নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপত্য স্নেহ

০৩ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

কিস্তি ৪৫:



ঢাকা বিশ্ঘিববিদ্যালয় ঘিরে আমার অনেক সুখের স্মৃতি আছে। সব চেয়ে বড় স্মৃতি হলো ঢকা বিশ্ববিদ্যালয ক্যাম্পাসে গেলে এখনো আমাকে অনেকে চেনেন, হতে পারেন তিনি টিএসসি কাফের আল আমিন কিম্বা জুলহাস মামা অথবা গেটম্যান নুরমাওলা কিম্বা জসিম।

আবার বিশ্বিবিদ্যালয়ের বর্তমান কিম্বা সাবেক ভিসি। এই কাতারে সবাই আছেন। এই ঢাকা শহরে আমার সবচেয়ে নিরাপদ ও আপন মনে হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে। এখানে এলে মনে হয়, আমি মায়ের আঁচল ছায়ায় আছি। আমি ভালো আছি। ভালো থাকতে চাই। এই ক্যাম্পাসের প্রতি ঘাস পতঙ্গ, ইট সুরকি, মাঠ ঘাট, রাস্তা-ভবন- আমার পরিচিত।

সে দিন গুলশান এক নম্বরে লেকের কাছে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, পেছন থেকে একজন এগিয়ে এসে বললেন, আপনি তারেক ভাই না? কথা শেষ করার আগেই বললাম, তুমি দুলাল, ফজিলাতুন নেসা মুজিব হলের গেটম্যান ছিলে। জ্বি ভাই। আমার মত গরিব মাইষ্যেরে আপনার মনে আছে? আমি বিব্রত। আমি আবার বড় লোক হলাম কবে!



ক্যাম্পাসের এমন কত মানুষ আছে যারা আমে অশেষ স্নেহ দিয়ে তাদের কাছে কৃতজ্ঞ করে রেখেছেন। টিএসসিতে পা রাখলেই আলমগীর বাইয়ের কথা মনে পড়ে। টিএসরি পরিচালকের দায়িত্বে অচেণ অনেক দিন ধরে। আমার টিএসসি কেন্দ্রিক সবগুলো কাজের সঙ্গী আলমগীর ভাই ও দিলশাদ ম্যাডাম। আমাকে অপত্য স্নেহে ঢেকে রাখতেন সব সময়। এ জন্য আমাকে সম্বাদিক পরিচয় ব্যবহার করতে হতোনা। কোনো এক অজানা কারণে তারা আমাকে পছন্দ করতেন।

টিএসসি কাফেতে জুলহাস মামা এখনো দৌড়ে আসেন, টিকিট কেটে কবে খেয়েছি তা মনে নেই। জুলহাস ও আল আমিনের কল্যাণে টিএসসি কাফেতে আমার খাবার নিয়ে চিন্তা করতে হতো না কখনোই। কোনো বিশেষ কারণে টিএসটি গেট বন্ধ কিন্তু জসিম, নুর মাওলা কিম্বা অন্য যে কেউ থাকলে এগিয়ে এসে খুলে দেন এখনো। এতটা সমীহ আমি আশা করিনি, তবুও পাচ্ছি।

ডাকসু কাফেতে শরীফ ভাই, দেখা হলেই এগিয়ে এসে খোঁজ খবর নেন, লাচ্ছি খেতে চাই কিনা, কিম্বা অন্য কিছু্। সানন্দে এগিয়ে দিতে দিতে খোঁজ খবর নেন। একই রকম মধুর ক্যান্টিনে। এখনো সেখানে অরুণ দা থাকলে সিট ছেড়ে একবার উঠে আসেন। বিনয়ের সাথে জানতে চান, খাবারের মানটা আগের মত আছে কি না। কিম্বা আমার কিছু লাগবে কিনা। আমার বউ বাচ্চারা কেমন আছেন। এ সব মানুষের কাছে আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের চেষ্টাটা বৃথা। রেজিষ্ট্রার বিল্ডিংয়ে গেলে সিদ্দিক ভাই, আশরাফ ভাই আরো অনেকেই আছেন, এগিয়ে আসেন। আমি বিষয়গুওেলা খুবই এনজয় করি। শিক্ষক লাউঞ্জে গেলে অনেক নতুন শিক্ষক আছেন, যারা আমার হলের কিম্বা অন্য হলের তারাও এগিয়ে আসেন। সিনিয়ররাও হঠাৎ চিৎকার করে ওঠেন আরে তারেক! খুবই আপ্লুত হই। এক জীবনে আমি এর চেয়ে বেশি কিছু চাইনি। আমার চাওয়ারটা খুবই ছোট। আমার ছোট জীবনে আমাকে কিতছু মানুষ মনে রাখবেন, স্নেহ করবেন এবং দেখা হলে অন্তত জিগেশ করবেন কেমন আছো? কেমন আছেন? কিম্বা কেমন আছিস? আমার খুবই ভালো লাগে। এই ভালো লাগার অনূভূতি প্রকাশ করবার নয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.