নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পাদক, শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক ত্রৈমাসিক \'মেঘফুল\'। প্রতিষ্ঠাতা স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠন \'এক রঙ্গা এক ঘুড়ি\'।

নীলসাধু

আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ । আইটি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছি। টুকটাক ছাইপাশ কিছু লেখালেখির অভ্যাস আছে। মানুষকে ভালবাসি। বই সঙ্গে থাকলে আমার আর কিছু না হলেও হয়। ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে। ভালবাসি প্রকৃতি; অবারিত সবুজ প্রান্তর। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে দুকুল উপচেপরা নদী আমাকে টানে খুব। ব্যাক্তিগতভাবে বাউল, সাধক, সাধুদের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। তাই নামের শেষে সাধু। এই নামেই আমি লেখালেখি করি। আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়। শুভ ব্লগিং। ই-মেইলঃ [email protected]

নীলসাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নগরে সাধু :: করোনার দিনগুলো

২০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৪



বাজার থেকে সেই কবেই হাওয়া হয়ে গেছে মাস্ক, স্যানিটাইজার, হেক্সিসল সহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কাজে যা লাগে তার সবই।
অথচ ফেসবুকে বুষ্ট করা পেজের জ্বালায় হোম পেজ ব্রাউজ করা যায় না। শত শত কোম্পানি এসব বিক্রি করছে। এসব আপনাকে বাজারে গিয়ে কিনতে হবে না তারাই হোম ডেলিভারি দেবে।
তাহলে মার্কেটে নেই কেন?
কেন এই সংকট?
কারণ আছে।
'লোভ' হচ্ছে সে কারণ।
স্বার্থান্ধ এক জাতি হয়ে উঠেছি আমরা। বেদনার ব্যাপার হচ্ছে এবারই প্রথম দেখলাম শুধু আমরা নই প্যানিকড হয়ে এই কর্ম করেছে প্রায় বেশ কয়েকটি দেশের মানুষ।
আমাদের দেশের অনেকের ভাব দেখে মনে হচ্ছে কাল পরশুর মধ্যে চাল ডাল পিয়াজ কেনাকাটিও শেষ করে ফেলবে। তারা ভাবেনি সবার সামর্থ্য নেই! এভাবে মজুদ করে ফেলা যে মঙ্গলজনক হচ্ছে না বরং এতে করে আমরা সকলেই যে বিপদে পড়তে পারি সেই ভাবনাটূকু নেই মনে! ইতিমধ্যে বাজারে আগুন। সব জিনিসের দাম চড়া। একা একা বাঁচতে চাওয়ার এই অভ্যাস আমরা রপ্ত করেছি ভালোভাবেই। তবে এতো কিছু বুঝলেও তারা বুঝতে পারে না করোনা ভাইরাস রোগটিই ছোঁয়াচে।
মানুষের জীবনই যদি না বাঁচে তবে টাকা দিয়ে কি হবে?

এই ভাইরাসকে রুখতে হলে প্রথমেই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে হবে। যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের অতি অবশ্যই সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
কিসের কি। সব চলছে হৈচৈ মুডে।
কাকে কি বলবো, আমরা সবাই একই দোষে দোষী!
সারা পৃথিবী থমকে গেছে।
আমাদের হুশ নেই!
দুর্ভাগ্যজনক।

কিছু করার 'সময়' কি অবশিষ্ট আছে?

খুব অবাক হই এই ভেবে যে, এই বাংলাদেশ নিয়েই জীবনানন্দ দাশ একদিন লিখেছিলেন:

এই পৃথিবীর এক স্থান আছে - সবচেয়ে সুন্দর করুণ
সেখানে সবুজ ডাঙ্গা ভরে আছে মধুকুপী ঘাসে অবিরল,
সেখানে গাছের নাম: কাঁঠাল, অশ্বত্থ, বট, জারুল, হিজল।


আমাদের সেই দেশটি কই? মানুষগুলো এমন বদলে গেলো কিভাবে?

যাযাবর প্রজাপতি উড়ে যায়। এই নগরে ভাটফুলের রেণু কোথায়...
নীলসাধু
.
.
#নগরে_সাধু
২০০৩২০২০

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:০২

সোহানী বলেছেন: দেরী হলেও এখনো সময় আছে সচেতন হবার। তবে বাজারের এ মজুদের ট্রেন্ড সব দেশেই চলছে। আমি দেড় সাপ্তাহ আগে বাজারে যেয়ে দেখি প্রয়োজনীয় জিনিস কিছুই নেই। কিন্তু কানাডা সরকার বলে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে বাজারকে আবারো স্থিতিশীল করেছে। আমাদের সমস্যা হবে না কারন এখানে আয়ের বৈষম্য তেমন নেই। আর যারাও আছে তাদেরকে সরকার ফ্রি দেবার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু চিন্তা হয় দেশের জন্য। এখানে আয়ের বৈষম্য মারাত্বক। এক শ্রেনী সব মজুদ করবে আরেক শ্রেনী খেতে পারবে না। আর সরকারেরও এ গরীব দিন দিন খায়দের নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই। কিভাবে বাঁচবে এরা????????????

২| ২১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:০৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দারুণ লেখা ভালো লাগলো ।

৩| ২১ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: নিজ চোখে দেখলাম বাজারে প্রচুর ভিড়। লোকজন পাগলের মতো কেনাকাটা করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.