নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মবিশ্বাসই জিতিয়ে দিলো ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জনড ৩ তরুণকে!

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২



ছবিতে রাব্বীর অ্যাকশন--

রাব্বী ছেলেটা কপালে ঘাম মুছে নেয়। প্রথম বলেই তার গতি ৯০। একটু বাড়বে সেটা আশা সবার। মনের জোরে পিচে চলে এসছে রাব্বী। রংপুর ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নীল পোশাকে হাজির। প্রথম সবার ধারণা ছিল এমনি দেখতে এসেছে। না , জানা গেলো ছেলেটা বল করবে। উৎসুক সবাই।

দেখা যা্ক না কী করে।

৪ ফেব্রুয়ারি সকালের ঘটনা এটি। রাব্বী আবারো বল করে গতি ৯৪ কিলোমিটার। সবাইকে তাজ্জব করে দিয়ে টিকে গেলো ছেলেটা। তারপরে আরো দু'জন। ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জনড তিন পেসার বেরিয়ে এলো রংপুর থেকে।

ঈদুল হাসান তাদের একজন অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে মাত্র। প্রথমবার বলের গতি ৮০। আশা ভঙ্গের কষ্টে কেঁদে ফেলল ছেলেটা। তাকে আরো দুবার সুযোগ দেওয়া হলো এবং চূড়ান্তভাবে টিকে গেলো ঈদুল হাসান। বলল, আমার জন্ম ঈদের দিন তাই নাম ঈদুল হাসান।


রবি'র স্পন্সরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি দেশজুড়ে প্রতিভাবান ফাস্ট বোলার খুঁজে বের করার চলমান আয়োজনে অংশ নেয় তারা।

রংপুর থেকে ৩ জন শারিরীক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ফাস্ট বোলার ন্যাশনাল ডিজঅ্যাবলড ক্রিকেট টিমের জন্য নির্বাচিত হয়। নীলফামারীর ছেলে মোহাম্মদ গোলাম রব্বানীর বলের গতি চূড়ান্তভাবে আসে ঘন্টায় ৯৫ কিলোমিটার। ২৩ বছর বয়সী রব্বানি সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। নিয়মিত জেলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করে ছেলেটি।

১৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ ঈদুল হাসানের বলে গতি ছিল ঘন্টায় ৯০ কিলোমিটার। রংপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র ঈদুলের বাড়ি জেলার মিঠাপুকুরে। তার ডান পা গোড়ালি থেকে বাঁকানো।

গাইবান্ধা থেকে আসা মো. মনির হোসেনের বলের গতি ছিল প্রতি ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার। ২১ বছর বয়সী মনির ঢাকায় তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার ভাইও একই কলেজের ছাত্র হওয়ায় পরিবারের অর্থনৈতিক টানাপোড়ের জন্য তিনি লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেননি। তিনি পোস্ট ফ্র্যাকচার কমপ্লিকেশনস উইথ কনস্ট্রাকচার রোগে আক্রান্ত।

রংপুরে ফাস্ট বোলার প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল ৪৫৭ জনক। এদের মধ্য থেকে ৬ জন ছেলে ও ২ জন মেয়ে ফাস্ট বোলারকে বাছাই করা হয়। রংপুরে সর্বোচ্চ গতির বোলারের গতি ছিল প্রতি ঘন্টায় ১৩২ কিলোমিটার।

এর আগে সিলেট থেকে ১২ জন ছেলে ও ১ জন মেয়ে, চট্টগ্রাম থেকে ৫ জন ছেলে, কুমিল্লা থেকে ৩ জন ছেলে, কক্সবাজার থেকে ১ জন ছেলে, ময়মনসিংহ থেকে ৪ জন ছেলে ও ৪ জন মেয়ে, ফরিদপুর থেকে ৮ জন ছেলে ও ১ জন মেয়ে, বরিশাল থেকে ১ জন ছেলে, যশোর থেকে ২ জন ছেলে, খুলনা থেকে ১০ জন ছেলে ও ১ জন মেয়ে ফাস্ট বোলার, দিনাজপুর থেকে ৪ জন ছেলে, রাজশাহী ও বগুড়া থেকে ২ জন করে ছেলে ফাস্ট বোলার প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ফাস্ট বোলার হান্ট ক্যাম্পেইনে সর্বোচ্চ গতি রেকর্ড করা হয়েছে ঢাকায়- ঘন্টায় ১৩৪ কিলোমিটার।

ঈদুল হাসান ও জেসি---

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

প্রামানিক বলেছেন: এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪

মোরতাজা বলেছেন: :)

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

মোঃ ইমরান কবির রুপম বলেছেন: নীলফামারী'র পক্ষথেকে আপনাকে ধন্যবাদ

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

মোরতাজা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৩

মহা সমন্বয় বলেছেন: দারুন খবর।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

মোরতাজা বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.