নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমীহ

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

কিস্তি ৬৪:







ডাটসের সদ্যস হিসাবে পথচলার শুরুতেই আমাকে কার্যকররি কমিটির দায়িত্ব দেয়া হলো। ভারপ্রাপ্ত প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। এ পদটি মূলত জামান ভাইয়ের। আমি চেষ্টা করছিলাম এখানে সফল হতে এবং সাফল হয়েছি বলেও শহীদ ভাই আমাকে অনেকবার বলেছেন। তাই উৎসাহের কমতি ছিল না। ডাটস নিয়ে আমার লেখা ফিচার কয়েকটি পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। এর মধ্যে সে সময়কার ইনকিলাব তারুণ্যে একটি বড় ফিচার ছাপা হয়। শহীদ ভাইয়ের সব কাজে আমি ও বাবু সহযোগি ছিলাম। কোথাও গেলে আমরা তার সাথে থাকতাম। বিশেষ করে পর্য়টন করপোরেশনে আমাদের প্রায় যেতে হতো, সে সময়কার সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আসাদুজ্জামন স্যারের কাছে যেতাম, কলা ভবনে। শহীদভাইয়ের সাথে সেই সময়কার পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর স্যারের চেম্বারের বার কয়েক গিয়েছিলাম। ছাত্রলীগের সে সময়কার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সাধারণ সম্পাদক আজিম ভাই ডাটসকে হেল্প করতেন। তার কাছেও গেছিলাম আমি ও শহীদ ভাই।



ডাটস নিয়ে আমাদের উৎসাহের কমতি ছিলনা, ডাটসের কিছু বদনাম ছিল, সেগুলো থেকে ডাটসকে মুক্ত করার চেষ্টা করছিলেন শহীদ ভাই। সোসাইটির মূল প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মহিউদ্দিন হেলাল। সে হিসাবে এখানে তার একটা আধিপত্য তিনি ধরে রাখতে চেয়েছিলেন। শহীদ ভাইয়েরা এর কিছুটা বিরুদ্ধে ছিলেন। তবে হেলাল ভাই তাদের ছাড়ও দিতেন কারণ শহীদ ভাই ও মাহবুব ভাই দুজনে তার এলাকা বরিশালের। তাই বরিশালের লোক হিসাবে তারা এই ছাড়টা পেতেন। আমি নিজেও এটা মনে করি প্রতিষ্ঠা করা মানে এ প্রতিষ্ঠান সব সময় প্রতিষ্ঠাতার পছন্দেই চলবে তা হতে পারেনা, হয় না। কিন্তু হেলাল ভাই চাইতেন সব কিছুরই চাবিকাঠি যেন তার হাতে তাকে। শহীদ ভাই আমাদের বলেছিলেন, তিনি এ বলয়ের বাইরে এসে ডাটসকে এগিয়ে নিতে চান। আমি তার সহযোগি হতে চাইলাম।



শহীদ ভাইয়ের সাথে শহীদুল্লাহ হলের দোতলায় অনেক রাত কাটিয়েছি, এ লোকটি ডাটসকে এগিয়ে নেয়ার জন্য নিজের পড়াশোনারও ক্ষতি করেছিলেন। আমি সে জন্য তার প্রতি প্রচণ্ড রকমের বিরক্ত ছিরাম। নিজের ক্যারিয়ার ধ্বংশ করে ডাটস নিয়ে একতটা করাকে আমি সমীচীন মনে করিনি। তবে শহীদ ভাইয়ের পেছন থেকে কখনো সরে যাইনি! একবার ব্যাতিক্রম একটা ঘটনা ঘটেছিল। সেটি আমি পরের কোনো একটা কিস্তিতে বলবো।



একবার পর্যটন করপোরেশন একটা মেলার আয়োজন করলো পর্যটন চত্বরে। সেখানে কারা যেন শহীদ ভাইয়ের সাথে বেয়াদবি করেছে। শুনে তো আমাদের মাথা গরমে। আমরা অনেকে পর্যটন করপোরেশনে গেলাম। সেখানে যারা বেয়াদবি করেছে তাদের শায়েস্তা করেই তবে ফেরা। শহীদ ভাই সেবার খুব খুশি হয়েছিলেন। শহীদ ভাইকে খুশী করাটা যদিও আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা সংগঠনের অপমান হিসাবে এটাকে দেখেছিলাম এবং এর প্রতিবাদ করেছিলাম। এরপর থেকে পর্যটন করপোরেশন আমাদের সমীহের পরিমাণটা বাড়িয়েছে। এখনো নিশ্চয় করে। তবে সেটি আমার জানা নেই।







মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.