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী (১৮৩৫-১৯০৫)

২) মাওলানা আহমদ রেজা খান বেরলভী (১৮৫৬-১৯২৪)

ভারতের পূর্ব পাঞ্জাবের গুরুদাস্‌পুর জেলার কাদিয়ান নামক গ্রামের মির্জা গোলাম আহমেদ ইংরেজদের পৃষ্ঠপোষকতায় নিজেকে নবী বলে ঘোষণা করে এবং ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা হারাম বলে প্রচার করে। তার অনুসারীরাই কাদিয়ানী নামে পরিচিত।

অন্যদিকে, ভারতের উত্তর প্রদেশের অন্তর্গত বেরলী শহরের সওদাগর নামক গ্রামের মাওলানা আহমদ খান বেরলভী নিজেকে প্রথমে আশেকে রাসূল এবং পরে আব্দুল মোস্তফা (রাসূল (সাঃ) এর দাস) নামে অভিহিত করে। তিনি ইংরেজদের পৃষ্ঠপোষকতায় একদিকে ভ্রান্ত আকীদা প্রচার ও নানা প্রকার শরীয়ত বিরোধী কাজ চালু করে শিরক ও বেদায়াতের পথ উন্মুক্ত করেন এবং অন্যদিকে ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ্‌রত ওলামায়ে কেরামগণকে ওহাবী বলে প্রচার চালায়।অর্থাৎ দেওবন্দী ওলামায়ে কিরামগণের বিরুদ্ধে আরব্দেশের নাজদ প্রদেশের মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাবের মতালম্বীর অপবাদ আনয়ন করেন। সেই সময়ের ৩ শতাধিক মুফাসসির,মুহাদ্দিস,মুজাদ্দিদ,মুজাহিদ এবং সংস্কারক বলে বিবেচিত দেওবন্দের আলেমদেরকে তিনি কাফির বলে ফতোয়া দেন। যুগের এইঁসব শ্রেষ্ঠ আলেমগণের প্রকৃত পরিচয় গোপন রেখে তাঁদের লেখা বিভিন্ন বইকে আংশিক উপস্থান এবং অর্থ বিকৃত করে আরবী ভাষায় তা অনুবাদ করে তাঁদের বিরুদ্ধে হেজাজের কয়েকজন সরলপ্রাণ আলেম থেকে তাঁর লিখিত "আল মোতামান ওয়াল মোস্তানাদ" বইয়ে কুফরী ফতোয়ার উপর সাক্ষর আদায় করেন। যেটা তাঁর অনুসারীদের মাঝে "হোসামুল হারামাইন" নামে পরিচিত।

এভাবেই এই দুই ব্যক্তি ইসলামের অনেক ভয়াবহ ক্ষতি সাধন করেছে এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি সহ মুসলিম সমাজে শিরক বিদায়াতের রাস্তা উন্মোচন করে দিয়েছে।

তাই ওলামায়ে দেওবন্দের মতে উপরোক্ত দুই ব্যক্তি মুসলিম ইতিহাসে চির কলংকিত এবং ঘৃণিত হয়ে থাকবে।



ইতিহাস কেন জানি বারংবার ফিরে আসে নতুন রূপে।

বর্তমান সময়ের শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ এর জন্য আমার এই ইতিহাস দেয়া।

এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর শোলাকিয়ার তৎকালীন ইমামকে বরখাস্ত করে মাওলানা ফরিদ উদ্দির মাসুদকে নিয়োগ করা হয়। এই ব্যক্তি সেই ব্যক্তি যিনি ২০০৫ সালে জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতার কারণে একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছেন। এই ব্যক্তি সেই ব্যক্তি যাকে ওআইসি ১৯৯৬-২০০১ সালে তিন তিনবার প্রত্যাখ্যান করেছিল তার বিশ্বাসগত (আক্বীদাগত) ত্রুটির কারণে, এই ব্যক্তি সেই ব্যক্তি যিনি বছর তিনেক আগে শোলাকিয়ার সাধারণ মুসল্লিদের কাছে হেনস্থার স্বীকার হয়েছিলেন।

সবচেয়ে বড় কথা এই ব্যক্তি সেই ব্যক্তি যিনি এত দায়িত্বশীল একটা জায়গায় থেকেও বিগত চার বছরে সরকারের প্রচন্ড ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকান্ড এর বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ জানান নি।



যুদ্ধপরাধ এর বিচার যে কেউ অবশ্যই এবং অবশ্যই চাইতে পারেন। সেই সাথে একজন দায়িত্বশীল পদে অধিষ্ঠিত একজন মাওলানার কাছ থেকে ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকান্ডের যখন বিন্দুমাত্র কোন প্রতিবাদ পাওয়া যায়না যে কারো সন্দেহ জাগাই স্বাভাবিক।



খুব মনে পড়ছে, বায়তুল মোকাররমের প্রাক্তন খতিব শায়খুল হাদীস মরহুম মাওলানা ওবায়দুল হক যিনি ১৯৯৬-২০০১ সালে খতিব থাকাকালীন অবস্থায় স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছিলেন সরকারের ইসলাম বিদ্বেষী প্রতিটি কর্ম কান্ডের। সে কারণে তাঁকে 'খতিব' থেকে সরাতে অনেক চেষ্টা করেও সাধারণ মুসল্লিদের ব্যাপক তোপের মুখে পড়ে তা করার সাহস দেখাতে পারেনি তদানীন্তন সরকার।



অতএব, সাবধান, মুসলমান ভাই-বোনেরা। যুদ্ধপরাধের বিচার চাওয়া মানে কোনভাবে এই নয় যে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ,মাদ্রাসা জঙ্গিবাদের কারখানা কিংবা ইসলাম বিদ্বেষীদের প্রচন্ড ঘৃন্য লেখাকে বিন্দুমাত্র সমর্থন করা। তাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে সচেতন থাকুন, অন্যকে সচেতনে সচেষ্ট হোন।



তথ্যসূত্রঃ "দেওবন্দ আন্দোলন একটি জিহাদ"

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নবীজী বলেন আখেরি যামানায় আমার উম্মতের মধ্য মতানৈক্য
সৃষ্টি হবে আর সে জামানা হবে জাহেলিয়াতের চাইতে নিকৃষ্ট
যারা কোরআন ও হাদিস তথা আমার ছুন্নতের উপর প্রতিষ্ঠিত
থাকবে তারাই মুক্তি প্রাপ্ত ।
মুস্নাদে দুব্বে ছমিন ও বায় হকি
হাদিস সংকলন থেকে ।

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

নীল_সুপ্ত বলেছেন: ধন্যবাদ হাদিসটি উদ্ধৃত করার জন্য ।

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৩

নায়করাজ বলেছেন: অতএব, সাবধান, মুসলমান ভাই-বোনেরা। যুদ্ধপরাধের বিচার চাওয়া মানে কোনভাবে এই নয় যে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ,মাদ্রাসা জঙ্গিবাদের কারখানা কিংবা ইসলাম বিদ্বেষীদের প্রচন্ড ঘৃন্য লেখাকে বিন্দুমাত্র সমর্থন করা। তাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে সচেতন থাকুন, অন্যকে সচেতনে সচেষ্ট হোন।
...............................................................................
আপনার এই লেখাগুলোকে প্রবল সমর্থন জানালাম।





সলামের সেবক বলে দাবীদার জামায়াত শিবির রাজাকার যুদ্ধাপরাধী চক্রের মিথ্যার বেসাতি পাবেন নিচের লিংকে। তাদের মিথ্যার বেসাতি দেখে অবাক হয়ে যাবেন। Click This Link

ইসলামের সেবক বলে দাবীদার জামায়াত শিবিরের নেতা মওদুদীর ভ্রান্ত আকিদা সম্পর্কে বলেছেন বিভিন্ন আলেম উলামাগণ। সরাসরি নিচের লিংকে চলে যান : Click This Link

জামাতে ইসলাম প্রকৃত ইসলাম নয়। বিস্তারিত পাবেন এখানে : Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.