নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিস্তি ৫৮::
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বিপথগামী করার জন্য সাধারণ ছাত্ররা কম দায়ি এটা বলা যাবে না। আমাদের সময় ছাত্রীদের বিভ্রান্ত করার দুটো চক্রের সম্পর্কে জানতাম। তারা একেবারেই সাধারণ। এটা ক্ষমতার দিক থেকে বলছি। টাকা পয়সায় অসাধারণ। মাহমুদ নামে একজন বহিরাগত এ চক্রটি গড়ে তুলেছিল। এখন সে চিকিৎসা বিদ্যা চর্চায় ব্যস্ত বলে জানি। তার গাড়ি ছিল, টাকা ছিল। সে কিছু বন্ধু বান্ধব জুটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া ও শামসুন্নাহার হল কেন্দ্রিক মেয়েদের ভাগিয়ে নিয়ে ‘উপভোগ’ করতো বলে জানি।
তার সহযোগি ছিল, জগন্নাথ হলের এক বড় ভাই, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়তেন, এখন তার নাম মনে পড়ছে না। আমাদের দুই ইয়ারের সিনিয়র ওই ভাইয়ের সাথে বঙ্গবন্ধু হলে আমার রুমেই কয়েকবার কথা হয়েছে। আমি তাকে এ বিষয়ে বিরত থাকার কথা বললে,সলজ্জ হাসি দিয়ে চুপ করে থাকতেন। তবে শেষ পর্যন্ত যে সরে আসেননি সেটা আমি জানি।
আমরা রুমমেটরা তাকে সাপ্লায়ার, পাহারাদার নানা নামে ডাকতাম। সাপ্লায়ার ও পাহারাদার নাম দুটো আমাদের বন্ধু ও রুমমেট কামাল দিয়েছে। কারণ ওই বড় ভাইয়ের সাথে কামালদের আগে থেকে সখ্যতা ছিল। ক্যাম্পাস লাইফ শেষ করার সাথে সাথে তারা এ জগত থেকে বিদায় নিয়েছেন বলেই জানি।
দ্বিতীয় আরেকটি চক্রে ছিলেন মুসতাক। পুরাণ ঢাকায় বাড়ি। তাদের চক্র কাজ করতো চীন মৈত্রী হল ঘিরে। সেখানেই তাদের আড্ডা। তাদের বলা হতো বাইক বয়। মোটর সাইকেলের ক্যাম্পাসে খুব ডিমান্ড। কোনো এক অজানা কারণে তরুণীরা মোটর বাইকের মালিকদের খুবই পছন্দ করেন। এমনকি গাড়ির মালিক ছেলেদের চেয়েও বেশি। এর বিশেষ কোনো কারণ আমার জানা নেই। তবে এ দুটো চক্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু তরুণের সহায়তায় ক্যাম্পাসে আড্ডা জমিয়ে মেয়েদের পটিয়ে নানা সঙ্কট তৈরী করতো। তাদের মায়ার জালও ছিল সে রকম, যেখান থেকে বের হওয়া ভারি মুশকিল। এ দুটো চক্রের সাথে হল গেটের মামারা জড়িত ছিলেন। অল্প বিস্তর বখশিশ পেতেন বলে সহায়তা করতেন। এদের সাথে যাদের সখ্যতা ছিল তারা হলের নির্ধারিত নিয়ম মেনে হলে হলে ঢুকতে হতো না। যে কোনো সময় এরা বাইরে থেকে ভেতরে এবং ভেতর থেকে বাইরে আসার ক্ষমতা রাখতেন।
আমাদের সময়ে লিভ টুগেদারটা নতুন ছিল না, তবে মাত্রায় কম ছিল। আমাদের এক ইয়ারমেট, বর্তমানে মিডিয়ায় কাজ করেন, সে লিভ টুগেদার করতো বলে জানতাম। থাকতো রোকেয়া হলে। এ রকম বিচ্ছিন্ন দু চারটে লিভ টুগেদারের ঘটনা সে সময় ছিল। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় ছিল আমাদের আরেক ইয়ারমেট যাকে ছেলেদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ওর মা প্রতিদিন ক্যাম্পাসে নিয়ে আসত, সে যখন বিবাহিত এক পুরুষের সাথে ইয়ে করে সমস্যায় পড়লো। আমার তো চোখ কপালে, এও কি সম্ভব। ওর মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এটা হলো সেটি আজো আমার কাছে অনুসন্ধানের বিষয় হয়ে আছে। কিন্তু নিজের ইয়ারমেট বলে করলাম। করতে চাইও না।
এ সব বিষয় নিয়ে আর লিখতে চাই না। নারী ঘটিত বিষয়ে এটাকেই সর্বশেষ পর্ব ধরে নেবেন, সবাই। সামনের কিস্তি গুলোতে অন্য কথা হবে।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩
মোরতাজা বলেছেন:
২| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
আহলান বলেছেন: ঘর সামলাও সবাই
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩
মোরতাজা বলেছেন: হুমম
৩| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
আহলান বলেছেন: ঘর সামলাও সবাই
৪| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৭
খাটাস বলেছেন: এক শ্রেণির মাইয়া ভালবাসা নামক নেশা পান করে ছেঁকা খেয়ে কাইন্দা মরে, আর এক শ্রেণির মাইয়া অন্য রে এই নেশা পান করাইয়া তারে ছেঁকা দিয়া কাইন্দা মরে। বেতিক্রম শ্রেণী রা কান্দা কাটি করে না। আর এক শ্রেণী এর ধারের কাছ দিয়ে যায় না। ইহা ই বাস্তব।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪
মোরতাজা বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৪
একাকী বালক বলেছেন: কোনো এক অজানা কারণে তরুণীরা মোটর বাইকের মালিকদের খুবই পছন্দ করেন। এমনকি গাড়ির মালিক ছেলেদের চেয়েও বেশি।
>>> প্রেম করার টাইমে বাইক, বিয়ে করার টাইমে গাড়ি। "ছাত্রীদের বিপথগামী" করছে ভাবে পুরুষরা। আসলে কইত পারেন ছাত্রী বা মেয়েরাও আজকাল পোলাগো ইউজ কইরা ফেলায় দেয়। অনেক পুরুষ বুঝেই না।