নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতি!

০২ রা জুন, ২০১৩ রাত ৯:০২

কিস্তি ৪৪:



সিদ্ধান্তটা জরুরী বলেই আমার মনে হয়েছে। তাই আমি প্রস্তাব করলাম, কম সার্কুলেশনের মানে আন্ডারগ্রাউন্ড টাইপের পত্রিকাকে মেম্বারশিপ দেয়া যাবে না। এটা নিয়ে অনেকে হই চই করেছেন।কারণ ভোটের হিসাব। কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল এ ধরণের ভোটার নিয়ে সাংবাদিক সমিতির একটা বোঝা বৃদ্ধি ছাড়া আর কিছু নয়। আমার সাথে প্রায় সবাই একমত হলেন এবং সাংবাদিক সমিতির সদস্য হিসাবে ছোট কাগজগুলোকে এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে একটি কমিটি করা হলো। ওই কমিটি সামনে মেম্বারশিপ দেবার ক্ষেত্রে বিষয়টি বিবেচনায় আনবে।



এটি আমার সাংবাদিক সমিতির জীবনে একটা বড় সফলতা। আন্ডার গ্রাউন্ড জার্নালিম এতে নিরুৎসাহিত হবে বলেই আমার ধরণা। পরে এটি সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। এখন অবশ্য অনেক মিডয়া তাই সাংবাদিক সমিতির অনেক সদস্য। তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি এই ভেবে আনন্দিত যে, এখন আর দেয়াল পত্রিকার রিপোর্টাররা সাংবাদিক সমিতির সদস্য পদের জন্য তদ্বির করতে যান না।



সাংবাদিক সমিতির রাজনীতির অনেকগুলো খারাপ সাইড আছে। তার মধ্যে অন্যতম হল, ভোটের কয়েক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টারদের কেউ কেউ প্রমোশন পেয়ে স্টাফ রিপোর্টার হয়ে যান। এটা সংখ্যায় কম হলেও হন। কারণ হলো বিবদমান গ্রুপ গুলো থেকে বিভিন্ন হাউসে প্রতিপক্ষের রিপোর্টার থাকলে তাকে তদ্বির করে বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার থেকে প্রমোশন দিয়ে স্টাফ রিপোর্টার করে সেখানে নতুন কাউকে ঢোকানো।এ প্রাকটিস টা আমাদের সময় বেশ ছিল।বিষয়টা জানার পর আমার খুব হাসি লাগতো, একটা ভোট বাড়ানোর জন্য সে কী চেষ্টা।



সাংবাদিক সমিতির একটা অংশ সব সময় বিশ্ববিদ্যালয প্রশাসনের খুব কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করতেন। এখনো হয়ত করেন। তবে এখানে নিজের আখের গোছালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তেমন একটা সুবিধা দিতে পারতেন না। তাই শেষে এর কোনো ভালো ফল হতো না। অধ্যাপক আনোয়ার উল্লঅহ চৌধুরী এর প্রমাণ। তিনি যাদের চাকুরী পর্যন্ত দিয়েছেন, তারাও তাকে জানোয়ারুল্লঅহ লিখেছেন তাদের কাগজে। তবুও প্রশাসনের সাথে কোনো বিশ্ববিদ্যালযলে আঁতাত থাকে। তারা বিভিন্ন কিসিমের তদ্বির করে থাকেন।



আমাদের সময় শেষের দিকে সাংবাদিক সমিতির রাজনীতি অনেকটা জাতে উঠেছিল। আমরা কয়েক বছর ধরে যে চেষ্টা করছিলাম কেবল ভোটের সময় পছন্দমত কাউকে ভোট দেয়ার, সেটি অনেকটা সফল হচ্ছে। গত কয়েক বছর সম্ভবত ইলেকশন ছাড়াই সমিতির কমিটি গঠিত হযেছে। এটা ও খারাপ না।



সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা সবাই ক্যাম্পাসে সমান। ছাত্র নেতাদের কাছে গুরুত্বও প্রায় সমান। কর্পোরেট হাউসে যে রকম সাংবাদিক ও কাগজের গ্রেডিং করা হয় সেটি বিশ্ববিদ্যালয ক্যাম্পাসে খুবই কম। তাই এখানে অন্য অনেক জায়গা থেকে সাংবাদিকতায় করে অনেক বেশি আরাম পাওয়া যায়।



তবে একটা কথা নতুনদের জন্য বলি, এই যে ছাত্রনেতারা, ভাই, বন্ধু , ছোট ভাই বলে রিপোর্ট করিয়ে নিয়ে থাকে, বা নিচ্ছে বা নিবে, তারা কিন্তু সাংবাদিকতার বাইরে চলে গেলে দু চারজন বাদে আর কেউ কারো খবর রাখেন না। সাংবাদিকতায় থাকলে হয়ত খবর থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে দু চারজন ব্যাতিক্রম আছেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.