![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কি!!
কি বলছিস এসব?
নিজের কানকে যেন বিশ্বাস করতে পারছি না। হঠাৎ করে কি হয়ে গেল? আচ্চা, ও পারবে তো সবকিছু ভুলে নিজেকে মানিয়ে নিতে?
আর আমি? কি নিয়ে বাঁচব আমি? কিভাবে আমি ওর রেখে যাওয়া স্মৃতি ভুলে থাকব? নাহ্। আর ভাবতে পারছি না। এরকম তো হওয়ার কথাই ছিল না। সবইতো ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এই তো, বছর দুই আগের কথা...
ভার্সিটিতে এসে প্রথমে নাবিলার সাথেই বন্ধুত্ব হয়। খুবই ফ্রেন্ডলি ছিল মেয়েটি। দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব ছাড়াও আরও যে কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে, আমার মাথায়ই আসেনি।
একদিন নাবিলা আমাকে বলল যে বাসায় ওর বিয়ের জন্য তোড়জোড় চলছে। কথাটা শুনে কেন যেন আমার বুকের বাঁ দিকটা মোচর দিয়ে উঠল। আমি আমার দাঁত কেলানো হাঁসি দিয়ে বললাম, “তাই না কি? আমাকে দাওয়াত দিবি তো?” ও কিছু বলল না। কিন্তু খেয়াল করলাম ওর চোখের কোনে এক বিন্দু পানি জমছে। আমি তাই ওকে আবার জিজ্ঞাস করলাম, “কি রে? তুই কাঁদছিস নাকি? তোর কি পছন্দের কেউ আছে নাকি?” এরপর আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ও সেদিন কিছু না বলে চলে গেল।
এরপর আমি ওর বান্ধবি তুলির মাধ্যমে জানতে পারলাম যে নাবিলা আমাকে ভালবাসে। ও আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে এ জীবনে আনার কথা ভাবতেও পারবে না। তখন আমি বুঝলাম ওর বিয়ের কথা শুনে আমার বুকের ভিতর কেন মোঁচড় দিয়ে উঠছিল। আসলে আমিও যে ওকে নিজের অজান্তে ভালবেসে ফেলেছিলাম। কি আশ্চর্য! আমি নিজেই তা জানতাম না?
কিন্তু আমি এখন কি করবো? আমার যে এখনো গ্রাজুয়েশনই শেষ হয়নি। আমি কি করে এখন বিয়ে করবো?
তারপর যে করেই হোক নাবিলা তার বাসার সবাইকে বলে কয়ে আপাতত বিয়ের চিন্তাটা মাথা থেকে ঝেরে ফেলাতে সক্ষম হল। আর আমাদের জীবনে শুরু হল নতুন অধ্যায়। ওকে নিয়ে কাটানো প্রতি মুহুর্তই যেন ছিল মধুর থেকে মধুরতম। দুজন শুধু নিজেদের সোনালী ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে ভাবতে দিন কাটাচ্ছিলাম। এই তো আর ক’দিন। অনার্স শেষ করেই একটা চাকরি করবো। আর নিজেদের সুখের নীড় সাজাবো।
সেমিস্টার ফাইনাল শেষে বাড়ি আসলাম। সিমটা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নাবিলার সাথে কথা বলতে পারিনি। আর গ্রামে নতুন সিম কেনাও সহজ ছিল না। ভার্সিটিতে এসে নাবিলাকে দেখতে পাচ্ছিনা। ওর ফোনও বন্ধ। পরে তুলির মাধ্যমে জানতে পারলাম যে নাবিলা ওর পরিবারের চাপে পড়ে বিয়ে করেছে!!!!!
©somewhere in net ltd.