নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পর্যটন স্পট সাজেক ডেভেলপ করেছে সেনাবাহিনী।
পাহাড় কিম্বা সমতলের মানুষ --- আমরা সবাই বাংলাদেশী। এটাই আমাদের আত্ম পরিচয়। ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতিগতভাবে আমাদের মধ্যে ভিন্নতা আছে, বৈচিত্র আছে ; এটাই আমাদের দেশের সৌন্দর্য। এ বিশ্বাস কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সবারই আছে যে, আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বিজয় অর্জন করেছি--- সমতার সমাজ-রাষ্ট্র নির্মাণ করতে। সে লক্ষ্যেই সব শ্রেণীপেশার মানুষ যুথবদ্ধ।
তবুও সময় অসময়ে জাতিগত বিষয়কে সামনে রেখে সন্দেহ! এটা নিয়ে বিস্তর আলাপের জায়গা থাকতে পারে। কিন্তু দেশের এক দশমাংশ আয়াতনের পাহাড়ি জনপদে সেনা উপস্থিতি নিয়ে পাহাড়ি নেতাদের মধ্যে উষ্মা আছে। এ উষ্মার কারণ কেউ খোলাসা করেন না। সেখানে অপােরেশন উত্তরণ চলছে বলে, যে প্রসঙ্গ সন্তু লামরা উদ্ধৃত করে থাকেন, সেটি কী কার্যকর? আমার দেখা মতে কার্যকর নয়। তবুও পাহাড়ে সেনা উপস্থিতি নিয়ে বাঁকা প্রশ্ন দুঃখজনক।
বলে রাখি, আমি ব্যক্তিভাবে সব ধরণের নিপীড়নের বিপক্ষে। সেটি যে কোনো বাহিনীরই। কিন্তু দেশের সামরিক নীতি, নিরাপত্তা আয়োজনকে প্রশ্ন করতে পারি না। কিছু বিষয় তো এমন যেটা সরলীকরণ করা যায় না।
স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব প্রতিরক্ষা বাহিনীর। সে জন্য কোথায় ঘাঁটি গাঁড়তে হবে, সেটি নির্ধারণ করার দায়িত্বটা রাজনৈতিকের চেয়ে সামরক নীতির অংশ বলেই মানি। সে হিসাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থাকবে কিনা--- সে সিদ্ধান্তটা আসলে সামরিক কৌশল ঠিক করা লোকদের উপরই ছেড়ে দেওয়া উচিৎ।
কিন্তু যারা প্রতিনিয়মত পাহাড়ে সেনা নিয়ে উসখুশ করেন, তারা আসলে কী বোঝাতে চান--- সেটি পরিষ্কার নয়।
দুর্গম পাহাড়ি জনপদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার যে কোনো ধরণের বাহিনীর সহায়তা নিতে পারে এবং সেটিই যৌক্তিক। কিন্তু পাহাড়ে সেনা উপস্থতি কেন থাকবে না! এর কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা কি?
সেনা সদস্যরা পাহাড়ে কী করেন--- তাদের না থাকার কারণ কি হতে পারে? এ সব প্রশ্ন সেখানকার সাধারণ পাহাড়িদের নেই বললেই চলে। তবে এটা নিয়ে বেশি সোচ্চার বেদিশেী ফান্ড প্রাপ্তরা। বিশেষত বেসরকারি সংস্থা ও নামকাওয়াস্তে গবেষক--- যাদের বেশির ভাগই একটা ইস্যু ধরে রেখে আলোচনায় থাকতে চান।
এক কল্পনা চাকমা অপহরণ অভিযোগ বাদে উল্লেখ করার মত গুরুতর অভিযোগও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নেই! বরং সম্প্রীতি রক্ষা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন আর অপরাধ দমনে তারা সেখানে বহু বছর ধরেই কাজ করছেন; এটা সবারই জানান। অপহরিত বহুমানুষকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী সফল হয়েছে।
পাহাড়ি নেতাদের কারো কারো অভিযোগ--- সেনা বাহিনী পাহাড়ে বাঙালিদের সহায়তা করে! এ অভিযোগ যারা করেন, তাদের নিয়ে বাঙালিদের মনবেতর জীবন যাপন পরিদর্শন করলে-- এ অভিযোগ টিকবেনা ; আমি নিশ্চত করেই এটা বলছি। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি।
পাহাড়ি জনপদ আর সমতলের মধ্যে তফাৎটা কারো অজানা নয়। মায়নমারের সাথে আমাদের কয়েক দফা সীমান্ত সঙ্ঘাত হয়ে গেছে। দিন দিন সে ঝুঁকি বাড়ছে। সেভেন সিস্টারের সাথে আমারে সীমান্ত আছে। খাগড়াছড়িতে অর্ধশতাধিক কিলোমিটার সীমান্ত অরক্ষিত।এ রকম প্রেক্ষাপটে পাহাড়ে সেনা উপস্থিতি না থাকা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য প্রচণ্ড হুমকি।
তারপরেও চুক্তি মেনে ১৯৯৭ সালের পর থেকে নিয়মতই অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এটি রাষ্ট্র বেশ ঝুঁকি নিয়েই করছে; এতেও পাহাড়ি মানুষ নিয়ে ব্যবসা করা লোকরা অসন্তুষ্ট! এ অসন্তুষ্টি হয়তো তাদের ব্যক্তিগত সুবিধা হচ্ছে; সেটি দেশর নিরাপত্তাকে হুমকি রেখে---
পাহাড়ি ও বাঙালি দু'টো জাতি সত্ত্বা আলাদা হলেও জাতীয়তা অভিন্ন। রাজনৈতিকভাবেই দু'টো জাতি সত্ত্বার সঙ্কট নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রেখে, আস্থার সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, সেনা বিরোধীতা আর বাঙালি-পাহাড়ি বিরোধ জিইয়ে রেখে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়!
খবরের কাগজে ১১ ফেব্রুয়ারি জানলাম---পার্বত্য চুক্তির অংশ হিসাবে ইতোমধ্যে ২৩২টি অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প থেকে ১১৯টি ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ১০ ফেব্রুয়ারি সংসদকে জানিয়েছেন, শান্তি চুক্তির আলোকে মোতায়েনরত সেনাবাহিনীর সব অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ছয়টি গ্যারিসন--- দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান, রুমা ও আলীকদমে প্রত্যাবর্তনের বিধান রয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, গ্যারিসনের প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নও চলমান। রুমা গ্যারিসনের ৯৯৭ একর ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। গ্যারিসনসমূহের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পন্ন করে সময়োচিতভাবে অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহারের মাধ্যমে মোতায়েনরত সেনাবাহিনীকে নির্দিষ্ট গ্যারিসনসমূহে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৭
মোরতাজা বলেছেন: কন কি ভাই। !!
আপনার বক্তব্যেল শেষাংশের সাথে সম্পূর্ণ একমত।
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৯
বিজন রয় বলেছেন: রাজনীতি আছে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭
মোরতাজা বলেছেন: হুমমম। জটিল কোশ্চেন।
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪
রানার ব্লগ বলেছেন: চাকমারা পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের পক্ষে এটা একটা ভুল ধারনা। পাহাড়ে চাকমা জনগষ্ঠী অন্যদের তুলনায় বেশি এবং পাহাড়ে সকল ধরনের সামাজিক বা রাজনৈতিক আধিপত্ত বেশি বিঁধায় তারা বেশ আগ্রাসী মনভাব দেখায়, কিন্তু তাই বলে তারা যে পাহাড় সন্ত্রাসীদের পক্ষে এটা ভুল ধারনা।
যারা পাহাড়ে যায়নি বা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সাথে মেশেনি তারা ঠিক বুঝবেনা তাদের প্রত্যহিক জীবন কতটা বন্ধুর। আমাদের সাধারণ জীবনের মত এতটা সহজ বা স্বাভাবিক না, আর এই অস্বাভাবিকতার মধ্যে বাস করলে আমরা যে কেউ একটু না একটু রুড হতেই পারি। আর সবথেকে বেশি ধান্দা বাজ তারাই হয় যারা প্রকৃতির কাছে মার খায়।
সেনাবাহিনী অবশ্যই পাহাড়ে তার অবস্থান শক্ত করবে, এটা আমাদের ও পাহাড়িদের নিরাপত্তার জন্য দরকারি। এটা সাধারণ পাহাড়িরা ভালই বোঝে। পাহাড়ে যত উন্নয়ন তার অধিকাংশ সেনাবাহিনির মাধ্যমে ঘটেছে। কিন্তু সমস্যা হল আচারনগত, প্রজা সুলভ আচারন না করে জনগণ সুলভ আচরণ করলে তারাও কোন আপত্তি করবে না।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩
মোরতাজা বলেছেন: আমি কাউকে সন্ত্রাসীর সহযোগি বলিনি। বা এ প্রসঙ্গ আনিনি। তবে এটা তো সত্য উস্কানির পেছনে পাহাড়ের কিছু অধিতপতি জড়িত।
প্রজাসুলভ আচরণ কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। কোনোভাবেই না। আমরা সবাই সমান।
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫
সাদিকনাফ বলেছেন: জুম ল্যান্ড হলে লাভ কার বেশী?
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪
মোরতাজা বলেছেন: জুম ল্যান্ড তো এখনো। বাদ এটা স্বাধীন (!) করা একটা দুঃস্বপ্ন কেউ দেখেছিল। সেটা হলে যাদের লাভ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল --- তারা এখন গুটিয়ে নিযেছে নিজেদের; নিজেদের কারণেই।
৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮
আনু মোল্লাহ বলেছেন: আপনার পোস্টের সাথে সহমত পোষণ করি।
নিরপেক্ষভাবে বাস্তবতা তুলে ধরায় ধন্যবাদ জানাই।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪
মোরতাজা বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮
ডার্ক ম্যান বলেছেন: পাহাড়ে বিদেশী এনজিওদের কর্মকান্ড বন্ধ করতে না পারলে তা দেশের জন্য ক্ষতিকর। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা আর কর্মপরিধি কমিয়ে আনা উচিত
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫
মোরতাজা বলেছেন: সেনাবাহিনীর কর্মপরিধিটা সামরিক কৌশল নির্ধারকদের হাতে থাক। তবে বিদেশী এনজিওর কর্মকাণ্ড সরকারের তদারকির আওতায় আনা উচিৎ।
৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৪
ching বলেছেন: সমতলে বাঙ্গালিরা ১/১১ চাননি কেন?
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯
মোরতাজা বলেছেন: চান নি ? এটা কি সত্য!
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১০
মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন: হইছে আপনি এখন টার্গেট হলেন , ডুমুরের ফুল লেখিকার মত। আসলে বিদেশীরা এন জি ও এর নামকরে বুদ্ধিজীবিদের মাথা কেনে নিচে , একটি দেশে বিভিন্ন নৃ তাত্ত্বিক থাকতে পারে , তবে সবাই বাংলাদেশী। এছাড়াও আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছে কোনো উপজাতিরা পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের পক্ষে নাই শুধু মাত্র চাকমা রা ছাড়া। তাই আমি মনে করি চাকমাদের চাকুরী ও অন্যন্য সুযোগ সুবিধা কমিয়ে , অন্য উপজাতিদের মধ্যে বন্টন করা দরকার।