নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই বেশ ভাল আছি !!!

নীল ভোমরা

আমি এক যাযাবর....

নীল ভোমরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাভলু মামার ভুতের গল্প!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫০



''ডুমনীগড় ফরেস্ট রেঞ্জে আমার পোস্টিং অনেক দিন হলো।''....লাভলু মামা গল্প বলা শুরু করলেন। ডুমনীগড় যে মানচিত্রের ঠিক কোন জায়গাটায়, আমরা কেউই মালুম করতে পারলামনা, কিন্তু ঐ এক ধরন লাভলু মামার..... গল্পের মাঝখানে ফোঁড়ন কাটলেই মহা ক্ষেপে যান তিনি... তাই মাথা নেড়ে চুপচাপ গল্প শুনছি আমরা..... ''জায়গাটা আমার মনের মত। বড় বড় চাপালিশ আর শিরীশ গাছে ঢাকা বন.... গোটা বন জুড়ে আছে বাঁশ আর বেতের ঘন ঝোপ। সাপ, বেজি, বানর ছাড়াও আরও কত কি বন্য প্রাণী যে আছে ডুমনীগড় বনে.. তার কোন ইয়ত্তা নাই।''

হারিকেনের ভৌতিক আলোয় কাচারী ঘরে মামার গল্প শুনতে বসেছি আমরা চার কাজিন... পল্টু, বিল্টু, টগর আর আমি। অনেকদিন পরে লাভলু মামাকে পেয়েছি। সারাদেশে যুদ্ধ চলছে.... জানের ভয়ে আমরা শহর ছেড়ে গেছি নানার বাড়ীতে... গ্রামে। বড় খালা, সেজ খালা কয়েকদিন আগেই ছেলে মেয়ে নিয়ে চলে এসেছেন গ্রামে। চির ব্যাচেলর লাভলু মামা বাড়ী এসেছেন আজই সন্ধ্যায়। বাড়ী ভর্তি লোকজন। বড়দের চোখ ফাঁকি দিয়ে লাভলু মামা আমাদের গল্প শোনাতে নিয়ে গেছেন কাচারী ঘরে... আমরাও তাঁর গল্পের খুব ভক্ত। মামার অভিজ্ঞতার ভান্ডার খুব সমৃদ্ধ.... গল্প বলেনও খুব জম্পেস করে!



'' খাসিয়া পল্লীতে পরব অনুষ্ঠান.. সেখানে আমার নেমন্তন্ন।'' বলে চলেছেন মামা...'' ডুমনীগড় বনে দশ-বারো ঘর খাসিয়ার বাস। নেমন্তন্ন খেয়ে ফিরছি আমার বাংলোয়। রাত তখন.. এই ধর, দশটা। বন বাঁদারেই-তো জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়ে দিলাম.... বনে জঙ্গলে আমার কোন ভয়-ডর লাগেনা। সাথে আছে তিন ব্যাটারীর টর্চ লাইট আর আমার অফিসের দারোয়ান প্রদীপ। সেদিন ছিল কৃষ্ণপক্ষ... চারদিকে অন্ধকার। টর্চের আলোয় ঝর্ণার ধার ধরে চলছি। পাতার ঝিরিঝিরি শব্দ... আর ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। এরইমধ্যে হঠাৎ খেয়াল করলাম পাতা মাড়ানোর খসখস শব্দ!''

অন্ধকার রাতে বন জঙ্গলের পরিবেশ, কাহিনীতে একটা ছমছম ভাব! আমরা নড়েচড়ে বসলাম......'' ভাবলাম কোন বন্য শুকর বা শেয়াল-টেয়াল হবে হয়তো! চারদিকে টর্চ মেরে কিছু দেখতে পেলামনা। কিছুদূর এগুতেই আবার সেই খসখস শব্দ! আমরা চলতে শুরু করলেই খসখস শব্দটা যেন আমাদের পিছু নিচ্ছে... আমরা থেমে গেলেই শব্দটাও থেমে যাচ্ছে! উহু... বুঝলাম কিছু একটা আমাদের ফলো করছে।''

গল্পে এখনই হয়তো কোন অশরীরি আত্মার আবির্ভাব ঘটবে... ভৌতিক পরিবেশ.. আর মামার গল্প বলার মুন্সিয়ানার ফলে তেমনই আশা করছিলাম আমরা। গুটিশুটি মেরে ভয়ে ভয়ে গল্প শুনছি...'' শীতের রাত! সাপ-খোপ হবার সম্ভাবনা কম। রাতের বেলায় এই এলাকায় মানুষেরও যাতায়াত নাই। প্রদীপ একটু ভয় পেয়েছে মনে হচ্ছে..... ভূত-প্রেতে বিশ্বাস আছে ওর। কিন্তু আমি ভাবছি অন্য কিছু। ডুমনীগড় বনের পরেই যে পাহাড়টা... ওটা ইন্ডিয়ায় পরেছে। কোন অপারেশনে গেলে এ পথ দিয়েই ওপার থেকে গোলাবারুদ নিয়ে ঢোকে মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু আজ-তো কোন অপারেশনের ইনফরমেশন নাই! কোন অপারেশন হলেই আগাম ইনফরমেশন পেতাম আমি। মুক্তিযোদ্ধাদের নির্বিঘ্নে পাড় করার দায়িত্ব ছিল আমার।''



প্রায় জমে ওঠা একটা ভুতের গল্প হঠাৎ করে অন্যদিকে টার্ন নেওয়ায় আমরা সবাই আশাহত!... তারপরও অধীর আগ্রহ নিয়ে শুনছি...'' আবছা অলোয় হঠাৎ দেখলাম প্রদীপের চোখ কপালে.. কিছু একটা দেখে প্রচন্ড ভয় পেয়েছে ও...ভয়ে ওর মুখ হা হয়ে আছে! পিছন ফিরতেই দেখি... অন্ধকারের আড়ালে সাদা আলখেল্লা পড়া এক মূর্তি...মাথায় সাদা টুপি! বাতাসে নড়ছে আলখেল্লার আস্তিন! সাক্ষাত যেন যমদূত!''

গল্পটা এবার কোন দিকে টার্ন নেবে ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা...''ভুত-প্রেতে আমার বিশ্বাস নাই। আমি টর্চ মারতে যাব...এমন সময় কেউ একজন আমার হাত দু'টো পেছনমোড়া করে শক্ত করে বেঁধে ফেললো। সাদা আলখেল্লা-টা দু'পা এগিয়ে এলো আমার দিকে... পরিচিত গলার আওয়াজ পেলাম -'মাফ করবেন জনাব, আপনার বড্ড বাড় বেড়েছে... আপনি পাকিস্তান বিরোধী।... বেজন্মা মুক্তির সাথে হাত মিলিয়েছেন... আপনি দেশের শত্রু... আপনাকে উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে।'..... গলা শুনেই বুঝলাম আমার অফিসেরই বড়বাবু (সিনিয়র ক্লার্ক) আব্দুল লতিফ পাটোয়ারী.... ব্যাটা রাজাকারের বাচ্চা!''



চুপচাপ শুনছি আমরা...'' বনের নির্জনতাকে ভেঙে দিয়ে হঠাৎ ঠা ঠা করে পরপর চারটা গুলির আওয়াজ। একটা আমার বুক ভেদ করে চলে গেল... আর একটা লাগলো তলপেটে! প্রদীপের লাশটা গড়াতে গড়াতে গিয়ে পড়লো ঝিরির পানিতে.... আমার লাশটা গিয়ে পড়লো বিশ ফুট নীচে ঝিরির খাদে।'' গল্পের এই পর্যায়ে এসে একটু দম নিলেন মামা। তিনি খুব চমৎকার গল্প বলেন বটে, তাঁর গল্প বলার স্টাইলই আলাদা.... গল্পের আবহ ফুটিয়ে তুলে এমনভাবে বলেন যেন সব সত্যি বলছেন!... তাই বলে এতটা?! জলজ্যান্ত শরীরে নিজের মরার গল্প বলে গেলেন অবলিলায়?! ... মামা পারেনও বটে!

কিন্তু বিটকেল বিল্টুটা এবার আর চুপ থাকতে পারলো না.... ''চাপাটা একটু বেশী হয়ে গেলনা মামা? আপনি নিশ্চয়ই এটা সত্যি কাহিনী বলে চালিয়ে দিচ্ছেন না?!'' ..... কিন্তু আমাদের সবাইকে অবাক করে দিয়ে মামা নিজের স্বপক্ষে অবস্থান নিলেন...'' তোদের ওই এক দোষ! তোরা সব কিছুকেই বানোয়াট ভাবিস! ডুমনীগড় বনের ঝিরির খাদে গিয়ে এখনও লাশটা দেখতে পাবি। আর হ্যাঁ.... তোদের যেটা বলার জন্য আজ এই গল্প বলা... যে যুদ্ধ আমরা শুরু করে গেছি... সেই যুদ্ধে একদিন বিজয় নিশ্চিত করতে হবে তোদেরকেই। কথাটা মনে রাখিস।''



মামার ধমক খেয়ে আমরা বিনা বাক্য ব্যয়ে চুপচাপ উঠে ঘুমাতে গেলাম। বুঝলামনা.... এমন জলজ্যান্ত ডাহা মিথ্যা গল্পটা সত্যি বলে চালিয়ে দেবার হাস্যকর প্রয়াস পেলেন কেন তিনি?! রাতে ভাল ঘুম হয়নি.... সকালে অনেক্ষণ বিছানাতেই গড়াড়ড়ি করছি। হঠাৎ শুনি বাড়ীর ভিতরে শোরগোল... সবাই কান্নাকাটি করছে। ..... ডাক পিওন চিঠি দিয়ে গেছে.... ডুমনীগড় থেকে লাভলু মামার এক সহকর্মীর চিঠি! গত প্রায় এক মাস যাবৎ মামা বিনা নোটিশে দপ্তরে অনুপস্থিত। তিন দিন আগে বনের ভিতর ঝর্ণার খাদের নীচে একটা অর্ধগলিত বিকৃত লাশ পাওয়া গেছে... পোষাক দেখে লাশটা লাভলু মামার বলে ধারনা করা হচ্ছে......

আমি আর বিল্টু মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলাম। তারপর চারজনে ছুটলাম বাড়ীর আশপাশে লাভলু মামাকে খুঁজতে.... কোথাও খুঁজে পেলামনা তাঁকে... আমরা চারজন.... অনেক খুঁজেছি...... কিন্তু আর কখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁকে।

মন্তব্য ৬৯ টি রেটিং +১৮/-২

মন্তব্য (৬৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: ভূতের গপ্পো পড়ি না, ডর লাগে :-&

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১২

নীল ভোমরা বলেছেন: হাঃ... হাঃ...

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: আশা করছি ভালো আছেন।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৫

নীল ভোমরা বলেছেন: জ্বি.... আপনি কেমন আছেন?

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২১

মেঘবালিকাণ বলেছেন: সত্যজিত রায়ের তারিণী খুড়োর ছায়া পাচ্ছি যেন!!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৫

নীল ভোমরা বলেছেন: তাই?! :-B

৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৩

অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: মেঘবালিকাণ বলেছেন: সত্যজিত রায়ের তারিণী খুড়োর ছায়া পাচ্ছি যেন!!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৮

নীল ভোমরা বলেছেন: :P :( B:-)

৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৫

ডাসট ইন দা উইনড বলেছেন: অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: মেঘবালিকাণ বলেছেন: সত্যজিত রায়ের তারিণী খুড়োর ছায়া পাচ্ছি যেন!!


একমত............ছায়া অবলম্বনে..............

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৫

নীল ভোমরা বলেছেন:
মেঘবালিকাণ, অন্ধ আগন্তুক, আপনি.... সবাই একই কথা বলেছেন। সত্যজিতের গল্প পড়েছি অনেক.... হয়তো প্রভাব রয়েছে অস্বীকার করছিনা। কিন্তু 'ছায়া অবলম্বনে' জাতীয় কিছুনা.... এলেবেলে কিছু একটা লেখার চেষ্টা করেছি মাত্র!.....

৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৭

জুন বলেছেন: কেমন যেন খাপছাড়া খাপছাড়া লাগলো।
মনে হয় পুরোপুরি মনোযোগ দিয়ে লিখেননি নীল ভোমরা।
যাক নেক্সট টাইম....

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৯

নীল ভোমরা বলেছেন: নেক্সট টাইম ট্রাই করলেই যে আপনার 'ভাললাগা' কিছু লিখতে পারবো.... এমনটা বলি কি করে?! আমিতো আর গুণী লেখিয়ে নয়। মনের আনন্দে লিখি.... সব পাঠক সন্তুষ্ট না-ও হতে পারেন, এটাই-তো স্বভাবিক, তাইনা? আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে আপনার আরও মন্তব্য/সমালোচনা প্রত্যাশা করি। ভাল থাকবেন।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:২৫

নীল ভোমরা বলেছেন: মনোযোগ দিয়েও নেক্সট টাইমেও আর ভাল কিছু লেখা হলোনা!

৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৫

ঘু্ড্ডি বলেছেন: অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: মেঘবালিকাণ বলেছেন: সত্যজিত রায়ের তারিণী খুড়োর ছায়া পাচ্ছি যেন!!

আমার মনে হয় না এটা তারিণী খুড়োর ছায়া অবলম্বনে।

ম্যাসেজের উপস্থাপনা র প্লট সবকিছু জোশ হইসে। নামটা ঠিক গেল না মনে হচ্ছে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪৮

নীল ভোমরা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ঘুড্ডি। হুমম.... গল্পের শিরোনাম নিয়ে আমার মনেও খুতখুত ভাব রয়ে গেছে!

৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৬

চতুষ্কোণ বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর একটা গল্প! গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই টানটান। শেষটা অনেক টানলো। প্রতিটা শব্দ বাক্য যথাযথ মনে হয়েছে। নির্মেদ অনুগল্প।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১১

নীল ভোমরা বলেছেন:
আপনার কমেন্টে কিছুটা আশ্বস্ত হলাম। অনেকেরই কমেন্ট পড়ে মনে হচ্ছিল পোস্টটা ড্রাফটে নেব কিনা!? একই পোস্টে সম্পূর্ণ ভিন্ন দুই ধরনের কমেন্টে আমার মত আনাড়ী লেখকদের কনফিউজড করে দেয় নিঃসন্দেহে! যদিও ভিন্ন ভিন্ন পাঠকের মন্তব্য, ভাললাগা, না লাগা ভিন্ন হতেই পারে। ভিন্ন ভিন্ন পাঠকের টেস্টও ভিন্ন। তবে, সব পাঠকের স্বাধীন মত প্রকাশের পক্ষে আমি। পাঠকের সমালোচনাই লেখককে আরও শাণিত করবে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:০৬

সায়েম মুন বলেছেন:
অনেকেই বলছেন সত্যজিত রায়ের তারিণী খুড়োর ছায়া পাওয়া যাচ্ছে। আমার এখনও তারিণী খুড়ো পড়া হয়ে উঠেনি। তবে গল্প পড়ে ভাল লাগছে। শেষ অবধি টানটানভাব আছে গল্পে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:১৪

নীল ভোমরা বলেছেন: ধন্যবাদ সায়েম মুন। গল্প পড়ে ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম।

১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:১০

পারভেজ বলেছেন: ভালো লাগলো।
+

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১২

নীল ভোমরা বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম। ধন্যবাদ।

১১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৩৬

নিভৃত নয়ন বলেছেন: ার কেমন লেগেছে জানিনা তবে আমি এক নিশ্বাসে শেষ করছি।

গল্পকথক যেমন বুঝতে পারছিল না তেমনি পাঠক কেও একটা দোটানার ভিতরে রেখেছেন পুরটা সময়।

ভৌতিকটার আবহে মুক্তিযুদ্ধের যে দৃশ্য,সাধারণ মানুষের পরোক্ষ অংশগ্রহণ,মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করা,সেই সাথে কিছু কুলাঙ্গারের দৃশ্য সুন্দরভাবে ফুতে উঠেছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করা ঐ সাধারণ মানুষগুলো ও মুক্তিযোদ্ধা।আমাদের গর্ব।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪০

নীল ভোমরা বলেছেন: ''মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করা ঐ সাধারণ মানুষগুলো ও মুক্তিযোদ্ধা।আমাদের গর্ব।''.... তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই!

১২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো। জমিয়ে বলেছেন। পুরোন দিনের গল্পগুলোর সাথে মিল আছে বলার ধরণে। কিন্তু টার্নগুলো গতানুগতিক না। +++

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১৫

নীল ভোমরা বলেছেন: বলার ধরণের কারনেই হয়তো অনেকে তারিনী খুড়োর ছায়া খুঁজে পাচ্ছেন। যথার্থ মন্তব্য! আপনার কমপ্লিমেন্ট আমাকে অনুপ্রাণিত করবে নিঃসন্দেহে! শুভকামনা!

১৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৫

শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: লেখাটি ভালই লাগল।মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা পড়ার সময় অন্যরকম আবেগ কাজ করে আমার।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩২

নীল ভোমরা বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ আমাদের আবেগ, অর্জন, আশা! মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্ব!

১৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪৭

মিলে মিশে থাকি বলেছেন: হাসি ঠাট্টার ছলেই কঠিন বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলেছেন। লাভলু মামার গল্প বলা আর আপনার সাবলীল উপস্থাপনা, যেন একই সুরেই গাঁথা। ভাল লাগল।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

নীল ভোমরা বলেছেন: হাসি ঠাট্টা কোথায় দেখলেন ভাইডি?! পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:০৮

শায়মা বলেছেন: +

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১৪

নীল ভোমরা বলেছেন: থ্যাংকু।

১৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: আমার কাছে অবশ্য তরনী খুড়োর ছায়া মনে হয়নি, কারণ খুড়োর সব গল্প হলো তার ব্যক্তি জীবনের সব আজগুবি বীরত্বের গল্প করেন।
এটা সে দিক থেকে একদমই আলাদা।

আমার খুব ভাল লেগেছে গল্পটা.....

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:৪৭

নীল ভোমরা বলেছেন: উফ..বাঁচালেন। তারিনী খুড়োর ভুত চেপে বসেছিল গল্পটায়। গল্প বর্ণনার স্টাইলে অনিচ্ছকৃতভাবে তারিনী খুড়োর কিঞ্চিত ছায়া থেকে থাকতে পারে.... তবে গল্পটা একবারেই আমার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত। ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম। ভাল থাকবেন।

১৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:০৬

জুন বলেছেন: সামান্য একটু এডিট করেছেন কি নীল ! এখন পড়ে মনে হলো মুক্তিযুদ্ধের পটভুমিতে লেখা অসাধারন এ গল্প আপনার সব গল্পকেই অতিক্রম করে গিয়েছে অনায়াসে। খাপছাড়া ভাবটা চলে গিয়ে এক জমাট কাহীনি তৈরী করেছেন, এটা সত্যি আপনার একটা বিরাট গুন যা আয়ত্বে আনা আমার পক্ষে শুধু অসম্ভবই নয়, দুঃসাধ্যও বটে।
অনেক ভালোলাগার এক গল্পে একবার প্লাস দিয়ে গেছি তাই আর দিতে পারলাম না।
তবুও রইলো অনেক প্লাস।
++++

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২১

নীল ভোমরা বলেছেন: ;) :D B:-)

১৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৪

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: এটা আপনি কি লিখেছেন?? এক কথায় কিছুই বলা যাবে না অনেক কথাতেও নয়। আমি অভিভুত। এমনিতেই মুক্তিযুদ্ধ আমাকে খুব বেশি টানে আর আপনি যা লিখেছেন -------------


-----------------------------------------------------
----------------------------------------একেবারে অন্য রকম একে বারেই আলাদা। একদম --------------- :)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২২

নীল ভোমরা বলেছেন: আপনার মন্তব্যটাও..... একেবারে অন্য রকম। একদম..... সেইরকম.... ;)

ভাল থাকবেন। শুভকামনা।

১৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:২৬

ইউনুস খান বলেছেন: অফলাইন থেকে পড়েছিলাম। গতানুগুতিক ধারার বাইরে বেশ ভালো লাগলো। ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইলো।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪০

নীল ভোমরা বলেছেন: ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম। ভাল থাকবেন।

২০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:২৫

ফাইরুজ বলেছেন: ভালো লাগলো +++++++++++

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৫

নীল ভোমরা বলেছেন: থ্যাংকু ফাইরুজ! শুভকামনা।

২১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪৩

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
রহস্য আনার জন্য গল্পের বর্ণনা অসাধারণ। বিশেষত: মুক্তিযুদ্ধকে এই ভাবে ফুটিয়ে তোলাটা ভাল লাগলো। তবে এই মৃত্যুর বর্ণনাটা আরও ডিটেইলে গিয়ে ভুতের গল্পের ছলে যুদ্ধের নির্মমতা হয়তো আনা যেত। আবার সেটা না হয়েও হয়তো ঠিক আছে।

ভাল লাগলো

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫০

নীল ভোমরা বলেছেন: হুমম.... আরও ডিটেইল বর্ণনায় যাওয়া যেত! হঠাৎ করেই যেন কাহিনীর শেষ! আসলে বেশী বড় করতে চাইনি গল্পটা... পাছে টানটান মজাটা আবার ঝুলে না যায়! আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভকামনা!

২২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:২১

ত্রাতুল বলেছেন: প্রথম পাঠ। নতুন কিছুর অপেক্ষা। +++

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৩০

নীল ভোমরা বলেছেন: আমার আঙিনায় ঘুরে যাবার জন্য ধন্যবাদ! শুভকামনা!

২৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩০

দীপান্বিতা বলেছেন: বেশ ভাল লাগল…শুরুটা আরেকটু নাটকীয় হলে…মানে, মামার সাথে কখন কি ভাবে দেখা হল আর গল্পটা শুরু হল বললে শেষটা আরো জমত মনে হয় ....

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৫৫

নীল ভোমরা বলেছেন: গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।

২৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:০১

ডেইফ বলেছেন:
নিজের মত করে লিখেছেন সেটাই বড় কথা।
ভাল লাগলো গল্পটি।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪৫

নীল ভোমরা বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৩

সকাল রয় বলেছেন: :D :D :D :D
সুন্দর

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৬

নীল ভোমরা বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেকদিন পর দেখলাম অপনাকে। শুভকামনা।

২৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

পাহাড়ের কান্না বলেছেন: আমার কাছে ভালোই লাগলো

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

নীল ভোমরা বলেছেন: ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম। ভাল থাকবেন।

২৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:২১

বাবু০৫বিডি বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর একটা গল্প! গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই টানটান। শেষটা অনেক টানলো। প্রতিটা শব্দ বাক্য যথাযথ মনে হয়েছে। এর সবটুকুই আকর্ষণীয়, সামান্য বাড়তি নেই। মুক্তি যুদ্ধ আমাদের সবকিছুর অনুসংগ। এটা আবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য লেখক কে ধন্যবাদ। এখন মনে হয় বড় পরিসরে লিখার সময় এসেছে।+ দেওয়া ছাড়া ঊপায় নাই।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৩

নীল ভোমরা বলেছেন: উরে বাবা!... এমন মন্তব্য! অপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করবে নিশ্চয়ই। কৃতজ্ঞতার সাথে আপনার মূল্যায়ন কলমে মাখিয়ে নিলাম । আশীর্বাদ দিতে ভুলবেননা যেন!

২৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:২০

সাদাকালোরঙিন বলেছেন: লেখার উপস্থাপনা চমৎকার ।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:২৯

নীল ভোমরা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।

২৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:২৫

চাঙ্কু বলেছেন: সৌন্দর্য হইছে

০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৩০

নীল ভোমরা বলেছেন: থ্যাংকু চাঙ্কু!

৩০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৩০

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্। আমিও ভালো আছি।

শুভকামনা।।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১০

নীল ভোমরা বলেছেন: ভাল আছেন জেনে ভাল লাগলো। শুভকামনা!

৩১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:২২

ভোরের তারা বলেছেন: আমার কাছে ভাষার সৌন্দর্যটাই বেশী ভাল লেগেছে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩৬

নীল ভোমরা বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগছে। শুভকামনা!

৩২| ০২ রা মে, ২০১১ রাত ১২:৩১

সাইফ বাঙ্‌গালী বলেছেন: ভালো লেগেছে আপনার গল্প

০৩ রা মে, ২০১১ রাত ১২:১৫

নীল ভোমরা বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম। ভাল থাকবেন।

৩৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩২

অনীনদিতা বলেছেন: নতুন কিছু না লিখলে,আর পড়বো না:(
গল্প ভালো লেগেছে:)
আমি কিন্তু এমনি এমনি বলি নাই;)

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

নীল ভোমরা বলেছেন:
থ্যাংকস!.....চেষ্টা করবো আবারও কলম ধরতে....যদিও সময় হয়ে ওঠেনা!

৩৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৩

সমকালের গান বলেছেন: অসাধারন!

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

নীল ভোমরা বলেছেন: পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.