নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পাদক, শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক ত্রৈমাসিক \'মেঘফুল\'। প্রতিষ্ঠাতা স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠন \'এক রঙ্গা এক ঘুড়ি\'।

নীলসাধু

আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ । আইটি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছি। টুকটাক ছাইপাশ কিছু লেখালেখির অভ্যাস আছে। মানুষকে ভালবাসি। বই সঙ্গে থাকলে আমার আর কিছু না হলেও হয়। ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে। ভালবাসি প্রকৃতি; অবারিত সবুজ প্রান্তর। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে দুকুল উপচেপরা নদী আমাকে টানে খুব। ব্যাক্তিগতভাবে বাউল, সাধক, সাধুদের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। তাই নামের শেষে সাধু। এই নামেই আমি লেখালেখি করি। আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়। শুভ ব্লগিং। ই-মেইলঃ [email protected]

নীলসাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন আশাবাদী হই। সবাই একসাথে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামি!

১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৮



স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা পুলিশকে জানিয়েছে, ১ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ৯ হাজার ২০৯ জন প্রবাসী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসেছেন। (সূত্র: প্রথম আলো ১৯ মার্চ ২০২০)
আমার নিজ জেলা সহ পুরো বাংলাদেশ এভাবেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের সংস্পর্শে এই রোগে সংক্রমিত হয়েছেন তাদের স্বজন পরিবার পাড়া প্রতিবেশী। তথ্য উপাত্ত যাই বলুক দেশে আমরা অনেকেই এখন ঝুঁকিতে চলে গেছি- এটাই বাস্তবতা এখন! এক অর্থে পুরো পৃথিবীই থমকে গেছে। চিন্তিত শঙ্কিত পৃথিবীর নানা প্রান্তে থাকা মানুষ।
তবে যেখান থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি সেখানে নতুন করে আর কেউ আক্রান্ত হয়নি।
এটা সুখবর।
তার মানে হচ্ছে চেষ্টা করলে এর থেকে মুক্তিরও পথ খোলা আছে। সেটা চীন দেখিয়েছে। উহান দেখিয়েছে। সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া সহ আরো কিছু দেশ সফল হয়েছে। আমরা তাদের অনুসরণ করতে পারি।
.
.
সতর্কতা অবলম্বন করলে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এ সতর্কতাগুলো কী?

১. গণপরিবহন
> গণপরিবহন এড়িয়ে চলা কিংবা সতর্কতার বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বাস, ট্রেন কিংবা অন্য যে কোন ধরণের পরিবহনের হাতল কিংবা আসনে করোনাভাইরাস থাকতে পারে।
> সেজন্য যে কোন পরিবহনে চলাফেরার ক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা এবং সেখান থেকে নেমে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করার উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

২. কর্মক্ষেত্র
> অফিসে একই ডেস্ক এবং কম্পিউটার ব্যবহার করলেও ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
> বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঁচি-কাশি থেকে করোনাভাইরাস ছড়ায়। যে কোন জায়গায় করোনাভাইরাস কয়েক ঘন্টা এমনকি কয়েকদিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে।
> অফিসের ডেস্কে বসার আগে কম্পিউটার, কিবোর্ড এবং মাউস পরিষ্কার করে নিন।

৩. জনসমাগমস্থল
> যেসব জায়গায় মানুষ বেশি জড়ো হয় সেসব স্থান এড়িয়ে চলা কিংবা বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
> এর মধ্যে খেলাধুলার স্থান, সিনেমা হল থেকে শুরু করে ধর্মীয় স্থানও রয়েছে।

৪. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
> বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যখন গ্রাহকরা যায় তখন অনেকেই একটি কলম ব্যবহার করেন।
> করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন ব্যক্তি যদি সে কলম ব্যবহার করে তাহলে পরবর্তী ব্যবহারকারীদেরও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। সেজন্য নিজের কলম আলাদা করে রাখতে পারেন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
> এছাড়া টাকা উত্তোলনের জন্য যে এটিএম বুথ ব্যবহার করা হয়, সেখান থেকেও সংক্রমণ হতে পারে। কারণ এটিএম বুথের বাটন অনেকে ব্যবহার করে।

৫. লিফট
> ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে আরেকটি জায়গা হতে পারে বাড়ি কিংবা অফিসের লিফট।
> লিফট ব্যবহারের সময় নির্ধারিত ফ্লোরে যাবার জন্য লিফটের বাটন অনেকে ব্যবহার করছেন।
> বিভিন্ন অফিস ভবনে প্রতিদিন শত-শত মানুষ লিফট ব্যবহার করছেন। এদের মধ্যে কেউ যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী থাকেন এবং সে লিফটের বাটনে অন্যদের আঙ্গুল গেলেও সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে।
.
.
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যখন একটি দুটি করে বাড়ছে এবং সারা পৃথিবীতে এই রোগের দ্রুত বিস্তারের খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রচার হচ্ছে, তখন এ নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠাও বাড়ছে। তবে সরকারের দিক থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে যে জ্বর-ঠাণ্ডা-কাশি এরকম লক্ষণ দেখা দিলেই হাসপাতালে দৌড়ানোর দরকার নেই। এরকম হলে তাদেরকে প্রথম বাড়িতে স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

যদি কোন রকমের শ্বাসকষ্ট থাকে এবং আপনি ঢাকায় থাকেন তাহলে আপনি কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চলে যাবেন। তারা আপনাকে সেখানে ভর্তি করে আইইডিসিআরকে খবর দেবে। এবং তারা গিয়ে নমুনা নিয়ে আসবো। আপনার এখানে সেখানে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করার একদমই প্রয়োজন নেই। সারা বিশ্বেই দেখা যাচ্ছে করোনাভাইরাসের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, শুকনো কাশি এবং দুর্বলতা। সুনির্দিষ্টভাবে এই তিনটি লক্ষণ যদি থাকে তাহলে আপনারা আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

কোন পরিবারে যদি বিদেশ থেকে কেউ এসে থাকেন তাহলে তাদের আর সকলের কাছ থেকে আলাদা থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের আইইডিসিআরের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

আপনার যদি গলা ব্যথা, শুকনো কাশি অথবা জ্বর থাকে, আপনি বাড়িতে থাকুন, আইইডিসিআরের টিম দিনের কোন এক সময় আপনার কাছে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসবে।

হোম কোয়ারেন্টাইনে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা

১. হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিবর্গ ১৪ দিন ঘরের বাইরে বের হবেন না এবং নিজ বাড়ির নির্ধারিত একটি কক্ষে অবস্থান করবেন।
২. পরিবারের অন্যান্য সদস্য দেশে প্রত্যাগত সদস্যের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করবেন। তবে কোনোভাবে ওই ঘরে প্রবেশ করা যাবে না। খাবার বা প্রয়োজনীয় জিনিস দরজায় রাখবেন।
৩. কোয়ারেন্টাইনকৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব উক্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসতে পারবেন না।
৪. সম্ভব হলে কোয়ারেন্টাইনকৃত ব্যক্তিকে আলাদা টয়লেট ব্যবহার করতে হবে।
৫. খুব জরুরি কারণে যদি কারও সঙ্গে কথা বলা বা দেখা করার প্রয়োজন হয় তাহলে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিকে সাক্ষাৎকারীর সঙ্গে অন্তত ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৬. কোয়ারেন্টাইনকৃত ব্যক্তি নিজের কাপড়, তোয়ালে, গামছা, নিজেই পরিষ্কার করবেন। নিজের বিছানা আলাদা রাখবেন।
৭. যথাসম্ভব সাক্ষাৎ এড়িয়ে চলুন, এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও।
৮. সবসময় মাস্ক পরে থাকুন।
৯. ঘন ঘন হাত ধুয়ে ফেলুন। যেসব জায়গায় বারবার স্পর্শের সম্ভাবনা আছে, সেগুলো দিনশেষে ভালো করে জীবাণুনাশক দিয়ে মুছে ফেলুন। যেমন- দরজার হাতল, কম্পিউটার, ফোন, টয়লেট ইত্যাদি।
১০. যদি হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তি বাসার বাইরে যান তবে অন্যদের দায়িত্ব সেই ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া।

আসুন আশাবাদী হই। সবাই একসাথে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামি। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের সাথে জুড়ে দেই আমার আপনার আমাদের সকল প্রচেষ্টা। সমালোচনা দোষ ত্রুটি খোঁজা বাদ দিয়ে সুস্থ সুন্দর ও নিরাপদ জীবনের জন্য কাজ করি। বেঁচে থাকার জন্য হলেও ভেদাভেদ ভুলে যাই। একসাথে পথে হাটি। ইনশাআল্লাহ আমরা এই বিপদ থেকে উদ্ধার পাবো। এই দেশের মানুষ আর যাই হোক বিপদে দুর্যোগে একসাথে জেগে উঠতে পারে- এটা আমরা অতীতেও দেখেছি।
আবার সময় হলো :)

//তথ্য বিবিসি বাংলা

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: সচেতন না হয়েও শুধু মাত্র আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলে বাঁচা যেতে পারে।

১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

নীলসাধু বলেছেন: আসুন আশাবাদী হই। সবাই একসাথে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামি। ইনশাআল্লাহ আমরা এই বিপদ থেকে উদ্ধার পাবো। এই দেশের মানুষ আর যাই হোক বিপদে দুর্যোগে একসাথে জেগে উঠতে পারে- এটা আমরা অতীতেও দেখেছি।
আবার সময় হলো :)

২| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন:

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আল্লাহ হেফাজত করুন

৪| ২০ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:০৭

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: মসজিদে জামাত, ওয়াজ-মাহফিল, ধর্মিয় সমাবেশ বন্ধ করা ঠিক হয় নাই। এতে আল্লাহ আরো বেশি রুষ্ট হবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.