নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফালানীর হত্যার দায়মুক্তি নিয়েছে ইনডিয়া!

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১

ফালানী হত্যার দায় মুক্তি পেয়েছে বিএসএফ'র ঠাণ্ডা মাথার খুনী দু'পায়ে অমানুষ অমীয় ঘোষ। ভারতীয় আদালত তাকে দায় মুক্তি দিয়েছে। তারপরেও আমাদের যাবার আরো জায়গা আছে, কিন্তু ক্যান যাইবো। আমারা প্রতিবেশীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। আমরা তাদের পিরীতের খ্যাঁতার তলে দল মত নির্বিশেষে লুকাইয়া আরাম পাইতে চাই। সেইখানে ফালানি ক্যাডা। এরকম দুই-চাইরটা মানুষ মরে গ্যালে কি!

ফালানীরর বাপ অমীয় ঘোষের অব্যাহতির বিপক্ষে নালিশ করার পর এবার এমন ভাবে থাপ্পড় মারলো ইনডিয়া যে এ নালিশের কারণে এখন ফালানীর বাপের বিচার হওনের অবস্থা। পুরা বিচারিকভাবে কায়দায় ইনডিয়া তার ষণ্ডা বিএসএফকে দায় মুক্তি দিলো। সেই সাথে বছর বছর শ শ মানুষ খুন করাও বৈধ তা জেনে নিলো। এখন গরু বেপারী আরো অনেক বেপারী কেবল ফেন্সি বেপারী ছাড়া যে কোনো নামে বঙ্গ সন্তানদের খুন করা আইনগতভাবে জায়জ হয়ে গেলো।

২০১১ সালের জানুয়ারী মাসটা ছিল প্রচণ্ড শীতের। কুয়াশায় ঢাকা কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ফুলবাড়ি। ৭ জানুয়ারী ফালানী খুন হবার ২/৩ দিন পর ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম । এখনো সেই স্মৃতি চোখে ভাসছে। ভাঙা চোরা ঘরে ছড়ানো ছিটানো মেয়েটার স্মৃতি। নতুন জীবন শুরু করার জন্য বাবার সাথে ফিরছিলো দেশে। প্রিয়তম হবু স্বামী জন্য বুনছিলো রুমাল। সেখানে লিখেছিল ভালোবাসার কথা। স্বপ্ন অধরাই থেকে গেলো। মৃত্যুর সময় মুখে জুটলোনা এক ফোঁটা পানি। ফালানীর গুলিবদ্ধ হওয়া ক্ষত স্থানের ছবিও তোলা হয়েছিল। লাল শাড়ি পরার প্রস্তুতি নেয়া পরিবার তাকে সাদা কাফনে জড়িয়ে ফুলবাড়িতেই কবর দিয়েছে। সেই কবরে, ফালানীর বাড়ি এবং ঘটনাস্থলের লোকেরা বলেছিল--- ভোররাতে গুলি আওয়াজ, পানি বলে চিক্কুর শুনেছিল তারা। আধ ঘন্টার বেশি সময় ঝুলে থাকার পর বিএসএসএফ'র দুপায়ে অমানুষরা ঝুলিয়ে নিয়ে গেছে ফালানীর লাশ। তার পর বহু তদ্বির করে তার লাশ পাওয়া গেছে ৩০ ঘণ্টারো বেশি সময় পরে।

জীবনের দাম কম একটা আমরা জানি। বিশ্বজুড়েই স্বীকৃত এটা। কিন্তু গরিব মানুষের জীবন যেনো পাপ। অসুখ--- ক্যান্সার। কেটে ফেললে--- ছেঁটে ফেললেই মুক্তি। ফালানীর লাশ-রক্ত আর কষ্ট নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। একজন মানুষ তার কন্যাকে হারালেন। তারা কষ্ট পেলেন। বহু রথি মহারথী তার কাছে গেলেন-- তিনি তার সন্তান হত্যার বিচার পেলেন না।

অথচ দ্যাখেন সর্বশেষ বঙ্গীয় একটি দৈনিকের ফান ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটা ফানি বিজ্ঞাপন, একটা খেলা, একটা চুদির ভাই নাটকে ক্যামন বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। সারা বিশ্বজুড়েই খবরের কাগজে সমালোচনার ঝড় ওঠালো সানি লিওনের দেশ ইনডিয়া। ইনডিয়ার চাবুকে কাতর এক দেশের নাগরিক আমরা। যারা বলার আগে শুয়ে পড়ি তারপরেও সঠিক আসন না নেয়ায় আমরা নিজেরাও বিব্রত হই। লজ্জিত হই। পুরো সেটিসফেকশন দিতে পারিনি; বলে নুইয়ে পড়ি! রাজনীতি মানুষের জীবন বিপন্ন করার রাজনীতি।

দায়মুক্তির খবরের বিবরণী বিবিসি বাংলা থেকে,' ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জি এস এফ সি রায় দিয়েছিল যে অভিযুক্ত বি এস এফ প্রহরী নির্দোষ। সেই রায় যথার্থ মনে না হওয়ায় তার পুনর্বিবেচনার আদেশ দিয়েছিলেন বাহিনীর মহাপরিচালক। পুনর্বিবেচনার কাজ শুরু করতে প্রায় একবছর লেগেছিল, আর তা তিনবার নানা কারণে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। রায় পুনর্বিবেচনার কাজ শুরু হয়েছিল গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে। কিন্তু পাঁচদিন পরে সেই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। নভেম্বরে আবারও পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৭ নভেম্বর। কিন্তু ২১ নভেম্বর আদালতেই অভিযুক্ত অমিয় ঘোষ জ্ঞান হারানোর কারণে চার মাস পিছিয়ে গিয়েছিল প্রক্রিয়া। তাঁর রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল আর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। তার আগে মি. ঘোষের কিডনির সমস্যা দেখা দেয়, যার ফলে নিয়মিত ডায়ালিসিস করতে হয়েছিল।যদিও পুনর্বিবেচনার সময়ে নতুন করে কারও সাক্ষ্য নেওয়ার নিয়ম নেই, তবুও ফেলানির বাবার সাক্ষ্য নতুন করে নথিভুক্ত করা হয় তখন। আবার মার্চ মাসে বিচারকেরা সকলেই হাজির হলেও বি এস এফের সরকারী আইনজীবী বা প্রসিকিউটর সেদিন কোচবিহারে পৌঁছতে পারেন নি অসুস্থতার কারণে। তাই আদালত বসলেও কাজ শুরু করা যায় নি। ৩০ শে জুন সর্বশেষ শুনানি শুরু হয়।'

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

ছাসা ডোনার বলেছেন: ঐ কুত্তার বাচ্চারে ধরে এনে পুটকির মধ্যে বাশ ঢুকিয়ে রাস্তায় খাড়া করে রেখে দেওয়া উচিত।গুস্টি মারী দাদাদের বিচারের।

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মোরতাজা বলেছেন: দ্বিমত করতে পারছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.