নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংখ্যা তত্ত্ব, আবেগ খালেদা জিয়া এবং

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

খালেদার বক্তব্যের সাথে দ্বি-মত করার মত পরিসংখ্যান কেন আমাদের থাকবে না। শুধু আবেগ দিয়ে কেন, আমরা জাতির এত বড় একটা অবদানকে তর্কের মধ্যে রেখে বিভাজন তৈরি করবো। প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে।

খালেদার বক্তব্যের খণ্ডিতাংশ নিয়ে তর্ক হচ্ছে। বিডিনিউজ জানাচ্ছে--- খালেদা গতকাল বলেছেন, '“আজকে বলা হয়, এতো লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানারকম তথ্য আছে।”

খবরটিতে আরো জানাচ্ছে, খালেদা বলেছেন, “সরকার নানারকম মুক্তিযোদ্ধা তালিকা তৈরি করছে। যাদের অন্যায়ভাবে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে; আমরা ক্ষমতায় আসলে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করে তাদের যথাযথ সন্মান ও সন্মাননা দেব।”

একাত্তরে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা নয়, ক্ষমতা চেয়েছিল দাবি করে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জেনারেল জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বলেন, “তিনি (জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।”

বিস্তারিত লিঙ্কে Click This Link

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের পরিসংখ্যান কম বেশি হলে আমাদের স্বাধীনতা প্রশ্ন বিদ্ধ হবে না। হতে পারে না। জাতি সম্মিলিতভাবে একটা স্বাধীন দেশ নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ-মনোবল আর বঙ্গবন্ধুর প্রেরণা নিয়ে যুদ্ধ করেছে।

এর পরেও সংখ্যার হিসাবটা কেন তুললেন খালেদা? এর আগে সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান ও ভারতীয় গবেষক শর্মিলা বসুও একই রকম বলছেন। আমার ধারণা খালেদা বিষয়টি তুলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, শহীদ পরিবারে ভাতার নামে হয়রানি-বঞ্চনার বিষয়টি সামনে আনতে। নিশ্চয় তিনি বা তার দল এটার মূল ব্যাখ্যাটা দিতে পারবেন।

একটা পরিসংখ্যান নিয়ে কথা উঠলে, আমরা সেটার যৌক্তিক প্রতিবাদ না করে 'আক্রমণ' করার সংস্কৃতি কতটা গ্রহণযোগ্য সেটা আবেগের কাছে বিবেচ্য নয়; তবে বিবেক তাড়িত মানুষ এটি বুঝতে পারবেন, নিশ্চয়!

তবে এ রকম প্রশ্ন সামনে আরো উঠতে পারে। সে শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। সংখ্যা ভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর নিশ্চয় আবেগ নয়; সংখ্যা দিয়েই দেওয়া উচিৎ।

দেশে বিদেশে যারা গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধি অপরাধ নিয়ে গবেষণা করেছেন, করছেন এবং সামনে করবেন তাদের জন্য এটা খুবই জরুরি। যদিও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পড়াশোনার জন্য এখনো দেশে কোনো্ বিশেষায়িত ইন্সটিটিউট গড়ে উঠেনি; সামনে নিশ্চয় উঠবে; তখন এ সব তথ্যের দরকার পড়বে।

মনে রাখা দরকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কিন্তু 'রাজাকার বান্ধব' খালেদার করা। যেটি করার কারণে সরকারি লোকজন বিদেশিদের সম্মাননা জানানোর সোনা চুরিও করতে পেরেছিলেন। খবরের লিঙ্ক Click This Link


খালেদা বক্তব্যটা দিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে । যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, তারা যদি তার বক্তব্য অসঙ্গত মনে করতেন -তাহলে তারা প্রতিবাদ করতেন। যেহেতু সংখ্যা তত্ত্ব এখানে অচল; আবেগ তত্ত্ব হিসাব করলেও মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নেয়াদের বীরদের চে আমাদের আবেগ নিশ্চয় বেশি নয়। হলে , সেটাকে গ্রামবাংলার প্রবাদ---' মা'র চে মাসির দরদ বেশি' গণ্য হতে বাধ্য।

খালেদার অনুষ্ঠান থেকে কি কেউ তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করে নীরবে চলে গেছেন? এমন কোনো তথ্য সরকারি জনসংযোগ-গণমাধ্যমেও খুঁজে পেলাম না।

খালেদা যে, একই সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য মর্যাদা ও সম্মান নিশ্চিত করার কথাও বলেছেন। সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে না। ৪৪ বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধারা অসহায়; তা নিয়ে কেউ ভাবছে না। খবর হলো, ২০১৩ সালেই বিদেশে পাচার হয়েছে ৭৫ হাজার কোটি টাকা। সূত্র Click This Link




কোটার দাক্ষিণ্য মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমানের। এ দেশ তাদের রক্ত, শ্রম- জীবন-বাজিতে স্বাধীন। সে স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব যাদের হাতে অর্পিত, তারা বিভেদ বিসম্বাদ নিয়ে ব্যস্ত! সে বিকারগ্রস্থতার মাঠে আমরাও সরব-কিম্বা নীরব দর্শক।

গ্যালারির দর্শখ হিসাবে আমার ব্যক্তিগত মত, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থাকলে কিন্তু সরকারি সুবিধা থেকে সরকার ভেদে বঞ্চনার ঘটনা ঘটতো না ।

খালেদা রাজাকার বান্ধব মেনে নিলাম; কিন্তু তার বিপরীত জন? গেলো ১৬ ডিসেম্বরও ইনডিয়া ইন্দোপাকওয়ার৭১ হ্যাশ ট্যাগে বিজয় উৎসব শেয়ার করেছে, ফেসবুক ও টুইটারে । ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড পেজ থেকে । চেতনার সর্বস্ব উজাড় করা সরকার তার প্রতিবাদ করার সাহস পেলো না । আর ফেসবুকে এখন যারা হাউকাউ করছে তারা তখন কেন চুপ ছিল; কেন রে ভাই। বঙ্গীয় দালাল হও। ভারত-পাপিস্তানের নয়।
সূত্র ---

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮

আমি আবুলের বাপ বলেছেন: বঙ্গীয় দালাল হও। ভারত পাপিস্তানের নয়।

চেতনার ল্যাঞ্জায় পাড়া দিলেন খালেদা জিয়া!!!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

মোরতাজা বলেছেন: :)

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: যারা সত্য অনুসন্ধানে ভয় তারা তারা নিঃসন্দেহে মিথ্যাবাদী। যারা বিতর্ককে ভয় পায় তারা নিঃসন্দেহে যুক্তির পক্ষে নেই।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

মোরতাজা বলেছেন: হুমমম।

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

গেদু চাচা বলেছেন: ভাই পড়ালিখা না করে গায়ের জোরে রাজনীতি করে চেতানার ফেরিওয়ালারা। ওদের কথার কি ডাম আছে। ওদের কথার দাম থাকলে বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষ আওয়ামিলীগ করত বিএনপি করতনা। ওদের কথার ডাম নাই বলে এদেশের মানুষগুলো বিএনপি থেকে তাদের আস্থা কোনদিন হারায়না। আর জনগনের আস্থা তাদের দিকে নেই বলে চেতনাওয়ালা ভোটের রাজনীতি কে ভয় পা্য। তারা করে চাপাতি, বন্দুক আর প্রপাগান্ডা রাজনীতি। খালেদা জিয়া এই প্রশ্ন এই জন্যই তুলেছেন যে আজকে আওয়ামিলীগের গুনডা পান্ডারা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নাম ভাঙিয়ে ভাতা লুটে পুটে খাচ্ছে। কাজেি শহীদ মুক্তি যোদ্ধাদের জাতীয় লগ থাকা প্রয়োজন।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮

মোরতাজা বলেছেন: হরিলুটের পরিসংখ্যান দিন। এটা নিয়ে লিখতে পারেন। যাদের রক্তে এ স্বাধীনতা তাদের সম্মান দিতে না পারি; অসম্মান করার অধিকার আমাদের নেই!

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই সংক্রান্ত যে কয়টি পোস্ট এসেছে, বিশেষ করে বিএনপি বা তাদের আদর্শের পক্ষ থেকে তার মধ্যে আপনার পোস্টের ভাষা থেকে অনেকেরই অনেক কিছু শেখার আছে। ব্যক্তিগত আদর্শ বা মত যাই থাকুক না কেন, এই নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা অবশ্যই হতে পারে। দুঃখজনকভাবে দুই পক্ষেই আমি এর অভাব লক্ষ্য করেছি। আপনি পোস্টে বলেছেন,

খালেদা বক্তব্যটা দিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে । যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, তারা যদি তার বক্তব্য অসঙ্গত মনে করতেন -তাহলে তারা প্রতিবাদ করতেন। যেহেতু সংখ্যা তত্ত্ব এখানে অচল; আবেগ তত্ত্ব হিসাব করলেও মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নেয়াদের বীরদের চে আমাদের আবেগ নিশ্চয় বেশি নয়

মাফ করবেন ভাই, আমাদের দেশের যে রাজনীতির ধারা তাতে কর্মীরা নেতাদের সামনে যে অবস্থানে থাকেন, সেই অবস্থানে থেকে কোন ভুলের প্রতিবাদ সম্ভব নয়, অন্তত নজীর নেই। বরং নেতা যাই বলুক না কেন, সেটাকেই তারা বেদবাক্য মনে করে এর পক্ষে অবস্থান করেন। কেউ মানুক বা না মানুক, এটা গনতন্ত্র নয়, এটা দেশের জন্যও ভালো নয়। অথচ সবাই ক্ষমতায় আসলে দেশের ভালো করার প্রতিশ্রুতিই দেন।

আপনার পোস্টের কাউন্টার হিসেবে যদি সুলিখিত কোন পোস্ট থাকত, তাহলে সেই পোস্টটিও সামনে আসতে পারত, কিন্তু দুর্ভাগ্য ব্যক্তিগত আক্রমন ছাড়া এমন কিছু পাই নি বিধায়, আমরা যারা ব্লগে প্রাণবন্ত আলোচনা সমালোচনা আশা করি, তারা কিছুই পায় না।

আমি মনে করি, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা যতই হোক না কেন, সেটা ৩ জন হোক আর ৩ কোটি হোক, তাতে পাকিস্তানী বা রাজাকাদের প্রতি ঘৃনা কমে যাবে না। তবে মুক্তিযুদ্ধের মত জাতির একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে মন্তব্য করার আগে দায়িত্বশীল যে কারোই প্রয়োজন সঠিক কারন বা ব্যাখ্যা জনগনের সামনে তুলে ধরা।

আমরা যারা এই দেশের সাধারন নাগরিক আছি, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তাদের আবেগ সৎ এবং আপোষহীন। ফলে আমরা চাই না, আমাদের সৎ আবেগের এই স্থানটি যে কারো ব্যবসার পুঁজি হোক।

আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনার এই পোস্টে যারা সঠিক জানেন, তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। তারা যে অযাচিত, অশালীন ভাষা প্রয়োগ বাদ দিয়ে সমালোচনায় অংশগ্রহন করে বা প্রতিবাদ করে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০০

মোরতাজা বলেছেন: অবশ্যই পাপিস্তান ঘৃণিত জাতি। এটা নিয়ে দ্বিমত করার কোনো সুযোগ নেই। ওই নরাধমরা-শুকুরদের ক্ষমা নাই।

৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

এই আমি সেই আমি বলেছেন: আমরা অতীতেও দেেখেছি কোন গোষ্ঠী বা ব্যক্তি বিশেষ কে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে বিশেষ দৃষ্টি কোণ থেকে মুক্তি যুদ্বে শহিদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে । তারা কারা এবং কি উদ্দেশ্যে এই ধরনের বিতর্কের অপ প্রয়াশ চালাত তা আমাদের অজানা নয়।

কিন্তু কি উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্বা জিয়ার স্ত্রী এই ধরনের প্রশ্ন তুললেন এবং কেন ঐ বিশে

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০১

মোরতাজা বলেছেন: সেই ব্যাখ্যা তার কাছে আমাদের দাবি করা উচিৎ। আমি নিজেও দাবি করি। কিন্তু তাকে পাকি চেতনা কিম্বা আমসীরে জমাত বলাটাকে আমি সমর্থন করি না।

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

এই আমি সেই আমি বলেছেন: আমরা অতীতেও দেেখেছি কোন গোষ্ঠী বা ব্যক্তি বিশেষ কে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে বিশেষ দৃষ্টি কোণ থেকে মুক্তি যুদ্বে শহিদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে । তারা কারা এবং কি উদ্দেশ্যে এই ধরনের বিতর্কের অপ প্রয়াশ চালাত তা আমাদের অজানা নয়।

কিন্তু কি উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্বা জিয়ার স্ত্রী এই ধরনের প্রশ্ন তুললেন এবং কেন ঐ বিশেষ গোষ্ঠীর কাতারে নিজেকে শামিল করলেন তা বোধগম্য নয় ।

৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২

ঢাকাবাসী বলেছেন: সত্য কথা বলার অনেক বিপদ এখন।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০২

মোরতাজা বলেছেন: জানি; তবুও বলতে হবে। কারণ আগামী প্রজন্মরে জন্য একটা অনাহুত বিতর্কুক্ত দেশ গঠন জরুরী।

৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৯

চলতি নিয়ম বলেছেন: খালেদা বক্তব্যটা দিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে । যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, তারা যদি তার বক্তব্য অসঙ্গত মনে করতেন -তাহলে তারা প্রতিবাদ করতেন। ছাগলীয় যুক্তি ;) ঠিক যেমন দেইল্ল্যা রাজাকার কয়েক বার এম পি নির্বাচিত হয়েছে তাই সে রাজাকার হতে পারে না :((

আচ্ছা ভাই তাইলে সঠিক সংখ্যা টা কত? কোনো রেফারেন্স?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫২

মোরতাজা বলেছেন: এটা কোনো যুক্তি নয়। অবজারভেশন। মানুষীয় যুক্তিতে পরিসংখ্যান থাকা ভালো।

৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১১

চলতি নিয়ম বলেছেন: পরিসংখ্যান বা যুক্তি দিলে মানবেন? দেখেন তো এই লেখাতে কি কি ভুল আছে?

আপনার পরিবারে কেউ মারা যায় নাই;
কিন্তু ডক্টর দীগেন্ত চন্দ্রের পরিবারের আটজন মারা গিয়েছিলেন।

আপনার গ্রামে কেউ মারা যায় নাই;
কিন্তু চুক নগরে এক ঘন্টার ১৫,০০০ মানুষকে মারা হয়েছিলো।

আপনার শহরে কোন বধ্যভূমি নাই;
কিন্তু এক চট্রগ্রাম শহরে ১১৬টা চিহ্নিত বধ্যভূমি আছে।

সেই চট্রগ্রামের ১১৬ টা বধ্যভূমির একটা বধ্যভূমি নাম পাহাড়তলি বধ্যভূমি যার কেবল একটা গর্ত থেকে ১ হাজার ১০০ টা মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিলো, আর সেই একটা বধ্যভূমিতে এরকম প্রায় একশটি গর্ত ছিলো।

WCFC-র হিসাব অনুসারে-
সারাদেশে এখন পর্যন্ত বধ্যভূমি আবিস্কার হয়েছে ৯৪২টা।

কথা পরিস্কার;
সব সময় ভালো মানুষী দেখাই
কিন্তু আমার সাথে গনহত্যা নিয়ে পাঙ্গা নিতে আসলে স্ট্রেট ভরে দিবো...
একেবারে ভরা মজলিশে পাছা মেরে দিবো জানোয়ারের বংশধরদের...

তিরিশ লক্ষ শহিদের প্রমাণ আমরা রক্তে নিয়ে ঘুরি;

এটা হাওয়ায় হাওয়ায় চেতনার কথা না, হাতে হাতে প্রমাণ দিয়ে দিচ্ছি... মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের জনসংখ্যার যে ঘাটতি হয়েছিলো সেটা এখনো আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি নাই...

আজ ৪৪ বছর পরেও...

UN এর পপুলেশান গ্রোথ রেটে মানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার একটু দেখেনঃ

১৯৫০-১৯৫৫ সালে ১৪.৬,
১৯৫৫-১৯৬০ সালে ১৫.৩,
১৯৬০-১৯৬৫ সালে ১৫.৩,
১৯৬৫-১৯৭০ সালে ১৫.৭,
১৯৭০-১৯৭৫ সালে ৫.৩ *,
১৯৭৫-১৯৮০ সালে ১৪.২,
১৯৮০-১৯৮৫ সালে ১৪.৫,
১৯৮৫-১৯৯০ সালে ১৪.১

১৯৬৫-১৯৭০ সালে গ্রোথ-রেট ১৫ এর উপরে থাকা একটা দেশের পপুলেশান গ্রোথ রেট হঠাৎ ১৯৭০-১৯৭৫ সালে ৫.৩ হয়ে গেলো!! আরেকটু লক্ষ্য করলে দেখবেন ১৯৬৫ সালে আমাদের পপুলেশান গ্রোথ রেট যে ১৫.৭% ছিলো সেটা আমরা এখনো অর্জন করতে পারি নাই। অর্থাৎ এই যে তিরিশ লক্ষ শহিদ বেঁচে থাকলে তাদের যে বংশধরদের জন্ম হতো সেটা তিন প্রজন্ম পর হতো প্রায় এক কোটি এবং এই এক কোটি মানুষের ঘাটতি আমাদের পপুলেশান ডাটায় স্পষ্ট।

যদি আসলেই হিসেবটা করেন তাহলে দেখবেন স্বাভাবিক অবস্থার তুলনায় ৭০১-৭০৬= ৬৫ লক্ষ মানুষের হিসাব মিলছে না...

এবং সেই হিসাব আর কখনোই মেলেনি...

৭১ থেকে ৭৫ সালের ভেতরে আমাদের দেশ বেশ বড় বড় কয়েকটি দুর্যোগের ভেতর দিয়ে গিয়েছে...

১) সত্তরের ঘূর্ণিঝড়
২) চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ
৩) যুদ্ধের পর ভারতে থেকে যাওয়া শরণার্থী
৪) রাজনৈতিক হত্যাকান্ড
এবং
৫) মুক্তিযুদ্ধ

আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি ১ থেকে ৪ পর্যন্ত ঘটনাগুলোতে যে কোন উন্মুক্ত সোর্স থেকে সর্বোচ্চ দাবীকৃত হতাহতের সংখ্যা দিয়ে হিসেব করুণ দেখুন কোন ভাবে তিরিশ লাখের কম বানাতে পারেন কি না।

আমাদের প্রজন্মের মত নিমোখারাম জাতি সম্ভবত একটাও নাই।

হে প্রজন্ম তোমাদের এত যখন সন্দেহ; যাও না দেখ না পৃথিবীর অন্যসব গনহত্যার খতিয়ান। এত যে শহিদের লিস্টি দাবী কর, দেখাও না এমন একটা যুদ্ধ যেখানে শহিদের লিস্ট করা হইসে...?এটা যুদ্ধ, কোন সার্কাস না। পৃথিবীর কোন যুদ্ধে কখনো শহিদের নামিয় তালিকা তৈরি করা যায় না।

কম্বোডিয়ার খেমারুজরা ২৬০ দিনে তাদের দেশের ২১% মানুষ মারসিল,
রুয়ান্ডা ১০০ দিনে মোট জনসংখ্যার ২০% মারলো,
চিনের নানকিং মাসাকারে এক মাসে ৩ লাখ মারলো,
আর্মেনিয়ায় জনসংখ্যা ৪৩ লাখ এর ভিত্রেই ১৫ লাখ মাইরা ফেললো...
নাইজেরিয়ার ৩৫,০০০ সৈনিক মিল্লা৩০ লাখ মারসিলো

আর সাড়ে সাত কোটি জনগণের দেশে আর ৯২,০০০ পাকি সৈনিক আর দুই লাখ প্রশিক্ষিত রাজাকার নিয়া ৩০ লাখ ফিগার, মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪% মানুষের মৃত্যু তোমার এত অসম্ভব মনে হয় কেন?

যে কোন হিসাবে, যে কোন যুক্তিতে
১৯৭১ সালে শহিদের সংখ্যা তিরিশ লাখের বেশি...
বেশি... বেশি... বেশি...

কম না...
কখনোই না...

কার্টেসী: Zakir Akhtaruzzaman

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

মোরতাজা বলেছেন: গুড ওয়ান।

১০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

কলাবাগান১ বলেছেন: @ঢাকাবাসী,

আপনার কাছে সত্য কথা কি? যে সত্য বলার জন্য আপনি বিপদে পড়বেন। নাকি রাজাকারদের সাথে গলা মিলিয়ে বলবেন ৩০ লক্ষ না ৩০ হাজার কে পাকিরা হত্যা করেছে........৩০ হাজার হলে কে আপনি খুশী হবেন???

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

মোরতাজা বলেছেন: তর্কের চে তথ্য জরুরী। সংখ্যা কম বেশি না। এমনও তো হতে পারে পরিসংখ্যানে এটি ৫০ লাখ হলো। তাহলে ২০ লাখ শহীদের পরিবারকে আমরা বঞ্চিত করছি না।

এখানে মূল বিষয় বঞ্চনার। সঠিক পরিসংখ্যান থাকলে মূল্যায়ন সহজ ।

১১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮

হাসান নাঈম বলেছেন: @চলতি নিয়ম

আপনার জনসংখ্যা ভিত্তিক হিসেবটার মধ্যে একটা বড় বিষয় বাদ গেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে এক কোটি লোক ইন্ডিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিল তাদের মধ্যে কতজন ফিরে এসেছে? আপনি জনসংখ্যার হিসেবে যে ৩০ লাখ খুজে পাচ্ছেন না সেটা ঐ পালিয়ে যাওয়া লোকের সংখ্যা নয় কি?

আর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার জন্যও প্রধানত তারাই দায়ী। আর দ্বিতীয়ত যেকোন যুদ্ধ বা অস্থিরতার সময় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পায় - এটাই স্বাভাবিক।

"সারাদেশে এখন পর্যন্ত বধ্যভূমি আবিস্কার হয়েছে ৯৪২টা।" - এই সব বধ্যভূমিতে যত মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে সেই সংখ্যাটা উল্লেখ করলে ভাল হত না? না কি সেটারও কোন হিসেব নাই?

আমার কথা হচ্ছে সংখ্যাটা ১০ হোক বা ১০ লাখ হোক, কোন একটা হিসেবের মধ্যেতো আসতে হবে। ইহুদীরা বিশ্বাস করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ৬০ ইহুদী নিহত হয়েছে। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ বা প্রশ্নকেই তারা সহ্য করতে পারে না। আমরাও কি তাদেরমত হব? বিনা প্রশ্নে বিনা হিসেবে ৩০ লাখ মানতেই হবে? কেন? কেন মহান শহীদদের একটা কাল্পনিক সংখ্যায় আটকে রাখতে হবে?

আমরা প্রতি বছর ৮ কোটি লোকের ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে পারি। দশ বছর পর পর ১৬ কোটি মানুষের আদম শুমারী করতে পারি। তাহলে শহীদের একটা হিসেব কেন করতে পারব না। যাদের আত্মীয় স্বজন বেঁচে আছে তাদের থেকে তথ্য নিয়ে প্রত্যেকের নাম পরিচয় সহ একটা তালিকা কেন হবে না?

আমরা চার দশকে এটা করতে পারি নাই ঐ সংখ্যাটার কারনে। কেননা যখনই কোন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তখনই দেখা গেছে মাঠের তথ্যের সাথে বিরটা তফাত। আর তখনই অনেকের মনে হয়েছে এটা করতে গেলে জাতীয় নেতাদের মিথ্যাবাদী বানান হবে। কাজেই হিসেব বাদ - নেতার কথাই ঠিক। অথচ আমরা সবাই জানি সংখ্যাটা একটা আনুমানিক হিসেব - সেটা ভুল হতেই পারে। মুক্তিযুদ্ধ যেমন কোন ধর্ম নয়, এই সংখ্যাটাও তেমনি কোন ঐশ্বরিক বানী নয় - দু:খ জনক হল আমাদের সেকুলার বুদ্ধিজীবিরাই এটা মানতে চায় না।

যাই হোক - কিছু কাজ মনে হয় শুরু হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাষকের ওয়েব সাইটে ৩৬৭ জন শহীদের তালিকা আছে। পুরো দুই বছরের তদন্ত শেষে তারা এই তালিকা তৈরী করেছে। এ'থেকে ধারনা করা যেতে পারে সারা দেশে মোট শহীদের সংখ্যা কত হতে পারে।

অন্য জেলাগুলি একটু উদ্যোগ নিলেই সকল শহীদের নাম পরিচয়সহ তালিকা পাওয়া যাবে। মহান শহীদদের একটা কাল্পনিক সংখ্যায় আবদ্ধ রেখে চেতনার ব্যাবসা আর বেশিদিন চলবে না।

শহীদের তালিকা

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

মোরতাজা বলেছেন: তর্কের চে তথ্য জরুরী। সংখ্যা কম বেশি না। আপসি একটি জেলার পরিসংখ্যান দিয়েছেন। ভালো। এ রকম গ্রামে বিরোধী মত দমন অভিযান না করে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধে শহীন ও তাদের পরিবার সনাক্ত করে তাদের মূল্যায়ন করা দরকার।

১২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

রাফা বলেছেন: হুম....তরিকা বদলায় নাই ,সেই আগের মতই আছে।ত্যানা প্যাচানি।আরো কত কিছু কইছে বেগম সাহেবা সেইগুলো নিয়ে কেনো কথা বলিনা।খালেদা জিয়া ও তার পরিবারে কে শহিদ হইছে বলেনতো?কাজেই বাংলাদেশে কোন শহিদ নাই।
জার্মান গিয়ে জিজ্ঞেস করেন কয়জন ইহুদি খুন হইছে/আমেরিকাতে আইসা বলেন হিটলার আপনার চাচা ছিলো।আপনার না শুধু আপনার ১৪ জেনারেশনকে খুজে পাওয়া যাবেনা।
বেতনভুক্তদের কাজই যুক্তি আর প্রমাণ না থাকলে বিতর্ক তৈরি করে দাও।সেই সোলজারদেরই আনাগোনা দেখতেছি।মনে করেন মানলাম ৩০লক্ষ শহিদ হয় নাই।তাইলে পরিসংখ্যান দেন কতজন শহিদ হইছে?না পারলে প্রতিষ্ঠিত সত্যকে বিতর্কিত করার কোন অঢিকারও আপনাদের নেই।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

মোরতাজা বলেছেন: তর্কের চে তথ্য জরুরী। সংখ্যা কম বেশি না। এমনও তো হতে পারে পরিসংখ্যানে এটি ৫০ লাখ হলো। তাহলে ২০ লাখ শহীদের পরিবারকে আমরা বঞ্চিত করছি না।

এখানে মূল বিষয় বঞ্চনার। সঠিক পরিসংখ্যান থাকলে মূল্যায়ন সহজ ।

১৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩১

হাসান নাঈম বলেছেন: "তাইলে পরিসংখ্যান দেন কতজন শহিদ হইছে?না পারলে প্রতিষ্ঠিত সত্যকে বিতর্কিত করার কোন অঢিকারও আপনাদের নেই।"

জ্বি পরিসংখ্যান তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। সিরাজগঞ্জেরমত পুরো একটা জেলায় দুই বছরের তদন্তে পাওয়া গেছে ৩৬৭ জন। সবগুলি জেলা এই উদ্যোগ নিলে কয়েক বছরের মধ্যেই পুরো তালিকা পাওয়া যাবে। কিন্তু আপনারা কি সেটা করতে দেবেন?
যারা সব সময় ৭১ নিয়ে কথা বলে - দ্বায়িত্বটা কি তাদেরই বেশী নয়?

আর প্রতিষ্ঠিত সত্যের কথা বলছেন - সেটা কিভাবে প্রতিষ্টিত হল? বাংলাদেশের কোন মানুষটা জানে না যে এই সংখ্যাটা একটা অনুমান মাত্র। যখন প্রশ্নটা করা হয়েছিল তখন অনুমান ছাড়া উপায়ও ছিল না - কিন্তু পরবর্তিতে সেটা তদন্তের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করা হল না কেন? কারণ : নেতার প্রতি অন্ধ ভক্তি। আসল সংখ্যাটা ভিন্ন হলে আওয়ামী ধর্মের অবমাননা হবে বলেই কেউ উদ্যোগ নেয় নাই। এখন দেখার বিষয় সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাষনের উদ্যোগ কতদিন টেকে বা অন্য জেলাগুলিকেও এ'রকম উদ্যোগ নিতে দেয়া হয় কী না।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

মোরতাজা বলেছেন: হুমমম।

সঠিক পরিসংখ্যান থাকলে কোনো মুক্তিযোদ্ধা পরিবারই রাজনৈতিক বিবেচনায় বঞ্চনার শিকার হবে না!

১৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

মেহেদী হাসান নাইস বলেছেন: সবাই বাল নিয়া বকতেসে...আরে সালারা তোর শহীদ-রাজাকারের গুষ্টি মারি......।
সালা তরা যে এত বাল নিয়া বক্তেসিস তো আইজ রাস্তাই এত ভিক্ষুক ক্যান... ছোট শিশুটির গায়ে কম্বল নাই ক্যান... দেশে এর পাছা ও আর অর পাছা এ মারতাসে ক্যান... তাইলে দেশ স্বাধীন করে লাভ কি করল শহীদ-গাজীরা ।।
আইজ স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর মানুষকে জিজ্ঞেস করেনতো কোন মানুষটা আজ সাধিন...।রাস্তাই বের হলেই মানুষ আতংকে থাকে এই বুঝি কোন দলের বুলেট টা আমার শরীরটা ছিদ্র করে দিল...।আমি এই ১৯ বছর বয়সে বাস্তব নিজ চক্ষুকে বিশ্বাস করব না ইতিহাসকে।।আমার ইতিহাস দেখএ কি লাভ যদি আমার পেটে ভাত না থাকে শুবার জাইগার উপরে পলিথিন/চাল না থাকে।। ধিক্কার তোর এই বালের স্বাধীনতাকে ছিঃ ছিঃ
আজ স্বাধীনতা মানে কি সরকারি চাকরির জন্য ১০ লাখ+++ টাকা ঘুষ দেওয়া... না সাধারন মানুসের বিনা দোষে জেলে যাওয়া?
+++++++++++++++যেখানে ঈমানেরই ঠিক নাই সেখানে ঈমানের অঙ্গ নিয়া টানাটানি কিসের+++++++++++
কেউ মাইন্ড করলে কিছু করার নাই<<<<<

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

মোরতাজা বলেছেন: কিছু বলার নাই!

১৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

গেদু চাচা বলেছেন: see here



Ian Jack (21 May) mentions the controversy about death figures in Bangladesh's liberation war. On 8 January 1972 I was the first Bangladeshi to meet independence leader Sheikh Mujibur Rahman after his release from Pakistan. He was brought from Heathrow to Claridge's by the Indian high commissioner Apa Bhai Panth, and I arrived there almost immediately.

Mujib was puzzled to be addressed as "your excellency" by Mr Panth. He was surprised, almost shocked, when I explained to him that Bangladesh had been liberated and he was elected president in his absence. Apparently he arrived in London under the impression that East Pakistanis had been granted the full regional autonomy for which he had been campaigning. During the day I and others gave him the full picture of the war. I explained that no accurate figure of the casualties was available but our estimate, based on information from various sources, was that up to "three lakh" (300,000) died in the conflict.

To my surprise and horror he told David Frost later that "three millions of my people" were killed by the Pakistanis. Whether he mistranslated "lakh" as "million" or his confused state of mind was responsible I don't know, but many Bangladeshis still believe a figure of three million is unrealistic and incredible.

Serajur Rahman

Retired deputy head, BBC Bengali Service

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

মোরতাজা বলেছেন: সিরাজুর রহমানকে তো এ দেশের সরকার রাজাকার বলেই জানে !

১৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮

ভুতের আড্ডা বলেছেন: ব্লগার অমি রহমান পিয়ালের এ সংক্রান্ত একটি লেখা এখানে শেয়ার করছি, আশাকরি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন:

একাত্তরে মানুষ কি ভাবে মরতো? জ্বরে, ডায়রিয়ায়, কলেরায়, সাপের কামড়ে, জলে ডুবে এই ধরণের অপমৃত্যু আমলে না নেই। বার্ধক্যজনিত মৃত্যুটাও বাদ। আমি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের গণহত্যার শিকারদের কথা বলছি। গুলিতে, বেয়নেটে, অসহ্য শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মরেছেন তারা। তীব্র আতঙ্কে এবং শোকেও মরেছেন অনেকে। চোখের সামনে তরতাজা চার সন্তানকে গুলি খেয়ে মরতে দেখে বুলেটের খরচা বাচিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তাদের বাবা-মা। এই যে এত্ত মানুষ মরলো, কয়জন স্বাভাবিক সৎকার পেয়েছেন? গ্রামকে গ্রাম যখন বুলেটে ঝাঝরা করে আগুন লাগানো হতো কতজন পলাতক ফিরে এসে লাশের দেখা পেয়েছেন! শিয়াল-কুকুর ও শকুনের খোড়াক কতজনের তালিকা পাওয়া গেছে? নদীতে ভেসে গেছে যে লাশ তাদেরই বা নাম ঠিকানা লিখে রেখেছেন কয়জন। ২৫ মার্চের কালরাতে ভাসমান যারা গুলি খেয়ে মরেছেন? তাদের কি ঠিকুজি। গণকবরে কিংবা সম্প্রতি আবিস্কৃত মৃত্যুকুপ গুলোয় যাদের হাড়গোড়, তাদের নামগোত্র কই পাওয়া যাবে!

এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা আমরা জানি ত্রিশ লাখ। এটা একটা প্রতীকি সংখ্যা। কিন্তু এনিয়েও চলে রাজনীতি। ব্লগে স্বাধীনতাবিরোধী জামাত-শিবিরের একটি পোস্টের পর ব্লগার যুষ্ণিক্ত (!) অসাধারণ একটি জবাবদিয়েছিলেন। তারপরও ৩০ লাখ নিয়ে হাসিঠাট্টা হয়। মুজিবের নানা দোষের মধ্যে এটিও একটি। বিদেশী সাংবাদিকদের সামনে আবেগে তার মুখ থেকে নাকি থ্রি মিলিয়ন অঙ্কটা বের হয়ে গেছে! পাকিস্তানী কারাগার থেকে দেশে ফেরার কয়েকদিন পর ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টকে একটি সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারী ধারণকৃত সেই সাক্ষাতকারেই মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার শিকার বাঙালীদের সংখ্যা ৩০ লাখ বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু। কি কারণে তিরিশ লাখ, এটা ফ্রস্ট তাকে জিজ্ঞেস করেননি। করলে বঙ্গবন্ধূ নিশ্চয়ই তাকে একটা ব্যাখ্যা দিতেন। আমাদেরও এ নিয়ে মশকরা শুনতে হতো না। তবে কাকতালীয় একটা সূত্র আমরা দিতেই পারি। আর সেটি হচ্ছে ইয়াহিয়া খানের ঘোষণা। রবার্ট পেইন তার ম্যাসাকার (পৃ. ৫০) ফেব্রুয়ারিতে ইয়াহিয়ার একটি দম্ভোক্তির উল্লেখ করেছেন : "Kill three million of them," said President Yahya Khan at the February conference, "and the rest will eat out of our hands."

বিষয়টা কাকতালীয় সন্দেহ নেই। মুজিব ইয়াহিয়ার কথাটিই পিক করে থ্রি মিলিয়ন বলেছেন এটা আমার বিশ্বাস হয় না। বরং সংখ্যাটা আরো বেশী হতে পারে এ ব্যাপারে আমি সায় দেবো। রাসেলের সঙ্গে আমার আলোচনার কেন্দ্রে মূলত গণহত্যা এবং এর পরিসংখ্যান নিয়ে দারুণ সব কাজ করা রুডলফ জোসেফ রুমেলের একটা রেফারেন্স। ডেথ বাই গভার্নমেন্ট (পৃ.৩৩১) নামে লেখা বইয়ে রুমেল বলেছেন যে স্বাধীনতার পর একটি তদন্ত কমিশন গণহত্যার শিকারদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছিলো, শেষ করতে পারেনি। ১৮টি জেলায় পরিচালিত জরীপে ১২ লাখ ৪ হাজার ৭০০ জনের উল্লেখ আছে। পরিসংখ্যানগত সুবিধার জন্যই রাউন্ড ফিগারে নিয়ে আসা অসম্পূর্ণ সেই তালিকায় ঢাকায় ও চট্টগ্রামে ১ লাখ করে, খুলনায় দেড় লাখ, যশোরে ৭৫ হাজার ও কুমিল্লায় ৯৫ হাজার বাঙালী শহীদ হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয় সে সময় প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ পত্রের খবরে। ঠিক কি পদ্ধতিতে তদন্ত কমিশন কাজ করেছিলো তা জানতে পারিনি।...

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

মোরতাজা বলেছেন: তদন্ত কমিশন গণহত্যার শিকারদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছিলো, শেষ করতে পারেনি বলে আপনি জানাচ্ছেন। এখন সেটি শেষ করে নিলে হলো। আর সংখ্যাটা কম হবে ধরে ণেয়ার কারণ নেই। বেশিও তো হতে পারে। সুতরাং 'কম' শব্দ ধরে তর্ক অনাহুত।

১৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ওর বক্তব্যে আপনি এত কিছু খুজে পেয়েছেন| আমি ঐ বক্তব্যের ভিডিও দেখেছি টিভিতে| তাতে এত কিছু ছিল না| ছিল বিদ্রুপ| আচ্ছা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে যে গনহত্যা হয়েছে তার লিস্ট হয়েছে? এটা এতোই সোজা?
হাজার হাজার ঐতিহাসিকের মত ত্রিশ লাখের অধিক হত্যা করা হয়েছে সেখানে ওর সন্দেহ প্রকাশের কারণ কী? আর কোন কোন বইতে সে এমন দেখেছে তাও জানা দরকার| ওর পক্ষে কথা বলাকে ছাগলামি মনে করি| গতরাতে আমি একটা পোস্ট করেছিলাম, পড়ে দেখতে পারেন

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মোরতাজা বলেছেন: পক্ষ বিপক্ষ নয়। বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে খালেদা 'কম' তো বলেনি। আপনারা কম ধরে আলাপ করছেন কেন? বুঝতে পারছি না। এটা তো বেশিও হতে পারে।
আর ছাগল তো যৌক্তিক প্রাণি নয়। ব্লগে সম্ভবত সবাই মানুষ্য প্রজাতি বলে জানি!

১৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সে বেশিও বলেনি| আপনাকে আগের কমেন্টে একটা প্রশ্ন করেছি| উত্তরটা আশা করছি| আমি কম ধরে আলাপ তো করিনি| কমের ব্যাপারটা কোথায় পেলেন?
যাই হোক, কোন কোন গনহত্যায় শহীদের লিস্ট তৈরী হয়েছে সেটা জানতে চাচ্ছি

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১

মোরতাজা বলেছেন: সিরাজগঞ্জে গণহত্যার লিস্ট সরকারিভাবে করা হয়েছে। পুরো দেশের করার জণ্য একটি কমিশন হয়েছে। যেটি কাজ শেষ করেনি।

সন্দেহ শব্দটি আসলে 'কম'র প্রশ্ন আসে ; কারণ পুরনো কমেন্টের পরম্পরায় তাই দাঁড়ায়!

১৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: আমার মতে বাংলাদেশে সবকিছুর মত এই ব্যাপারেও এতো প্রশ্ন করা হয়, প্রশ্নটা আসা উচিত না হইলেও একসময় না একসময় উদয় হইতে বাধ্য। শেষ পর্যন্ত না এই সংখ্যা নির্ধারনের ব্যাপারেও আদালতের চূড়ান্ত রায়ের দারস্থ্য হয় কেউ।

আমি ব্যক্তগতভাবে মনে করি সংক্ষ্যাটা যতই হোক, সেটা যে অকল্পনীয় মাত্রার বেশি ছিলো তা বলার অপেক্ষা রাখে না। হাজার হাজার গনহত্যার ঘটনা জানা যায়। কেবলমাত্র ঢাকার হিসাব করলেই সেটা লাখের বেশি ছাড়ায়। আর সমগ্র দেশ একটা বিশাল ব্যাপার। এই ব্যাপারে আর কোন মন্তব্য করা চরম অবিবেচনাপ্রসুত কিংবা হীন মানসিকতার প্রমান দেয়। নিজেকে যেহেতু উনি একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসেবে দাবী করেন, তখন এই ধরনের কথা বার্তা উনার নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্যও মঙ্গলজনক না এই জ্ঞানটূকু অন্তত উনার থাকা উচিত। আফসোস, উনার সেই কমনসেন্সটূকুও নাই।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

মোরতাজা বলেছেন: থটফুল!

২০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৬

ভুতের আড্ডা বলেছেন: ব্লগে একটা নীতি নিয়ে পোস্ট দিতাম, মন্তব্য করতাম। সেটি হলো, কখনো জামায়াত-শিবিরের সমর্থকদের সাথে তর্কে জড়াবো না। কারণ এসব তর্কে সভ্যতা-ভব্যতা, বাকসংযম ইত্যাদি রক্ষা করা কঠিন। তারা যুক্তি ছেড়ে নিজের বক্তব্য আকড়ে ধরে পড়ে থাকে। এতোদিন সেটি সেই নীতিটি মেনেই আসছিলাম। আপনার পোস্ট পড়ে কেন যেন মনে হলো, আপনি যুক্তি বুঝবেন। কিন্তু সেই আশা যে গুড়েবালি, তা আমার মন্তব্যে আপনার উত্তরেই পরিষ্কার। যাই হোক, আপনার সাথে এটাই আমার শেষ ভার্চুয়াল বাক্যালাপ। তবে শেষ করার আগে কয়েকটি পয়েন্ট দিচ্ছি:

এক: প্রথমত আমার মন্তব্যে, যেখানে আমি অমি রহমান পিয়ালকে কোট করেছি, সেখানে 'কম' ধরে তর্কের কোনো প্রসঙ্গই আসেনি; বরং যুক্তি দিয়ে, রেফারেন্স দিয়ে প্রকৃত সংখ্যার একটা হিসেব দেয়া হয়েছে, যাতে সামগ্রিক বিষয়টি সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। অথচ আপনি বললেন, শহীদের সংখ্যা কম ধরে আলোচনা করা হচ্ছে!

দুই: আপনার পোস্ট থেকেই খালেদার কথা উদ্বৃত করছি- “আজকে বলা হয়, এতো লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানারকম তথ্য আছে।” এখানে কি কোথাও মনে হচ্ছে যে খালেদা জিয়া শহীদদের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে 'সন্দেহ' প্রকাশ করছেন? ভাই, জেগে ঘুমালেতো ঘুম ভাঙ্গনো যায় না! ইংরেজিতে একটা শব্দ আছে, ‌'রিড বিটুইন দ্য লাইনস' অর্থাৎ আপাতদৃষ্টিতে যা বলা হয় বা লেখা থাকে তার মাঝেও অনুচ্চারিত কিছু কথা থেকে যায়। শহীদদের সংখ্যা নিয়ে ইতোপূর্বে বিএনপি-জামায়াতের বক্তব্য থেকে আমরা জানি তারা সব সময়ই শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক করেছে এবং তাদের বক্তব্যে সংখ্যাটা 'অনেক কম' (যেন কম মানুষ হত্যা করলেই মুক্তিযুদ্ধের সকল অপরাধ হালকা হয়ে যায়!)। তাই খালেদা জিয়া যখন আবারো সেই প্রসঙ্গে কথা বলেন তখন পরিষ্কার বোঝা যায় তিনি কী বলতে চাইছেন। বুঝতে পাারেনা শুধু আপনার মতো লোকেরা।
এরকম আরো অনেক যুক্তি তুলে ধরা যায়....কিন্তু কি লাভ?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

মোরতাজা বলেছেন: ডেভিড বার্গম্যান কিম্বা শর্মিলা বসুর কথা যদি ধরি; "ধরি' এ অর্থে কারণ সর্বশেষ এ দুজন সংখ্যা নিয়ে তর্ক করেছেন, তাহলে খালেদা তৃতীয় ব্যক্তি। আগের দু'জন বলেছেন তিরিশ লাখের কম। কিন্তু খালেদার বক্তব্যটা আমরা যদি তর্কের খাতিরে কমের দিকেই ধরি--- তাহলেও তালিকা করার যুক্তি আমরা উড়িয়ে দিতে পারি? মনে হয়- 'না'।

খবরের যে লিঙ্ক দিয়েছি এটি বিডি নিউজের। সেখানকার খবরটি পরম্পরা লক্ষ্য করলে এটা বোঝা যায় যে, মুক্তিযোদ্ধাদের সরকার ভেদে বঞ্চনার প্রসঙ্গটা টেনেই খালেদা এ রকম একটি তর্ক করেছেন। তবে আমি এও বলেছি এর সঠিক ব্যাখ্যা তিনি বা তার দলের কাছে করা উচিৎ। তাহলে 'আসল' ব্যাখ্যা জানা যাবে।

লক্ষ্য করে থাকবেন--- কিছু লোক সরকার বদল হলে নতুন মুক্তিযোদ্ধা হয়। আর আসল মুক্তিযোদ্ধারা বঞ্চিত হয়। তাদের খোঁজ নেয়ার লোকের খুবই অভাব।

মিস্টার পিয়ালের চে আমার কাছে গবেষকদের পরিসংখ্যানের গুরুত্বটা বেশি। যতক্ষণ গবেষকদের দাবিকে আমরা উড়িয়ে ধেয়ার মত নতুন তথ্য না পাই।


আমি যুক্তির বাইরে যেতে চাইনি। চাইও না।

তবে শহীদের তালিকা করা কঠিন কাজ নয়। এটা করা উচিৎ--- কারণ এটা নিয়ে দেশে বিদেশি পাকি ও ইনডিয়ানদের ফায়দা তোলার বিষয়টি মাটিতে মেশানো জরুরি।

জীবন দিয়েছে আমাদের স্বজন -রক্ত। ফায়দা নিবে বাইরের লোক তা হতে পারে না।


'কম' শব্দটি আমি বলেছি আপনার উদ্ধৃত করা লাইনের কারণে-- যেখানে আপনি মিস্টার পিয়াল থেকে উদ্ধৃত করে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য প্রসঙ্গে বলছেন, --- 'মুজিবের নানা দোষের মধ্যে এটিও একটি। বিদেশী সাংবাদিকদের সামনে আবেগে তার মুখ থেকে নাকি থ্রি মিলিয়ন অঙ্কটা বের হয়ে গেছে! '

২১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

চলতি নিয়ম বলেছেন: @হাসান নাঈম বলেছে : আপনার জনসংখ্যা ভিত্তিক হিসেবটার মধ্যে একটা বড় বিষয় বাদ গেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে এক কোটি লোক ইন্ডিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিল তাদের মধ্যে কতজন ফিরে এসেছে? আপনি জনসংখ্যার হিসেবে যে ৩০ লাখ খুজে পাচ্ছেন না সেটা ঐ পালিয়ে যাওয়া লোকের সংখ্যা নয় কি?

এতক্ষণে আসল কথাই বলেছেন। X(( সেই হারিয়ে যাওয়া লক গুলো আসলেই ইন্ডিয়ায় পালিয়ে গেছে। তারমানে ৭১ কেউ শহীদ হয় নাই। দু চার দশ বিষ জন যারা মারাগেছে তারা বয়সের ভারে। X((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.