নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি লিখমু ভাবছি ?

নিউ সিস্টেম

অনেক দিন চেষ্টা করার পরে আজ এখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারলাম !

নিউ সিস্টেম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাহাড়ি বাঁশবনের তিতির

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:২৫


পাহাড়ি বাঁশবনের তিতির হচ্ছে ফ্যাজিয়ানিডি গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত বাম্বুসিকোলা গণের এক প্রজাতির ছোট তিতির। এরা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় পাখি। আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে Least Concern বা আশঙ্কাহীন বলে ঘোষণা করেছে।বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, চীন, লাওস, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম পাহাড়ি বাঁশবনের তিতিরের প্রধান আবাসস্থল। এসব অঞ্চলের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনের পাশে ঘাসবন এবং ছোট ঝোপঝাড়বহুল জঙ্গল এদের পছন্দের আবাস।
পাহাড়ি বাঁশবনের তিতিরের মোট দু'টি উপপ্রজাতি সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এরা হচ্ছেঃ
B. f. fytchii (Anderson, 1871): এর মূল বাসস্থান দক্ষিণ চীন (সিচুয়ান ও হাইনান প্রদেশ), উত্তর ভিয়েতনাম, উত্তর-পশ্চিম থাইল্যান্ড এবং পূর্ব মিয়ানমার
B. f. hopkinsoni (Godwin Austen, 1874): এর মূল আবাসস্থল পূর্ব বাংলাদেশ বিশেষত গারো পাহাড়, পূর্ব ও উত্তর মিয়ানমার এবং পূর্ব ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম,অরুণাচল প্রদেশ।

পাহাড়ি বাঁশবনের তিতিরের দেহ ছোট মুরগির আকারের। লেজ লম্বাটে। রক্তিম মাথায় সাদা ভ্রু এবং কালো চোখ ডোরা দৃশ্যমান। চোখ ডোরাকে ঘিরে হালকা সাদা রেখা থাকে। চোখের সামনের দিক এবং থুতনি সাদাটে। পিঠ, ডানা ও লেজের গোড়ার পালক বাদামী ধূসর। পার্শ্বদেশে কালো কালো ছোপ ছোপ থাকে। গলা, বুক ও লেজের ডগা লালচে বাদামী। দেহের নিম্নভাগ সাদা, তাতে প্রচুর কালো ছোপ। দেহে প্রচুর লালচে আভা। পা ধূসর, ঠোঁট সীসা বর্ণের। চোখের মণি কালো। এদের দৈর্ঘ্য কমবেশি ২৭ সেন্টিমিটার।সাধারণত এরা দলবদ্ধভাবে বসবাস করে। বীজ, তৃণ, পোকামাকড়, ঘাস ইত্যাদি বাঁশবনের তিতিরের প্রধান খাদ্য। প্রজনন ঋতুতে পুরুষ তিতিরের ডাকাডাকি বেড়ে যায়।ব্যাপকহারে আবাসন ধ্বংস ও বনাঞ্চল কেটে চাষাবাদের ফলে পাহাড়ি বাঁশবনের তিতিরের অস্তিত্ব সর্বত্রই হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া মাংসের জন্য শিকারও এদের অস্তিত্ব-ঝুঁকির অন্যতম কারণ।
এরা হল সাদাচিবুক তিতির
সাদাচিবুক তিতির Phasianidae গোত্রের অন্তর্গত পাখির একটি প্রজাতি। এর ইংরেজী নাম White-cheeked Partridge বা White-cheeked Hill Partridge। এরা বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার এবং চীনের স্থানীয় পাখি। আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে Near Threatened বা প্রায় বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের ১৯৭৪ সাল ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।সাধারণত আর্দ্র চিরসবুজ এবং মিশ্র চিরসবুজ বন এদের আবাসস্থল। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বনাঞ্চলগুলোতে এদের দেখা যায়। পার্বত্য চট্টগ্রামের চিরসবুজ বনেও এরা থাকতে পারে। ভারতের মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ আর মণিপুরের বনাঞ্চলে এদের প্রায়ই দেখা যায়। চীনের ইউনান প্রদেশের পশ্চিমে ইংজিয়াং থেকে সালউইন নদীর পশ্চিম পর্যন্ত এদের বিস্তৃতি। মিয়ানমারে একসময় ব্যাপকহারে সাদাচিবুক তিতির দেখা গেলেও বর্তমানে সেখানে এদের অবস্থা বেশ করুণ।
এরা দেখতে বটেরার কোয়েলের মত, তবে বড়। পিঠ হলদে সবুজাভ ধূসর। কপাল, চিবুক এবং ভ্রু সাদা। কালো মুখোশের মত থাকে। গলায় ও বুকের সামনের দিকে কালো ডোরা থাকে। পেট এবং পার্শ্বদেশ ধূসর, রক্তিম নয়। চোখ, অন্য রঙের ফোঁটাযুক্ত ডানা ও পা লালচে। পিঠ আঁশের মত পালক দ্বারা আবৃত। এদের দৈর্ঘ্য কমবেশি ২৮ সেন্টিমিটার। সাদাচিবুক তিতির নাদুস-নুদুস, পা দেহের পেছনদিকে হওয়ার ফলে মনে হয় এ পাখির দেহ খাড়া কাঠির উপর বসানো।

পাহাড়ি তিতির বা লালগলা বাতাই বৈজ্ঞানিক নাম Arborophila rufogularis এরা ফ্যাজিয়ানিডি গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত আর্বোরোফাইলা গণের এক প্রজাতির ছোট তিতির বা বাতাই। এরা দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় পাখি। আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে Least Concern বা ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের ১৯৭৪সালের ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

সূত্রঃ বাংলাদেশের পাখি, রেজা খান, বাংলা একাডেমী, ঢাকা (২০০৮), পৃ. ৩২৯।
সূত্রঃ জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ৭।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫১

মামুন ইসলাম বলেছেন: আপনার লেখার জন্য তিতির সাথে পরিচয় হওয়া গেল ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:০০

নিউ সিস্টেম বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই ।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

টাইম টিউনার বলেছেন: দেখে কোয়েল পাখি মনে হচ্ছে কিছুটা । ভাল লাগলো ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:১১

নিউ সিস্টেম বলেছেন: জি অনেকটা তেমনি।

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

জুন বলেছেন: কি সুন্দর দেখতে।। অনেক তথ্য জানা হলো এই সংরক্ষিত পাখিটি সম্পর্কে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:১৩

নিউ সিস্টেম বলেছেন: ধন্যবাদ আপুনি।

৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

নাইম রাজ বলেছেন: অনেক কিছু জানা হল । +

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

যমুনার চোরাবালি বলেছেন:



খুব সুন্দর পাখি... শিকার হবার কারনেই সম্ভবত এরা কমে যাচ্ছে অবশ্য তুলনামূলক বন কমে যাওয়াও একটা কারন... এদের আবাস গুলোতে মানুষের ছায়া পড়ে গেছে... চমৎকার তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট...

শুভকামনা...

৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

হাকিম৩ বলেছেন: দেখতে পাখীগুলো অনেক সুন্দর ।

৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: তিতি নিয়ে লেখা ভালো হয়েছে ।

৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

সিগনেচার নসিব বলেছেন: চমৎকার পোস্ট
বেশ কিছু জানলাম






অনিঃশ্বেস শুভেচ্ছা রইল

৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৪৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো লাগল পোস্ট ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.