নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ । আইটি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছি। টুকটাক ছাইপাশ কিছু লেখালেখির অভ্যাস আছে। মানুষকে ভালবাসি। বই সঙ্গে থাকলে আমার আর কিছু না হলেও হয়। ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে। ভালবাসি প্রকৃতি; অবারিত সবুজ প্রান্তর। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে দুকুল উপচেপরা নদী আমাকে টানে খুব। ব্যাক্তিগতভাবে বাউল, সাধক, সাধুদের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। তাই নামের শেষে সাধু। এই নামেই আমি লেখালেখি করি। আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়। শুভ ব্লগিং। ই-মেইলঃ [email protected]
আজ সন্ধ্যার পর বাড়ির বাইরে যাচ্ছিলাম;
চারদিকে অন্ধকার, মোবাইলের লাইট জ্বালালাম।
লাইট জ্বালিয়ে বিস্মিত হয়ে দেখলাম সে পথে বেশ মোটাসোটা এক সাপ শুয়ে আছে।
লাইট দেখেই সে থেমে গেলো, সাথে সাথে আমিও। আমার লাইটে তার স্পষ্ট বিরক্তি। আমি দ্রুত কিছুটা পেছনে সরে এলাম।
দৈর্ঘে সাপটি কতটুকু তা বোঝা যায়নি, কারণ তার মাঝ থেকে বাকিটা ছিল ঝোপের ভেতরে।
তবে ৬ ফিট হতে পারে মনে হলো।
হুট করে সাপের মুখোমুখি হয়ে আমি কিছুটা বিস্মিত।
এবং অবাক।
ভয় লাগলো না, কারণ সাপ খুব বেশি বিরক্ত হয়নি।
ফনা তোলেনি, মাত্র এক ফিট উঁচু হয়ে আমার দিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখা।
এর মধ্যেই আমি যার কাছে যাচ্ছিলাম, তিনি আমার সাথে দেখা করতে চলে আসছিলেন।
আমি এদিক ওদিক সাপ তাড়াবার জন্য লাঠি বা এই জাতীয় কিছু খুঁজছিলাম, দেখি তিনি প্রায় সাপটির কাছে চলে এসেছেন।
আমি তাকে বললাম, আস্তে আসেন, সাপ আছে।
আমার কথা শেষ হবার আগে তিনি সেই পথেই সৌভাগ্যক্রমে সাপকে টপকে চলে এলেন।
বেচারা সাপ কিছুই বোঝেনি।
সে তো লক্ষ্য করছিল আমার মোবাইল লাইটের দিকে।
যাইহোক শেষ পর্যন্ত বিপদ হয়নি কোনো।
পরে আমরা সাপটিকে পাশেই ছোট জলাশয় ঝোপঝাড়ে নেমে যেতে দিলাম।
হুট করে মনে হলো ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফি চ্যানেল থেকে যেন দৃশ্যটি চোখের সামনে চলে এলো।
এমন প্রকাণ্ড সাইজের একটি সাপ একেবারেই আমার দু ফিট দূরে চলে আসবে এটা আমার ভাবনায় ছিল না।
আমি এর আগে আমাদের বাড়িতে কখনো সাপ দেখিনি।
বিল বা নদীতে দেখেছি কিন্তু আমার হাটাপথ জুড়ে একটি সাপ দেখার অভিজ্ঞতা এটিই প্রথম।
মজা পেলাম খুব।
সাপ নিয়ে আমার আরো একটি মজার ঘটনা আছে, সেটি দেশের বাইরে। জিজান নামের এক শহরের গাছের নিচে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিলাম। চারপাশে লু হাওয়া বইছে। যে গাছের নিচে আমরা দাড়িয়েছিলাম তার পাশেই ছিল মসজিদ।
আমাকে সিগারেট খেতে দেখে বাংলাদেশি এক ইঞ্জিনিয়ার এলেন। দুজনে গল্প করছি। এর মাঝেই হুট করে গাছ থেকে সাপ এসে পরলো সেই ইঞ্জিনিয়ারের মাথায় কাঁধে। তিনিতো হৈচৈ, চীৎকার। আমি জাস্ট স্পিচলেস।
মনে হচ্ছে এ আমি কী দেখছি।
ছিটকে সরে গেলাম। তবে সেই সাপ ছোবল দেয়নি, আমার বা সেই ইঞ্জিনিয়ার কাউকেই।
কোনো বিপদ হয়নি। তবে দিনে দুপুরে এভাবে খোশগল্পের মাঝে সাপ এসে পরবে এটা আমাদের ভাবনাত্য ছিলো না।
আমি প্রাণ প্রকৃতির সকল কিছুর জন্য মমতা লালন করি। যে যেখানে থেকে অভ্যস্ত সে সেখানে তার আনন্দ নিয়ে থাকুক তাই চাই।
পৃথিবীর সকল প্রাণী সুখী হোক।
অফ টপিক//
পোষ্টে ব্যবহার করা ছবিটি কোথায় তোলা হয়েছে বলতে পারবেন?
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩
নীলসাধু বলেছেন: হিহি
সে আর বলতে।
নাইলে আমার কি দশা হতো বলেন প্রামানিক ভাই।
ভালো থাইকেন।
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: যাক দাদা বিপদের কিছুই ঘটেনি সেটাই বড় কথা...
আপনারাও সুস্থ, সাপও সুস্থ জেনে ভালো লাগলো...
যেখানেই উষ্ণ, এখন সেখানেই সাপ থাকার কমবেশি সম্ভবনা থাকবে। শীতকাল জন্য। সাবধানে থাকবেন দাদা...
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
নীলসাধু বলেছেন: হু কোনোবারেই বিপদ হয়নি।
সাপকে আমি এম্নিতেই ভয় পাই। ছোটবেলায় গ্রামে গেলে সামনে পরেছে, বড়বেলায় সেভাবে পরেনি। আমরা মানুষেরাই প্রকৃতির ক্ষতি করছি অনেক। তাদের বাসাবাড়ি নষ্ট করছি।
৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দারুণ অভিজ্ঞতা কিন্তু। তবে, সাপকে ডিস্টার্ব না করলে সাপও আপনাকে কামড়াবে না, এমনটাই পড়েছি বিভিন্ন জায়গায়।
আমি ছোটোবেলায় সাপ দেখেছি। ডোরা সাপ ছাড়াও ক্ষেত খামারে কিছু বিষাক্ত বা হাফ বিষাক্ত সাপ দেখা যেত, লাঙ্গল দিয়ে চাষ করার সময় মাটির ভেতর থেকেও উঠে আসতো। আমি অনেক সাপের লেজ ধরে মাথার উপর ঘুরিয়ে ছেড়ে দিতাম, ঘোরানোর ফলে এমনিতেই ওগুলো মড়ার মতো হয়ে যেত, দূরে গিয়ে আছাড় খেয়ে দম শেষ। সুতানলী সাপ দেখতাম বাড়ির বিভিন্ন জাংলায়, গাছে। ওগুলো ভয়ঙ্কর বিষাক্ত। একবার এক ক্যানভাসার আমার শরীরে সাপ ঝুলিয়ে দিয়েছিল, আরেকবার এক ক্যানভাসার সাপের মুখ দিয়ে হাতের তালু থেকে ১টাকার নোট নিয়েছিল এ নিয়ে আমার গল্পও আছে
আমি ইউটিউবে প্রচুর সাপ দেখি। মজা লাগে। সাপ দেখতে দেখতে এখন শোল মাছ, টাকি মাছ, বাইন, শিং মাছ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
নীলসাধু বলেছেন: জ্বি সোনাবীজ ভাই, সাপ বিরক্ত বা ক্ষতির মুখে না পরলে ফনা তুলে না, আমিও তাই জানি।
আমি সাপ ভয় পাই। ছোটবেলায় আপনার মতোন কিছু অভিজ্ঞতা আমার আছে, তা খুব অল্প। বড়বেলায় সাপের সামনে পরিনি। আমি সাপ ভয় পাই বলে বন্ধুরা অনেকেই নানা ভিডিও পাঠায়, আমি আবার তা দেখি - হা হা
আর এইগুলান দেখতে দেখতে আপনি তো বেশ কিছু স্বাদের মাছ খাওয়া বাদ দিলেন, এখন উপায়?
৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: কি সাপ ছিল চিনতে পেরেছেন?
সৌভাগ্যক্রমে কারো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২
নীলসাধু বলেছেন: ভাই কি বলেন?
আমি তো সাপ ভয়াবহ ভয় পাই। সাপ চেনার চেষ্টা করিনি, মাথায় ও আসেনি। হা হা।
হু বিপদ হয়নি কোনোবারেই।
ভালো থাকবেন।
৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৮
কামাল১৮ বলেছেন: একমাত্র মানুষ পরিকল্পনা করে অন্যের ক্ষতি করে।পৃথিবীর অন্য কোন প্রানী করে না।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৬
নীলসাধু বলেছেন: খুবই সত্য কথা।
আমরা মানুষেরা পারি অনেক কিছু।
৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৫
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: খুলনায় একবার একজনের সাথে গিয়েছিলাম একটা কসমেটিক্সের দোকানে। কাঁচের ডেস্কের উপর হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছি। হাতের মধ্যে একটা কিছু নড়ছে টের পেয়ে তাকাতেই দেখি একটা পাহাড়ী সাপ! জীবন যেন খাঁচা ছাড়া হয়ে গেলো। পাশে দাড়িয়ে থাকা বেদে মহিলা বললো, বাবু, ভয় পেয়েছিস, আমাকে ৫ টাকা দে। না হয় রাত্রে ভয়ে জ্বর উঠবে!
আর আপনি যেমন ভাবে বললেন, ওভাবে সাপের দেখা পেয়েছিলাম আমাদের গ্রামের বাড়িতে! বেশ কয়েক ফুট লম্বা সাপ মাছের ঘের থেকে আইলে উঠে পাশের খালে নেমে যাচ্ছিলো!
৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫
বিজন রয় বলেছেন: সাপ নিয়ে আমার শত শত কাহিনী আছে। আমার এলাকায় একসময় প্রচুর সাপ ছিল। আমার সাপের কোনো ভয় নেই।
ছবিটি কোথায় তোলা বলতে পারলাম না।
আমি অনেক বছর আগে থেকে কোনো জীব হত্যা করি না।
৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: মাত্র দুই ফিট দুরে বড়সড় সাপ শুয়ে আছে? এর মাঝে আরেকজন এসে ওটাকে টপকে পার হয়েও এসেছেন?
ভাই আমি নাই। ভয়ে মরে ভুত হয়ে গেছি।
ছোটবেলায় আমাদের বাসার গড়ে গাছের নীচে সাপের বাসা ছিলো। অনেক সাপ, ভয় কাটানোর জন্য দুর থেকে তাদের কাজ কারবার দেখতাম। মেটিং করা দেখতাম। বাচ্চা বড় হওয়া দেখতাম। গুইসাপের সাপ খাওয়া দেখতাম। কিন্তু ভয় কাটেনি। পরে জেনেছি এটা আমার ভয় না, এলার্জি। কি জানি? সাপ কাছে থেকে দেখলে আমার এখনো ভয় লাগে।
বিজন রয় বলেছেন: সাপ নিয়ে আমার শত শত কাহিনী আছে। আমার এলাকায় একসময় প্রচুর সাপ ছিল। আমার সাপের কোনো ভয় নেই।
বিজন দা, সাপের গল্প শুনতে চাই/পড়তে চাই। আমি কিন্তু নাই
৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে ব্যবহার করা ছবিটা বইমেলার।
১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩৬
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: পোস্টের ছবিটা বইমেলার, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
১১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৫৫
ডান বলেছেন: সমস্ত প্রাণীবিশেষের সুখ এবং ভালোবাসা সবার জন্য একটি যৌথ আশীর্বাদ হোক।
১২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫
সুমিনা বলেছেন: আমি সম্পূর্ণভাবে একমত! "Plinko Casino" এরকম অনলাইন খেলারা, আনন্দ এবং মজার মাধ্যমে মানুষকে একত্রে আনার একটি অসাধারণ উপায় রয়েছে। এখানে মনোরঞ্জনের ডিজিটাল প্রভৃতির জন্য সহায়ক হওক, এবং বিশ্বব্যাপী গেমারদের সুখ এবং ভালোবাসায় অবদান রয়ে।
১৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৪৮
এভেলিন বলেছেন: একটুখানি! Plinko Casino এর মতো অনলাইন গেম যোগাযোগ করে মানুষকে আনন্দের মাধ্যমে। ডিজিটাল মজার জন্য যাদের স্বাস্থ্য উন্নত করছে, তাদের জন্য চিৎকার! view this link দেখুন একটি রম্য খেলার অভিজ্ঞানের জন্য!
১৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৬
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
সাপ নিয়ে আমারও অভিজ্ঞতা আছে। সেটা আর একদিন বলব। তবে সাপ সম্ভবত বিরক্ত না করলে হুশপাশ করে না। যদিও সাপের নাম শুনলেই ভয় লাগে। এই কামড় দিল বলে আরকি।
ছবিটি গতবারের বই মেলার। মানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছবি।
১৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯
এভেলিন বলেছেন: তোমরা বন্ধুরা এটি দেখো বর instead Plinko Casino @ https://www.bitsler.com/en/plinko
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১
প্রামানিক বলেছেন: সাপেরাও ভদ্রতা জানে