নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের গ্রামীণফোন শীর্ষ মোবাইলফোন অপারেটর প্রতি বছর রেলওয়ের ৮১ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে বলে রাষ্ট্রীয় মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে। অক্টোবর ২০১৫ তৈরি করা এ প্রতিবেদন সম্প্রতি রেলওয়েতে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর কমিটি করে রেলওয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ১৯৯৭ সালে রেলওয়ে প্রথম গ্রামীণফোনের কাছে অপটিক্যাল ফাইবার ইজারা দেয়। ওই সময় চুক্তি করা হয় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটারের। অথচ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমোদন নেয়া হয় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটারের জন্য। এখানে বছরে ২শ কিলোমিটারের ভাড়া বাবদ বছরে ৮১ কোটি টাকা মেরে খাচ্ছে গ্রামীণফোন।
দি ইনডিপেনডেন্টরে হাতে প্রয়োজনীয় সব প্রমানাদি রয়েছে।
তবে গ্রামীণফোনের দাবি, তারা ঠিকমত ভাড়া পরিশোধ করছে।
রেলওয়ের ২ হাজার ১০ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার ২০২৭ সাল পর্যন্ত ইজারা রেখেছে গ্রামীণফোন। নিয়ম অনুসারে তার নিজস্ব ব্যবহারের জন্য এটি ব্যবহার করার কথা তাকলেও তারা সাবলিজও দিচ্ছে, বিটিআরসির গাইডলাইন অনুসারে---যেটি কেবল মাত্র এনটিটিএন অপারেটরের দিতে পারার কথা।
রেলওয়ের তথ্যমতে, সিগন্যালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়নে ১৯৮৯ সালে সারা দেশে ট্রেন লাইনজুড়ে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। নরওয়ে সরকারের আর্থিক অনুদানে মেইন লাইন সেকশনে এ ব্যবস্থা চালু করা হয়। অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে রেলওয়ের ৩০০ স্টেশন সংযুক্ত হয়। সক্ষমতার বড় অংশই অব্যবহৃত ছিল সে সময়। এজন্য ১৯৯৭ সালে গ্রামীণফোনকে অপটিক্যাল ফাইবার ইজারা দেয় রেলওয়ে।
বর্তমানে দেশে ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে পাঁচটি। এর মধ্যে ২০০৯ সালে লাইসেন্স নেয় ফাইবার অ্যাট হোম ও সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন প্রতিষ্ঠান— বাংলাদেশ রেলওয়ে, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) লিমিটেডকে এনটিটিএন লাইসেন্স দেয় বিটিআরসি।
এনটিটিএন ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং নীতিমালা অনুযায়ী, দেশে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক স্থাপন ও তা ব্যবসায়িকভাবে ভাড়া প্রদানের জন্য এনটিটিএন লাইসেন্স নেয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন, ২০১১-এর ধারা ৪০ অনুযায়ী, বিটিআরসির অনুমতি ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান দেশে টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে পারে না। সরকারের পূর্ব অনুমোদনসাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে এ অনুমতি দিতে পারে কমিশন।
প্রতি মিটার অপটিক্যাল ফাইবারের মাসিক ভাড়া ২ টাকা নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। রেলওয়ের কাছ থেকে নেয়া ফাইবার অপটিক ক্যাবল লিজবাবদ প্রতি বছর ১০৬ কোটি টাকা ভাড়া প্রদান করছে গ্রামীণফোন। ১৯৯৭ সালে ভাড়া নেয়া ২ কোরের ক্যাবল গ্রামীণফোন পরবর্তীতে নিজ খরচে ৩২-৪৮ কোরের ফাইবার স্থাপন করে। এ হিসাবে রেলওয়ের কাছ থেকে নেয়া প্রতি মিটার অপটিক্যাল ফাইবারের জন্য মাসে গ্রামীণফোনের ব্যয় ৬৮ পয়সা। এখানেও সরকারকে বড় অংকের রাজস্ব বঞ্চিত করছে গ্রামীণফোন। বাজারে তৈরি করছে অসম প্রতিযোগিতা।
অন্যদিকে ২০১৩ সালে পিজিসিবি নিজস্ব প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার দুই এনটিটিএন লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোম ও সামিট কমিউনিকেশনকে লিজ দিয়েছে। এর মধ্যে ফাইবার অ্যাট হোম পেয়েছে ১ হাজার ৯০০ কিলোমিটার ও বাকি ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার পেয়েছে সামিট কমিউনিকেশন। মাসে প্রতি মিটার ক্যাবলের জন্য ভাড়া হিসেবে প্রতিষ্ঠান দুটি প্রায় ১ টাকা ৭৫ পয়সা করে দিচ্ছে।
মূল খবরের লিঙ্ক http://www.theindependentbd.com/post/29142
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২২
মোরতাজা বলেছেন: ঢাকাবাসী--- রেলের লোক থাকতে পারে। কারণ এটা রেল আর জিপির কারবার।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তাহলে আর ব্যবসার দরকার কি??
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৩
মোরতাজা বলেছেন: কালন ভছর বছর কমপক্ষে দেড় হাজার কোটি টাকা নিচ্ছে ভ্যবসা চালু না রাখলে সে টাকা নিবে ক্যামনে ভাই সাদা মনের মানুষ।
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৪
বিপরীত বাক বলেছেন: GP is the best cell company.
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৩
মোরতাজা বলেছেন: নি:সন্দেহে। এবং বেস্ট চোরও বটে!। সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে; যার তদন্ত করছে দুদক।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: গ্রামীনফোন নিজে একা মারেনা মারার সাথী বিটিসিএল এর কিছু আমলারাও আছে শুনেছি!