নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের সাথে ছিল। শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বোনের মতো সরাসরি শেখ মুজিবের পাশে থেকে গোটা বিশ্বের কাছে পাকিস্তানের মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে কথা বলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বে জনমত গড়ে তোলেন, বাংলাদেশীদের ওপর চালানো নির্মম নিধনযজ্ঞের কথা বঙ্গবন্ধুকে সাথে নিয়ে অকপটে দুনিয়াকে জানান। বিষয়টি পাকিস্তান ভালোভাবে না নিয়ে সরাসরি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। বাধ্য হয়েই তখন আমাদের যুদ্ধে ভারতও প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল, যার ফলশ্রুতিতে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পূর্ব পাকিস্তান থেকে নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ জন্ম নেয়। মিত্রবাহিনীর কাছে ধরাশায়ী হয় পাকিস্তান।
.
এবার কাশ্মীর প্রশ্নে আবার গরম দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং পাকিস্তান। ভারতের উরি ঘাঁটিতে বেশ ক'জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর জন্য ভারত সরাসরি দায়ী করছে পাকিস্তানকে। সর্বস্তরে পাকিস্তানের বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। অথচ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার শপথ অনুষ্ঠানে নওয়াজ শরীফকে আমন্ত্রণ জানান, এরপর আবার সেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীরই জন্মদিনে হুট করে প্রটোকল ভেঙ্গে পাকিস্তানে গিয়ে শরীফকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসেন। মনে হচ্ছিল, মোদিজি সত্যিই 'সবার সাথে সবার উন্নয়ন' নীতিতেই এগুচ্ছিলেন। কিন্তু এখন আর সেই নীতিতে চলা যাচ্ছে না। ভারতের সিদ্ধান্তপ্রণেতাদের একটা বড় অংশ এমনকি মোদি নিজেও উরির হত্যাকাণ্ডের জবাব দরকার হলে পাকিস্তানে ঢুকে দিয়ে আসার পক্ষে।
.
এই কাজটি ভারত করতেই পারে। আমেরিকার সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক আগের মতো নেই। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলে তো কথাই নেই। চীনের সাথে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে, কিন্তু চীনের চোখ রাঙানি এখন আর ভারত গোনে না। বুদ্ধিমান রাশিয়া থাকবে চুপ। ইসরায়েলকে না চাইলেও পাশে পাবে ভারত।
.
যদিও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবু যদি সত্যিই এমনটি হয়, তবে এবারের যুদ্ধ নিউক্লিয়ার ওয়্যার পর্যন্ত গড়াতে পারে। সামরিক সক্ষমতায় ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে থাকলেও পাকিস্তানের মাথা ঠিক নাই বলে কথা। হুটহাট আণবিক বোমা ছুঁড়ে বসতে পারে। তাতে বাংলাদেশেরও ক্ষতিগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা অনেক। যুদ্ধ মানেই অশান্তি, ভালো কিছু বয়ে আনে না। আমরা তাই যুদ্ধের বিপক্ষে। তবে যদি সত্যিই যুদ্ধটা বেধেই যায়, তবে পাকিস্তান আরও ছোট হবে-- কাশ্মীর তো যাবেই, এবার মাঝখান দিয়ে বেলুচিস্তান স্বাধীন হবে।
-দেব দুলাল গুহ
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
পাকিস্তানের বোমা পাকিস্তানে নেই, উহা হয়তো আমেরিকায়; ভারত যুদ্ধে যাবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৮
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
যুদ্ধ এত সহজ নয়, কাশ্মীর ইস্যুকে নিয়ে শুধু ভারত পাকিস্তান চীন জড়িত নয়, পাপুয়া নিউগিনি থেকে বাহামা সবাই খুঁচিয়ে মজা নিচ্ছে।