নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ । আইটি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছি। টুকটাক ছাইপাশ কিছু লেখালেখির অভ্যাস আছে। মানুষকে ভালবাসি। বই সঙ্গে থাকলে আমার আর কিছু না হলেও হয়। ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে। ভালবাসি প্রকৃতি; অবারিত সবুজ প্রান্তর। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে দুকুল উপচেপরা নদী আমাকে টানে খুব। ব্যাক্তিগতভাবে বাউল, সাধক, সাধুদের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। তাই নামের শেষে সাধু। এই নামেই আমি লেখালেখি করি। আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়। শুভ ব্লগিং। ই-মেইলঃ [email protected]
গতোকাল রাত সাড়ে এগারটায় ফোন পেলাম। একটি আয়োজনে প্রায় ১০০ বেশী মানুষের খাবার বেঁচে গেছে! আমাদের সাথে তারা যোগাযোগ করেছে খাবারগুলো সংগ্রহ করা যায় কিনা! আমরা ফোন পাবার পর আরো ৩ট অর্গানাইজেশনের সাথে যোগাযোগ করলাম। তাদের কোন টীম পাঠাতে পারবে কিনা জানতে।
একটি সংস্থার লোকজন কুমিল্লা। তারা নিতে পারছে না। অন্য একটি সংগঠনের একটি টিম ব্যস্ত। অন্য ভলান্টিয়াররা এভেইলএবল না। তাছাড়া রাত বাজে ১২টা। ওয়েদার খারাপ।
বুলবুল এর প্রভাবে রাত নেমেছে আগেই আজ। দিনভর টিপটিপে বৃষ্টি। কেউ নেই আশেপাশে।
তারপর জানালাম আরো একজনকে। তারা সময় নিলো।
রাত বাজে ১২-১৫, জানলাম তারাও পারছে না!
তারপরই আমরা ঘুড়ি থেকে প্রথমবারের মতোন প্রস্তুতি নিলাম খাবার সংগ্রহের জন্য। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনেকেই আমরা এই কাজটি করি। কোন অনুষ্ঠান/আয়োজনের খাবার বেঁচে গেলে, তা সংগ্রহ করি এবং সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে দুস্থ অসহায় শিশু অথবা আর্তজনের মাঝে বিলিয়ে দেই।
আমি কবি অয়ন আবদুল্লাহকে ফোন দিলাম।
সে ফোন ধরে না।
পরে ফোন দিলাম তুষারকে। তাকে রেডি হতে বলে উবারে কল দিয়ে গাড়ি নিলাম।
রাস্তাঘাট খালি। আমরা দ্রুতই এগুতে থাকলাম। আমরা সূত্রাপুর থানার সামনে পৌঁছলাম পৌনে একটায়। সেখানে অপেক্ষা করছিলো ফাহিম ও দিপ। দেরি না করে দুটি ডেকচি ও ২টি ব্যাগে খাবারগুলো রাখা হলো। একেবারে গরম বিরিয়ানি!
চারপাশ বিরিয়ানির গন্ধে মৌ মৌ!
আমি ফিরে আসার জন্য আবার উবার খুঁজতে লাগলাম। আমাদের তারা ধন্যবাদ দিলো এতো রাতে খাবার সংগ্রহের জন্য। আমরা তাদের কৃতজ্ঞতা জানালাম খাবারগুলো অসহায় মানুষদের মাঝে দেবার উদ্যোগের জন্য।
ফেরার সময়েও রাস্তা খালিই পেলাম।
প্রায় ১০০ জনের বেশী মানুষের জন্য খাবার সংগ্রহ করে ফিরতে পেরে ভালো লাগছিলো। এটা সুখ। আনন্দ তৃপ্তি। যারা এমন কাজে কখনো যুক্ত হননি তারা চেষ্টা করেও এই আনন্দ আর সুখের খোঁজ পাবেন না। আমরা যারা বস্তির শিশু, পথের শিশুদের নিয়ে কাজ করি তারা জানি এ সব শিশুরা একটু ভালো খাবারের জন্য কেমন উন্মুখ হয়ে থাকে। ভাল কিছু পেলে তার কিভাবে খায়, খুব কাছে থেকে আমরা দেখছি।
আমি আর তুষার রাত ২টার দিকে এক রঙ্গা এক ঘুড়ি তে পৌঁছলাম। তারপর সে সব খাবার সংরক্ষণ করে রেখে ঘুমাতে ঘুমাতে বাজলো রাত ৩টা।
ঘুমিয়ে যাবার আগেও চোখে ভাসছিলো- গভীর রাতে সংগ্রহ করে নিয়ে আসা এই খাবার খেয়ে ১০০র বেশী শিশু কি আনন্দ পাবে, কি তৃপ্তি নিয়ে খাবে সে দৃশ্য!
১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১২
নীলসাধু বলেছেন: ধন্যবাদ আন্তরিক মন্তব্যের জন্য।
আসলেই সত্য। শিশুরা হলো ফুলের চেয়েও সুন্দর।
ভালো থাকবেন।
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অসাধারণ !!
মহতী কাজের জন্য
আল্লাহ আপনদের
পুরস্কৃত করবেন।
আমিন
১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১২
নীলসাধু বলেছেন: ধন্যবাদ নুরু ভাই।
শুভেচ্ছা থাকলো। ভালো থাকবেন।
৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০২
ঢাবিয়ান বলেছেন: অসাধারন এক প্রচেষ্টা। মাঝে মাঝে ব্লগারদের অংশগ্রহনেও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য কিছু করা যায় কিনা , ভেবে দেখতে পারেন। সবাই যে যার অবস্থান থেকে সাধ্যমত সাহায্য করবে বলেই আমার ধারনা।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪
নীলসাধু বলেছেন: আনন্দের কথা আমাদের নানান আয়োজন উদ্যোগে এই ব্লগের অনেকে সহ ব্লগার যোগ দেয়। দীর্ঘদিন থেকেই। মূলত ঘুড়ির বহু কাজ ব্লগাররাই এগিয়ে নিয়ে গেছে। তবে সরাসরি ব্লগের ব্যানারে উদ্যোগ নিয়ে দীর্ঘদিন কিছু করা হচ্ছে না। এর আগে আমরা এই ব্লগ থেকে বহু মানবিক কাজ করেছি।
ভালো থাকবেন।
৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২২
হাবিব বলেছেন: অসাধারণ উদ্যোগ।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৪
নীলসাধু বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা
৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০
করুণাধারা বলেছেন: আপনার এই মহতী উদ্যোগে শুভকামনা জানাই।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৫
নীলসাধু বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১
শেহজাদী১৯ বলেছেন: সাধুবাদ জানাই এই উদ্যোগকে।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৫
নীলসাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো।
৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সত্যিকারের প্রশংসা করার মতো একটা কাজ করছেন। আপনাদের মতো লোক এখনও দেশে আছে বলেই দেশটা এখনও বাসযোগ্য!
১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৭
নীলসাধু বলেছেন: এ তেমন কিছু নয়। খুব সামান্যই পারছি আমরা। কৃতজ্ঞতা অশেষ।
৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৭
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: ‘প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’
দারুন উদ্যোগ, ভাই!
শুভকামনা রইল-
১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৬
নীলসাধু বলেছেন: ভালো থাকবেন ভাই।
শুভেচ্ছা।
৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
এই রকম মানবিক কাজের জন্য ধন্যবাদ ।
আমাদের দেশে এমন অনেক লোক আছেন যারা শেষবার কবে বিরিয়ানি খেয়েছে সেটাই হয়ত মনে নেই ।
আপনারা যারা এই ধরণের মানবিক কাজে জড়িত, তাদের সকলকে আল্লাহপাক সহায়তা করুন ।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৮
নীলসাধু বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। আমরা চেষ্টা করছি। বাকী আল্লাহ ভরসা।
১০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭
ল বলেছেন: সাধু ভাইকে সাধুবাদ জানাই।।।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৫
নীলসাধু বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রইলো।
১১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আপনাদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। শুভকামনা রইলো..
১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৬
নীলসাধু বলেছেন: ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইলো।
১২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩
আমার গল্প বলেছেন: এমন কাজে সত্যি অনেক আনন্দ পাওয়া যায়
১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৮
নীলসাধু বলেছেন: হু। আর্তজনের পাশে থাকা আনন্দের।
১৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯
সোহানী বলেছেন: আপনার লিখাটা পড়ে মনটা খুব ভালো হয়ে গেল। যদি কখনো কোন কিছুতে পাশে থাকতে পারি কৃতজ্ঞ থাকবো।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৯
নীলসাধু বলেছেন: কৃতজ্ঞতা।
ঘুড়ির অনেক কাজেই এই ব্লগের অনেক সহ ব্লগার পাশে থাকেন।
আপনিও যুক্ত থাকবেন জেনে আমি আনন্দিত। ইনশাআল্লাহ জানাবো।
শুভেচ্ছা।
১৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৫
মলাসইলমুইনা বলেছেন: খুব মন ভালো করা লেখা --ঘন কালবৈশাখীর তান্ডবের পর এক টুকরো রৌদ্দুরের ছোয়া পাবার মতো খুশি হয়ে গেলো মনটা লেখা পড়ে ।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৪
নীলসাধু বলেছেন: আন্তরিক মন্তব্যে ভালো লাগা রইলো।
১৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮
ধ্রুবক আলো বলেছেন: মহৎ উদ্যোগের জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো
১৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৬
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ঘুড়ি ফুড ব্যাংক চালু করে ফেলুন নীলদা
১৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৫
আখেনাটেন বলেছেন: অসাধারণ একটি কাজ করেছেন। শ্রদ্ধা বেড়ে গেল।
আমি নিজেও এরকম ছোটখাট কিছু উদ্যোগে সামীল। যখন প্রান্তিক মুখগুলোর এক চিলতে হাসি ধরা দেয় সামান্য পাওয়ায়, তখনকার অনুভূতিটুকু যারা এসব কাজে জড়িত তারাই শুধু জানবেন।
অনেক দিন আগের একটি ঘটনা শেয়ার করি।
কলেজে পড়াকালীন সময়ে মাঝে মাঝে এক আত্নীয়ের রাজশাহীর উপশহরের তিন নম্বত সেক্টরের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে আড্ডা দিতাম। সেখানে একদিন গিয়ে দেখি মুশফিক বাবু (তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে খেলত) ও তাঁর বন্ধুরা কোকাকোলার ক্যান হাতে আড্ডা দিচ্ছে। কোকাকোলা খাওয়া হলে সেই ক্যানটা পাশের একটু ঝোপের মতো জায়গায় ফেলে দেওয়ার সাথে সাথেই দেখলাম দুই জন টোকাই বাচ্চা ছেলে ক্যানগুলো নিয়ে উপুড় করে ধরে প্রায় নিঃশেষ হওয়া ক্যান থেকে এক দু ফোঁটা যা পড়ছে তাই গলাধঃকরণ করা চেষ্টায় রত। এ দৃশ্য দেখে আমি তাদেরকে দুটো ক্যান সারপ্রাইজ হিসেবে কিনে দিলাম। এর পরের দৃশ্য আমি কোনদিনও ভুলব না। তাদের চোখ ছলছল করছে। তাদের বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে এরকম ঝা চকচকে নতুন ক্যান তাদের হাতে জীবন্ত হয়ে ধরা দিবে। তারা সেগুলো নিয়ে কি করবে যেন ভাষায় খুঁজে পাচ্ছে না। তাদের উচ্ছাস ও অভিব্যক্তির স্বর্গীয়রূপ আজও আমার চোখে ভেসে উঠে।
১৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৭
ধ্রুবক আলো বলেছেন: @ ফেরদৌসা রুহী আপু, আইডিয়া খারাপ না। তবে ফুড ব্যাংক চালু অনেক কষ্ট সাধ্য। তবে এক টাকায় খাবার প্রজেক্টের মত কিছু একটা করা যায়।
১৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: মহৎ কাজ করছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩
মা.হাসান বলেছেন: শিশুদের হাসির চেয়ে সুন্দর আর আছে কি! আর তা যদি হয় ভাগ্যবঞ্চিত শিশুদের হাসি তবে এর উপর কথা নেই। আপনাদের সকল প্রচেষ্টা অটুট থাক।