নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মার্জারের বিষয়ে কোনো গাইডলাইন না থাকায় চার স্তরে পদক্ষেপ গ্রহণ করে রবি - এয়ারটেলের মার্জারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে বিটিআরসি। বুধবার গণশুনানীর শুরুতেই চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ এ কথা বলেন।
তবে শুনানীতে অংশ নেয়া ৯৮ জন নাগরিকে মধ্যে কথা বলেন, ৩৪ জন। তার মধ্যে ২৮ জনই মার্জারের পক্ষে মত দিয়েছে, ৫ জন শর্তসাপেক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন। ১ জন মার্জার না হলে এয়ারটেল কমীরা লাভবান হবে কিনা জানতে চান!
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির কথাও বলেন চেয়ারম্যান। জানান, চার স্তরের প্রথম স্তরে দু'জন অধ্যাপককে ইম্প্যাক্ট স্টাডি কারার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় স্তরে মার্জারের সাথে জড়িত নয় এমন চারটি মোবাইলফোন অপারেটরের বক্তব্য শোনা হয়েছে, তৃতীয় স্তরে গণশুনানী করা হলো ও ই মেইলে মতামত নেয়া হচ্ছে। এবং চতুর্থ স্তরে প্রাপ্ত সব মতামত পর্যালোচনা করে বিটিআরসি'র গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তাদের সুপারিশ করবে। এ চার স্তর থেকে বিটিআরসি কমিশন মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা টেলিকম মন্ত্রণালয়কে জানাবে।
বিটিআরসির কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত গণশুনানীর শুরুতেই কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) উপদেষ্টা শামসুল আলম তাদের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার কথা জানান। তবে এরপর পরই তাদের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনিক আর হক বক্তব্য উপস্থাপন করা শুরু করলে ক্যাবের প্রতিনিধিদের মধ্যে বিতণ্ডা শুরু হয়।
শুনানীর সভাপতি ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান তাদের বিতণ্ডা না করে বাইরে গিয়ে আলোচনা করে বক্তব্য দেবেন কি-না সে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বললে,তোরা বাইরে শরঅ শেষে ফিরে বক্তব্য প্রদান শুরু করেন।
ব্যরিস্টার অনিক আর হক কনজুমার আসপেক্টের বদলে স্পেকট্রাম একটি জাতীয় সম্পদ, এ সম্পদ যদি রবি'র হাতে বেশি চলে যাওয়া ঠিক হবে না বলে মত ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, মার্জার হলেও দুই অপারেটরের কর্মীদের চাকরির নিশ্চয়তা দিতে হবে। নিশ্চয়তা থাকলেও এক বছর পর যদি স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ার স্কিম ঘোষণা করে, তাও জানাতে হবে।
ক্যাবের পক্ষে আইনজীবী ইউসুফ আলি বলেন, আমরা ইম্প্যাক্ট স্টাডি করার জন্য নির্বাচিতদের সিভি দেখেছি। তাদের কারো এ ধরণের ইম্প্যাক্ট স্টাডি করার অভিজ্ঞতা নেই। আমাদের মনে হয় এত বড় একটি কাজ কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান, যারা মার্জারের ইম্প্যাক্ট স্টাডি করে থাকে তাদের দিয়ে করানো উচিৎ।
তিনি বলেন, রবি এয়ারটেলের মার্জারের পর ৯৬ শতাংশ বাজারের দখল তিন অপারেটর-রবি, বাংলালিংক ও গ্রামীণফোনের কাছে চলে যাবে। তখন মনোপলির একটা শঙ্কা থেকে যায়।
ব্যারিস্টার ফাতেমা আনোয়ার বলেন, মার্জারের জন্য বিটিআরসি মুখ্য ভূমিকা রাখলেও এটা মুলত কোর্টের কাজ। কোর্ট এটি ডিসাইড করবে। তবে বিটিআরসি'র মার্জার নিয়ে আইন অনুসারে শুধু এ টুকু বলার কথা প্রতিষ্ঠান দু'টো এ ব্যবসার যোগ্য কিনা। যেহেতু এয়ারটেল ও রবি টেলিকম ব্যবসার লাইসেন্স প্রাপ্ত তাই এখানে এটা নিয়ে সংশয়ের কিছু থাকার কথা নয়।
তবুও বিটিআরসি যেহেতু শুনানী করছে, এটা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সহায়তা করবে।
শুনানীতে অংশ নেয়ার কোয়ালিটি অব সার্ভিস, এয়ারটেল কর্মীদের চাকুরীর নিশ্চয়তা, স্পেকট্রাম ম্যানেজম্যান্ট নিয়েও কথা বলেন।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, কাউকে চাকুরী থেকে বাদ দেয়া হবে না; এটা আ্মাদের নিশ্চিত করা হয়েছে। এজ আ রেগুলেটর এটা আমরা নিশ্চিত করবো।।
পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা কার্যক্রমটি অত্যন্ত জটিল ও সময় সাপেক্ষ বিধায় কমিশন হতে সমীক্ষা কার্যক্রমকে দু'ভাগে বিভক্ত করে কারিগরী সংক্রান্ত সমীক্ষাসমূহ পরিচালনার দায়িত্ব ড. এবিএম সিদ্দিক হোসেন, অধ্যাপক ও ডিন, প্রকৌশল অনুষদ, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং কারিগরী বিষয়সমূহ ব্যতিত আর্থ-সামাজিক বিষয়সহ অন্যান্য সমীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব ড. এস. এম মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর নেতৃত্বে দু’টি টিমকে প্রদান করে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সরাসরি শুনানী ছাড়াও ই মেইলে মতামত নিচ্ছি। এ পর্যন্ত একশত'র বেশি মতামত হাতে পেয়েছি। সেগুলোও আমরা অন্তর্ভূক্ত করবো।
গণশুনানিতে কমিশনার এটিএম মনিরুল ইসলাম ও কমিশনার মোঃ জহিরুল ইসলামসহ কমিশনের অন্যান্য কমিশনার ও উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।
শুনানী পরিচালনা করেন বিটিআরসি'র ডিজি (লাইসেন্সিং) এ কে এম শাহিদুজ্জামান।
©somewhere in net ltd.