নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৈত্রী হলের আড্ডায়

০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

কিস্তি : : ৬২:মৈত্রী হলের আড্ডায়







টিএসসিতে আমরা আড্ডা দিয়ে ফেরার সময় চোখে পড়লো ঢাকা ইউনিভার্সিটি ট্যুরিস্ট সোসাইটি(ডাটস) সদস্য নিচ্ছে। পর্যটনের প্রতি আমার টান পুরনো, বাবুও ঘুরতে পছন্দ করে। মাহমুদও পিছিয়ে নেই। তাই আমরা তিনজনেই ফরম তুললাম। সে সময় এর সভাপতি ছিলেন গণিতের শহিদ ভাই। সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ভাই। ফরম তুলতে গিয়ে অফিস সম্পাদক তানু আপার সাথে আমাদের বেশ খাতির জমে যায়। উনি আমাদের বেশ উৎসাহ যোগালেন। ফরম পূরন করে জমা দিই। সাক্ষাৎকার দিয়ে আমি ও বাবু চান্স পাই। মাহমুদ বাদ পড়ে। তবে সদস্যদের সাথে বন্ধুরাও ট্যুরে যেতে পারে সে জন্য কিছুটিা বাড়তি পয়সা খরচ করতে হয়। তাই আমরা খুব একটা ভাবলাম না।



আমরা ক্লাশের বাইরে ডাটস নিয়েই মগ্ন হয়ে পড়লাম। মিটিং সিটিং করি, সবাই মিলে আড্ডা দিই। ডাটস সদস্যরা সে সময় বেশি আড্ডা দিত মৈত্রী হলের সামনে। সালেহীন ভাই গান করতো। তানিম ভাই, প্রিন্স ভাই, আকাশ ভাই, শহীদ ভাই ও মাহবুব ভাই আমরা সবাই মিলে সেখানে আড্ডায় জড়িয়ে গেলাম। সেই আ্ড্ডায় আসতেন অনেকে। তাদের মধ্যে প্রজ্ঞা জুঁই, রনি চাকমা, রুমি তংচইঙ্গা, রুমা আপা সহ আরো অনেকে। যাদের সবার নাম এখন মনে পড়ছে না। আমরা প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যার দিকে সেখানে আড্ডা ও গানে মগ্ন থাকতাম।



ক্যাম্পাসে আমার স্মরণীয় অলস সময়ং কিন্তু উপভোগ্য সন্ধ্যাগুলো মৈত্রী হলের সামনের চত্বরে। সেই আড্ডায় জুনিয়র সিনিয়র ছিলে না। সবাই বন্ধু। সবাই আড্ডায় নানা বিষয় নিয়ে আসতেন। সে সব নিয়ে বেশ জমতো। সবচেয়ে বেশি জমতো গান, গীটার নিয়ে। এভাবেই ভালো কাটছিলো আমাদের সময়। সে সময়কে সঙ্গি করে আমরা দিন পার করছিলাম। পরে অবশ্য আমরা বন্ধুরা মৈত্রী হলের আড্ডায় অনিয়মিত হয়ে পড়ি। এবং নিজেরাই আলাদা আড্ডার স্থান বেছে নিই। সে সময় আমাদের আড্ডায় বাবুর কলেজ লাইফের বন্ধু সাইফুলও যুক্ত হয়েছিল। সে আমাদের ঢাকা শহরের নতুন নতুন জায়গায় নিয়ে যতো। তবে সে সব সবিস্তারে আলাপ করা যাবে না।



ক্লাশ, ডাটস আর আড্ডা মিলে আমাদের সময়গুলো ভালোই যাচ্ছিল। এর মধ্যে আমাদের যে তরুণ স্যারেরা ছিলেন, তারা একে একে বিদেশ পাড়ি জমাতে থাকলেন। সেখান থেকে ফিরেন নি এখনোা অনেকে। এই ফাঁকে বুড়ো শিক্ষকরা ফিরলেন কাশে। তারা সেই গৎবাঁধা ছকে আঁকা শিক্ষায় বিশ্বাসী। তাই আমার মন নিরীহ ছাত্রের ভালো ফলাফলের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসলো। আরো ক্ষীণ হলো শিক্ষকদের সাথে তর্কে লিপ্ত হওয়ার কারণে। তবে সে সব বিষয় নিয়ে আলাপ করবো না। আলাপের মূল জায়গা পর্যটন সেটি নিয়ে আগামী কিস্তি।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.