নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিমলের মত কুখ্যাত ধর্ষকের পক্ষেও আদালতে কেউ দাঁড়ায়! তার নাম 'আইনজীবী'। তাও আবার বলে আমার 'মক্কেল' সঠিক বিচার পায়নি; উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করবো।
সত্যি সেলুকাস--- !
পরিমল ভিকারুননিসার যে ছাত্রীকে ধর্ষণের জন্য দণ্ডিত হয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এ; এটা হয়ত চূড়ান্ত বিচারে টিকবে না। আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ--- পরিমলের সাজার রায়টা; তাকে বন্দী জীবন থেকে অবসরে পাঠানোর ছোট্ট একটা পদক্ষেপ।
চারদেয়ালের হাঁসফাঁস(!) থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসবে--- পরিমল।
বিচারক সালেহ উদ্দিন--- ত্রিশ পৃষ্ঠার রায়টা পড়ে শোনার সময় বলেছেন, মামলার তদন্তে নিয়োজিত দুই কর্মকর্তা শাহাদাত ও মাহবুব ' চরম গাফিলতি' দেখিয়েছেন। (সূত্র বিডি নিউজ)। এটা জানার পর আর বোঝার বাকি নেই মামুরা অত্যন্ত রোমান্টিক! তারা পরিমলকে 'নায়ক' হিসাবে দেখেছেন।
নিশ্চিতভাবেই জানি--- আমাদের সমাজ ব্যবস্থা--- বল প্রয়োগে নারীর শরীর উপভোগ, সন্ত্রাস এবং খুনের বিষয়গুলো প্রশ্রয় দেয়। যারা এ সবের সমঝোতা করেন-- তারা খুব নির্বিকারভাবেই বলেন-- 'যা গেছে, তা কি আর পাবি। মেনে নাও। কিছু টাকা পয়সা রাখো।' এ মধ্যস্থতা যারা করেন, বা যারা এটাকে মেনে নিতে যুক্তিখাড়া করেন, আমি তাদের অত্যন্ত নিচু মানের নরাধম। এ রকম বহু মানুষকে আমি চিনিও!
তাদের যুক্তি (!) সোসাইটিতে মিউচুয়াল সেক্স হচ্ছে--- অগুনতি হচ্ছে। সেটাও সমাজের চোখে অপরাধ। সে অপরাধ তো দমন করতে পারছে না কেউ। তাহলে কেউ বল প্রয়োগ করলে এমন কি হয়ে গেলো.... !!
কিন্তু সমাজ যেহেতু আপসের লীলার রাশ টানতে পারছে না; তাই বলে ধর্ষণের রাশ টানতে পারবে না--- তা হতে পারে না। এটা কি মেনে নেয়া যায়? যায় না। কারণ--- সমাজ যদি এ সব মানতে থাকে তাহলে অনিরাপদ সমাজে নারীর শিক্ষা, চাকুরী, সংসার , সমৃদ্ধি সব তুড়িতে আটকে যাবে!
আমাদের কেবল এ সব নিয়ে পড়াশোনা করলেই হবে না। প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করতে হবে।
২০০২ সালে ২৩ জুলাই শামসুন্নাহার হলে পুলিশ ঢোকা নিয়ে হাঙ্গামা হয়েছিল। সে সময় ক্যাম্পাস বন্ধ করেছিল সরকার। ক্যাম্পাসে আন্দোলনকালী, পুলিশ ও ক্যাম্পাস রিপোর্টাররাই ছিলেন। অলস সময়ে বহু পুলিশ অফিসার ও কনস্টেবলের সাথে আড্ডা দেয়ার সুযোগ হয়েছিল--- তাদের আচরণ-- মমতা--- উপরের নির্দেশ (!) থাকার পরেও নিজেদের সংযত রাখা আমাদের মুগ্ধ করেছে। --- মনে আছে, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরের সামনে পুলিশ আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দিতে আসছিলো--- তার আগেই আমাদের ডেকে বললো--- উনাদের কিছু সময় দূরে থাকতে বলেন--- বোঝেন তো , নির্দেশ আছে; তুলে দিতে হবে। কিন্তু 'এরা তো আমাদেরই ছেলে মেয়ে!'
বিস্ময়ে বয়স্ক সেই পুলিশ কর্মকর্তার দিকে তাকালাম--- মানবিকতা এখনো অবশিষ্ট আছে! এ রকম স্বস্তির সাথে অস্বস্তিও ছিল। কারণ ওই ঘটনার দু'দিন আগে পুলিশ আমাদের ক' সহকর্মীকে পিটিয়েছিল।
তবে এ কথা তো সত্যি সব-- পুলিশ এক নয়, তবে সব আইনজীবি সম্ভবত এক। টাকা হলে এদের আর কিছু লাগে না! আমি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে কথাটা বলছি; কারণ আইন ব্যবসা যারা করেন; তারা নিজের সন্তানের মত কন্যা ধর্ষকের পক্ষে ওকালতিও করতে হয়। করেন; কিন্তু মিডিয়ায় মুখ হা করে; নিজের পেশাটাকে কলঙ্কিত করবেন না; প্লিজ।
পরিমলরা সব স্কুলেই আছে; কলেজে আছে; বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ চোখে দেখে এসেছি। কেউ ধরা পড়ে; কেউ পড়ে না! এই আর কি! --- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের কাছেই শুনেছি সেক্স মামুলি। বিনা পয়সার দুগ্ধ পেলে গাই পুষবো কেনো।
তবে কেউ জোর করলে আমরা এটা অত্যন্ত ঘৃণা ভরে প্রতিরোধ করবো--- এটাই তো হয়। হওয়ার কথা। কিন্তু সেটি কেন হলো না পরিমল জয়ধর কিম্বা পান্না মাস্টারের ক্ষেত্রে।
পরিমলের শাস্তি উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জে টিকবে না--- এটা পুরনো মামলাগুলোর অভিজ্ঞতায় বলা চলে। কেন বলছি--- কারণ ট্রাইবুনালের বিচারক কিন্তু বলেছেন--- মামলার তদন্তে চরম গাফলিতি করা হয়েছে। এ রকম গাফেল তদন্ত দিয়ে 'শাস্তি' নিশ্চিত করা সম্ভব ? মনে হয় না। তবুও আমরা হাল ছাড়ছি না।
মজার একটা কৌতুক আদালত প্রাঙ্গনে বিডি নিউজকে পরিমল নরাধম বলেছে, 'আমি ইনোসেন্ট'! হোয়াট এ জোকস!
ধর্ষিতার বাবার করা ২০১১ সালের মামলায় ভিকারুননিসার তৎকালীন অধ্যক্ষ হোসনে আরা এবং বসুন্ধরা শাখার প্রধান লুৎফর রহমানকেও আসামি করা হয়। ২০১৩ সালের ৭ মার্চ আদালতে অভিযোগ গঠনের সময় অধ্যক্ষ ও লুৎফর অব্যাহতি পায়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ২০১১ সালের ২৮ মে প্রথম ধর্ষণ করেন পরিমল। ওই সময় ছাত্রীর নগ্ন ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করা হয়। এরপর ওই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ১৭ জুন আবারও ধর্ষণ করা হয়।
বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর ভিকারুননিসার ছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তখন পরিমলকে বরখাস্ত করে।
এরপর ৫ জুলাই ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এই মামলা দায়ের করেন।
২৫ নভেম্বর ২০১৫ আদালত মামলাটির রায় দিয়েছে। যেখানে তাকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সেটি অনাদায়ে আরো ৬ মাসের জেল দিয়েছে আদালত।
http://moretaza.blogspot.com/2015/11/blog-post_25.html
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪
মোরতাজা বলেছেন: হুমমম।।
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: ওই উকিলটা সহ দুটোকেই প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলানো উচিত ছিল।
কিন্তু তদন্তে গাফিলতি..
জাতি হিসেবে লজ্জা আর লজ্জা....
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫
মোরতাজা বলেছেন: লজ্জা আর লজ্জা
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫
জটায়ু. বলেছেন: ঐ কালো পোষক পরিহিত উকিলের শাস্তি হোক
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭
মোরতাজা বলেছেন: ব্যবসা উনি করতেই পারেন। আইনি প্রকোষ্ঠে। কিন্তু প্রকাশ্য ওকালতি? অবিশ্বাস্য!
৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০০
প্রান্তিক জন বলেছেন: ওমর, তুমি নাই তাই সয়ে যাই জামানার অভিশাপ
তোমার তখতে বসিয়া করছে শয়তান ইনসাফ।।।।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩
মোরতাজা বলেছেন:
৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭
নতুন বলেছেন: টাকা অনেক পথেই আয় করা যায়, বিবেকবোধ থাকলে মানুষ ঠিক করতে পারে সে কোন পথে যাবে।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭
মোরতাজা বলেছেন: হুমমম।
৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬
বিষক্ষয় বলেছেন: What you should be focusing more is the police. If the police do his job properly, lawyers can do little to save a criminal.
Plus the basic principal of modern judicial system is " innocent until proven guilty beyond any reasonable doubt" . Until someone is proven guilty in a court of law, he or she should be presumed innocent and should have access to proper legal advice and lawyer.
Short cuts to this principled approach may seem nice but in the long run costs the country and the society severely.
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫
মোরতাজা বলেছেন: আইনগতভাবে সব ধরণের সুযোগ অপরাধী বা অরাধে অভিযুক্ত পাবেন। এতে আমার বা আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ওকালতিটা বিচারকের টেবিলে সামনে করাটাই উত্তম। কিন্তু মিডিয়ার সামনে এ ধরণের নোংরা অপরাধ বিষয়ক রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়াটা সমর্থন করি না। কারণ এটা একটা ধর্ষণ মামলা! যেখানে নিয়ত ধর্ষকরা পার পেয়ে যাচ্ছে, সেখানে এ ধরণের বক্তব্য কাউকে তো আস্কারা দেয়ার শঙ্কা থেকেই যায়! নিশ্চয় দ্বিমত করবেন না।
৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: পক্ষে দাঁড়ানো মানে এই না যে ঐ আইনজীবি এটা সমর্থন করেন। আইনজীবির কাজ হলো আসামীর পক্ষে এবং বিপক্ষে আইনের ফরম্যাটে তার দোষ তুলে ধরা এবং কেন সে নির্দোষ সেটাও তুলে ধরা। সাধারন মানুষ আইন বোঝেনা বলে এই ব্যাবস্থা। এখন সে দোষী না নির্দোষ সেটা বিচারের ভার বিচারকের। এখানে ব্যাক্তিগত ভাবে নেয়ার কিছু নেই আইনজীবির। তার কাজ হলো তার মক্কেলকে টাকার বিনিময়ে বাঁচানো। যার আইনজীবি নিয়োগের ক্ষমতা নেই, সরকার নিজ খরচে তাকে আইনজীবি দিয়ে থাকে তার পক্ষে কথা বলার জন্য।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩০
মোরতাজা বলেছেন: কথা শইত্য! কিন্তু মিডিয়ার সামনে যুক্তি উপস্থাপন না করাটাই ভালো।
৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যতই পেশা হোক, নীতি নৈতিকতা বলে তো কোন ব্যপার আছে। তাই না? বিবেকে কেমনে সাড়া দেয়?
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩১
মোরতাজা বলেছেন: হুমমম।
৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৫
ধমনী বলেছেন: আইন যখন পেশা হয় তখন নিয়মানুযায়ী আইনজীবি তার খুনী মক্কেলকেও জেনে বুঝে নির্দোষ বলবেন। এটাই বর্তমান বিচার ব্যবস্থার এথিকস।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২
মোরতাজা বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮
হোয়াইট টাইগার বলেছেন: এই আমাদের দেশে,,
অমানুষেরা আছে বেশ বেশ ।