নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পাদক, শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক ত্রৈমাসিক \'মেঘফুল\'। প্রতিষ্ঠাতা স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠন \'এক রঙ্গা এক ঘুড়ি\'।

নীলসাধু

আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ । আইটি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছি। টুকটাক ছাইপাশ কিছু লেখালেখির অভ্যাস আছে। মানুষকে ভালবাসি। বই সঙ্গে থাকলে আমার আর কিছু না হলেও হয়। ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে। ভালবাসি প্রকৃতি; অবারিত সবুজ প্রান্তর। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে দুকুল উপচেপরা নদী আমাকে টানে খুব। ব্যাক্তিগতভাবে বাউল, সাধক, সাধুদের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। তাই নামের শেষে সাধু। এই নামেই আমি লেখালেখি করি। আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়। শুভ ব্লগিং। ই-মেইলঃ [email protected]

নীলসাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাকে বাঁচাও, আমাকে ফেরাও!

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩



আমি তখন বনানীতে একটি মার্কিন কোম্পানিতে কাজ করি।
২০০৮ সালের কথা। দিন রাত সে অফিস চলে। আমরা কিছু টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন প্রিপেয়ার করে অনলাইন ডাটাবেজে রাখি। প্রায় ৪৮ জনের একটি টীম দিনরাত কাজ করতাম সেখানে। বেশ মজার চাকুরী ছিলো। নো বস নো নাথিং। কি খেয়ালে একদিন হুট করেই সেই মার্কিন কোম্পানি ছেড়ে সৌদি আরবে চলে যাই। মাত্র ১৫ দিনের নোটিশেই। শখের বশে ইন্টার্ভিউ দিয়েছিলাম এবং এক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচিত হয়ে যাবার পর যখন সেখানে যোগ দিতে বলা হলো- আমি ভাবলাম,
যাই ঘুরে আসি। দেখি না কি হয়!

সেটা ছিলো দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছরের প্রবাস জীবনের শুরু। তারপর বহু কাহিনী। একটা সময়ে আমি সেই কোম্পানির সকল সুবিধা সুযোগ পায়ে ঠেলে দেশে ফিরে এসেছিলাম। আমার এহেন আচরণে কোম্পানি কর্তাব্যক্তিরা নাখোশ থাকায় দেশে ফেরার এয়ার টিকেটের টাকাও আমি নিজেই দিয়েছিলাম। বঞ্চিত হয়েছি আরো কিছু সুবিধা হতে। সৌদিতে না থাকার অনেক কারণের একটা ছিল সেখানকার মানুষের আচার আচরণ। দেশটিকে বসবাসের উপযোগী মনে হয়নি আমার। আমি মনে করি সেখানকার মানুষেরা এখনো অসভ্য। জংলী রয়ে গেছে। সেখানে যাবার পর প্রথম কিছু দিন বাংলাদেশীদের মতোই লাগতো আমাকে, ছয় মাস পর হতে আমার চেহারা বেশভূষায় আমাকে মিশরীয় মনে করায় বাংলাদেশী বলে আমাকে আর হেনস্থা অপদস্থ হতে হয়নি কোনোদিন। কিন্তু আমার চোখের সামনে ঘটেছে অনেক ঘটনা যা ভুলে যাওয়া যায় না। আমাদের প্রতি তাদের এমন আচার আচরণে আমি বিস্মিত হয়েছি, ব্যথিত হয়েছি। মাঝে মাঝে রাগে ক্ষোভে দিশেহারাও বোধ করেছি।

নারীদের প্রতি তাদের লোভ লালসা স্পষ্টতই বোঝা যেতো। পাশাপাশি তাদের বন্ধি করে রাখার প্রতিজ্ঞাও ছিল সমান তালে। তারা ধরেই নিয়েছে নারীর স্থান অন্দরমহলে। নারীদের তারা যৌন-দাসীর চেয়ে বেশি কিছু ভাবে বলে আমার মনে হয়নি। ভোগ প্রাচুর্য আর অলস আড্ডা তাদের সবচেয়ে প্রিয়।

বাংলাদেশী পুরুষ শ্রমিকদের যে অবর্ণনীয় দুঃখ দুর্দশা সেখানে পোহাতে হয় সেই জায়গায় একজন নারী শ্রমিকের কি হাল আপনারা যারা সেখানে যাননি, থাকেননি জানেন না তাদের পক্ষে কল্পনা করা সম্ভব নয়। আক্ষরিক অর্থে সৌদিদের বাড়িগুলো একেকটি জেলখানা। প্রাচীর দেয়া ঘেরা ছোট খোপের মতোন এক চিলতে জানালা দেয়া কারাগার। সেখান থেকে আকাশ দেখা যায় না। রোদ পাওয়া যায় না।
তাইতো মধ্যপ্রাচ্য থেকে দিনে দেশে আসছে গড়ে ১১টি কফিন। গত আট মাসে এসেছে ২ হাজার ৬১১টি লাশ। এর মধ্যে নারীদের সংখ্যাও কম না। সাড়ে তিন বছরে শুধু সৌদি আরবেই গেছেন ২ লাখ ৬০ হাজার নারী। এই সাড়ে তিন বছরে নারী শ্রমিকের লাশ এসেছে প্রায় সাড়ে তিন শ।

সৌদিতে আটকে পড়া অনেকের ভিডিও ফেসবুক সহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে দেখা যায়। আহারে কি হৃদয়বিদারক সে আহাজারি। আমি যখন শুনি বা দেখি, আমার ইচ্ছে করে পাখি হয়ে গিয়ে তাদের ফিরিয়ে আনি। নিজ দেশে, নিজ পরিবারের কাছে। আমি নিজে সে দেশে ছিলাম, দেশ থেকে সব প্রিয় মুখ রেখে কি কষ্টে একজন প্রবাসী থাকে এই কষ্ট নিজে প্রবাসী না হলে কেউ বুঝবেন না। গায়ে নির্যাতনের চিহ্ন নিয়ে অঝোর কান্নায় ভেসে যাওয়া সেসব নারীরা একটা কথাই বলে বারবার, আমাকে বাঁচাও, আমাকে ফেরাও!
সে ফিরতে চায়। বাঁচতে চায়।
তারা দেশকে ডাকেন - দেশ শুনে না। সরকারকে ডাকেন - সরকার শোনে না।
তারা তাদের দেশের দূতাবাসকে ডাকেন তারাও শুনে না।
আমরা এমন এক অক্ষম জাতি সেই বোনের কান্না দেখেও শক্ত হয়ে বসে থাকি। যেনো বা আমি তার ভাই নই।
সে যেন আমার কেউ নয়।

কিভাবে আমরা পারছি চুপচাপ বসে থাকতে সে কথাও ভেবে বিষণ্ণ হই। বাংলাদেশ থেকে কি নারী শ্রমিক পাঠাতেই হবে? না পাঠালে কি হয়? আমরা কি কূটনৈতিকভাবে এই সমস্যা নিয়ে সোচ্চার হয়েছি? জাতিগতভাবে আমরা লাঞ্ছিত হচ্ছি। এর শেষ হবে কবে?

নীলসাধু

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:০৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: দালালের খপ্পরে পড়ে অনেকেই লোভে পড়ে সৌদি পাড়ি জমায়।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৯

নীলসাধু বলেছেন: আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পরিস্থিতি বেদনাদায়ক। এ মেনে নেয়া যায় না। এভাবে নির্যাতন হত্যার জন্য নারী শ্রমিকদের সেখানে পাঠানো কোনোভাবেই কাম্য নয়। অবিলম্বে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করতে হবে। যারা আছে তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। দালালের খপ্পরে পড়ে লোভের বশবর্তী হয়ে কেউ যেন এ পথে পা না বাড়ায়।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: মার্কিন কোম্পানীর চাকরি ছেড়ে ভুল করেছেন। বিরাট ভুল করেছেন।
সৌদি একটা বর্বর দেশ। ওরা কোনো দিনও আধুনিক হতে পারবে না।

সরকারী ভাবে ঘোষণা দিতে হবে। অসভ্য, কুৎসিত সৌদিতে কোনো নারী যেতে পারবে না। সৌদিতে যেতে হবে কেন?? আর কোনো দেশ নেই??

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:১০

নীলসাধু বলেছেন: আমি মনে করি বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। তার জন্য বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের সহযোগিতা নিতে পারে। সৌদি সরকারের সংগে বসতে হবে। উচ্চ পর্যায়ে দেন-দরবার করলে ঠিক একটা রাস্তা পাওয়া যাবে।
এভাবে আমরা আমাদের নারীদের হায়েনার থাবায় ছেড়ে দিতে পারি না।
সোচ্চার হতে হবে আমাদের সবাইকে।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৩১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আহ! কি মর্মান্তিক।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:১০

নীলসাধু বলেছেন: আমাদেরকে তারা মিসকিন বলে। ভাবে আমাদের দেশের সবাই ফকির মিসকিন। তারা অসভ্য। বর্বর।

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আমার জানা মতে সৌদিতে বর্তমানে কাজের পার্মিট নিয়ে বাংলাদেশি নাগরিক প্রবেশ নিষেধ। তবু দেখবেন প্রতিদিন শতশত বাঙালি সৌদিতে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরের যাচ্ছে। কেউ যেতে পারছে আর কেউ পারছে না। খেলা এভাবেই এগুচ্ছে। কিন্তু এসকল শ্রমিকদের নিয়ে না আমাদের রাষ্ট্রের কোন মাথাব্যথা আছে না জনগণের সঠিক জ্ঞান উদয় হচ্ছে। সবমিলিয়ে দেশটা চলছে যেন ফুটবলের মত, যে পারো লাতি দেও হে বিশ্বমোড়ল।

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪

এমজেডএফ বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতাটি এখানে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

ব্যাপারটি খুবই দুঃখজনক! তবে দরিদ্র ও অদক্ষ মানুষের জন্য দেশে বিকল্প কর্মসংস্থান করতে না পারলে এবং দেশের জনসংখ্যা কমাতে না পারলে জাতিগতভাবে আমাদের দুঃখ, দুর্দশা ও লাঞ্ছনার শেষ হবে না।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০১

নীলসাধু বলেছেন: তবে দরিদ্র ও অদক্ষ মানুষের জন্য দেশে বিকল্প কর্মসংস্থান করতে না পারলে এবং দেশের জনসংখ্যা কমাতে না পারলে জাতিগতভাবে আমাদের দুঃখ, দুর্দশা ও লাঞ্ছনার শেষ হবে না

সহমত জানাই।
আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পরিস্থিতি বেদনাদায়ক। এ মেনে নেয়া যায় না। এভাবে নির্যাতন হত্যার জন্য নারী শ্রমিকদের সেখানে পাঠানো কোনোভাবেই কাম্য নয়। অবিলম্বে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করতে হবে। যারা আছে তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। দালালের খপ্পরে পড়ে লোভের বশবর্তী হয়ে কেউ যেন এ পথে পা না বাড়ায়।

৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬

আমি আনিস বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যে কাজের জন্য মেয়েদের পাঠানো বন্ধ করা একটা সমাধান।

দেশের ভেতরে বাসাবাড়িতে যেসব মেয়েরা কাজের মেয়ে হিসাবে কাজ করে তাদের অবস্থা কি খুব ভালো? আমরা কি তাদের সাথে কেনা দাসের মত আচরণ করি না? এইতো গতকালের পত্রিকাতেই দেখলাম একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।

৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:১১

মা.হাসান বলেছেন: সাধু ভাই, বিষয়গুলো বড় কষ্টকর। জেনারেলাইজ করা ঠিক না, তবে সৌদিতে অনেক স্থানীয় মানুষেরই মানসিকতা খারাপ। বিনা পরিশ্রমের টাকা আসলে হয়তো এরকম হতেও পারে। পৃথিবীতে দাস প্রথা নেই, তবে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী সম্পর্কে এদের ধারণা অত্যন্ত নীচু।
ভারত, ফিলিপিন্স এসব দেশেরও লাখ লাখ লোক মধ্যপ্রাচ্যে চাকরি করে, কিন্তু আমাদের দুতাবাসের লোকদের আচরনের কারণে আমাদের অবস্থা এতিমের মতো।

লক্ষ লক্ষ মানুষ দালালদের ক্ষপ্পরে পড়ে দেশের বাহিরে যেয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে, অনেকে জীবন পর্যন্ত হারাচ্ছে। দেখার কেউ নেই। আমরা বড় অভাগা।

৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: নারী কর্মীদের পাঠানোর ব্যপারে দীর্ঘদিন ধরেই প্রবাসীরা নিষেধ করছে। তবুও ভিসা ব্যবসায়ীরা পাঠাচ্ছে। যে নারী যাচ্ছে তাকেই দায় নিতে হবে। কোন কিছু না জেনে না বুঝে প্রবাসে চলে গেলেই হল নাকি? যত অভাবই হোক অভিভাবক ছাড়া একজন অশিক্ষিত নারী কেন দেশের বাইরে যাবে?
পুরুষ কর্মীদের বেলাতেও লোভের কারণেই ঘটছে এসব। পাশের বাড়ির অমুক সৌদি গিয়ে বিল্ডিং করেছে বলে আমাকেও যেতে হবে। 'যে কোন চাকুরি' হলেই চলবে, 'সব কাজ করতে পারব' বলে গিয়ে কাজ করতে দিলে বলে আমার জমি আছে, আমরা সৈয়দ বংশ ইত্যাদি। বাংলাদেশীদের বিদেশ যাওয়ার লোভের কারণে ভিসা ব্যবসায়ীরাও ২০০০ রিয়ালের ভিসাকে ২০০০০ রিয়াল বানিয়েছে। কোন কাজ জানে না, ইংরেজি জানে না, চলতে ফিরতে ছোট লোকী কাজ করলে সৌদিরা তো ঘৃণা করবেই! আমাদের মতই ছোট পেশাতে থাকার পরও ভারতীয়, পাকিস্তানীদের কেন গালি দেয় না তাও ভেবে দেখা দরকার...
আমি ৭ বছরের মত ছিলাম সৌদি আরব। ভিন দেশে একটু আধটু জটিলতা থাকেই। লাখ লাখ বাংলাদেশী সুন্দর জীবন যাপন করছে সৌদি আরবে। ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী দের জন্য সৌদি আরব টাকা কামানো ও জমানোর জন্য আদর্শ জায়গা...

৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সৌদি আরব কোরআনের সংবিধান থেকে দিন দিন বেরিয়ে আসছে এটাই প্রমান করে যে কোরআনের আইন ছাড়া একটা দেশ অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে।সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা।এটা শুভ লক্ষন নয়।

১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বিদেশে কাজের জন্য গিয়ে একজন নারীও যদি নির্যাতনের শিকার হন, তার দায় সরকারের।
কিন্তু সরকার নির্বিকার।

১১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৩৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনি বলছেন মধ্যপ্রাচ্য থেকে দিনে দেশে আসছে ১১ টি কফিন, আপনি বলছেন নারী শ্রমিকদের চরম দুর্দশার কথা - আর বাংলাদেশের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন ভিন্ন কথা |
আপনার কথা বিশ্বাস করবো না সরকারি মুখপাত্রকে বিশ্বাস করবো | ;)

মূল সমস্যা হচ্ছে আমাদের কোনো দল বা সরকারই সাধারণ জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে আগ্রহী নয় | বিদেশে প্রেরণের পূর্বশর্ত হচ্ছে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা আর বিদেশী ভাষায় নূন্যতম কমিউনিকেশনের প্রশিক্ষণ | ইংরেজিতে এই উপমহাদেশে বাংলাদেশিরা ভয়াবহ দুর্বল, এই দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সবাইকে ভাবতে হবে | নিজের ভাষাকে ভালোবাসা অবশ্যই দরকার, কিন্তু বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে বাংলাদেশের মতো একটি দরিদ্র দেশ তার বিশাল জনগোষ্ঠীকে ইংরেজি সহ আন্তর্জাতিক ভাষায় দক্ষতা অর্জন ব্যাতিত সম্মান নিয়ে টিকতে পারবে না কখনোই | যেভাবে ভারত ও ফিলিপিনের মতো আরো অনেক দেশ জনশক্তি রপ্তানি বাজার দখলে এগিয়ে আসছে, বাংলাদেশের নেতা ও আমলারা অলসভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকলে বিদেশী মুদ্রা অর্জনের এই মাধ্যমটিও রপ্তানিযোগ্য বস্ত্রখাতের মতো হবে |

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.