নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি লিখমু ভাবছি ?

নিউ সিস্টেম

অনেক দিন চেষ্টা করার পরে আজ এখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারলাম !

নিউ সিস্টেম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঐতিহ্যবাহী তোহাখানা কমপ্লেক্স এর ইতিহাস

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭


তোহাখানা একটি তিনতলা বিশিষ্ট রাজ প্রাসাদ। তোহাখানা ফার্সি শব্দ যার আভিধানিক অর্থ ঠান্ডা ভবন বা প্রাসাদ। গৌড় লখনৌতির ফিরোজপুর এলাকায় বড় পুকুরের পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত ভবন কাঠামোটি ঐতিহ্যগতভাবে তোহাখানা নামে পরিচিত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রায় ৩৫ কি.মি. দূরেুত্বে অবস্থিত শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী তোহাখানা কমপ্লেক্স বা তোহাখানা অবস্থিত।
হযরত শাহ সৈয়দ নেয়ামতউল্লাহর সমাধিস্থল
বঙ্গ সুলতান শাহ সুজা তার মুর্শিদ সৈয়দ নেয়ামতউল্লাহ এর উদ্দেশ্যে শীতকালীন বাসের জন্য ফিরোজপুরে তাপনিয়ন্ত্রণ ইমারত হিসেবে এই ভবনটি নির্মাণ করেছিলেন। সময়ে সময়ে শাহ সুজাও এখানে এসে বসবাস করতেন। বিভিন্ন ঐতিহাসিক গ্রন্থ হতে জানা যায় মুঘল সম্রাট শাহজাহানের পু্ত্র শাহ্ সূজা বাংলার সুবাদার থাকাকলে ১৬৩৯ থেকে ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দে মতান্তে ১৬৩৯ থেকে ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে তার মুরশিদ হযরত শাহ সৈয়দ নেয়ামতউল্লাহর প্রতি ভক্তি নিদর্শনের উদ্দেশ্যে তাপনিয়ন্ত্রিত ইমারত হিসেবে তোহাখানা নির্মান করেছিলেন। জনশ্রুতি আছে যে, শাহ সুজা যখন ফিরোজপুরে মোরশেদ শাহ নেয়ামতউল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসতেন তখন উক্ত ইমারতের মধ্যবর্তী সুপ্রশস্ত কামরাটিতে বাস করতেন। তোহাখানা কমপ্লেক্সের ভেতরে আরো নাম না জানা অনেক সমাধি দেখা যায়। যাদের পরিয় এখনো জানা যায় নি। তবে তাদেরকে হযরত শাহ সৈয়দ নেয়ামতউল্লাহর খাদেম বা সহচর বলে ধারনা করা হয়।
তোহাখানায় প্রাপ্ত খোদাই করা কারুকার্য
তোহাখানার প্রাচীন স্তম্ভ
গৌড়ের প্রাচীন কীর্তির মধ্যে এই শ্রেণীর ইমরাত এই একটিই পরিলক্ষিত হয়। কড়িকাঠের উপর খোয়া ঢালাই করে যার ছাদ এবং কোঠা জমাট করা হয়েছিল। উল্লেখিত মসজিদ এবং তাহখানার নিকটস্থ সরোবর দাফেউল বালাহর তীরে অবস্থিত। এই দুই ইমারত হতে দুইটি সিড়ি সরোবরের তলদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। ভবনটির উত্তর পশ্চিমে আরও দুটি কাঠামো রয়েছে নিকটস্থটি একটি তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ এবং একটু উত্তরে অবস্থিত অপরটি ভল্টেড বারান্দা ঘেরা একটি গম্বুজ সমাধি।
তিন গম্বুজ বিশিষ্ট শাহ নেয়ামতউল্লাহ মসজিদ
হযরত শাহ সৈয়দ নেয়ামতউল্লাহর মাজার পাঙ্গনে অজানা সমাধি
তোহাখানার অভ্যান্তরে অবস্থিত অন্ধকার কুপ
যেহেতু ভবনগুলো একই সময় একটি বিশেষ উদ্দেশ্যেই নির্মিত হয়েছিল সেহেতু সব ভবনকে একত্রে একটি একক ইউনিট বা একটি কমপ্লেক্স হিসেবে গণ্য করা হয়। এ ভবনটি মূলত ইট নির্মিত। তবে দরজার চৌকাঠের জন্য কালো পাথর এবং সমতল ছাদের জন্য কাঠের বিম ব্যবহৃত হয়েছে। পশ্চিম দিক থেকে ভবনটিকে দেখলে একতলা মনে হয়। পূর্বদিক থেকে অবশ্য দ্বিতল অবয়বই প্রকাশ পায়। যার নিচতলার কক্ষগুলো পূর্বদিকে বর্ধিত এবং খিলানপথগুলো উত্থিত হয়েছে সরাসরি জলাশয়টি থেকে। ভবনের দক্ষিণ পাশে রয়েছে একটি গোসলখানা যেখানে পানি সরবরাহ হতো একটি অষ্টভুজাকৃতির চৌবাচ্চার মাধ্যমে জলাশয় থেকে। উত্তর পাশে একটি ছোট পারিবারিক মসজিদ অবস্থিত এর পেছনে রয়েছে একটি উন্মুক্ত কক্ষ যেটি একটি অষ্টভুজাকার টাওয়ার কক্ষের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। এই টাওয়ার কক্ষটি সম্ভবত ধ্যানের জন্য ব্যবহৃত হতো। অষ্টভুজাকার টাওয়ারটি সব কমপ্লেঙ্টিতে ভারসাম্য প্রদান করেছে। প্রাসাদটি প্লাস্টার করা এবং খোদাইকৃত। এসব অলঙ্করণ রীতি মোঘল আমলের।

সূত্র গৌড়ের ইতিহাস থেকে নেয়া।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: পুকৃরের ছবিটা দিলে পারতেন।

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

নিউ সিস্টেম বলেছেন: মনে ছিল না ভাই । পরে দিমুনি ।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো লাগল ।

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:২১

নিউ সিস্টেম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি ব্লগ সার্চম্যান ভাই ।

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:২১

নাইম রাজ বলেছেন: জানা হল অনেক কিছু ।

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:২২

নিউ সিস্টেম বলেছেন: ধন্যবাদ নাইম রাজ ভাই ।

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

নিউ সিস্টেম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া ।

৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার ইতিহাস জানা হল ।

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১০

নিউ সিস্টেম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.