নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি লিখমু ভাবছি ?

নিউ সিস্টেম

অনেক দিন চেষ্টা করার পরে আজ এখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারলাম !

নিউ সিস্টেম › বিস্তারিত পোস্টঃ

নালন্দা এর ইতিহাস

১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:২৬


নালন্দা ভারতের বিহার রাজ্যে অবস্থিত একটি প্রাচীন উচ্চশিক্ষা কেন্দ্র। প্রাচীন নালন্দা মহাবিহার বিহারের রাজধানী পাটনা শহর থেকে প্রায় ৫৫ মাইল দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত ছিল। খ্রিষ্টীয় ৪২৭ অব্দ থেকে ১১৯৭ অব্দের মধ্যবর্তী সময়ে নালন্দা ছিল একটি প্রসিদ্ধ বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র। বিশেষজ্ঞরা এই মহাবিহারকে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অন্যতম বলে মনে করেন। এখানকার কয়েকটি সৌধ মৌর্য সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন। গুপ্ত সম্রাটরাও এখানকার কয়েকটি মঠের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ঐতিহাসিকদের মতে গুপ্ত সম্রাট শক্রাদিত্যের রাজত্বকালে নালন্দা মহাবিহারের বিকাশলাভ ঘটে। পরবর্তীকালে বৌদ্ধ সম্রাট হর্ষবর্ধন এবং পাল সম্রাটগণও এই মহাবিহারের পৃষ্ঠপোষক হয়েছিলেন। ১৪ হেক্টর আয়তনের মহাবিহার চত্বরটি ছিল লাল ইঁটে নির্মিত। খ্যাতির মধ্যগগনে থাকাকালীন অবস্থায় চীন গ্রিস ও পারস্য থেকেও শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে আসতেন বলে জানা যায়। ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দে তুর্কি মুসলমান আক্রমণকারী বখতিয়ার খিলজি নালন্দা মহাবিহার লুণ্ঠন এবং ধ্বংস করেন। এই ঘটনা ভারতে বৌদ্ধধর্মের পতনের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে বিবেচিত হয়। ২০০৬ সালে ভারত, চীন, সিঙ্গাপুর, জাপান এবং অন্যান্য কয়েকটি রাষ্ট্র যৌথভাবে এই সুপ্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়টির পুনরুজ্জীবনের প্রকল্প গ্রহণ করেন। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম স্থির হয়েছে নালন্দা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। এটি প্রাচীন নালন্দা মহাবিহারের ধ্বংসাবশেষের নিকট নির্মিত হবে।
খননের পূর্বে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় এর দৃশ্যপট
চীনা তীর্থযাত্রী সন্ন্যাসী হিউয়েন সাঙ নালন্দা নামের বিবিধ ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। তার একটি মত হল এই নামটি স্থানীয় আম্রকুঞ্জের মধ্যবর্তী পুষ্করিণীতে বসবাসকারী একটি নাগের নাম থেকে উদ্ভূত। কিন্তু যে মতটি তিনি গ্রহণ করেছেন সেটি হল, শাক্যমুনি বুদ্ধ একদা এখানে অবস্থান করে অবিরত ভিক্ষাপ্রদান করতেন সেই থেকেই এই নামের উদ্ভব।সারিপুত্তর মৃত্যু হয়েছিল নালক নামে এক গ্রামে। কোনো কোনো গবেষক এই গ্রামটিকেই নালন্দা নামে অভিহিত করেন।

কথিত আছে বুদ্ধ একাধিকবার নালন্দায় অবস্থান করেছিলেন। নালন্দায় এলে তিনি সাধারণত পাবারিকের আম্রকাননে অবস্থান করতেন এবং সেখানে উপালি গৃহপতি, দীগতপস্সী, কেবত্ত ও অসিবন্ধকপুত্তের সঙ্গে ধর্মালোচনা করতেন।মগধের মধ্য দিয়ে নিজের শেষ যাত্রার সময় বুদ্ধ নালন্দায় উপস্থিত হয়েছিলেন। এখানেই বুদ্ধের মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্বে সারিপুত্ত সিংহগর্জনে তার বুদ্ধভক্তি প্রকাশ করেছিলেন। রাজগৃহ থেকে নালন্দার পথটি অম্বলত্থিকা হয়ে গিয়েছিল। নালন্দা থেকে এই পথটি পাটলিগাম পর্যন্ত প্রসারিত ছিল। বহুপুত্ত চৈত্য অবস্থিত ছিল রাজগৃহ এবং নালন্দার মধ্যবর্তী পথের পাশে।কেবত্ত সূত্ত অনুযায়ী, বুদ্ধের সমসাময়িক কালেই নালন্দা ছিল এক সমৃদ্ধ ও প্রভাবশালী নগরী। সেই যুগে এই শহর ছিল ঘন জনাকীর্ণ। তবে শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে এর খ্যাতি অনেক পরবর্তীকালে অর্জিত হয়। সময়ুত্তা নিকায় থেকে জানা যায় যে বুদ্ধের সমসাময়িক এই শহর একবার ভয়ানক দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছিল। বুদ্ধের প্রধান শিষ্য সারিপুত্তের জন্ম এবং মৃত্যু এই শহরেই।কথিত আছে ২৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে সম্রাট অশোক সারিপুত্তের স্মৃতিতে এখানে একটি স্তুপ নির্মাণ করেন। তিব্বতীয় সূত্র থেকে জানা যায় নাগার্জুন এখানে শিক্ষাদান করতেন।

ঐতিহাসিকদের মতে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছিল গুপ্ত সম্রাট কুমারগুপ্তের রাজত্বকালে। হিউয়েন সাঙ এবং প্রজ্ঞাবর্মণ তাকে এই মহাবিহারের প্রতিষ্ঠাতা বলে উল্লেখ করেছেন। মহাবিহারের ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রাপ্ত একটি সিলমোহর থেকেও একথা জানা যায়।

ঐতিহাসিক সুকুমার দত্তের মতে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে মূলত দুটি পর্ব বিদ্যমান ছিল। প্রথমত এই বিশ্ববিদ্যালের প্রতিষ্ঠা বিকাশলাভ এবং খ্যাতি অর্জনের পর্ব। এই পর্বের সময়কাল খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ থেকে নবম শতাব্দী। এই সময়টি ছিল গুপ্ত যুগের ঐতিহ্য অনুসারে প্রাপ্ত মুক্ত সাংস্কৃতিক চিন্তা এবং ঐতিহ্যের পর্ব। তার পর নবম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে পূর্বভারতের বৌদ্ধধর্মে তান্ত্রিক রীতিনীতির আবির্ভাব ঘটলে এই মহাবিহারও ধীরে ধীরে পতনের পথে ধাবিত হয়।

পাল যুগে বাংলা এবং মগধে একাধিক মঠ স্থাপিত হয়। তিব্বতীয় সূত্র অনুযায়ী সেই সময়ের পাঁচটি প্রধান মহাবিহার হল বিক্রমশীলা অথাৎ সেযুগের প্রধান মহাবিহার, নালন্দা সেযুগে বিগতগরিমা হলেও উজ্জ্বল, সোমপুর, ওদন্তপুরা এবং জগদ্দল। সেই পাঁচটি মহাবিহার পরস্পর সংযুক্ত ছিল । প্রতিটিই রাষ্ট্রীয় তদারকিতে পরিচালিত হত এবং তাদের মধ্যে বিদ্যমান ছিল এক প্রকার সহযোগিতার ব্যবস্থা মনে করা হয়। পাল যুগে পূর্বভারতে একাধিক বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র একটি পরস্পর সংযুক্ত গোষ্ঠীব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হত।এই কারণেই বিশিষ্ট পণ্ডিতেরা সহজেই একটি থেকে অপরটিতে গিয়ে শিক্ষাদান করতে পারতেন।

পাল যুগে নালন্দাই একমাত্র শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। মনে করা হয় অন্যান্য পাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি নালন্দা থেকে কিছু পণ্ডিতকে নিজেদের দিকে টেনে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার কারণ তারা সকলে একই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ভোগ করতেন।

নালন্দা পৃথিবীর প্রথম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম একটি এবং এটি ইতিহাসের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যেও একটি। এর স্বর্ণযুগে ১০০০০ এর অধিক শিক্ষার্থী ও ২০০০ শিক্ষক এখানে জ্ঞান চর্চা করত। একটি প্রধান ফটক এবং সুউচ্চ দেওয়ালঘেরা বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপত্যের একটি মাস্টারপিস হিসেবে সুপরিচিত ছিল।বিশ্ববিদ্যালয়ে আটটি ভিন্ন ভিন্ন চত্বর এবং দশটি মন্দির ছিল,ছিল ধ্যান করার কক্ষ এবং শ্রেনীকক্ষ। প্রাঙ্গনে ছিল কতগুলো দীঘি এবং উদ্যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগারটি ছিল একটি নয়তলা ভবন যেখানে পাণ্ডুলিপি তৈরি করা হত অত্যন্ত সতর্কতার সাথে। তৎকালীন জ্ঞান বিজ্ঞানের সকল শাখাতেই চর্চার সুযোগ থাকায় সুদূর কোরিয়া, জাপান, চীন, তিব্বত, ইন্দোনেশিয়া, পারস্য এবং তুরস্ক থেকে জ্ঞানী ও জ্ঞান পিপাসুরা এখানে ভীড় করতেন। চীনের ট্যাং রাজবংশের রাজত্বকালে চৈনিক পরিব্রাজক জুয়ানঝাং ৭তম শতাব্দিতে নালন্দার বিস্তারিত বর্ণনা লিখে রেখে গেছেন।

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগার ধর্ম গুঞ্জ বা ধর্মগঞ্জ সেই সময়ে বৌদ্ধজ্ঞানের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ভান্ডার হিসাবে সুপরিচিত ছিল। পাঠাগারে ছিল শত শত হাজার হাজার পুঁথি এবং তার পরিমাণ এতই বেশি ছিল যে সেগুলো পুড়তে কয়েক মাস সময় লেগেছিল। পাঠাগারের মূল ভবন ছিল তিনটি যার প্রত্যেকটি প্রায় নয়তলা ভবনের সমান উঁচু ছিল । ভবনগুলো রত্নসাগর, রত্নদধি এবং রত্নরঞ্জক নামে পরিচিত ছিল।তিব্বতীয় বৌদ্ধ দর্শন বলে আজ যা পরিচিত তার বড় অংশ এসেছে নালন্দা থেকে। বৌদ্ধ দর্শনের অন্যান্য রূপ যেমন মহাযান যা ভিয়েতনাম, চীন, কোরিয়া এবং জাপানে অনুসরণ করা হয়, নালন্দাতেই শুরু হয়েছিল। বৌদ্ধ দর্শনের আর একটি রূপ থেরবাদর চর্চাও নালন্দায় ছিল কিন্তু তেমন উৎকর্ষ সাধন করে নি কারণ নালন্দা থেরবাদ চর্চার শক্তিশালী কেন্দ্র ছিল না।
কিছু কিছু স্থাপনা এখনো টিকে আছে যেমন নিকটবর্তী সূর্য মন্দির যা একটি হিন্দু মন্দির। মোট ১৫,০০০ বর্গ মিটার এলাকায় খননকার্য চলানো হয়েছে অবশ্য যদি জুয়ানঝাংয়ের হিসাব সঠিক হয় তাহলে মাত্র ১০% জায়গায় এখন পর্যন্ত খননকার্য চালানো হয়েছে।
নালন্দায় এখন কেউ বাস করে না নিকটবর্তী জনবসতি বড়গাঁও নামক গ্রামে।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:০১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: দারুন ইতিহাস তুলে ধরেছেন ।ভালো লাগল ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৩২

নিউ সিস্টেম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া ।

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:০৮

হুমম্‌ বলেছেন: +++++++++++++++

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:৫১

নিউ সিস্টেম বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো থাকুন ।

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০৯

নাইম রাজ বলেছেন: পড়ালাম আসলে এসব ইতাহাস যত পড়ি ততই আরও জানতে ইচ্ছে হয় । ধন্যবাদ ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:০৫

নিউ সিস্টেম বলেছেন: জানার শেষ নাই ভাই ।

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮

শাহ আজিজ বলেছেন: যেতে হবে , অনেকদিনের ইচ্ছা। ৮২তে পাটনায় ৮ ঘণ্টা ওয়েটিঙে ছিলাম ,সবার ইচ্ছে থাকলে একদিন থেকে ঘুরে আসা যেত , গ্রুপের কারো ধারনাই ছিলনা নালন্দা এতো কাছে । আমরা কিন্তু আসছি খাজুরাহ হয়ে। যাক কপালে নেই। তর্ক বিতর্কে নালন্দার উদাহরন দেই কিন্তু দেখা হয়না। যাব, থাকার ব্যাবস্থা বলে দেবেন।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:১৩

নিউ সিস্টেম বলেছেন: ধন্যবাদ ইতিহাস পড়ে আমারও যেতে ইচ্ছে করছে ।

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০০

রমিত বলেছেন:




নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বখতিয়ার খিলজী ধ্বংস করেননি। তার একটি তথ্যসূত্র উপরে দিলাম

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৪৪

নিউ সিস্টেম বলেছেন: ধন্যবাদ রমিত ভাই । আমি এ বিষয়টি নিয়ে কোন তর্কে যেতে চাইনা । কেননা সাধারণত ইতিহাস নিয়ে মতাবেক থাকবেই ।আর তাছাড়া আমি ইতিহাস সম্পর্কে বুঝিও কম । আর সব থেকে বড় কথা হল এটাই সত্য যে অনেকেই ইতিহাস লেখেন তবে তাদের বেশির ভাগ ইতিহাস লিখতে বসেন কাউকে বাঁচাতে আবার কেহ আছেন লেখেন কাউকে ডুবিয়ে দিতে! কাউকে সেরামানব বানাতে বা কাউকে মহাদানব বানাতে। আর এই ধরণের ইতিহাস চর্চা চলে আসছে যুগ যুগ ধরেই। এগুলো ইতিহাস এখন হয়ে গেছে এক প্রকার বস্তা পঁচা পিয়াজ রসুনের মত । মধ্যে থেকে লাভ করেন বা অর্থ যশ আর সম্মান হাসিল করেন লেখকেরাই ।

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০১

সুমন কর বলেছেন: ছবিগুলো দেখতে কিছুটা কুমিল্লার বিহারের মতো। পরে পড়তে আসবো.....

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:১৬

নিউ সিস্টেম বলেছেন: নিচে ৭ নং কমেন্টে@জুন আপু বলেছে ওটাই সত্য ।

৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

জুন বলেছেন: কি ভাবে যাওয়া যায় এ ব্যপারে একটু জানালে ভালো হতো নিউ ।

@সুমন কর , আমাদের এই উপমহাদেশের প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারগুলো প্রায় সবই একই নকশায় নির্মিত ।
এমনকি ইয়াঙ্গুনের বিখ্যাত শডেগন প্যাগোডার মিউজিয়ামের রাখা স্থানীয় বৌদ্ধ বিহারের ছবি দেখে এমনই মনে হলো ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:১৯

নিউ সিস্টেম বলেছেন: ধন্যবাদ আপু সত্য কথাই বলেছেন ।

৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

প্রফেসর এরোনেক্স বলেছেন: ত্য তুলে ধরায় ধন্যবাদ রমিত ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:২৫

নিউ সিস্টেম বলেছেন: থ্যাঙ্কস ।

৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

প্রফেসর এরোনেক্স বলেছেন: সরি সত্য

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:২৬

নিউ সিস্টেম বলেছেন: থ্যাঙ্কস ।

১০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৬

হাবিবুর রাহমান বাদল বলেছেন: ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দে তুর্কি মুসলমান আক্রমণকারী বখতিয়ার খিলজি নালন্দা মহাবিহার লুণ্ঠন এবং ধ্বংস করেন। দাদা বাবু আপনি এই তথ্য কোথায় থেকে পেলেন।লেখাপড়া করে ব্লগিং করতে আসবেন। নালন্দা মহাবিহার লুণ্ঠন এবং ধ্বংস করেছেন আপনার জাতি ভাই হিন্দুরা। বখতিয়ার খিলজি ভারত আক্রমণের আগেই নালন্দা মহাবিহার লুণ্ঠন এবং ধ্বংস করা হয়, বৌদ্বদের কচুকাটা করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। কারন আপনার জাতি ভাই হিন্দুরা প্রচন্ড বৌদ্ব বিদ্বেষী ছিলেন। মিথ্যা তথ্য সন্ত্রাস করে জনগনকে বিভ্রান্ত করবেন না।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৩০

নিউ সিস্টেম বলেছেন: যেভাবে ধ্বংস হয় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়
যতদূর জানা যায়, নালন্দা মহাবিহারটি মোট তিনবার আক্রমনের শিকার হয়। প্রথমবার আক্রমনের শিকার স্কন্দগুপ্তের সময়ে (৪৫৫-৪৬৭ খ্রিস্টাব্দে) মিহিরাকুলার নেতৃত্বে মধ্য এশিয়ার যুদ্ধবাজ হানদের দ্বারা। মিহিরকুলার নেতৃত্বে হানরা ছিল প্রচন্ড রকমের বৌদ্ধ-বিদ্বেষী। এ সময় বৌদ্ধ ছাত্র ও ধর্মগুরুদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। স্কন্দগুপ্ত ও তার পরবর্তী বংশধরেরা একে পূণর্গঠন করেন। প্রায় দেড় শতাব্দী পরে আবার ধ্বংসের মুখে পড়ে বাংলার শাসক শশাঙ্কের দ্বারা। শশাঙ্ক ছিলেন বাংলার অর্ন্তগত গৌড়`র রাজা। রাজা হর্ষবর্ধনের সঙ্গে তার বিরোধ ও ধর্মবিশ্বাসই এই ধ্বংসযজ্ঞে প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়। রাজা হর্ষবধন শৈব (শিবকে সর্বোচ্চ দেবতা মানা) ধর্মের অনুসারী হলেও বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষকে পরিণত হন। এছাড়াও তিনি সেই সময়ে ব্রাহ্মণদের বিদ্রোহও নিষ্ঠুরভাবে দমন করেছিলেন। অন্যদিকে রাজা শশাঙ্ক ব্রাহ্মণ্য ধর্মের একজন শক্তিশালী পৃষ্ঠপোষক ও অনুরাগী ছিলেন । এ সময় রাজা শশাঙ্কের সঙ্গে রাজা হর্ষবর্ধনের বড় ধরনের যুদ্ধ হয়েছিল। এবং রাজা শশাঙ্ক মাগ্ধায় প্রবেশ করে বৌদ্ধদের পবিত্র স্থান, বুদ্ধগয়াগুলোকে এমনভাবে ধ্বংস করে যে, বুদ্ধের পদচিহ্নকেও ধূলিসাৎ করে দেয়। চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ ৬২৩ সালে গুপ্ত রাজাদের শাসনামলে নালন্দা ভ্রমণ করেন তার বর্ণনা থেকে এমনটাই পাওয়া যায়।
১১৯৩ খ্রিস্টাব্দ। তৃতীয়বার নালন্দা ধ্বংস হয় তুর্কী যোদ্ধা বখতিয়ার খিলজী দ্বারা।


ভাই হয়ত আমি তেমন লেখা পড়াও করিনি তেমন বেশি একটা বুঝিও না । তাই ভুল হতে পারেই ।যেমন মানুষ মাত্রই ভুল তেমনি মানুষ মাত্রই কুরুচি ব্যবহার আর এই হল আমাদের মুসলীম বলেন আর হিন্দু বোদ্ধ খ্রীস্টান যে ধর্মেরি বলুন সবই একি রকম । ঠিকি বলেছেন ভাই আমার জাতি ভাইয়েরা একটু খারাপই বটে যেমন এই আমিও মুসলিম আপনিও মুসলিম অথচ আমরা আমরাই লেগে গেছি এবার আসলে নালন্দা কে ধংশ করলো তার একটা সঠিক তথ্য সহ জানিয়ে যান ।

১১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: নিউ সিস্টেম,





আপনার বেশির ভাগ লেখাই ইতিহাস নিয়ে তবে ৫নং মন্তব্যের জবাবে লিখেছেন, ইতিহাস আপনি কম বোঝেন । অসলেই কী ?
নালন্দা নিয়ে সুন্দর একটি লেখা । শুভেচ্ছান্তে ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

নিউ সিস্টেম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
এই বেশি না প্যাচিয়ে সংক্ষিপ্ত ভাবে বলে দিয়ে তাদের সাথে কথা কাঁটাকাঁটি বা ঝগড়া থেকে বাঁচা আর কি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.