নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আনোয়ার স্যার জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদটি 'আঁকড়ে' ধরে আছেন বলেই মনে করছি। কারণ আন্দোলন করে ভিসি হটানোর তরিকার উদ্যোক্তা শিক্ষকদের তিনি একজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের এ শিক্ষক সব সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদের আন্দোলনে যোগ দিতেন। তবে সেটা হতে হবে আওয়ামী লীগের পক্ষের আন্দোলন!
যদিও এক সময় বিএনপি জামায়াত সমর্থক সাদা দলে ছিলেন তিনি।
২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরীর পদত্যাগের দাবি নিয়ে তিনি মিছিলে গিয়ে পুলিশের পিটুনি খেয়েছেন। এটি আমার নিজেরই প্রত্যক্ষ করবার সুযোগ হয়েছে।
সে সময় আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরির বিরুদ্ধে তার আন্দোলন যদি 'ন্যায্য' হয়, তাহলে এখন তার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন, সেটাকে অন্যায্য বলি কি করে!
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তার পরিবার আক্রান্ত হয়েছে । এমন ঘটনার সাথে জড়িত ষণ্ডাদের বিচার করতে পারেননি তিনি। করার ইচ্ছেও তার নেই। এটি সহ আরো কিছু দাবিতে তাকে পদ ছাড়তে বলা হচ্ছে। কিন্তু তিনি ছাড়বেন না। তার কথায় বলি ' পদ আঁকড়ে থাকবেন'। 'আঁকড়ে থাকা' শব্দটা স্যার সব সময় ব্যবহার করেন, তাই আমিও করলাম!
আমি তাকে বিবেকবান ও ন্যায়নিষ্ঠ শিক্ষক বলেই জানতাম। এখনো জানি।
কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তার বিবেক বন্ধক থাকে, সেটিও জানি। আনোয়ার স্যারকে চিনি এক দশকেরো বেশি সময় ধরে, তাই অকপটে এ কথা আমি বলতে পারি এবং দাবি করতে পারি তিনি বরাবরই একজন দলবাজ, অত্যন্ত নিম্নমানের পরনিন্দাকারী।
অনেকেই এ বিষয়ে একমত হবেন না, কারণ তার কথা বলার ভঙ্গি দেখে অনেকে মনে করে আহা! বেচারা একটা ফেরেশতা! ফেরেশতার কী রূপ সেটি জানেন জাহাঙ্গীর নগরের শিক্ষকরা। যাদের অনেকেই তার মত আওযামী রাজনীতির প্রতি নিবেদিত প্রাণ!
জাহাঙ্গীর নগর আনোয়ার মুক্ত হোক। জয় হোক জাহাঙ্গীর নগরের শিক্ষকদের।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: এঁর যদি বিন্দুমাত্র আত্মসম্মান বা লজ্জা নামক পদার্থ থাকত আর টাকার প্রতি লোভটা একটু কম হত তাহলে বহু আগেই পদত্যাগ করে বাক্স পেটরা নিয়ে বাড়ী চলে যেতেন! তিনি যদি সঠিক হতেন তবুও।