নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পাদক, শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক ত্রৈমাসিক \'মেঘফুল\'। প্রতিষ্ঠাতা স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠন \'এক রঙ্গা এক ঘুড়ি\'।

নীলসাধু

আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ । আইটি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছি। টুকটাক ছাইপাশ কিছু লেখালেখির অভ্যাস আছে। মানুষকে ভালবাসি। বই সঙ্গে থাকলে আমার আর কিছু না হলেও হয়। ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে। ভালবাসি প্রকৃতি; অবারিত সবুজ প্রান্তর। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে দুকুল উপচেপরা নদী আমাকে টানে খুব। ব্যাক্তিগতভাবে বাউল, সাধক, সাধুদের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। তাই নামের শেষে সাধু। এই নামেই আমি লেখালেখি করি। আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়। শুভ ব্লগিং। ই-মেইলঃ [email protected]

নীলসাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রেন :: টোকিও বইমেলা ২০১৯

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯



টোকিওর ঘটনা। আমরা সবাই মিলে বেশ বড়সর একটি দল যাচ্ছিলাম দাওয়াত খেতে। আমরা এক পাশে বসে আছি। ট্রেন মোটামুটি খালি। কালো রঙের জামা পড়া একটি মেয়ে বসে আছে আমার সামনে। রানীর মতোন অভিজাত তার চেহারা।
মেয়েটির সাথে দারুণ আকর্ষণীয় ফর্সা মতোন একটি ছেলে। আমার বিপরীত দিকেই তারা দুজন বসে আছে। তাদের বয়স ২৪/২৬ এর কাছাকাছি হবে।
আমি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বিস্মিত হয়ে গেলাম। খুবই মোহনীয় লাগছিলো তাঁকে। মেয়েটির চোখে বুদ্ধির ঝিলিক, আবার একই সাথে মদির মায়া ভরা যেন। জাপানী কিছু মেয়েদের দেখলে মনে হয় এই মাত্র ঘুম থেকে উঠেছে সে! কানের পাশে ক’গাছি চুল! আহা, ঐশ্বর্য বুঝি একেই বলে।
এমন দুজন মানুষকে দেখেও আনন্দ লাগে। আমি ছেলে ও মেয়েটিকে দেখে সেই আনন্দ পেয়েছিলাম। বেশ কয়েকবার তাকিয়ে থাকার ফলে মেয়েটি বুঝতে পারে আমি তাঁকে দেখছি। সে আমাদের দিকে তাকিয়ে স্পষ্টই বুঝতে পারল আমরা তাদের দেশের অতিথি! কারণ চাল চলন ও চেহারায় আমরা খাটি বাঙ্গাল!!

ট্রেন ছুটে চলেছে।
কিছুক্ষণ পর পর থামছে। লোকজন উঠছে আবার কিছু নামছে।
কিছুটা বেশরমের মতোন আমি মাঝে মাঝে তাদের দেখছি। একটা স্টপেজ থেকে বেশ স্মার্ট সুন্দরী এক তরুণী উঠলো ট্রেনে। এবং দাঁড়ালো গিয়ে সেই ছেলে ও মেয়েটির সামনে। তখন হলো মজার একটি ঘটনা- আমার সামনে বসা ছেলেটি সদ্য ট্রেনে উঠা মেয়েটিকে এভাবে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দু-তিন ঝলক দেখলো যে আমি বিস্মিত হলাম। আমাদের দেশে অশিক্ষিত মানুষ যেভাবে কাউকে দেখে প্রায় সেভাবেই ছেলেটি মেয়েটিকে দেখেছে। তার সাথের তরুণীর দিকে খেয়াল নেই।
তারপর হলো মজার ব্যাপার। মেয়েটি সাথে সাথেই চোখ বন্ধ করে ফেললো।
সে খুবই লজ্জিত বোধ করছে বোঝা গেলো। আমি পুরো ব্যপারাটি খেয়াল করেছি এটা মেয়েটিও খেয়াল করেছে।
আকর্ষণীয় চেহারার সেই ছেলেটি মাঝে মাঝেই তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সেই তরুণীকে দেখছে আর সঙ্গে থাকা মেয়েটির সাথে কথা বলতে চাইছে, খুনসুটি করছে। কিন্তু মেয়েটি সেই যে চোখ বন্ধ করেছে আর খুলেনি।
ছেলেতো আর মেয়ের চোখ বন্ধের কারণ জানে না।
সে নানা চেষ্টা করছে।

চোখ বন্ধ করার আগে মেয়েটির চোখে রাগের ঝিলিক দেখা গেছে।
এভাবে তরুণীকে দেখার বিষয়টি মেয়েটির মোটেও ভালো লাগেনি তা বোঝা গেছে বেশ স্পষ্ট। সে নিজেই ভয়াবহ রূপসী। তার পাশে থাকা ছেলেটির এমন আচরণে সে রেগে গিয়েছিলো। ট্রেনে বলে হয়তো উলটাপালটা কিছু করেনি। আমরা যদি আশেপাশে কেউ না থাকতাম তবে সেখানে লঙ্কাকাণ্ড বাঁধতো ।

দীর্ঘ যাত্রা শেষে আমি যখন নামছি তখনো দেখলাম নাহ, মেয়ে সেই যে চোখ বন্ধ করেছে, আর চোখ খুলছে না। আমি ট্রেন থেকে নামতে নামতে ভাবলাম
যাও বাছাধন,
বাড়িতে গিয়ে টের পাবে কত ধানে কতো চাল।

//
টোকিওর মেট্রোতে প্রচুর উঠেছি আমরা। যে কদিন ছিলাম ট্রেনেই যাওয়া আসা করেছি। আমাদের হোটেল ও তার পাশের স্টেশনকে বেশ পরিচিত জায়গায়ই মনে হতো শেষের দিকে। এই নিয়ে বিস্তারিত লিখছি। কি সুন্দর তাদের ব্যবস্থাপনা। নাগরিকদের চলাচলে তারা কতোটা মনোযোগী, যত্নশীল।

কবি নীলসাধুর জাপান ভ্রমণ নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে ভ্রমণ কাহিনী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জাপান ভ্রমণের শতবর্ষ পর
কবি নীলসাধু
পৌঁছালেন!


#BookFair2020 #EREG

জাপান ভ্রমণ নিয়ে আরো পোষ্ট
টোকিও বইমেলা ২০১৯
বইয়ের দোকানে ঘুরাঘুরি :: টোকিও বইমেলা ২০১৯
ওদায়বা শহরে ঘুরাঘুরি :: টোকিও বইমেলা ২০১৯
সেন্সো-জি টেম্পলে ঘুরাঘুরি :: টোকিও বইমেলা ২০১৯

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: শুধু মাত্র আমাদের দেশে ট্রেনের অবস্থাই ভালো না।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৬

নীলসাধু বলেছেন: কি সুন্দর পরিপাটি ট্রেন ব্যবস্থাপনা।
দেখলে অবাক হতে হয়।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩

হাবিব ইমরান বলেছেন: এ দেশের ট্রেনে সিট ধরা নিয়েই যত লঙ্কাকাণ্ড, তারওপর প্রেম। বিষয়টা একেবারে ভাবাই যায় না।
যাহোক, দারুণ লিখেছেন।
ভ্রমণ কাহিনী'র জন্য অগ্রিম অভিনন্দন। শুভকামনা তো রইলোই।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪২

নীলসাধু বলেছেন: আন্তরিক মত্নব্যে ভালো লাগা রইলো।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
সমস্ত সুন্দর জিনিস কেবল আমার জন্য।আমার যদিও অলরেডি একটা থাকে তবে আরও চাই =p~

জাপানীরা ভদ্র,এই জন্য, মেয়েটি কিছু বলে নাই। তবে এটি যদি আমাদের দেশে হত, তবে মেয়েটি কিছু একটা করার চেষ্টা করত ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৭

নীলসাধু বলেছেন: তবে আমার মনে হয় এটী খুব সহজে মিটেনি। বাসায় যাবার পর নিশ্চয় কিছু হয়েছে। মেয়েটি খুবই রেগে গিয়েছিলো।


শুভেচ্ছা রইলো।

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮

মা.হাসান বলেছেন: নীলসাধু ভাই, আপনি যখন মেয়েটির দিকে তাকাচ্ছিলেন, তখন কি ভাবি পাশে ছিলো? ;)
আপনি সাধু চোখেই তাকান আর ক্রিটিক চোকে তাকান, ভাবি এই লেখা পড়লে আপনিও বুঝবেন হাউ মেনি পেডি হাউ মেনি রাইস। B-))

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৬

নীলসাধু বলেছেন: আনন্দের বিষয় আমার সাথে আপনার ভাবি ছিলেন না।
আলহামদুলিল্লা।
খিক।

৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এক কথায় চমৎকার !
সাথে রইলাম, আশা করছি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জাপান ভ্রমণের শতবর্ষ পর
কবি নীলসাধু
পৌঁছালেন!
গ্রন্থটিও আমার সাথে থাকবে :D

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪২

নীলসাধু বলেছেন: ইনশাআল্লাহ।
আপনার বইয়ের সাথে আমারটিও নিয়ে যাবেন :D

শুভেচ্ছা জানবেন লিটন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.