নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি কেনো? সেটি আমি এর আগেও বলেছি।---স্বভাবত সরকারে যারা থাকেন, তাদের সমর্থক-দলান্ধরা ধরে নেন--- আমি তার সরকারের বিপক্ষে। বাস্তবতা ভিন্ন। সত্যকে আশ্রয় করে আমার বেড়ে ওঠা।
২০০০ সালে যখন আনুষ্ঠানিকভাবে লিখতাম--- সে সময় আম্লীগ ক্ষমতায়। আমার রিপোর্টিং এরিয়া ছিল--লালবাগ ও হাজারিবাগ। সেখানকার পেশিবান লোকেরা পার্ক, মসজিদের জমি এমনকি স্কুল আঙ্গিনা দখল করেছিল। সে গুলো আজো উদ্ধার হয়নি। রিপোর্ট করেছি। যেহেতু সেগুলো ক্যাম্পাসের বাইরের; তাই সেটা নিয়ে রাজনৈতিক রঙ্গের ঘেরটোপে পড়িনি।
পড়েছি ২০০১ এর শেষভাগে ক্যাম্পাস রিপোর্টি করতে এসে। ছাত্রদল প্রতাপের সাথে ক্যাম্পাস চালাচ্ছে। আজকে যারা অনেক বড় বড় বয়ান করেন, সে সব বয়ানঅলা সম্বাদিকরা দৌড়ের উপরে। কারণ ছাত্রলীগের তল্পিবহন করে নিজেকে এখন অপরাধী করেছেন। সে সব লোক তখন ছাত্রদল নেতাদের আস্থাভাজন হতে চান।
সেটি হতে আমি চাইনি। ছাত্রদলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে রূঢ়, কঠিন এবং প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক অনুসন্ধানী রিপোর্ট আমি করেছি। পিআইবি'র আর্কাইভে খুঁজলে--- মিলবে সে সব। সে সময় ছাত্রদলের বিপক্ষে আমার টানা রিপোর্টের কারণে আমার সম্পাদক মতি ভাই (মতিউর রহমান চৌধুরীর) কানে দেয়া হলো আমি ছাত্রলীগ। তাই ছাত্রদলকে হেনস্তা করছি। মতি ভাই জাত সম্বাদিক। ও সব কথায় কান দেননি। সাড়ে তিন বছর টানা লিখে গেছি। এর মধ্যে ছাত্রলীগের ক্যালেঙ্কারিও ছিল। তবে সীমিত।
২০০৪ সালে কর্মস্থল বদলে রাজনৈতিক রিপোর্টিয়ের বিত্তের বাইরে এসে দাঁড়ালাম। টেলিকম, টুরিজম ও পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে লিখি। এখানে এসে পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুতে সরকারের অবস্থানের সাথে অনেকটা মিল থাকায় কাগজে লিখে সমালোচিত হইনি। টুরিজম সম্পর্কে আমির কিছুটা জ্ঞান আছে বলে সমীহ পেতাম। টেলিকমটা আমি শিখছি।
তবে ডিজিটাল মিডিয়ার পত্তনের পর ফেসবুকে প্রথম দিকে ছবি টবি শেয়ার করতাম। এখানে যাচ্ছি; ওখানে আছি টাইপ স্ট্যাটাস দিতাম। কিন্তু একটা সময় মনে হলো খবরের কাগজের বিকল্প এ মিডিয়ায় তো আমার বিবেচনা বোধের থেকে কিছু লিখতে পারি।
সেই ভাবনা থেকে আমি লিখছি---বহুবার ভেবেছি লিখবো না।
কিন্তু ফেসবুক ও ব্লগের জগতে বহু লোক ঢালাও মিথ্যা কথা লিখে যাচ্ছে।
নিজেকে অনেক বড় চেতনাধারী হিসাবে প্রচার করে যাচ্ছেন--- যাদের অতীতটা আমি ভালো করে জানি। তাদের চোষণ তোষণ সম্পর্কে সমস সাময়িকরাও ভালো জানেন। তারা যখন 'চোরের মার বড় গলা' টাইপে উচ্চ স্বরে চেঁচামেচি করেন এবং সেখানে আমার মত একজন অর্ন্তমুখী মানুষকে টেনে আনেন তখন--- নিশ্চিতভাবে আমাকে সত্যটা বলতে হয়।
আমার সব লেখা সিরিয়াস না। আবার সিরিয়াস। মাথায় কিছু হঠাৎ করে আসলে আমি ফেসবুকের পাতায় সেটি লিখে রাখি। এটা পড়তে কাউকে আমি বাধ্য করি না। ট্যাগ করি না। যার ভালো লাগে পড়েন। যার লাগে না; পড়েন না।
কিন্তু এ সব লেখা থেকে বহুজন আমার উপর রুষ্ট। জানি সেটি--- কেবল এটুকু বলি--- সরকার বদলালেও আমার অবস্থান আগের মতই অভিন্ন থাকবে। যে রকম আগের সরকারের সময় ছিল। কারো পক্ষে নয়--- সত্য বলা বা লেখা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবো না।
আমার ব্যাক্তি স্বার্থ-প্রত্যাশা ছিল না। এখনো নেই। সামনেও থাকবে না। ক্যাম্পাস জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতির শীর্ষ কর্তাদের সাথে সম্পর্ক ছিল--- কেউ একজন বলতে পারবেন না 'বৈধ' কিম্বা 'অবৈধ' সুবিধা আমি বা আমার পরিবার বা আমার কোনো আত্মীয় স্বজনের জন্য চেয়েছি। এখানেই আমার সন্তুষ্টি।
৩৫ বছরের জীবনে এ আমার বড় প্রাপ্তি।
বহু ছাত্র রাজনীতিকের দুঃসময়ে পাশে ছিলাম। এক কাপ চা, একটা সিগারেট ভাগ করে খেয়েছি। প্রতিপক্ষের হামলার আশঙ্কা ছিল এগিয়ে এসেছি। হলে হলে সহ অবস্থান আর নিপীড়নের বিপক্ষে ছিলাম এখনো আছি।
একটা সময় সব এনালগ ছিল বলে অনেকের নজরে পড়েনি। এখন হয়তো পড়ে। সেখান থেকে কেউ কেউ আমাকে প্রতিপক্ষ বিবেচনা করতে পারেন। করুন না। তবে আমার অবস্থান পরিষ্কার--- অন্যায়, অনাচার , অবিচারের বিপক্ষে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। প্রত্যেক মানবজীবনের কোনো না কোনো উদ্দেশ্য থাকে। আমার উদ্দেশ্য বিপন্ন মানুষের পাশে থাকা। সে জন্য বহু রক্ষ চক্ষু উপেক্ষা করার মত হিম্মত আমার আছে।
কারো তাবেদার নই। তাই ভয় নেই। নিশ্চয় পালনকর্তা আমার ভাবনা সম্পর্কে অবগত। ভালো থাকুন। তিন যুগ যাত্রায় আপনারা যারা বন্ধু,শত্রু, সমালোচক--- সবাই ছিলেন বলে আমি এখনো আছি। ভালোবাসি।
©somewhere in net ltd.