নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদ্যুৎ তাদের সাথে বিদ্রুপ করে

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১



জনগণরে রাস্তার ক্যানভাসারের মত বক্তৃতা শোনান রাজনৈতিক নেতারা।সর্ব রোগের ওষুধ যে রকম ৫ /১০ টাকায় পাওয়া যেতো বা যায় সে রকম হালকা বক্তৃতা। এটা শীর্ষ থেকে পাতি সব নেতায় দেন। কমন সব রোগ বালাইয়ের লক্ষণ ও ভয়াবহতার বর্ণনা দিত এবং ডর দেখায়া দ্রুত উপশমের কথা বইলা ওষুধ বেচতো। হালকা বিনোদনের এন্তেজামও থাকত। এখনো থাকে, মাঝখানে একদিন কাঁচপুরের দিকে যাইয়া একই অবস্থা দেখেছিলাম, গার্মেন্ট শ্রমিকদের লক্ষ করে সে বয়ান বসে।



এ রকমই একটা অজপাড়া গাঁয়ে আমার জন্ম হয়েছিল, অবশ্য এখন সেটি মফস্বল শহর। আমাদের কাশের হাট বাজারে হাটবারের দিন এ রকম অনেক দাওয়ায় হকার আসতো। গরিব মানুষের পকেট কাটতো। সেই ছোট্ট বয়সে আমার কাছে মনে হতো, আহা এই লোকরা কি সুন্দর করে কথা বলে এবং মানুষের দাওয়ায় দিয়া ভালা করে। এত মহান কেন এরা।



একবার দেখলাম -আমাদের পারিবারিক ডাক্তার সুবোধ বাবুকেও। তিনি ক্যানভাসারের কাছ থেকে ওষুধ কিনলেন । এ রকম অনেক শিক্ষিত ও অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষ ক্যানভাসারের বক্তৃতায় বিভ্রান্ত হন। সে রকম রাজনীতিকদের বক্তৃতা শুনেও আমরা বিভ্রান্ত হই। কিন্তু আদতে পরিসংখ্যান লইলে, ঘটনার গভীরে গেলে তারা যে এক একটা বড় জোচ্চুর তাহা বুঝিতে সমস্যা হয় না।



রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য- বিবৃতি শুনেও বিভ্রান্ত হই আমরা। আমাদের বিবেচনাবোধ তখন আর কাজ করে না, নিজেরে অসহায় লাগে। তাদের বক্তৃতায় আশা খুঁজি। কিন্তু হতাশ করা কথা বলে নেতারা।



ফখরুদ্দীনের সময় যে নির্বাচন হলো, সে নির্বাচনের প্রচারণায় আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ক্ষমতায় গেলে ১০ টাকায় চাল খাওয়াবেন। কিন্তু সেটি হয়নি। হতে পারে না। কৃষক মেরে আপনি কেমনে খাওয়াইবেন। পারেননি, এ জন্য শুকরিয়া। পারার কথও নয়্। কিন্তু যে কৃষক মারার কথা বলছি, তারা কি বেঁচে আচেন। নাকি প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল উন্নয়নের জোয়ারের তলে চাপা পড়ে জীবন দিয়েছেন।



আমরা যারা চাষবাস করা পরিবারের পোলাপাইন তারা একটু হইলেও জানি যে টাকা খরচা কইরা ধান বোনা হয়, কেটে কুটে বস্তা বন্দী করে বাজারে তুললে উৎপাদন খরচার চেয়ে ১ থেকে ২ শ টাকা কমে তা বিক্রি করতে হয়। এটা যদি হয় উন্নয়ন তাইলে আর কিচ্ছু বলবার নাই।



আজ প্রধানমন্ত্রী বড়লেখাতে কইলেন আগামীবার নৌকায় ভোট মারলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিবেন। ঘরে ঘরে তো বিদ্যুতের খাম্বা যাবে কিন্তু তাতে বিদ্যুৎ যাইবো না। গত ৫ বছরের যে খাম্বা তিনি বা তার সরকার দিযেছেন, কুইক রেন্টালের নামে কুইক লুটপাট করিয়াও সেইখান থেকে নিস্তার মিলে নাই। লোড শেডিংয়ের কোনো উন্নতি নগরে কিঞ্চত হইছে বলে শোনা যায়। তবে যারা গ্রামে থাকেন তারা বিদ্যুৎ পান না।



বিদ্যুৎ তাদের সাথে বিদ্রুপ করে, সেখানে কিছু সময়ের জন্য আসা যাওয়া করে। সরকারের উন্নয়নের জোয়ারের শেষ দিকে কুরবানীর ঈদ করতে গিয়েও গ্রামে এই হাল নিজ চোখে দেখে এসছি। নিশ্চয় দলান্ধরাও দেখেছেন। কিন্তু উপরি কামই আর ক্ষমতার মোহ তাদের কানা করে দিয়েছে। এই দলকানারা এখন স্বপ্নাহত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.