নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভবা-পাগলা

ভবা-পাগলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষমতার পালা বদল নয়, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাই বতর্মান সংকট উত্তরনের একমাত্র পথ

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩



ক্ষমতার পালা বদল নয়, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাই বতর্মান সংকট উত্তরনের একমাত্র পথ

রাজনীতি ক্রমে ক্রমেই দুস্কৃতিকারীদের প্রধান পেশায় পরিনত হচ্ছে। অথচ এই লক্ষ্যে ত্রিশ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়নি। প্রাচীন কালে রাজারা প্রজার স্বার্থে স্বৈরাচারের ভুমিকা নিতেন। কোন কোন ক্ষেত্রে ক্ষমতার দর্প তাদেরকে উচ্চভিলাষী করত; তখন তারা প্রজা নির্যাতনে মেতে উঠতেন। মুগল আমলেও এর প্রতি ছব্বি লক্ষ্য করার মত ছিল। কিন্তু বিট্টিশ আমলে প্রজাদের স্বার্থ রক্ষায় ‘প্রজাতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিকাশ ঘটে। বিশ্ব ব্যাপি তারা রাজনীতির নতুন মেরু করনে, প্রজাকেই বেশী গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বসাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। যদিও অর্থনৈতিক স্বার্থই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। কিন্তু সেই স্বার্থের ভিত ছিল অত্যন্ত গভীরে, যা প্রজাদের বুঝার ক্ষমতা ছিল না। তথাপি,যুগের হোজুগে তাদের সাম্রাজ্যও বেশী দিন স্থায়ী হয়নি।

আধুনা-বিশ্বের সর্বাধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা বলে গণতন্ত্রকে অনেকেই স্বীকার করেন। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় জনগনই সর্বময় ক্ষমতার উৎস। জন কল্যাণই রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূল ভিত্তি। জনপ্রতিনিরিাই রাষ্ট্রের পরিচালক। জনকল্যাণের স্লোগানে, নাগরিক সমাজের ম্যান্ডেটে নিয়ে তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। এই প্রকার রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জনগনই সকল ক্ষমতার মালিক।

রাজনীতির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে ঢ়ড়ষরঃরপব রং ঃযব ঢ়ঁনষরপব ংবৎারপব ভড়ৎ হধঃরড়হধষ রহঃবৎংঃব.অর্থাৎ ‘জাতীয় স্বার্থে জনগনের সেবা করাই হল রাজনীতি,। বিট্টিশ আমলের লর্ড পরিবারের উচ্চশিক্ষিত, মার্জিত, সভ্য ও সৃজনশীল ব্যক্তিরা রাজনীতি করতেন। শিক্ষা ব্যবস্থাও ছিল ব্যয় বহুল ও এক বিশেষ শ্রেনীর হাতে বন্দি। কিন্তু বর্তমান কল্যাণ মূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় শিক্ষাকে সার্বজনীন করার সাথে সাথে সাধারন পরিবারের ছেলে-মেয়েরাও শিক্ষিত হয়ে রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ পূর্বক ব্যাপক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে যা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।

একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন আদর্শ, রীতি-নীতি, সততা-দক্ষতা, ও গঠনমূলক কাজে পারদর্শীদের রাজনীতিতে আসার উৎসাহ যোগাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ অবস্থান উল্টু দিকে। জনগন বে‘তালে গা ভাসিয়ে চলছে বিধায় রাজনীতিবিদরাও নীতি-আদর্শহীন ক্ষমতা লোভী স্বার্থপরে পরিনত হচ্ছে। এতে জাতির বিপুল ক্ষতি হলেও ধনকুবেরে পরিনত হছ্ছে এই অসৎ রাজনীতিক নামের দুর্বৃত্তরা।

স্বাধীনতা উত্তরকালে এই আশংঙ্খায় বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বাধ্য হয়ে একদলীয় বাকশাল নামে এক অভিনব শাসন ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্ঠা করে ছিলেন। কিন্তু তার নীতিকে তৎকালীন সময়ের কিছু রাজনীতিবিদ ভ্রাš —ব্যাখা করে জনগনকে উস্কিয়ে দিয়ে ছিলেন। ক্ষমতা লোভী দের চক্রান্তে ৭৫-এ ‘বঙ্গবন্ধু নিমর্ম ভাবে সপরিবারে নিহত হলে সামরিক শাসক হিসেবে জিয়া অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল করেন। তিনি জনগনের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে এক ভাওতাবাজীর সরকার কায়েম করেন এবং নানা অজুরে তার শাসন ব্যবস্থাকে বৈধ করেন। জনগন তার কান্ড-জ্ঞানহীন সরকারকে স্বাগত জানালেও তারই নিকটস্থ ব্যক্তিবর্গ এহেন ভাওতাবাজীর সরকারের বিরোধে প্রতিবাদী হয়ে উঠেন। ফলে তিনি সামরিক অভ্যূথানে প্রাণ হারান।

পরবতীতে এরশাদ সরকার সুকৌশলে ক্ষমতা দখল করে শক্তির রাজনীতি কায়েম করেন। কিন্তু বে‘তালের জনগন কিছুটা হুস ফিরে পেয়ে ‘স্বৈরাচারের কালিমা দিয়ে তাকে বিদায় করেন। বেগম জিয়া সরকার গঠন করার সাথে সাথে সুবিধাবাদী রাজনীতি চালু করেন। অধিকাংশ অশিক্ষিত জনগনকে প্রভাবিত করে জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও তারই নিকটস্থ কিছু লোকের সীমাহীন দুনীর্তির কারনে তার জনপ্রিয়তায় ধস নামে। তা‘ছড়া ইসলামি মৌলবাদীদের অভ্যূথান তার পতনকে অনিবার্য করে তুলে, সরকারের ভিতরে সরকার সৃষ্টি হয়। নানান অপকর্মের বুঝা মাথায় নিয়ে তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে জনগন বিপুল ভোটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেন। বিভিন্ন ঘটনা/পরিস্থিতি সামাল দিয়ে গিয়ে সরকার জনবিছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই মধ্যে ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হলেও তিনি ক্ষমতাকে আকৃয়ে ধরতে বে‘তালের জনগনের সাথে বেসামাল নীতি-আদর্শ নিয়ে বিরোধী দলের সাথে ক্ষমতার দ্বন্দে জড়িয়ে পড়ছেন। উদ্দ্যেশ সৎ থাকলে তিনি হয়তো সফল হবেন, জনগনের স্বার্থে যেমনটি মালয়েশিয়ার উন্নয়নের জনক মাহথীর মুহাম্মদ করে ছিলেন।

স্বাধীনতাত্তর বিয়াল্লিশ বছরেও আমরা পিছিয়ে রয়েছি শুধু মাত্র দ্বান্দিক ব্যাসার্ধের কারনে। এই সুদীর্ঘ শাসনকালে আমরা যে ভাল শাসক পাইনি, তা‘ নয়। আমাদের প্রধান সমস্যা মূলতঃ শাসকদের ছলচাতুরি ও জনগনের দেউলিয়াতত্ত্ব। এক শাসক ভাল কাজ করলেও সময়ের স্বল্পতা ও জনসমর্থন ভাটায় তাকে উন্নয়ন মূলক কাজ অসমাপ্ত রেখেই চলে যেতে হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রেই নতুন সরকার তাল-তামাসা,ও জনগনকে ক্যাতুকুতু দিয়ে ক্ষমতায় এসেই পূর্ববর্তী শাসকদের উন্নয়ন মূলক কাজ বন্ধ রেখে জনগনের আশা-আকাঙ্খা নিয়ে ভাওতাবাজী করে বিশাল অর্থ-বিত্তের মালিক বনে যাচ্ছেন। এমতবস্থায় আমাদেরকে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিকল্প নাই।















































































































































































































































































































মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.