নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ । আইটি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছি। টুকটাক ছাইপাশ কিছু লেখালেখির অভ্যাস আছে। মানুষকে ভালবাসি। বই সঙ্গে থাকলে আমার আর কিছু না হলেও হয়। ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে। ভালবাসি প্রকৃতি; অবারিত সবুজ প্রান্তর। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে দুকুল উপচেপরা নদী আমাকে টানে খুব। ব্যাক্তিগতভাবে বাউল, সাধক, সাধুদের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। তাই নামের শেষে সাধু। এই নামেই আমি লেখালেখি করি। আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়। শুভ ব্লগিং। ই-মেইলঃ [email protected]
আজ বইমেলার ১৫তম দিন গেলো।
এখন খুব দ্রুতই মেলা শেষ হয়ে যাবে, এই কয়েকটা দিন ঝট করেই শেষ হয়ে যায়।
মেলার শেষ দিকে একটা ব্যাপার হয়, প্রকৃত পাঠক, বইয়ের মানুষ যারা তারা সবাই মেলায় আসা শুরু করেন।
তাদের সাথে দেখা হয়, আড্ডা হয়- এটা গভীর আনন্দের।
মেলায় এখনো নানা অব্যবস্থাপনা যা হতাশার। সার্বিক সকল দিক দেখে মনে হচ্ছে বাংলা একাডেমি সবদিক সামাল দিতে পারেনি। মেলায় আগত অনেকেই অখুশি, প্রকাশকদের একটা অংশ হতাশ, লিটলম্যাগ চত্বরের বিশৃঙ্খলাতা নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে নিউজ হলো, ভাইরাল লেখক বিতর্ক, টয়লেট সমস্যা, অপরিষ্কার নামাজের জায়গা- অসন্তুষ্টি সবখানেই।
স্টল বিন্যাস নিয়ে গতবছর বাংলা একাডেমি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিল, এই বছর তা লেজেগোবরে হয়ে গেছে।
খাবারের দোকান ধীরে ধীরে পুরো মাঠ দখল করে নিয়েছে।
বাংলা একডেমির দিক দিয়ে উদ্যানে প্রবেশের পর যেসব প্রকাশনীকে স্টল দেয়া হয়েছে তা অর্থহীন। এখানের স্টলগুলো জনমানবহীন। পাঠক ক্রেতা দর্শনার্থীদের কেউ এখানে যাচ্ছে না। ৩৭টি প্যাভিলিয়ন আর অনেক লাইট জ্বালানো এতো বড় উদ্যান রেখে কে আর এখানে দাঁড়াবে?
এইরকম নানা অব্যবস্থাপনা নিয়েই চলছে মেলা।
তবু প্রাণের মেলায় আমরা যাই, বইয়ের সাথে থাকি।
প্রবাসী লেখক, প্রকাশক, পাঠক দের পাশাপাশি দেশের নানা জেলা থেকে বইপ্রেমী মানুষ মেলায় আসেন।
নতুন বই, নতুন লেখা নিয়ে কথা হয়।
বই নিয়ে আড্ডায় মাতি, দিনশেষে প্রাপ্তি এতোটুকুই।
#বইমেলা২০২৪