নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তাহলে প্রেস কাউন্সিলের দরকার কি? আইন শৃঙ্খলা্ রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন আইনের ধারা উপধারা এবং নির্দেশ ধারায় সম্বাদিকদের তুলে নিতে পারলে, আমরা হাত তালিই দেই! দেবই তো, শালা- বাড় বেড়েছে-সাইজ করবো! সাইজ করার একটা মোক্ষম সুযোগ মিলেছে-- তাহলে সবাই মিলে দু চার ঘা মেরে দিই! এটাই এখানে রেওয়াজ।
তারপরেও ১৫ সদস্যের একটা প্রেস কাউন্সিল সরকার করে রেখেছে। একজন বিচারপতি এর চেয়ারম্যান। ১৯৮০ সালে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রেস কাউন্সিল খাড়া হইছে। এরপর এর কার্যক্রম চলছে। তবে তথ্য নিয়ে হেরফের ঠেকাতেই এর জন্ম হলেও এটাকে ঠিক পারফর্ম করতে দেখা যায় না।
দু'একটি ব্যতিক্রম ছাড়া।
সম্বাদিক নির্যাতন, হত্যা কিম্বা সম্বাদিকদের ভুল তথ্য পরিবেশন এ বঙ্গে-এশিয়ায় এবং বিশ্বে নতুন কোন ঘটনা নয়। আর সম্বাদিকতায় 'গুজব'কেও একটা খবর হিসাবে দেখা হয়। যদিও এটা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু এটা তো সত্য- ক্ষমতার বাইরে ও ভেতরের লোকদের জন্য সত্যটা দুইভাবে সমজে উপস্থাপতি হয়। আর সেটি করে থাকে- গণমাধ্যম। আদতে দায়হীন-মাধ্যম এটা।
তবুও আমি সম্বাদিকদের গ্রেপ্তার, হয়রানি, মারধর, খুন এবং মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে কারারুদ্ধ করার বিপক্ষে ছিলাম, আছি এবং থাকবো।
বলছিলাম প্রেস কাউন্সিলের কথা। প্রেস কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে-- ''প্রেস কাউন্সিল একটি কোয়াসি জুডিশিয়াল বা আধা বিচারিক প্রতিষ্ঠান। প্রেস কাউন্সিল আইনের ১২নং ধারার বিধান অনুযায়ী সংবাদপত্রের বিরূদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ সমূহের বিচারকার্য সম্পন্ন হয়ে থাকে। '
এখান থেকে স্পষ্ট গণমাধ্যম দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি আইনের আশ্রয় চাইতে পারবেন এবং প্রেস কাউন্সিল এর বিচার করবেন। কিন্তু আমরা কি দেখি?
বিম্পি জমাতের আমলে সম্ভবত তথ্য পাচারের অভিযোগে সালিম সামাদ, প্রিসিলা রাজকে গ্রেপ্তার ও রিমাণ্ড নেয়া হয়েছিল। আর খুলনা ও যশোরে খুন হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন সম্বাদিক-সম্পাদক।
আম্লীগের আমলে খুন হয়েছে সাগর রুনিসহ বেশ কয়েকজন সম্বাদিক। আর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারেই আছনে- শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান। ইটিভির মালিক সালাম, ইনকিলাবের বার্তা সম্পাদক রবিউল্লাহ রবি শীর্ষ নিউজের সম্পাদক একরাম (এখন মুক্ত) গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সর্বশেষ বাংলা মেইলের তিনজনকে ধরলো আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযোগ একটা গুজবের খবর। নিশ্চিতভাবে এটা গর্হিত কাজ। অন্যায়। কিন্তু একটা অন্যায়কে আরেনকটা ন্যায়হীন মাধ্যমে মোকাবেলা রাষ্ট্রীয় চরিত্র হতে পারে না।
আইন সবার জন্য সমান। এটা নিশ্চিত। সম্বাদিক বলে কেউ ছাড় পাবেন, তা মানি না। কিন্তু আইন প্রয়োগের জন্য রাষ্ট্র যে সব প্রতিষ্ঠানগড়েছে, সে সব প্রতিষ্ঠানকে উপেক্ষা করাটা কতটা সমীচীন , শুধু অধম আদমের এ প্রশ্নটা থাকলো!
©somewhere in net ltd.