নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কীভাবে লিখতে হবে সে সম্পর্কে আমার ধারণা নেই

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

কিস্তি-৮



লেখার শখ আমার পুরনো। ছোট বেলায় ছড়া লেখার চেষ্টা করতাম। অনেক কবিতা লিখেছি। কিন্তু বড় হয়ে মনে হলো এ সব কেবলই ছাইভস্ম! আমার কবিতার চরিত্র ছিল একই, সেই ছোট বেলার আধো আলো আধো আঁধারে দেখা আমার প্রথম প্রেম!

আমার লেখালেখির প্রেরণা আমার বাবা। তিনি অসাধারণ লেখেন। আমার দেখা দু'জন মানুষের লেখার আমি প্রচণ্ড ভক্ত, তার মধ্যে আমার বাবা একজন। অন্যজন হুমায়ূন আহমেদ। দুজন আবার দু রকম লিখতেন। আমার বাবা লিখতেন-পাঠ্যবই। হুমায়ূন আহমেদ কী লিখতেন তা বলে সময় নষ্ট করতে চাই না।

আমি উচ্চ মাধ্যমিকে থাকার সময় 'নতুন চাঁদ' নামে একটা স্মরণিকা সম্পাদনা করি। এর সম্পাদকীয় লেখা নিয়ে বিপদে পড়ে যাই। কীভাবে লিখতে হবে সে সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। পরে আমার বাবার সম্পাদিত একটি ম্যাগাজিনের সম্পাদকীয় দেখে লিখলাম। সবাই খুব প্রশংসা করলো। সেই ১৯৯৮ সালে আমি প্রযুক্তি নিয়ে লিখেছিলাম। আমার আজো মনে পড়ে আমার লেখা সেই নিবন্ধ নিয়ে প্রচুর আলোচনা। ইন্টারনেট নিয়ে দুনিয়াজুড়ে যে হই চই হবে তা সে সময় বলেছিলাম। সে সময় ভোরের কাগজের নিয়মিত পাঠক ছিলাম। সেই সুবাধে প্রযুক্তি সম্পর্কে গ্রামে থেকেও জানার সুযোগ হয়েছিল। সেই সাথে আরো খোঁজখবর নিয়ে আমার সে লেকাটা তৈলি করি। ছাপা হয় আমার মামা ইমাইলের নামে। কীভাবে জানি সবাই জেনে গেলো লেকাটা তার না, আমার।

অনেকে বলে ছিলেন আমি আজগুবি কথা লিখেছি। এখন এসে খুব মজা লাগে। সে সময়কার ভাইবোনদের সাথে দেখা হলে, সবাই হেসে বলে তুই তো ঠিকই বলেছিলি।

ঢাকায় আসার পর ডিএ হোস্টেলে একদিন ভোরে দেখলাম আমাদের দু ব্যাচ সিনিয়র আনিস ভাই একজনের সাথে নিচু গলায় কথা বলছেন। পরে জানলাম, যার সাথে আলাপ করছিলেন- তিনি একজন প্রকাশক। আমি ঘুম থেকে ওঠার পর আনিস ভাই বললেন, আপনি তো বাংলা ভালো পারেন, তো আমাকে দু তিনটা গাইড বই লিখে দেন। আমি লিখতে শুরু করলাম। অল্প সময়ে শেষ করলাম, এর মধ্যে একদিন সেই প্রকাশক নেসার ভাইয়ের সাথে দেখা। বললেন, বাংলবাজার আসো। আমিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয থেকে পড়াশোনা করে এই লাইনে এসেছি। দু ভাই মিলে গল্প করবো। লেখার আইযডয়াও হবে। সেই শরু । এরপর আবদুল্লাহ অ্যান্ড সন্স, স্কলারস পাবলিকেশন্সের বই লিখেছিলাম। এ সব বই দেশের খ্যাতিমান অধ্যাপকদের নামে বাজারে গেছে। অথচ লিখেছি আমার মত প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তবে খারাপ লিখি নাই বলে অপরাধ বোধ নেই। চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না।

এই লেখালেখির বাণিজ্যটা আমি দু বছর ধরে রেখেছি। পরে দেখি টাকা পয়সা ঠিকমত পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে ছেড়ে দিলাম। স্কলাসের কাছে এখনো হাজার পঞ্চাশেক টাকা পাওয়া আছি। এখন গেলে শালা আমারে চিনবে বলে মনে লয় না।

সে সময় পুরনো ঢাকার বাংলাবাজার যাওয়াটা আমি খুব এনজয় করতাম। ফুলবাড়িয়া থেকে ঘোড়ার গাড়িতে ৫ টাকায় বাংলা বাজার যেতাম খুব মজাই পেতাম।



পরের কিস্তি সাংবাদিকতা শুরুর গল্প।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০০

বোকামন বলেছেন: সাথেই আছি .....

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

মোরতাজা বলেছেন: সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

বলাক০৪ বলেছেন: ভালো লাগলো।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

মোরতাজা বলেছেন: ধন্যবাদ, পড়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.