নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিশুর মত চোখ দিয়ে দেখি আমার এই বিশ্ব।মানুষ স্বপ্নের কাছে হেরে যায় না, হেরে যায় নিজের প্রত্যাশার কাছে। প্রত্যাশা থাকে আকাশচুম্বী অথচ প্রচেষ্টায় থাকে শুধুই স্বপ্ন।
আপনি এমনটি করেন কিনা মিলিয়ে নিতে পারেন-যদি চান
গীবত কি সেটা কম বেশি সবাই জানি।তারপরেও যারা জানি না তাদের জন্য।
সাহাবী আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, গীবত কাকে বলে, তোমরা জান কি?
সাহাবিগণ বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -ই ভালো জানেন। তিনি বললেন, তোমার কোনো ভাই (দীনি) সম্পর্কে এমন কথা বলা, যা সে অপছন্দ করে, তা-ই গীবত।
সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি যে দোষের কথা বলি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে তাহলেও কি গীবত হবে? উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি যে দোষের কথা বল, তা যদি তোমার ভাইয়ের থাকে তবে তুমি অবশ্যই তার গীবত করলে আর তুমি যা বলছ তা যদি তার মধ্যে না থাকে তবে তুমি তার ওপর মিথ্যা অপবাদ দিয়েছ। (মুসলিম)
কথা হল খুব জটিল ব্যাপার।আপনার একটা কথায় কারো জীবন বদলে যেতে পারে অথবা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে!এই কথার মাধ্যমে আজকাল গীবতের হার কমে এসেছে।প্রযুক্তি আমাদের অলস করে দিয়েছে তাই আর কথা দিয়ে গীবত করি না!
একান্ত ব্যক্তিগত গবেষণায় দেখা গেছে আজকাল মানুষ বলার চেয়ে গীবত দেখাতে বেশি পছন্দ করে।
আমরা কিন্তু কমবেশি সবার সাথে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে সামাজিক মাধ্যম কিংবা মোবাইলে মেসেজ করে থাকি।আমরা এখন ডিজিটাল বাঙালি,দেখিয়ে দেখিয়ে গীবত করি। মুখে বলার প্রশ্নই আসে না।
রাহাত, আমি আর সেজুঁতি।রাহাত সেঁজুতিকে পছন্দ করে,কিন্তু আমাকে নয়।সেজুঁতির স্কুল বন্ধু আমি।তাই আমার সম্পর্কে কোন খারাপ কথা বললেই সেঁজুতি সব স্ক্রিনশট দিয়ে আমায় দেখায়।আমি দেখি আর মনে মনে বলি রাহাত এত খারাপ।রাহাত কিন্তু জানে না সেঁজুতি যে সব স্ক্রিনশট দিয়ে অন্যকে দেখায়।রাহাত সহজ সরল ভাবে সবই বলে সেজুঁতিকে।আর সেঁজুতি সব দেখায়।
অবশেষে একদিন রাহাতের উপর খুব রাগ হয়,তখন রাগে পড়ে কিছু স্ক্রিনশট দেখিয়ে ফেলি।ঝগড়া ভালো মত বাঁধে।
স্ক্রিনশট এর ব্যাপারে সকল মানুষের সচেতনতা দরকার।
#প্রথমত আপনি অগোচরে অন্য একজন মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করছেন।
#দ্বিতীয়ত আপনি অন্য মানুষের কথা-যেটা আমানত ছিল সেটার খেয়ানত করছেন।
#তৃতীয়ত আপনি ডিজিটাল গীবত করছেন।
মোটামুটি পরিচিত মানুষের সাথে কথা বলতে গেলে বলে নিই,আমার অনুমতি ছাড়া স্ক্রিনশট নিবেন না।কারণ এটা আমার কাছে আমানতের খেয়ানত তুল্য।
আসুন বেচেঁ থাকি ডিজিটাল গীবত থেকে,একান্ত প্রয়োজন ছাড়া স্ক্রিনশট হতে।
‘ধ্বংস তাদের জন্য, যারা অগ্র-পশ্চাতে দোষ বলে বেড়ায়।’ (সূরা হুমাজাহ-১)
তবে জালেম শাসক বিরুদ্ধে, বিবাহের ক্ষেত্রে খোঁজ খবর নেওয়া, ফতোয়া গ্রহণ করার ক্ষেত্রে, বিচার ফয়সালার ক্ষেত্রে, ধর্মের ক্ষেত্রে, কেউ কবিরা গুনাহ করলে, কারো সম্পর্কে অন্যদের সাবধান করার জন্য তার দোষ বর্ণনা করা ইত্যাদি বিষয়ে অগোচরে কথা বলা গীবত নয়।
এই সময়ের ডিজিটাল গীবত থেকে বেঁচে থাকুন।অপ্রয়োজনে আপনার কথার স্ক্রিনশট দিবেন না।
লেখাটি ২০১৬ সালে লেখা।
#রুবাইদা গুলশান
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২০
নীল মনি বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্ শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা। দারুণ মন্তব্য করেছেন। দোয়া করবেন আল্লাহ যেন অন্তরের দৃষ্টি বৃদ্ধি করে দেন
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: এক কথায় গীবত হলো পাপ।
পৃথিবীর আসল মজাই পাপে।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২২
নীল মনি বলেছেন: এক কথায় গীবত।পৃথিবীর গল্পের রসদ হল গীবত। ধন্যবাদ
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩২
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: দোয়া করি আপনার অন্তরের দৃষ্টি বৃদ্ধি পাক।
আর কী দোয়া করব, বলুন?
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৬
নীল মনি বলেছেন: ঈমানের সাথে মৃত্যু হয়।আল্লাহ্ যেন গুনাহগুলো মাফ করে দেন ।
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৫১
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: শুভ সকাল!
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৬
নীল মনি বলেছেন: শুভ সকাল
৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২৪
নতুন নকিব বলেছেন:
গুরুত্বপূর্ন কথা বলেছেন। মোবারকবাদ।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১০
নীল মনি বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্
৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮
আবু আফিয়া বলেছেন: গীবতের বিষয়ে আমাদেরকে সচেতন করার জন্য ধন্যবাদ
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২১
নীল মনি বলেছেন: আপনাকে অশেষ কৃতজ্ঞতা
৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২১
মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: জাজাকাল্লাহু খাইর। সুন্দর পোস্ট। লিখে চলুন সতত।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫
নীল মনি বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্ শুকরিয়া।
দোয়া করবেন আর মাঝে মাঝে এখানে বেড়াতে আসবেন
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: বাহ! আপনি তো দেখি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস তুলে ধরেছেন! খুব সুন্দর লেখা। এমন লেখা আরও চাই। আসলে ইসলামের হুকুম-আহকামগুলোর ব্যাপারে আমরা এত উদাসীন যে কোন কাজটা আমাদের জন্য ক্ষতিকর এবং ধ্বংসের কারণ তা আমরা অনেকেই জানা সত্ত্বেও গায়েই লাগাই না। আবার অনেকেই এ ব্যাপারে ঠিকমত জানার চেষ্টাও করি না।
গীবতের পরিণামের ব্যাপারে পবিত্র কুরআনুল কারীমেও আলোচনা করা হয়েছে। সুরায়ে হুজুরাতের ১২ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- "আর তোমরা একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের কেউ কি এটা পছন্দ করবে যে, সে তার মৃত ভাইয়ের গোশত খাবে? নিশ্চয়ই তোমরা এটাকে অপছন্দ করবে। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সীমাহীন ক্ষমাকারী এবং দয়ালু।"
সুন্দর একটা পোস্টের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।