নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিস্তি ৫৩:
২০০২ থেকে ২০০৪ , এ সময়টাকে ক্যাম্পাসে যৌনতার পরিমাণটা যেন হঠাৎ করেই বেড়ে গেছিল। তার মানে এটা নয় যে ক্যাম্পাসে যৌনতা আগে চিল না।
তখন অবশ্য মাত্র মোবাইলফোনের ব্যবহার বাড়ছে। কল রেট কমছিল, একটু একটু করে, এ সুযোগের পুরোটা তরুণরা নিচ্ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে আশপাশের ক্যাম্পাসের তরুণরা বেছে নিচ্ছিল তাদের প্রেমিকার সাথে মোলাকাতের ভালো স্থান হিসাবে। ক্যাম্পাসে সে সময়টাতে আলোরও অভাব ছিল। পরে ফ্লাড লাইট লাগানো হয়, কিন্তু ক'দিন পর পর এ সব ভেঙ্গে দেয়া হয়, আবার সেই আগের অবস্থা। এ সব নিয়ে খবর হচ্ছিল কাগজে। মানবজমিন যেহেতু ট্যাবলয়েড তাই এখানে এ নিয়ে বেশি খবর হবে এটাই স্বাভাবিক।
আমি সে সময় এ নিয়ে কয়েকটা রিপোর্ট করি, এর কারণ হলো আমার বান্ধবীরা আমাকে বলছিলো, ফুলার রোড, মৈত্রী হলে চিপা, আইবিএ ক্যান্টেনের পেছনে কিম্বা কার্জন হলের বারান্দায় যারা কামকলা চর্চা করছিলেন, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের। অল্প কিছু ক্যাম্পাসের। আমি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে সত্যতা পাই এবং প্রথম রিপোর্টটা করি। সে সময় আমার এক বান্ধবী জানালো তার বাবা সন্ধ্যার দিকে তার কাছে এসে ক্যাম্পাসের আলো আঁধারি দৃশ্য দেখে মর্মাহত হয়েছেন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
আমি রিপোর্ট করার কয়েক দিনের মাথায় বিশ্ববিদ্যালয় কতর্কপক্ষ ক্যাম্পাসে এ ধরণের যুগল আড্ডাকে সোস্যাল নুইসেন্স হিসাবে উল্লেখ করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। মানবজমিন সেটি লিড করেছিল। অন্যরা অল্প সল্প রয়ে সয়ে ছেপেছিল। এ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়। বিবিসি সে সময় রিপোর্ট করে যাতে এক তরুণী বলছিল, এটা মাদ্রাসা না। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয কতৃপক্ষ এ সব সমালোচনাকে তুচ্ছ জ্ঞান করলেন, এবং এটাই সঠিক ছিল, কারণ ইডেন, বদরুন্নেসার কিছু মেয়েরা ক্যাম্পাসকে দূষিত করছে, আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের দুর্নাম হচ্ছে। তাই মানবজমিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষেই অবস্থান নেয় এবং এ বিষয়ে লেখালেখি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সে সময়কার প্রক্টর ছিলেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। মনোবিজ্ঞানের এ শিক্ষক ক্যাম্পাসের এ নুইসেন্স রোধে কমিটি করেছিলেণ, এই কমিটি সন্ধ্যার পর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাতো। এ রকম এক অভিযানে রোকেয়া হলের সামনে ডাস্টবিনের পাশ থেকে বুয়েটের ক্যামিকৌশল বিভাগের এক তরুণ শিক্ষককে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তার আইডি কার্ড রেখে ছেড়ে দেয়া হয়। এভাবে বিভিন্নজন হেনস্তা হওয়ার পর এটা কমতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত এটি বন্ধ হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা তাদের স্বস্তি পান।
২| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১০
বাধা মানিনা বলেছেন: সত্য সত্যই। এতে আবার রাখ ঢাক কিসের?
৩| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
নিষ্কর্মা বলেছেন: বলেন কি? ২০০১-এর পরে সত্য যুগে এই রকমে কাজ হৈসে?? সেই সময়ে জামাত-জোট সরকার ক্ষমতায় ছিল না? ২০০৯-এর কলিকালে তাইলে না জানি কি হৈতাছে!
১৩ দফা কি আর এমনি এমনি বাইর করছে শফি হুজুর??
সে জন্যই ১৩ দফার ব্যাপারে সত্যযুগের কেউই কোন আওয়াজ করতেছে না!
৪| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩১
মোরতাজা বলেছেন: লেখাটি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখার অনুরোধ রইলো।
৫| ১৭ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০
এ এম আনিসুল হক বলেছেন: "ইডেন, বদরুন্নেসার মেয়েরা ক্যাম্পাসকে দূষিত করছে" .... দয়া করে, একটা পাবলিক ফোরামে এই ধরনের racist কমেন্ট করবেন না!
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
ক্ষণিকের আগুন্তক বলেছেন: বুয়েটের ক্যামিকৌশল বিভাগের এক তরুণ শিক্ষককে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায় তার আইডি জানা থাকলে বলবেন দয়া করে। খোঁজ নিয়ে দেখতে ইচ্ছে, এই তথ্যটা যে আপনি দিয়েছেন, সেটা কতটা সত্য। কেননা আমি চাই না এইভাবে সবার সামনে আমাদের ভার্সিটি কিংবা আমার নিজের ডিপার্টমেন্ট নিয়ে কেউ কিছু বলুক। আমরা জানি, কেউও সাধু নয়, নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য অনেকেই শাঁক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করে যায়। আর সরাসরি ভার্সিটির নাম না নিলে হয়তো ব্যাপারটা আরেকটু ভাল হতো। ধন্যবাদ, কিছু মনে করবেন না।